কালার ইনসাইড

আগামী বছর হয়তো সিনেমার ঘোষণা দিবো

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:৫৮ পিএম, ১৮ অক্টোবর, ২০১৭


Thumbnail

ছোট পর্দার জনপ্রিয় নির্মাতা শাফায়াত মনসুর রানা। খুব শীঘ্রই সিনেমার কাজে হাত দিবেন। নাটকের বর্তমান ধারা, সমস্যা, পরিবর্তন নিয়েও কথা বললেন।তাঁর সমসাময়িক আরও অনেক ভাবনা নিয়ে মুখোমুখি হয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের

বাংলা ইনসাইডার: গেল ঈদের পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই বলছে নাটকে মধ্যবিত্তদের গল্প ফিরে আসুক, আসা উচিত। আপনার মত কী?

শাফায়াত মনসুর রানা: আসলে এটা নির্ভর করে পরিচালক কিংবা দর্শকের রুচির উপর। মধ্যবিত্তদের গল্প ফিরে আসুক ফর্মূলাতে আমি একমত নই। আমি বিশ্বাস করি, ভালো কিছু হলে দর্শক গ্রহন করবে। সেটা যে বৃত্তেরই হোক। দর্শকের সঙ্গে কানেক্টেড থাকতে হবে। ভাল কিছু করার প্রয়াস থাকলে দর্শক অবশ্যই দেখবে।

‘আয়নাবাজি অরিজিনাল সিরিজ’,‘ছবিয়াল রি ইউনিয়ন’, এরকম প্রজেক্টগুলো এসময়ে কতটা জরুরি,কেন ?

এ ধরনের সিরিজে যেটা দেখতে পাই, অনেকগুলো প্রডাকশন একসঙ্গে হয়। সেই ছয় কিংবা সাতটা প্রডাকশনের মধ্যে যদি ভালোর সংখ্যা বেশি না হয়। সেটা খুবই হতাশার সৃষ্টি করে।

দর্শকদের একটা এক্সপেকটেশন থাকবে যে এরকম ডাক দিয়ে একটা কিছু হচ্ছে, সেখানে ভালো কিছু পাব। ‘আয়নাবাজি অরিজিনাল সিরিজ’ যেটা হয়েছে সেটা আমার মতে হতাশার মতোই। ‘ছবিয়াল রি ইউনিয়ন’ নিয়েও একই কথা। এখানে বলা হয়েছিল প্রত্যেকটা ভিন্ন স্বাদের হবে। প্রত্যেক পরিচালক তাঁর ধারা থেকে বের হয়ে এসে নতুন কিছু করবেন। সেটা হয়নি বলে মনে করি। সেভাবেও সাতটি প্রডাকশনের মধ্যে গর্ব করার মতো কমপক্ষে ৪ টি তো থাকবে, সেটা পাওয়া যায়নি।

ওই জায়গাটা থেকে চিন্তা করলে এখন পর্যন্ত ভালো কিছু হয়েছে বলব না। তবে এরকম প্রজেক্ট হওয়া উচিত। আজ না হচ্ছে কাল হয়তো ভালো কিছু হবে। সেটা নতুন মেকারদের জন্যও একটা ভাল প্লাটফর্ম হতে পারে। কিন্তু সামগ্রিকভাবে পাস মার্ক কমপক্ষে পেতে হবে। এখানে আসলে মাঝামাঝি কোনো জায়গা নেই। অনেক টাকা খরচ করে অনেক প্রচার প্রচারণা করে যদি দর্শকের প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারে, সেটা না করলেও মন্দ কিছু হবে না। তবে করলে সেভাবে পারফেক্টলি কিছু করা উচিত। 

আপনি তো ‘স্যাটায়ার’ ধর্মী নাটক নির্মাণ করে থাকেন, কোনো বিরুপ প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন?

আমরা হয়তো এখনো এই টাইপের কাজগুলো নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে পারিনি। আমরা অল্পতেই অনেক বেশি রিঅ্যাক্ট করে ফেলি। ‘অ্যাওয়ার্ড নাইট’ যখন বানালাম , বিশেষ কিছু মানুষ এ নিয়ে অনেক কথা বলছে। আমার সাহস, যোগ্যতা আরও অনেক কিছু নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। এই যেমন অমিতাভ রেজা ভাইকে নিয়ে একটা চরিত্র ছিল। সেটা অনেকেই নেগেটিভলি নিয়েছে। অনেকেই মনে করছে হয়তো অমিতাভ ভাইয়ের সঙ্গে আমরা ঝগড়া বা অন্য কিছু। নানা জনে নানা রকম কথা বলছে। স্ট্যাটাস দিয়েছে তার নখের যোগ্যতার মতও হতে পারব না, আরও কত কি! আমি কিন্তু অমিতাভ ভাইকে আগেই জানিয়েছি এইরকম একটা আইডিয়া নিয়ে কাজ করছি। সে বলছে করো সমস্যা কি! তার একরকম পারমিশন নিয়েই করেছি। লোকজন না বুঝে না জেনে অনেক কথা বলে ফেলে। আমি কিন্তু তখন অমিতাভ ভাইকেও বলতে পারতাম যে আমাকে নিয়ে একটা স্ট্যাটাস দিন । কিন্তু এগুলো নিয়ে আসলে বলার কিছু নেই। যে যা ভাবার ভাবুক। আমরা জানি আমাদের মধ্যে কি। অনেকে পজিটিভলিও বলেছেন যে সাহসী উদ্যোগ। এরকমটা দরকার।

ছোটপর্দা থেকে এসময়ে অনেকে সিনেমায় আসছে, আপনার কোনো প্ল্যানিং?

এইটা তো অনেকটা বিয়ের মতো (হাসি)। প্রতিদিনই সিনেমা বানাতে ইচ্ছে করে। অনেকদিন ধরেই জোরেশোরে তোড়জোর চলছে। আশা করি আগামী বছর ফাইনাল কিছু বলতে পারবো। অনেক গল্পই তো মাথায় আসে। ঠিক কোন গল্পটা নিয়ে ফাইনালি মাঠে নামবো সেটা ঠিক করতে যতটা সময় লাগে। কিন্তু আমার একটা হতাশার জায়গা আছে, অনেক গল্প ছোট পর্দায় বলে ফেলছি যেটা আসলে বড় পর্দার উপযোগী ছিল।

অভিনেতা ‘শাফায়াত’র যদি সমলোচনা করতে বলা হয়…

আগে যথেষ্ট বাজে অভিনয় করতাম। এখন কিছুটা উন্নতি হয়েছে। নিজের পরিচালনায় সুবিধা আছে আবার অসুবিধাও আছে।অনেক সময় পারফেক্ট রোলটা প্লে করা যায়, আবার দুটো কাজ একসঙ্গে করতে গিয়ে মনোসংযোগেরও ব্যাঘাত ঘটে। অন্য কারও ডিরেকশনে কাজ করলে আসলে বুঝতে পারবো কতটা কি পারলাম।

নির্মাণ ও শিক্ষকতা একই সঙ্গে চলছে, সামঞ্জস্য রাখা সম্ভব হয় কীভাবে?

শিক্ষকতাই আসলে নির্মাণে আমাকে উৎসাহিত করে। প্রতি সেমিষ্টারে নতুন নতুন স্টুডেন্ট আসে। ওদের সঙ্গে কথা বললে নতুন ভাবনা চলে আসে। দিনকে দিন তো আমরা বুড়া হচ্ছি। সেখানে ওদের সঙ্গে থাকলে ইয়ং থাকা যায়। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে এরকম বাধ্যবকতা নেই যে অনেকগুলো কাজ করতে হয়। টাইমলি ক্লাস নিতে হয়। আর ওভারঅল মিডিয়ার অবস্থাটাও এমন হয়নি যে সারাবছর চাইলেই আমার মনের মতো বাজেট নিয়ে ভাল কাজ করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে তো সারাবছর আমার নাটক নির্মাণ করিও না। এভাবেই আসলে দুটি বিষয় সামঞ্জস্য করি।

সামগ্রিকভাবে নাটকের অবস্থা কেমন দেখছেন?

আমরা এখনো অগোছালোভাবে চলছি। যার যেখানে থাকা উচিত। আমরা এখনো সেই জায়গাটা এতবছরে ঠিক করতে পারিনি। আমি একজন পরিচালক। আমার কাজ হচ্ছে পরিচালনা করা। আমি পরিচালক হয়ে কিনা কাজ করি প্রডাকশন ম্যানেজারের, আমি কাজ করি প্রডিউসারের, মার্কেটিংয়েরও কাজ করেতে হচ্ছে। তেমনি একজন অভিনেতাও শুধু অভিনয়টা নিয়ে থাকতে পারে না। প্রডিউসার আর ফাইন্যান্সারের পার্থক্যটা এখনো আমাদের এখানে তৈরী হয়নি। একজন ডিওপি তার কাজটা ঠিকমতো করতে পারে না। চ্যানেলে প্রগ্রামিং এর লোকেরা করে মার্কেটিং এর কাজ। কিনা মার্কেটিং এর লোকেরা প্রগ্রামের জ্ঞান দিচ্ছে। সবমিলিয়ে একটা হিজিবিজি অবস্থা চলছে। যা এত বছরেও ঠিক হয়নি। প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এটাই সবচেয়ে বড় হতাশার জায়গা।

মিডিয়ার মানুষ হিসেবে যদি আত্নসমলোচনা করতে বলা হয়….

আমরা চারপাচজন মিডিয়ার মানুষ একসঙ্গে আড্ডা দিলে সাধারণত কি হওয়া উচিত? আড্ডাতে গল্প হওয়া উচিত কোন প্রডাকশনটা ভালো হচ্ছে। কোনো প্রডাকশনের পিছনের গল্প কি। অমুক সিনেমাটা কেমন হয়েছে। শর্টগুলো কেমন হয়েছে। কোন প্রডাকশনের গল্প কেমন হলো। এইটা না করে আমরা সারাক্ষন এর ওর পার্সোনাল লাইফ নিয়ে অনেক বেশি ব্যস্ত থাকি। সেলিব্রেটিদের প্রত্যেকটা মেকাপরুমে যদি একটা করে অডিও ডিভাইস রেখে রেকর্ড করে মানুষদের শোনানো যেত। তাহলে মিডিয়ায় রীতিমতো যুদ্ধ লেগে যেত।



বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ/জেডএ 



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শিল্পী সমিতির শ্রদ্ধা

প্রকাশ: ০২:০৮ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দ। নবনির্বাচিত সভাপতি মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজলের নেতৃত্বে তারা গেল শনিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে জাতির পিতার সমাধিসৌধ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ সময় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সহসভাপতি ডিএ তায়েব, সহসাধারণ সম্পাদক আরমান, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, কোষাধ্যক্ষ কমল, কার্যনির্বাহী সদস্য সুচরিতা, রোজিনা, আলীরাজ, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, শাহনূর, নানা শাহ, চুন্নু ও সনি রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন, চিত্রনায়িকা রুমানা ইসলাম মুক্তি, নাহিদা আশরাফ আন্না, ডি জে সোহেলসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

গত ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন হয়। মিশা সওদাগর পেয়েছেন ২৬৫ ভোট এবং ২২৫ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল।


বঙ্গবন্ধু   শিল্পী সমিতি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

অপু বিশ্বাস কেন ঢালিউডের ‘গসিপ কুইন’ জানাল ইমন

প্রকাশ: ০১:০৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঈদ উপলক্ষে বরাবরই তারকাদের নিয়ে আড্ডার আয়োজন করে বেসরকারি টেলিভিশনগুলো। বিভিন্ন ব্যান্ডের ফটোশুটে প্রায় তাদের একসঙ্গে দেখতে পাওয়া যায় ঢালিউড কুইন অপু বিশ্বাস ও তরুন নায়ক ইমন খান কে। কাজের সূত্র ধরেই দুই তারকার বন্ধুত্ব গাঢ় হয়েছে। বন্ধুত্বের জায়গা থেকেই এবারে ইমন অপু বিশ্বাসকে ঢালিউডের ‘গসিপ কুইন’ বলেন। 

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে হাজির হয়েছিলেন ইমন। ওই অনুষ্ঠানে ‘জানতে চাই’ নামের একটি অংশ নায়কের কাছে উপস্থাপক জানতে চান ঢালিউডের ‘গসিপ কুইন’ কে। এমন প্রশ্নের জবাবে অবলীলায় ইমন অপু বিশ্বাসের কথাবলেন।

ইমন একটু হেসেই বলেন, অপু বিশ্বাসের কাছে ঢালিউডের সব খবর থাকে। মানে অপু বিশ্বাসকে সবাই বলে নায়ক মান্না ভাই। আগে মান্না ভাইয়ের কাছে সব ধরনের খবর থাকত। এখন থাকে তার কাছে। সে জানে ইন্ডাস্ট্রিতে কোথায় কী হচ্ছে। এমনকি সে খুব সঠিক তথ্যও দিয়ে দেয়।

ব্যক্তি জীবনের নানান বিষয় নিয়ে আলোচনায় থাকেন অপু বিশ্বাস। ঢাকাই সিনেমার নায়ক শাকিব খানের সঙ্গে বিয়ে এবং বিচ্ছেদ নিয়েই বেশি আলোচনা চলে এই অভিনেত্রীকে নিয়ে। বর্তমানে নিজের ব্যবসা নিয়েও ব্যস্ত সময় পার করছেন অভিনেত্রী।


অপু বিশ্বাস   ঢালিউড   ‘গসিপ কুইন’ ইমন খান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

হানিফ সংকেতের ফেসবুক হ্যাক

প্রকাশ: ১০:৪২ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জনপ্রিয় উপস্থাপক ও নির্মাতা হানিফ সংকেতের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ রোববার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় হ্যাক হয়েছিল। পেজটির দখলে নিয়ে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ছবিও পোস্ট করেন হ্যাকাররা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই হানিফ সংকেতের কারিগরি দল পেজের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

ফেসবুক পেজ ফিরে পাওয়ার পর সন্ধ্যা সাতটার দিকে পেজে দেয়া এক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘কিছুক্ষণ আগে কে বা কারা পেজটি হ্যাক করে সেখানে অত্যন্ত অরুচিকর একটি দৃশ্য সংযোজন করে, যা দ্রুততম সময়ের মধ্যেই আমার টেকনিক্যাল টিম অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে অপসারণ করে।’

এতে আরও বলা হয়, ‘আমাদের এই পোস্ট দেয়ার আগেই অনেকে পেজ হ্যাক হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে আমাদের সতর্ক করেছেন, সে জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।’

হানিফ সংকেত   ফেসবুক  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

লাবণ্যময়ী সেই ভাইরাল হাসি নিয়ে মুখ খুললেন পিয়া

প্রকাশ: ০৩:৩০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি আইনজীবীর পোশাকে পিয়া জান্নাতুল এর একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন একটি বিষয় নিয়ে কথা বলছেন। আর তার ঠিক পেছনে দাঁড়িয়ে সেই কথা শুনে লাবণ্যময়ী হাসি দিচ্ছেন মডেল, অভিনেত্রী ও আইনজীবী পিয়া জান্নাতুল। ব্যস্, এই হাসিতেই ঘায়েল নেটিজেনরা। বিভিন্ন গানের সঙ্গে ভিডিওটি জুড়ে দিয়ে তৈরি হচ্ছে রিলস ও মিম।

রাতারাতি ট্রেন্ডিংয়ে উঠে যাওয়া কিংবা যাকে নিয়ে চারদিকে এত হইচই, এবার পিয়া জান্নাতুলই মুখ খুললেন বিষয়টি নিয়ে। গণমাধ্যমে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, মোটেই আমি স্রোতে গা ভাসিয়ে দিচ্ছি না। কারণ বুঝি, যারা ২ সেকেন্ডে ওপরে ওঠাতে পারে, তারা পরে আবার ১ সেকেন্ডেই নামিয়ে ফেলতে পারে।

পিয়ার ভিডিওটি দেখে তরুণদের একটি বড় অংশ তাকে ‘জাতীয় ক্রাশ’বলে ডাকছেন। কেউ কেউ তো সোশ্যালমিডিয়ায় অবলীলায় লিখেও ফেলছেন, ‘প্রেমে পড়ে গেলাম। আহ্ কী হাসি!’

বিষয়টিকে ‘দোষের’ দেখছে না পিয়া জান্নাতুল। তিনি বলেন, আমি বুঝতে পেরেছি কনটেন্ট বা রিলস যে যেটাই তৈরি করছেন, তাদের বেশিরভাগই তরুণ-যুবক। আর তাদের জীবনে এখনো অনেক কিছু দেখার বাকি আছে।

পিয়া আরও বলেন, আসলে এগুলো এখন ট্রেন্ডের মাধ্যমে যাচ্ছে। আর যখন যে ট্রেন্ড আসে, সবাই সেটাকেই অনুসরণ করে। এটাতে দোষের কিছু দেখছি না।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে ‘মিস বাংলাদেশ’ খেতাব জিতে আলোচনায় আসেন পিয়া জান্নাতুল। এরপর ২০০৮ সাল থেকে র‍্যাম্প মডেলিং দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু। পরবর্তীতে ২০১১ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় আয়োজিত ওয়ার্ল্ড মিস ইউনিভার্সিটি শিরোপা অর্জন করেন। এছাড়া মিশরে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড টপ মডেল প্রতিযোগিতায় শীর্ষ মডেল হওয়ারও সাফল্য অর্জন করেন।


ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন   পিয়া জান্নাতুল  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মুক্তির আগেই আটকে গেল রায়হান রাফির ‘অমীমাংসিত’

প্রকাশ: ১১:১৮ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রথমবার সেন্সর বোর্ডের জালে আটকা পড়ে গেলেন তরুণ নির্মাতা রায়হান রাফি। তার নির্মিত ওয়েব ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’ সিনেমাটির গল্প বাস্তবের সঙ্গে মিল থাকায় আটকে গেছে সেন্সর বোর্ডে। ওয়েব ফিল্মটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ, তানজিকা আমিন, রাশেদ মামুন অপু প্রমুখ। গত ক’বছর ধরে প্রেক্ষাগৃহ আর ওটিটি, দুই মাধ্যমেই সফলতা পেয়েছেন এই নির্মাতা।

গত ২৪ এপ্রিল (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড থেকে চূড়ান্ত রায় জানানো হয়, ছবিটি দর্শকদের সামনে প্রদর্শনযোগ্য নয়। তবে ৩০ দিনের মধ্যে আপিলের সুযোগ রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ‘অমীমাংসিত’ নির্মাতা রায়হান রাফী। নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সিনেমা বাস্তবের সাথে মিলে গেছে তাই এটা মুক্তি দেওয়া যাবে না! সিনেমা হতে হবে অবাস্তব! ওয়েব ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’ সেন্সর বোর্ডে আটকে দেয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। বিষয়টা তাহলে এমন, কোনো সিনেমায় কোনো সাংবাদিক দম্পতি খুন হতে পারবে না? কাল্পনিক কাহিনি উল্লেখ করার পরেও যদি কোনো ঘটনার সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে ব্যাপারটা এমন, ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাই না টাইপ।’

রাফি আরও লেখেন, ‘অমীমাংসিত’ সিনেমায় কোনো কিছুই প্রমাণ করা হয়নি, কেবল বিভিন্ন জনের ধারণা দেখানো হয়েছিল, তারপরও এই সিনেমা আটকে দেওয়াটা সত্যি দুঃখজনক!’

সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘সিনেমায় কোনো খুন দেখানো যাবে না, কোনো ধর্ষণ দেখানো যাবে না, কোনো অপহরণ দেখানো যাবে না, কোনো গুম দেখানো যাবে না। আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে। এখানে কোনো খুন হয় না, কোনো গুম হয় না, কোনো ধর্ষণ হয় না। এভাবেই হাত পা বেঁধে সাঁতার কাটতে হবে আমাদের দেশের সিনেমাকে।’

‘অমীমাংসিত’কে দর্শকের সামনে অপ্রদর্শনযোগ্য বলে রায় দিয়ে যে কারণগুলো দেখানো হয়েছে সেগুলো হলো, ১) চলচ্চিত্রটিতে নৃশংস খুনের দৃশ্য রয়েছে। (২) কাল্পনিক কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপের বিষয়বস্তু বাস্তবতার সাথে মিল রয়েছে। (৩) এ ধরনের কাহিনি বাস্তবে ঘটেছে এবং ঘটনা সংশ্লিষ্ট মামলা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। (৪) চলচ্চিত্রটির কাহিনি/বিষয়বস্তু বিচারাধীন মামলার সাথে মিল থাকায় ভুল বার্তা দিতে পারে এবং তদন্তের বিঘ্ন ঘটাতে পারে।


অমীমাংসিত   রায়হান রাফি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন