কালার ইনসাইড

উই আর রেডি

প্রকাশ: ০৯:৫৯ পিএম, ১৭ জুলাই, ২০২১


Thumbnail

সালটা ২০০৪ কি ২০০৫ হবে।

ঈদের ছুটিতে নানাবাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলো স্কুলপড়ুয়া তারেক। চাঁদরাতে গ্রামের বাজার থেকে সিডি ভাড়া করে বাড়ির সবাইকে নিয়ে দেখতে বসেছিলেন। ভিসিডি ভাড়া করে আনার খবরে আশেপাশের বাড়ির প্রতিবেশীরাও তারেকের নানা বাড়িতে বেশ ভীড় জমিয়েছে। যথারীতি সিনেমা শুরু হলো। সিনেমার নায়ক আলেকজান্ডার বো আর নায়িকা চরিত্রে সেই সময়ের হার্টথ্রব লাস্যময়ী পলি।

সিনেমা চলতে চলতে কিছুক্ষণ পরেই একটা দৃশ্যে এসে রুমের সবাই কিছুটা বিব্রত। কারন কোনো এক ইংরেজি পর্ণ ছবি থেকে দৃশ্য কেটে জুড়ে দেওয়া হয়েছে তারেকের ভাড়া করে আনা সিডির ডিস্কের ভেতরে। এদিকে আগত প্রতিবেশীরা একে অন্যের দিকে তাকাচ্ছে। কিছু না ভেবেই রুম ছেড়ে দৌড়ে বেরিয়ে গেলো তারেক।

এরপর থেকে সিনেমা হল দূরে থাক, বাংলা সিনেমা দেখার কথা ভুলেও মাথায় আনে না তারেক। অশ্লীলতায় ভর করে বলতে গেলে এক প্রকার ডুবতে বসলো ঢাকাই সিনেমা।

কালের স্রোতে আস্তে আস্তে এদেশীয় মানসম্পন্ন টেলিভিশন নাটকের উপরে ভর করে একটি শক্ত অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে আমাদের এই ইন্ডাস্ট্রি। নাটকের পাশাপাশি বাংলা সিনেমাতেও এসেছে পরিবর্তন। সাকিব, সিয়াম, শুভ, চঞ্চল আর মোশাররফ করিমদের এই যুগে আমরা বেশকিছু ভালো বাংলা সিনেমাও পেয়েছি। কিন্তু দুনিয়া অতোদিনে এগিয়ে গিয়েছে অনেক দূর।

বর্তমান সময়কে বলা হয়ে থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের বিকাশের যুগ। বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সের উত্থানের সাথে সাথে অ্যামাজন প্রাইম, অ্যাপল টিভি, ডিজনি, হটস্টার, আড্ডাটাইমসসহ অনেকগুলো ওটিটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে উঠেছে আমাদের পার্শবর্তী দেশেও। কিছুদিন আগেও আমরা শুধুই আক্ষেপের সাথে তাদের ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোতে অসাধারণ সব কন্টেন্ট দেখতাম আর আফসোস করতাম যে যদি আমাদের কন্টেন্টের গুন ও মান ওদের মতো হতো।

বাংলাদেশ পা রাখলো ওটিটি প্ল্যাটফর্মের যুগে। দেশীয় কিছু ওটিটি প্ল্যাটফর্ম যাত্রা শুরু করলেও তাদের কন্টেন্টের মান নিয়ে প্রশ্ন ছিলো। তবে ২০২১ সালটা যেন এলো এদেশীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মের মানসম্পন্ন কন্টেন্টের বছর হয়ে। এর আগে আয়নাবাজী নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী পাশের দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্মে বানিয়েছিলেন ঢাকা মেট্রো নামের একটি ওয়েব সিরিজ, সেই সাথে ওই একই প্ল্যাটফর্মের জন্যই তানিম নূর ও কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় বানিয়েছিলেন মানি হানি ওয়েব সিরিজটি। হৈচৈতে গিয়েছিলো বাংলাদেশী নির্মাতা তানিম নূরের নির্মিত একাত্তর নামক ওয়েব সিরিজটি। বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছিলো এন্থোলজি ফিল্ম ইতি তোমারই ঢাকা, যেখানে বাংলাদেশী নির্মাতাদের নির্মাণ মুগ্ধ হয়ে দেখেছে গোটা বিশ্ব।

তবে এবছর সৈয়দ আহমেদ শাওকী নির্মিত তাকদির ওয়েব সিরিজটি দিয়েই বাংলাদেশী নির্মাতাদের ওটিটি প্ল্যাটফর্মে নিজেদের সামর্থ জানান দেবার শক্ত অবস্থান পাই আমরা। এই ওয়েব সিরিজটি রীতিমত আলোড়ন ফেলে দেয় দুই বাংলাতেই। এরপর জি ফাইভে মুক্তি পায় বাংলাদেশের এ সময়ের জনপ্রিয় থ্রিলার লেখক মোহাম্মাদ নাজিম উদ্দিনের বেগ বাস্টার্ড সিরিজের গল্প থেকে কন্ট্রাক্ট ওয়েব সিরিজটি। বাংলাদেশের দর্শকরা আশা দেখতে শুরু করে মানসম্পন্ন কন্টেন্ট দেখার। কারন ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো যেহেতু সরাসরি দর্শকদের সাবস্ক্রিপশনের উপরে নির্ভর করে তাদের রুচি ও চাহিদার উপরে ভিত্তি করে প্ল্যাটফর্মগুলো কন্টেন্ট নির্মান করে থাকে। তাই দর্শকের চাহিদা মাথায় রেখে কন্টেন্ট নির্মান করায় বাংলাদেশী দর্শকেরাও তৈরী হতে শুরু করলো পকেটের টাকা দিয়ে পছন্দের ওটিটি গুলোতে সাবক্রিপশন কিনে কন্টেন্ট দেখার। মাঝে এসেছে দেশীয় প্ল্যাটফর্ম বিঞ্জ এর সাড়া জাগানো ওয়েব সিরিজ আগস্ট ১৪ , সদরঘাটের টাইগার ও বুমেরাং নামের ওয়েব সিরিজগুলো। যদিও এই কন্টেন্টগুলো নিয়ে কিছুটা আলোচনা সমালোচনা হয়েছিলো কিন্তু নির্মানের দিক দিয়ে এই কণ্টেন্টগুলো ছিলো বেশ উন্নত। পাশাপাশি রায়হান রাফির পরিচালনায় ডার্কসাইড অফ ঢাকা ওয়েব সিরিজটির মাধ্যমে রাতের ঢাকায় ঘটে যাওয়া শ্বাসরুদ্ধকর কিছু গল্পের সাক্ষী হয়েছে দর্শকরা।

অবশেষে এলো বাংলাদেশী ওয়েব সিরিজ মহানগর। আশফাক নিপুনের পরিচালনায় এই ওয়েব সিরিজটি মুক্তি পেয়েছে পাশের দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হৈচৈতে। আশফাক নিপুন নির্মিত মহানগর ওয়েব সিরিজটি নিয়ে বুদ হয়েছিলো বাংলাদেশ, ভারত সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী বাংলা কন্টেন্টের দর্শকেরা। প্রশংসায় ভেসেছে নির্মাতা, অভিনেতা থেকে শুরু করে ওটিটি প্ল্যাটফর্মটিও। গল্প, স্ক্রিনপ্লে, সিনেমাটোগ্রাফি থেকে শুরু করে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক সব দিক থেকেই মহানগর ছিলো অসাধারণ।

এরপরে জি ফাইভে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নির্মিত ওয়েব সিরিজ লেডিস অ্যান্ড জেন্টালম্যান মুক্তি পায়। গল্পে অসাধারণ এই সিরিজটি নিয়েও চলছে দর্শকদের নানান রকমের প্রতিক্রিয়া। যদিওবা হাসান মাসুদের চরিত্রটি নিয়ে শেষের দিকে কিছুটা ধোঁয়াশা থেকে গেলেও বাকী সবাই ঠিকঠাক করে গেছেন তাদের উপরে অর্পিত কাজটি।

গত কয়েকদিন আগে অনেক প্রত্যাশা নিয়ে সবার সামনে উন্মুক্ত হয়েছে চরকি নামের দেশীয় একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। এই প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাওয়া মাল্টি স্টারার ওয়েব সিরিজ মরিচিকা নিয়ে শুরুতে দর্শকদের খুব ভালো পরিমানে প্রত্যাশা থাকলেও স্ক্রিনপ্লে এবং বাস্তব ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হলেও বাস্তবের সাথে মিল না থাকায় দর্শক কিছুটা হতাশ হয়েছেন বলা যেতেই পারে। কারন সিরিজটির শেষভাগে আফরান নিশোর এভাবে পালিয়ে যাবার বিষয়টি দৃষ্টিকটু। তবে একই প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাওয়া রবিউল আলম রবি পরিচালিত সিরিজ ঊনলৌকিক নিয়ে বেশ ভালো সাড়া পাওয়া গিয়েছে দর্শকদের কাছ থেকে। এছাড়াও আসন্ন ঈদে মুক্তি পেতে যাওয়া আদনান আল রাজীব পরিচালিত ইউটিউমার ওয়েব ফিল্মটি নিয়ে নির্মাতা ও দর্শকেরা বেশ আশাবাদী। সামনের দিনগুলোতে হয়তো নতুন আরো ওটিটি প্ল্যাটফর্ম সামনে আসবে। নিত্য নতুন কন্টেন্ট নিয়ে আমরা হয়তো গঠনমূলক আলোচনা সমালোচনায় আমাদের দেশীয় কন্টেন্টগুলোকে নিয়ে যাবো অনন্য উচ্চতায়।

দেশী ও বিদেশী ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোতে মুক্তি পাওয়া বাংলাদেশী নির্মাতাদের নির্মিত ওয়েব সিরিজগুলো জানান দিচ্ছে বাংলাদেশী নির্মাতাদের সক্ষমতা। তরুণ ও মেধাবী নির্মাতাদের হাত ধরে আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশী কন্টেন্টগুলো রাজত্ব করবে ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো। সুতরাং আমরা বলতেই পারি বর্তমানের এই ওটিটি যুগের মানসম্পন্ন কন্টেন্ট যুদ্ধে সমানে সমান লড়াই দিতে বাংলাদেশ প্রস্তুত।



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

হানিফ সংকেতের ফেসবুক হ্যাক

প্রকাশ: ১০:৪২ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জনপ্রিয় উপস্থাপক ও নির্মাতা হানিফ সংকেতের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ রোববার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় হ্যাক হয়েছিল। পেজটির দখলে নিয়ে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ছবিও পোস্ট করেন হ্যাকাররা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই হানিফ সংকেতের কারিগরি দল পেজের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

ফেসবুক পেজ ফিরে পাওয়ার পর সন্ধ্যা সাতটার দিকে পেজে দেয়া এক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘কিছুক্ষণ আগে কে বা কারা পেজটি হ্যাক করে সেখানে অত্যন্ত অরুচিকর একটি দৃশ্য সংযোজন করে, যা দ্রুততম সময়ের মধ্যেই আমার টেকনিক্যাল টিম অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে অপসারণ করে।’

এতে আরও বলা হয়, ‘আমাদের এই পোস্ট দেয়ার আগেই অনেকে পেজ হ্যাক হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে আমাদের সতর্ক করেছেন, সে জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।’

হানিফ সংকেত   ফেসবুক  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

লাবণ্যময়ী সেই ভাইরাল হাসি নিয়ে মুখ খুললেন পিয়া

প্রকাশ: ০৩:৩০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি আইনজীবীর পোশাকে পিয়া জান্নাতুল এর একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন একটি বিষয় নিয়ে কথা বলছেন। আর তার ঠিক পেছনে দাঁড়িয়ে সেই কথা শুনে লাবণ্যময়ী হাসি দিচ্ছেন মডেল, অভিনেত্রী ও আইনজীবী পিয়া জান্নাতুল। ব্যস্, এই হাসিতেই ঘায়েল নেটিজেনরা। বিভিন্ন গানের সঙ্গে ভিডিওটি জুড়ে দিয়ে তৈরি হচ্ছে রিলস ও মিম।

রাতারাতি ট্রেন্ডিংয়ে উঠে যাওয়া কিংবা যাকে নিয়ে চারদিকে এত হইচই, এবার পিয়া জান্নাতুলই মুখ খুললেন বিষয়টি নিয়ে। গণমাধ্যমে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, মোটেই আমি স্রোতে গা ভাসিয়ে দিচ্ছি না। কারণ বুঝি, যারা ২ সেকেন্ডে ওপরে ওঠাতে পারে, তারা পরে আবার ১ সেকেন্ডেই নামিয়ে ফেলতে পারে।

পিয়ার ভিডিওটি দেখে তরুণদের একটি বড় অংশ তাকে ‘জাতীয় ক্রাশ’বলে ডাকছেন। কেউ কেউ তো সোশ্যালমিডিয়ায় অবলীলায় লিখেও ফেলছেন, ‘প্রেমে পড়ে গেলাম। আহ্ কী হাসি!’

বিষয়টিকে ‘দোষের’ দেখছে না পিয়া জান্নাতুল। তিনি বলেন, আমি বুঝতে পেরেছি কনটেন্ট বা রিলস যে যেটাই তৈরি করছেন, তাদের বেশিরভাগই তরুণ-যুবক। আর তাদের জীবনে এখনো অনেক কিছু দেখার বাকি আছে।

পিয়া আরও বলেন, আসলে এগুলো এখন ট্রেন্ডের মাধ্যমে যাচ্ছে। আর যখন যে ট্রেন্ড আসে, সবাই সেটাকেই অনুসরণ করে। এটাতে দোষের কিছু দেখছি না।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে ‘মিস বাংলাদেশ’ খেতাব জিতে আলোচনায় আসেন পিয়া জান্নাতুল। এরপর ২০০৮ সাল থেকে র‍্যাম্প মডেলিং দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু। পরবর্তীতে ২০১১ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় আয়োজিত ওয়ার্ল্ড মিস ইউনিভার্সিটি শিরোপা অর্জন করেন। এছাড়া মিশরে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড টপ মডেল প্রতিযোগিতায় শীর্ষ মডেল হওয়ারও সাফল্য অর্জন করেন।


ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন   পিয়া জান্নাতুল  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মুক্তির আগেই আটকে গেল রায়হান রাফির ‘অমীমাংসিত’

প্রকাশ: ১১:১৮ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রথমবার সেন্সর বোর্ডের জালে আটকা পড়ে গেলেন তরুণ নির্মাতা রায়হান রাফি। তার নির্মিত ওয়েব ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’ সিনেমাটির গল্প বাস্তবের সঙ্গে মিল থাকায় আটকে গেছে সেন্সর বোর্ডে। ওয়েব ফিল্মটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ, তানজিকা আমিন, রাশেদ মামুন অপু প্রমুখ। গত ক’বছর ধরে প্রেক্ষাগৃহ আর ওটিটি, দুই মাধ্যমেই সফলতা পেয়েছেন এই নির্মাতা।

গত ২৪ এপ্রিল (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড থেকে চূড়ান্ত রায় জানানো হয়, ছবিটি দর্শকদের সামনে প্রদর্শনযোগ্য নয়। তবে ৩০ দিনের মধ্যে আপিলের সুযোগ রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ‘অমীমাংসিত’ নির্মাতা রায়হান রাফী। নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সিনেমা বাস্তবের সাথে মিলে গেছে তাই এটা মুক্তি দেওয়া যাবে না! সিনেমা হতে হবে অবাস্তব! ওয়েব ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’ সেন্সর বোর্ডে আটকে দেয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। বিষয়টা তাহলে এমন, কোনো সিনেমায় কোনো সাংবাদিক দম্পতি খুন হতে পারবে না? কাল্পনিক কাহিনি উল্লেখ করার পরেও যদি কোনো ঘটনার সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে ব্যাপারটা এমন, ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাই না টাইপ।’

রাফি আরও লেখেন, ‘অমীমাংসিত’ সিনেমায় কোনো কিছুই প্রমাণ করা হয়নি, কেবল বিভিন্ন জনের ধারণা দেখানো হয়েছিল, তারপরও এই সিনেমা আটকে দেওয়াটা সত্যি দুঃখজনক!’

সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘সিনেমায় কোনো খুন দেখানো যাবে না, কোনো ধর্ষণ দেখানো যাবে না, কোনো অপহরণ দেখানো যাবে না, কোনো গুম দেখানো যাবে না। আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে। এখানে কোনো খুন হয় না, কোনো গুম হয় না, কোনো ধর্ষণ হয় না। এভাবেই হাত পা বেঁধে সাঁতার কাটতে হবে আমাদের দেশের সিনেমাকে।’

‘অমীমাংসিত’কে দর্শকের সামনে অপ্রদর্শনযোগ্য বলে রায় দিয়ে যে কারণগুলো দেখানো হয়েছে সেগুলো হলো, ১) চলচ্চিত্রটিতে নৃশংস খুনের দৃশ্য রয়েছে। (২) কাল্পনিক কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপের বিষয়বস্তু বাস্তবতার সাথে মিল রয়েছে। (৩) এ ধরনের কাহিনি বাস্তবে ঘটেছে এবং ঘটনা সংশ্লিষ্ট মামলা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। (৪) চলচ্চিত্রটির কাহিনি/বিষয়বস্তু বিচারাধীন মামলার সাথে মিল থাকায় ভুল বার্তা দিতে পারে এবং তদন্তের বিঘ্ন ঘটাতে পারে।


অমীমাংসিত   রায়হান রাফি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

টিকটক তারকাকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশ: ০৯:৪৩ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইরাকে এক নারী টিকটক তারকাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বাসসের খবর অনুযায়ী স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) মোটরসাইকেলে নিয়ে আসা এক বন্দুকধারী ওই নারীকে গুলি করে হত্যা করেন। ওই নারীর নাম ওম ফাদাহ।

ইরাকের সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি অনেক প্রভাবশালী এবং সুপরিচিত ছিলেন। বাগদাদে তার বাড়ির বাইরে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। দেশটির নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এএফপি’কে এই কথা জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, অজ্ঞাতনামা এক হামলাকারী জায়উনা জেলায় ওম ফাহাদকে তার গাড়িতে গুলি করে। অন্য এক নিরাপত্তা সূত্র জানায়, ওই হামলাকারী খাবার ডেলিভারি দেওয়ার ভান করে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ওম ফাহাদ আঁটসাঁট পোশাক পরে ইরাকি সঙ্গীতে তার নাচের টিকটক ভিডিওগুলোর জন্য পরিচিত হয়েছিলেন।

২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি আদালত ‘শালীনতা এবং জনসাধারণের নৈতিকতাকে ক্ষুন্ন করে এমন অশালীন বক্তৃতা সম্বলিত ভিডিও’ সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য তাকে ছয় মাসের কারাদ- দেয়।

ইরাকের জনসাধারণের ‘নৈতিকতা এবং ঐতিহ্য লঙ্ঘন করে এমন বিষয়বস্তু সম্বলিত কন্টেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য গত বছর দেশটির সরকার অভিযান শুরু করে।

টিকটক, ইউটিউব এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলোতে পোস্টকৃত আক্রমণাত্মক বিভিন্ন ক্লিপ চিহ্নিত করে তা সরিয়ে ফেলার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করে।

কর্তৃপক্ষ জানায়, এরপর থেকে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৮ সালে বন্দুকধারীরা বাগদাদে প্রভাবশালী মডেল তারকা ফারেসকে গুলি করে হত্যা করে।


টিকটক তারকা   হত্যা   ইরাক  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ: চিত্রনায়িকা অপু

প্রকাশ: ০৬:১৭ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর সঙ্গে ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান দাম্পত্য সম্পর্কের ইতি টেনেছেন অনেক আগেই। তবে এখনও মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন মিডিয়ায় শাকিবের সঙ্গে তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন দুই নায়িকাই।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শাকিবের সঙ্গে দাম্পত্য জীবনের অনেক খুঁটিনাটি ফাঁস করেছেন বুবলী। যা নিয়ে বর্তমানে দর্শকমহলে বেশ আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে এবার কথা বলেছেন অপু বিশ্বাস।

সাক্ষাৎকারে বুবলী বলেছিলেন, ‘আইনগতভাবে আমি এখনও শাকিব খানের বৈধ স্ত্রী।’ আবার বলছেন, ‘আমি শাকিবের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম পার করি, আমাদের সন্তান অনেক সময় সে সুযোগটাও করে দেয়।’

সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে বুবলীর সেসব কথার প্রেক্ষিতে কথা বলেছেন অপু বিশ্বাস।

বুবলীর বক্তব্য প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে হেসে দেন অপু। হাসতে হাসতে তিনি বলেন, ‘শাকিবকে নিয়ে তার এত এত মন্তব্যে আমি ভাষা হারাচ্ছি, আবেগাপ্লুত হচ্ছি। আমি কী বলব, বুঝতে পারছি না।’

অপু বলেন, ‘আমি একজন নারী হিসেবে বলব, উনি যথার্থ সম্মানীয় মানুষ। প্রতিটি মানুষের তার নিজের কাছে সম্মানের জায়গা খোঁজেন। তিনিও এতটা সময় ধরে তার ক্যারিয়ারের ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তবে আমার মনে হয় নিজের প্রচারের স্বার্থে অন্যকে ব্যবহার করে নিজের ব্যক্তিত্ব বিলিয়ে দেওয়াটা বুদ্ধিমানের লক্ষণ নয়। আর যদি এটাই সে মনে করে, তাহলে তার উপযুক্ত চিকিৎসার দরকার।’

অপু আরো বলেন, ‘শাকিবকে নিয়ে তার এত এত মন্তব্যে আমি ভাষা হারাচ্ছি, আবেগে আপ্লুত হচ্ছি। আমি কী বলব, বুঝতে পারছি না। এই যে উনি শাকিবের একের পর এক হাঁড়ির খবর দিচ্ছেন, কিন্তু আমি কোনো হাঁড়ি খুঁজে পাচ্ছি না। কিন্তু মজার মজার খবর পাচ্ছি তার মুখ থেকে। এ ব্যাপারে আর কি-ই বা বলব। ওনার মনে হয় ডাক্তার দেখানো উচিত।’

বুবলীকে ইঙ্গিত করে নাম প্রকাশ না করে অপু আরও বলেন, ‘এখন আমরা একটা জায়গায় চলে এসেছি। আমাদের কথাবার্তা যেন যথাযথ হয়, খেয়াল রাখতে হবে। এখন এসব কথা হাস্যকর মনে হয়। অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ। আমি মনে করি উনাকে সুস্থ থাকা দরকার।’


অপু বিশ্বাস   শবনম বুবলী   ঢালিউড   সুপারস্টার শাকিব খান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন