কোর্ট ইনসাইড

২০০৬ সালের পুণরাবৃত্তি ঘটাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত!


Thumbnail

দেশের সর্বোচ্চ আদালতে নজিরবিহীন তাণ্ডব চালিয়েছে বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা। সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত দুই দিনে নির্বাচনকে বানচাল করার লক্ষ্যে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে নাশকতামূলক ভাঙচুর ও সন্ত্রাস চালিয়েছে তারা। ২০০৬ সালেও দেশের সর্বোচ্চ আদালতে ভাঙচুর-সন্ত্রাসের মতো তাণ্ডব চালিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত। জোট সরকারের আমলে রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ড. ইয়াজ উদ্দিন আহম্মেদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদ গ্রহণ ও কার্যক্রম পরিচালনাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে তিনটি রিট করা হয়েছিল, এসব রিটের রায়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত দেশের সর্বোচ্চ আদালতে ভাঙচুর এবং সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটিয়েছিল বলে জানিয়েছে একাধিক সংশ্লিষ্ট সূত্র।  

সূত্রগুলো বলছে, সে সময়ে অন্যান্য উপদেষ্টাদের সাথে কোনো ধরনের পরামর্শ না করেই সব সিদ্ধান্ত একাই নিচ্ছিলেন অধ্যাপক ইয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ। বিএনপি - জামায়াতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ইয়াজ উদ্দিন আহমেদ কিভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদ গ্রহণ করে? - এ বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ করে সে সময়ে সুপ্রীম কোর্টে রিট করা হয়েছিল। এছাড়া ইয়াজ উদ্দিন আহম্মেদের তত্ত্ববধায়ক সরকারের প্রধান হওয়া এবং কিভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করেন? - এ বিষয়গুলোকে চ্যালেঞ্জ করে আরও দুইটি রিট করা হয়। 

সূত্র জানায়, এসব রিটের রায় হওয়ার কথা ছিল ২০০৬ সালের ৩০ নভেম্বর। যখন রিটের রায় হওয়ার সময় হলো, তখন বিএনপির মনোনীত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যিনি প্রধান ছিলেন, তিনি আদালত থেকে সব নথি তুলে নিয়ে আসেন তার কাছে এবং এ রায় ঘোষণা বন্ধ করে দেন। এই নজিরবিহীন ঘটনায় আইনজীবীরা তখন প্রতিবাদ জানাতে গেলে বিএনপি-জামায়াত সম্মিলিতভাবে ওইসব আইনজীবীদের ওপর আক্রমণ করে। সে সময় ২০০৬ সালের ৩০ নভেম্বর সুপ্রীম কোর্টে ভাঙচুর, হুলুস্থুল এবং আগুন লাগিয়ে দেয় বিএনপি-জামায়াতপন্থীরা। এসব ঘটনা ঘটিয়ে রিটকারী আইনজীবীদের কাঁধে দোষ চাপানো হয়।    

এদিকে গত মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাতে বিএনপি এবং জামায়াত পন্থীদের ভাঙচুর-সন্ত্রাসের ঘটনা এবং গতকাল বুধবার (১৫ মার্চ) নির্বাচন বানচালের জন্য ভাঙচুর ও সন্ত্রাসের ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বাদী হয়েছেন সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন সাব-কমিটির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. মুনিরুজ্জামান। এই মামলায় (মামলা নং ৩০/১১৫, তারিখ: ১৫ মার্চ) বিএনপিপন্থী আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন, রহুল কুদ্দুস কাজল, কামরুল হাসান সজলসহ ১২ জনকে আসামী করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে সূত্রগুলো বলছে, ২০০৬ সালে এসব ঘটনা ঘটিয়ে দেশে ১/১১ আনার একটা প্রেক্ষাপট তৈরি করা হয়েছিল। এখন বিএনপি আবার যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির কথা বলছে, আন্দোলন করছে, সুপ্রীম কোর্টে আবার ভাঙচুর করেছে, সে কারণেই আবার ১/১১ সৃষ্টি করতেই একই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করছে বিএনপি-জামায়াত। কেননা গত দুই দিনে সুপ্রীম কোর্টে যে ঘটনা ঘটানো হয়েছে, তা ছিল পূর্ব পরিকল্পিত এবং এক ধরনের নাশকতামূলক। দেশে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্যই এ ধরনের পূর্ব পরিকল্পিত ঘটনা ঘটানো হয়েছে।      

জানা গেছে, জোট সরকারের আমলে রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ড. ইয়াজ উদ্দিন আহম্মেদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদ গ্রহণ ও কার্যক্রম পরিচালনা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্ট দায়ের করা তিনটি রিট আবেদনের শুনানির কার্যক্রম হাইকোর্ট থেকে রুল জারি করার পূর্ব মুহূর্তে প্রধান বিচারপতি স্থগিত করে দেন। ২০০৬ সালের ৩০ নভেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ জেআর মোদাচ্ছের হোসেন একটি রিট স্থগিত করেন। এ ঘটনায় আইনজীবীরা প্রতিবাদ জানালে বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা ওই আইনজীবীদের ওপর চড়াও হয় এবং আক্রমণ করে। এ সময় তারা আদালতে ভাঙচুর এবং অগ্নি সংযোগ ঘটায়। এ সময় তারা সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগ, প্রধান বিচারপতির কক্ষ, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ও ভাংচুর করে। 

এছাড়াও, একদল আইনজীবী প্রধান বিচারপতিকে না পেয়ে তার চেম্বারে অতর্কিতে ঢুকে পড়েন এবং দরজা-জানালার কাঁচ ভাংচুর করেন। সে সময়ে আইনজীবী নেতৃবৃন্দ তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এরপরে আইনজীবীরা আপিল বিভাগের এক নম্বর এজলাসকক্ষে (প্রধান বিচারপতির কোর্ট) ঢুকে চেয়ার ভাংচুর করে। প্রধান বিচারপতির এজলাসের আসবাবপত্র, চেয়ার-টেবিল, ফাইলপত্র ও ফ্যান ভেঙে তছনছ করে। পরে বিক্ষুব্ধ আইনজীবীরা অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের দরজা ভাংচুর করে। ওই দিন এক পর্যায়ে বিএনপি-জামায়াতপন্থী এবং তাদের বিপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। উভয় পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এসব বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি-জামায়াত দীর্ঘ দিন ধরেই সরকারকে বিতর্কিত করা এবং দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতেই বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করে চলেছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতে যে ঘটনা ঘটানো হয়েছে, তা নিঃসন্দেহে পূর্ব পরিকল্পিত একটি ঘটনা। এর আগেও বিএনপি জামায়াত পঞ্চগড়ের আহমদিয়া (কাদিয়ানি) সম্প্রদায়ের ওপরও হামলা চালিয়েছিল। এটাও ছিল পূর্ব পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের একটা অংশ। এর আগেও বিএনপি- জামায়াত দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে দেশের বিভিন্ন  স্থানে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। গত দুই দিনে সুপ্রীম কোর্টে যে ঘটনাগুলো ঘটানো হয়েছে, তা-ও একই ষড়যন্ত্রের অংশ। এখন দেখার বিষয় হলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে নির্বাচনকে বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্র করে, দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে বিএনপি-জামায়ত কি ফল পায়?


সর্বোচ্চ আদালাত   ভাঙচুর   সন্ত্রাস   ২০০৬ সাল   পুণরাবৃত্তি   বিএনপি   জামায়াত   সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতি   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

শপথ নিয়েছেন আপিল বিভাগের ৩ বিচারপতি

প্রকাশ: ১১:০৪ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিয়োগ পাওয়া বিচারপতিদের শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিয়োগ পাওয়া তিন বিচারপতি শপথ নিয়েছেন। শপথ নেওয়া বিচারপতিরা হলেন- বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজ, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী।

আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেজ লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান তাদের শপথবাক্য পাঠ করান। এসময় আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এই তিনজন বিচারপতিকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগ করেছেন। এই নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।


শপথ   আপিল বিভাগ   বিচারপতি   সুপ্রিম কোর্ট  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

আপিল বিভাগে তিন বিচারপতি নিয়োগ

প্রকাশ: ০৫:২৯ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে তিনজন বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। তারা হলেন, বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজ, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাদের নিয়োগ দিয়ে বুধবার (২৪ এপ্রিল) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়।

নতুন নিয়োগ পাওয়া এই তিন বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে মোট বিচারপতির সংখ্যা হলো আটজন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এই তিনজন বিচারপতিকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগ করেছেন। এই নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।

এদিকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এই তিন বিচারপতিকে শপথ পড়াবেন প্রধান বিচারপতি মো. ওবায়দুল হাসান। আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, আজ বুধবার তাদের শপথ হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার তাদের শপথ অনুষ্ঠিত হবে।

আপিল বিভাগ   বিচারপতি   সুপ্রিম কোর্ট   রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

রোহিঙ্গা ভোটারদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

প্রকাশ: ১২:৪০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচন কমিশনের চুক্তিবদ্ধ ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের সহযোগিতায় এনআইডি কার্ড বানিয়ে নিচ্ছে রোহিঙ্গারা। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তাদের এনআইডি কার্ড তৈরি করে দেওয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ হচ্ছে একটি চক্র। এমতবস্থায় কক্সবাজার জেলায় কত রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে তার তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আগামী ৬ জুনের মধ্যে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, নির্বাচন কমিশনসহ তিনজনকে এ তালিকা আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে কক্সবাজারের ঈদগাহ ইউনিয়নের ৩৮ রোহিঙ্গাকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে গতকাল ২৩ এপ্রিল স্থানীয় ভোটার মো. হামিদুর রহমানের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া একটি রিট দায়ের করেন। রিটে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা কতজন রোহিঙ্গা কক্সবাজারে নাগরিকত্ব পেয়ে ভোটার হয়েছেন তা খুঁজে বের করতে উচ্চপর্যায়ের অনুসন্ধান কমিটি করতে সরকারের সংশ্লিষ্টাদের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়।

রিটকারী আইনজীবী বলেন, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়েছেন ৪০ রোহিঙ্গা। তাদের তালিকা যুক্ত করে রিট আবেদন করা হয়েছে। এরআগে একই ইউনিয়নে কয়েকশ (সাড়ে তিনশ) রোহিঙ্গা নাগরিক হয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে।


হাইকোর্ট   রোহিঙ্গা ভোটার  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

বিএনপির শীর্ষ ৭ আইনজীবীর আদালত অবমাননার আদেশ পেছাল

প্রকাশ: ১১:৩১ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করার ঘটনায় বিএনপির সাত শীর্ষ আইনজীবী নেতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনের আদেশ পিছিয়ে আগামী ১২ জুন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিএনপির আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।

আদালত অবমাননার আসামি সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, ফাহিমা নাসরিন মুন্নী চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে থাকায় আপিল বিভাগ আদেশের দিন পিছিয়ে দেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) আদেশের জন্য বুধবার (২৪ এপ্রিল) দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।

গত ১৫ জানুয়ারি আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করার ঘটনায় তলবে আপিল বিভাগে হাজির হয়েছিলেন বিএনপির সাত শীর্ষ আইনজীবী নেতা।

এই ৭ শীর্ষ আইনজীবী নেতা হলেন…

১। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

২। জাতীয়তবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী।

৩। বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নি।

৪। জাতীয়তবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া।

৫। সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

৬। সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান।

৭। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল।

সেদিন তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনের শুনানির জন্য আজকের নির্ধারণ করা হয়। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন।

গত ১৫ নভেম্বর আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করায় তার ব্যাখ্যা দিতে বিএনপির সাত শীর্ষ আইনজীবী নেতাকে তলব করেন আপিল বিভাগ। ১৫ জানুয়ারি তাদের আদালতে হাজির হতে বলা হয়। একইসঙ্গে তাদেরকে সুপ্রিম কোর্টসহ সব আদালত অঙ্গনে কোনো ধরনের মিছিল সমাবেশ না করার বিষয়ে হাইকোর্টের রায় কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়।

সেদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। ২০০৫ সালে বিচারপতি আব্দুল মতিন ও বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের মিছিল সমাবেশ না করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই রায় কঠোরভাবে আপিল বিভাগ আইনজীবীদের মেনে চলতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথি।

গত ৩০ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণসহ দেশের সব আদালতে কোনো ধরনের মিছিল-সমাবেশ না করার বিষয়ে হাইকোর্টের রায় কঠোরভাবে অনুসরণের জন্য আইনজীবীদের নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে জাতীয়তবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলীসহ বিএনপির সাত আইনজীবী নেতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনের শুনানির জন্য ১৯ অক্টোবর দিন ঠিক করেন আদালত।

গত ২৯ আগস্ট আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করায় বিএনপির সাত আইনজীবী নেতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন দায়ের করা হয়। আইনজীবী নাজমুল হুদার পক্ষে অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি এ আবেদন দায়ের করেন।

১৫ আগস্টের শোক দিবসের আলোচনা সভায় ‘বিচারপতিরা শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’ উল্লেখ করে বক্তব্য দেওয়ায় আপিল বিভাগের দুইজন বিচারপতির বিরুদ্ধে একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করে আসছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। এছাড়া ওই দুজন বিচারপতিকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখতে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়ে। 

শোক দিবসের আলোচনা সভায় ‘বিচারপতি শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’ উল্লেখ করে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, ‘এ সংবিধান হলো আমাদের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক দলিল। বঙ্গবন্ধুর যে রাষ্ট্র-দর্শন, রাজনৈতিক দর্শন, সামাজিক দর্শন-সব দর্শনের প্রতিফলন ঘটেছে এই সংবিধানে।’

অনুষ্ঠানে বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী বলেন, ‌সারা বিশ্বে নির্বাচন হয় কেউ তাকিয়েও দেখে না, নির্বাচন ঘিরে সব নজর বাংলাদেশের দিকে কেন?


বিএনপি   আইনজীবী   আদালত  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

নিজের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করেছেন বেনজির আহমেদ

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

হাইকোর্টে রিট লড়তে নিজের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করেছেন সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদ। 

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক ও সিনিয়র আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হককে রিট শুনানির সময় বসে থাকতে দেখা যায়। যদিও বেনজিরের সম্পদ অনুসন্ধানের রিট শুনানির জন্য দুপুর আড়াইটায় সময় নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট।

এর আগে সোমবার (২২ এপ্রিল) সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের সম্পদ অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালা উদ্দিন রিগ্যান। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে এর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি প্রকাশিত এক জাতীয় দৈনিকের দাবি, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের সাবেক এই আইজিপি।

বেনজির আহমেদ   সাবেক আইজিপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন