নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০৮ পিএম, ০৯ অক্টোবর, ২০১৭
শিল্পের সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম হলো চলচ্চিত্র। দৃশ্যমান বিনোদন মাধ্যম। কিন্তু চলচ্চিত্র কি শুধুই দৃশ্যমান বিনোদন? চলচ্চিত্র কী আমাদের কখনো ভাবায়নি? কখনো কী নতুন ভাবে চিন্তা করতে শেখায়না? চলচ্চিত্র আমাদের ভাবায়, ভাবতে বাধ্য করে, ভাবতে শেখায়। বদলে দেয় জীবনযাত্রার দৃশ্যপট। কিন্তু কিভাবে?
চলচ্চিত্রের মূল অস্ত্র হচ্ছে গল্প। একটা চলচ্চিত্রের গল্পই আমাদের চিন্তাভাবনা মতাদর্শ বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। তবে হ্যাঁ, সেটা সব সিনেমার ক্ষেত্রে নয়, বিশেষ কিছু সিনেমার ক্ষেত্রে। আর সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারে বইয়ের পাতা থেকে নেয়া গল্প অথবা উপন্যাস। খেয়াল করে দেখবেন, সাহিত্য থেকে বানানো চলচ্চিত্রগুলোয় রয়েছে প্রান। প্রতিটাই কেমন যেনো হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার মত! সারা বিশ্বেই সাহিত্য থেকে সিনেমা বানানোর এই ধারাটি প্রচলিত আছে।
দুই দশক আগেও বাংলায় সাহিত্য নির্ভর ছবি হতো প্রচুর। কারণ, ওই সময় প্রযোজক পরিচালকরা ছিলেন শিক্ষিত, সাহিত্য পড়া শিল্প অনুরাগী লোক। এখন যারা আসছেন তারা কোন ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসছেন?
বাংলা চলচ্চিত্রের একাল সেকাল যদি বিবেচনা করা হয়। তাহলে সাহিত্য থেকে নির্মিত সিনেমা সবসময়ে আলোচিত ছিল। কিন্তু একটা সময়ে এসে সাহিত্য নির্ভর সিনেমার কদর কমে গেছে। পরিচালকরা গল্প নিতে ঝুকছে তামিল তেলেগুর সিনেমায়। এই ওই ছবি দিয়ে জোড়াতালি দিয়ে হয় আমাদের সিনেমা। একটা সময়ে কিন্তু এমন চল ছিল না। মেইনস্ট্রিম সিনেমার গল্প সাহিত্য থেকে নেয়া হত। সেসব সিনেমা দেখতে হলে ভীড় জমে যেত। বর্তমান সময়ে চলচ্চিত্র নির্মাতারা মন দেয় অর্থের দিকে। সস্তা গল্প দিয়ে দর্শক টানার যে সংস্কৃতি, সেটার দৌড় যে কতটা হয় সেটা সময়ই বলে দিবে। হলিউড কিংবা বলিউডে প্রচুর পরিমান সাহিত্য নির্ভর সিনেমা নির্মাণ হচ্ছে। সেসব সিনেমা যেমর সমলোচকরদের মন কেড়ে নিচ্ছে। তেমনি ব্যবসায়িকভাবেও সফল হচ্ছে। উদাহরণ হিসাবে বর্তমান সময়ে রয়েছে অনেক চলচ্চিত্রের নাম। সেখানে আমরা কী করছি প্রতিনিয়ত? আমাদের দেশের সাহিত্য এতটা সমৃদ্ধশালী হওয়া সত্বেও আমরা প্রতিনিয়ত সিনেমার গল্প চুরিতে মাতি। একই গল্প ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দর্শকদের খাওয়াতে ব্যস্ত।
বর্তমানেও সাহিত্য নির্ভর কিছু চলচ্চিত্র নির্মাণ হচ্ছে। কিন্তু সেটা নির্মাণ পর্যন্তই ক্ষ্যান্ত। এসব ছবি বানানো হয় সাধারনত অনুদানের টাকা দিয়ে। তা টিভিতে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার আর নামমাত্র কিছু হলে মুক্তি দেয়া হয় দায়সারা ভাবে। সাহিত্য থেকে সিনেমা নির্মাণ ও তা যেন সময়ের উপযোগী হয় সেটা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে পরিচালকদের।
কিছু উদাহরণ:
শুধু সাহিত্য নির্ভর সিনেমা হিসেবেই নয়, বাংলাদেশের সেরা ছবির একটি তালিকা করা হলে সবার উপরে যে নামটি থাকবে, তা হচ্ছে ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ ২০০৭ সালে ব্রিটিশ ফিল্ম ইন্সটিটিউট বাংলাদেশের সেরা ১০টি সিনেমা নিয়ে দুটি তালিকা প্রকাশ করে। একটি তালিকা হয়েছে চলচ্চিত্র বোদ্ধাদের মতে, আর অপরটি দর্শকদের মতে। দুটি তালিকায়ই ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ সিনেমাটি প্রথম স্থান অধিকার করে।
তিতাস একটি নদীর নাম সিনেমাটির পরিচালক ঋত্বিক ঘটক। অদ্বৈত মল্লবর্মনের লেখা বিখ্যাত উপন্যাস ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ -এর কাহিনী অবলম্বনে এই চলচ্চিত্রটি নির্মিত। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদী আর তার আশেপাশের মানুষদের, বিশেষ করে জেলেদের জীবনযাত্রা এই সিনেমার উপজীব্য বিষয়। নিঃসন্দেহে শুধু আমার নয়, যে কারো তৈরী করা তালিকার প্রথমেই থাকবে ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ চলচ্চিত্রটি !
বাংলা চলচ্চিত্রে যখন রোমান্টিক সিনেমার স্বর্ণযুগ চলছিলো, তখনই মুক্তি পায় ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’ নামে ব্যতিক্রমী একটি সিনেমা। এই ছবিটি পায় ‘আর্টফিল্ম’ এর মর্যাদা। সিনেমাটি যৌথভাবে পরিচালনা করেছেন মসিহউদ্দিন শাকের ও শেখ নিয়ামত আলী। বিশিষ্ঠ গ্রন্থকার আবু ইসহাক -এর ১৯৫৫ সালে প্রকাশিত কালজয়ী উপন্যাস সূর্য দীঘল বাড়ী অবলম্বনে ছবিটি নির্মাণ করা হয়।
১৯৯৭ সালে দেশের প্রখ্যাত পরিচালক চাষী নজরুল ইসলামের পরিচালনায় ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ সিনেমাটি মুক্তি পায়। এতে অভিনয় করেন সুচরিতা, সোহেল রানা, অরুণা বিশ্বাস, অন্তরা, ইমরান, দোদুল ও আশিক। সিনেমার গল্পটি নেওয়া হয়েছে সেলিনা হোসেনের হাঙর নদী গ্রেনেড নামক উপন্যাস থেকে। উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় ১৯৭৬ সালে। চাষী নজরুলের এই সিনেমা ঢালিউডের অন্যতম সেরা সিনেমা হিসেবে চিরকাল বিবেচিত হবে।
শ্রাবণ মেঘের দিন সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন জনপ্রিয় পরিচালক ও কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ। সিনেমাটি মুক্তি পায় ১৯৯৯ সালে। তারই লেখা ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ উপন্যাস অবলম্বনে তৈরী হয়েছে সিনেমাটি। অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান, শাওন, মাহফুজ আহমেদ, আনোয়ারা, ডাঃ এজাজ সহ অনেকে। ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ সিনেমাটি মোট ৬টি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছিলো।
সারেং বৌ চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। গল্পটি নেওয়া হয়েছে শহীদুল্লাহ কায়সারের সারেং বৌ উপন্যাস থেকে। সিনেমাটি মুক্তি পায় ১৯৭৮ সালে।
কবি নির্মলেন্দু গুণের বহুল পঠিত একটি কবিতা ‘নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ’। জনপ্রিয় এই কবিতাকে ঘিরে রয়েছে একটি বাস্তব চিত্র। সেই চিত্রকে দর্শকের সামনে তুলে ধরেছেন তরুণ কবি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মাসুদ পথিক। কবিতাটি পড়তে পড়তে পাঠক যেমন তন্ময় হয়ে যান; ঠিক তেমনি সিনেমাটি দেখতে দেখতে দর্শকও নিশ্চয়ই তন্ময় হয়ে যাবেন। চলচ্চিত্রটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভের গৌরব অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। ফলে কবি নির্মলেন্দু গুণ এবং পরিচালক মাসুদ পথিক নতুন ইতিহাসের পাতায় যুক্ত হলেন। স্বাধীন বাংলাদেশে ইসলাম ধর্ম, হিন্দু পুরাণ, রাজা-বাদশাহর ইতিহাস, গল্প ও উপন্যাস অবলম্বনে অনেক চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। তবে কবিতা থেকে চলচ্চিত্র নির্মাণ এবং চলচ্চিত্রে জাতীয় স্বীকৃতি লাভ- এই বোধহয় প্রথম।
বাংলা ইনসাইডার/ এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
ঢাকাই সিনেমার কিং খান শাকিবের বিয়ের
গুঞ্জন চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। বুবলী আর অপু বিশ্বাসকে নিয়ে বিরক্ত শাকিব খানের পরিবার।
শাকিবকে নিয়ে দুই নায়িকার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে কথাবার্তা-গল্পগুজব আর নিতে
পারছেন না অভিনেতা এবং তার পরিবার। শুধু তাই নয়, শাকিবকে বিয়ে দেওয়ার জন্য চলছে পাত্রী
দেখাও।
অভিনেতার ঘনিষ্ঠজনেরা বলেছেন, ঢাকার পাশের জেলায় পাত্রী দেখছে শাকিবের পরিবার। এবার আর নিজের পছন্দে নয়, পরিবারের পছন্দেই বিয়ে করবেন অভিনেতা। অতীত ভুলে সংসারী হবেন শাকিব।
আরও পড়ুন: এবার জায়েদ খানের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন সাকিব
আরও পড়ুন: ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে তাহসান-ফারিণের গান
অর্থাৎ বুবলীর সঙ্গে যদি শাকিবের সত্যি বিয়ে হয়ে থাকে, তাহলে এবার তৃতীয় দফায় বিয়ের
পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন অভিনেতা। শোনা যাচ্ছে, চিকিৎসক পাত্রী পছন্দ করেছে তাঁর পরিবার।
শাকিবের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, ঢাকার
পার্শ্ববর্তী মুন্সিগঞ্জজেলার একটি মেয়েকে শাকিবের বউ হিসেবে প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত
করেছে তার পরিবার। মেয়ে যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করে দেশে ফিরেছেন।
শাকিবেরও ডাক্তার মেয়ে পছন্দ।
একাধিক সূত্রে জানাগেছে, এ পর্যন্ত
দুই থেকে তিনজন পাত্রীকে দেখেছে শাকিবের পরিবার। এর মধ্যে মুন্সিগঞ্জের চিকিৎসক মেয়েই
নাকি এগিয়ে আছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষ দিকে ধুমধাম করে বিয়ের পিঁড়িতে
বসবেন শাকিব খান। আর এই আয়োজনের পুরো দায়িত্ব নিচ্ছে শাকিবের পরিবার।
শুধু তা–ই নয়, শাকিবকে নিয়ে কেউ কোনো
মিথ্যাচার করলেই আইনের আশ্রয় নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে শাকিব খানের পরিবার। পাশাপাশি
জানা গেছে, শাকিবের বাড়িতে অপু-বুবলীর প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যদিও জবাবে
বুবলী বলেছেন, ছেলে বীরকে একা ছাড়বেন না তিনি। এই কথা প্রসঙ্গে অপুও বলেছেন, ‘তিনি
গেলে আমিও যাব।’
শাকিব খান ঢালিউড অপু বিশ্বাস বুবলী
মন্তব্য করুন
কমেডি কিং কপিল শর্মার 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো' এর পারিশ্রমিক নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ এইটটিন।
এখন পর্যন্ত নেটফ্লিক্সে এই শোয়ের মোট পাঁচটি পর্ব প্রচারিত হয়েছে। আর এই পাঁচ পর্বের জন্য প্রায় ২৬ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন কপিল শর্মা। অর্থাৎ পর্ব প্রতি পারিশ্রমিক ৫ কোটি টাকারও বেশি।
শুধু কপিলই নয়, সামনে এসেছে তার সহকর্মী অর্চনা পূরণ সিং এবং সুনীল গ্রোভারের পারিশ্রমিকের কথাও।
ভারতীয় গণমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুনীল গ্রোভার প্রতি পর্বের জন্য প্রায় ২৫ লাখ ও অর্চনা পূরণ সিং নিচ্ছেন ১০ লাখ টাকা। এছাড়া ক্রুষ্ণা অভিষেক, কিকু শারদা ও রাজীব ঠাকুর পর্ব প্রতি নিচ্ছেন যথাক্রমে ১০ লাখ, ৭ লাখ এবং ৬ লাখ টাকা করে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতের টিভি অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো'র রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। গত ৩০ মার্চ থেকে নেটফ্লিক্সে শুরু হয়েছে এই শোয়ের প্রচার কার্যক্রম। এখন পর্যন্ত প্রচারিত হয়েছে মোট পাঁচটি পর্ব।
মন্তব্য করুন
চলচ্চিত্রে নানা সংকট ও বিদ্যমান সমস্যা নিয়ে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে
সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’-শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র, বিনোদন
ও সাংস্কৃতিক সাংবাদিকদের ৫৬ বছরের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি
(বাচসাস)।
বৃহস্পতিবার (০২ মে) শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার
কক্ষে (৭ম তলা) বাচসাস সভাপতি রাজু আলীমের সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথি
ছিলেন—ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, বিশেষ অতিথি ভার্সেটাইল
মিডিয়ার কর্ণধার প্রযোজক আরশাদ আদনান, সূচনা বক্তব্য রাখেন বাচসাস সাধারণ সম্পাদক
রিমন মাহফুজ।
গোলটেবিল বৈঠকে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ প্রবন্ধ
উপস্থাপনা করেন বাচসাস সদস্য ও বাংলাদেশ সম্পাদক ফোমের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন।
এসময় ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেন,
‘চলচ্চিত্র শুরু থেকে শিল্পীদের সঙ্গে সাংবাদিকেরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সাংবাদিক বন্ধুরা
ছাড়া আমরা সম্পন্ন না। ৫৬ বছর আপনারা যেভাবে সম্মান দিয়েছেন আগামীতেও দেবেন আশা করি।
বর্তমানে অল্প কিছু সিনেমা হলে সিনেমা মুক্তি পায়। সেখানে একজন প্রযোজক সিনেমা থেকে
খুবই সামান্য টাকা পায়।
এ অবস্থায় আমরা যদি টাক্সের টাকাটা কমানোর জন্য সর্বসম্মতিক্রমে
জাতীয় সংসদে তুলে ধরতে পারি তাহলে আমাদের এই শিল্পের জন্য বড় সমস্যার সমাধান হবে। আমাদের
এই শিল্পের অনেক সমস্যা রয়েছে, এগুলোর সমাধানও আছে। এই সমস্যার সমাধানে নিজেদেরই এগিয়ে
আসতে হবে। ভালো ভালো সিনেমা বানাতে হবে। জাতির পিতার হাতে গড়া এই এফডিসির জন্য প্রধানমন্ত্রীর
অগাত ভালোবাসা রয়েছে। আমরা এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে সংসদে এই শিল্পের উন্নয়নে করণীয়
নিয়ে কথা বলব’।
ভার্সেটাইল মিডিয়ার কর্ণধার আরশাদ আদনান বলেন, ‘এই সাবজেক্ট নিয়ে
আমরাও কাজ করছিলাম। ধন্যবাদ জানাই বাচসাসকে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। বিষয়টি
নিয়ে আমরা কাজ করব। বাচসাসকে সঙ্গে নিয়েই সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করব। অনেক দিন
ধরেই প্রযোজক সমিতি প্রশাসকের হাতে। প্রযোজক সমিতির সমস্যা যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করব।
প্রযোজক বাঁচলে চলচ্চিত্র বাঁচবে। আশা করছি, অচিরেই এ সংসট নিরসন হবে’।
চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিইও আলিমুল্লাহ
খোকন বলেন, ‘চলচ্চিত্রের জন্য সিঙ্গেল স্ক্রিনের বিকল্প নেই। যে হলগুলো আছে তা আধুনিক
করতে হবে। চলচ্চিত্র সম্পর্কে যাদের জানা শোনা আছে অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের গুরুত্ব
দিতে হবে’।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন
উজ্জ্বল বলেন, ‘হল মালিকরা দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্র শিল্প বাঁচাতে ভূমিকা রাখছে। ঈদের
সিনেমা ছাড়া বছরজুড়ে হল মালিকদের লোকসান গুনতে হয়। তারপরও তারা শিল্পটির সঙ্গে জড়িয়ে
আছে। সিনেমা হলগুলো আধুনিক করার চেষ্টা চলছে। ভালো সিনেমা নির্মাণ হলে পুনরায় এ শিল্প
ঘুরে দাঁড়াবে। তার প্রমাণ ‘প্রিয়তমা’।’
এসময় শিল্পী সমিতির সহসভাপতি ও চিত্রনায়ক ডিএ তায়েব বলেন, ‘সরকারি
অনুদান সঠিক মানুষদের দিতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদান দিলে চলচ্চিত্র
আরও এগিয়ে যাবে’।
বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল বলেন, ‘অনুদান
চলচ্চিত্র ধ্বংসের জন্য দায়ী। এটা দ্রুত বন্ধ করা উচিত। কারণ, সঠিক লোক অনুদান পায়
না। তাছাড়া অনুদানের টাকা দিয়ে অনেকেই গাড়ি কেনে। অনুদানের টাকা দিয়ে সিনেমা না বানিয়ে
বিয়ে করেছে এমনও প্রমাণ রয়েছে। অনুদানের টাকা কখনো যথাযথ ব্যবহার হয় না। তাই অনুদান
বন্ধ করে দেওয়াই ভালো’।
শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য-চিত্রনায়িকা রোজিনা বলেন, ‘চলচ্চিত্র
শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায় নিয়ে বারবার বৈঠক করতে হবে। সমস্যাগুলো বের করে সমাধানের
চেষ্টা করতে হবে। সেন্সরে বোর্ডে দায়িত্ব থাকার কারণে অনেক সিনেমা দেখতে হয়। এমন কিছু
সিনেমা আছে যেগুলো হলের উপযোগী না। সেগুলোও হলে মুক্তি পায়। এসব সিনেমা দর্শকের হলবিমুখ
করে। চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদানে
গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলেই আমাদের এ শিল্প আরও এগিয়ে যাবে’।
এসময় আরও উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নেন ‘বাচসাস’ সাবেক সভাপতি রেজানুর
রহমান, শিল্পী সমিতির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক
জ্যাকি আলমগীর, কার্যনির্বাহী সদস্য রোজিনা, চুন্নু, নানা শাহ, শাহনূর, চলচ্চিত্র পরিচালক
সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন, চিত্র সম্পাদক আবু মুসা দেবু, ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ
সম্পাদক এস এম কামরুজ্জামান সাগর, চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমান, মুক্তি, চলচ্চিত্র পরিচালক
এস এ হক অলিক, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, অরুণ চৌধুরী, সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান ডায়মন্ড,
গাজী মাহবুব, চয়নিকা চৌধুরী, বুলবুল বিশ্বাস, মাসুমা তানি ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক
সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত দাস, উপদেষ্টা সদস্য ইউনুস রুবেল প্রমুখ।
আরও উপস্থিত ছিলেন বাচসাস’র সহসভাপতি অনজন রহমান ও রাশেদ রাইন,
অর্থ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম মিলন, সমাজ কল্যাণ
ও মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আনজুমান আরা শিল্পী, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ইরানি বিশ্বাস,
দপ্তর সম্পাদক আহমেদ তেপান্তর (আওয়াল), নির্বাহী সদস্য লিটন রহমান, রুহুল আমিন ভূঁইয়া,
আনিসুল হক রাশেদ, রুহুল সাখাওয়াত প্রমুখ।
উপস্থিত সবাই সিনেপ্লেক্স ও সিনেমা হল বাড়ানোর জোর দাবি জানায়।
তারা মনে করেন সিনেমা হল বাড়লে সংকট অনেকটাই নিরসন হবে। সেইসঙ্গে ভালো গল্পের দিকেও
নজর দেয়ার অনুরোধ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সৈয়দা ফারজানা জামান রুম্পা।
‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ গোলটেবিল বৈঠক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
কমেডি কিং কপিল শর্মার 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো' এর পারিশ্রমিক নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ এইটটিন। এখন পর্যন্ত নেটফ্লিক্সে এই শোয়ের মোট পাঁচটি পর্ব প্রচারিত হয়েছে। আর এই পাঁচ পর্বের জন্য প্রায় ২৬ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন কপিল শর্মা। অর্থাৎ পর্ব প্রতি পারিশ্রমিক ৫ কোটি টাকারও বেশি।