কালার ইনসাইড

‘ইসলামের বিপক্ষের সিনেমা নয়’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:৫০ পিএম, ১৪ নভেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

খিজির হায়াত খান, অভিনয়ে নাম লিখিয়েছিলেন নিজের পরিচালনায় ‘অস্তিত্বে আমার দেশ’ সিনেমার মাধ্যমে। পরবর্তীতে দেশের প্রথম ও এখন পর্যন্ত একমাত্র খেলাধুলা বিষয়ক সিনেমা ‘জাগো’ পরিচালনা করে আলোচনায় আসেন। নায়ক হয়ে মাতাতে ‘মিস্টার বাংলাদেশ’ সিনেমায় আসছেন। তিনি মুখেমুখি হয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের। 

বাংলা ইনসাইডার: পরিচালনা থেকে অভিনয় কিভাবে?

খিজির হায়াত খান: সিচুয়েশন বাধ্য করেছে। একজন আর্টিস্ট শেষ মুহূর্তে আসেনি। তাছাড়া এটার টপিকটাই এত সেন্সেটিভ। যেই পূর্ব প্রস্তুতি দরকার ছিল। শুটিংয়ে যেভাবে সময় দেয়ার দরকার ছিল। যেই লোকেশনে শুট করবো। যেভাবে শুট করবো। এটার জন্য আসলে প্রতিষ্ঠিত কারো কাছে সময়টা এক্সপেক্ট করাটা বা কারো সময় পাওয়াটা বা তাকে আসলে ওই পরিমানের পারিশ্রমিক দেওয়াটা সম্ভব হচ্ছিল না। খুবই রিস্কি একটি প্রজেক্ট। এই রিস্কটা আমি আসলে আমাদের যারা প্রতিষ্ঠিত, তাদের পাইনি। এরপরে যেটা, আরেকটা অপশন ছিল নতুন কাউকে নেয়া। নতুন কাউকে দিয়ে এতবড় রিস্ক আমি নিতে চাইনি। সে কারণে নিজে ক্যামেরার সামনে চলে আসছি।

প্রস্তুতি কেমন ছিল?

প্রায় ৮ মাস ধরে প্রস্তুতি নিয়েছি। ৮ মাস প্রস্তুতি নেয়ার পর গত বছরের নভেম্বরের ১০ তারিখ শুটিং শুরু হয়। এই নভেম্বরে মুক্তি। অ্যাকশনের জন্য ট্রেনার ছিলেন, এডওয়ার্ড ফ্রান্সিস গোমস। তিনি ট্রেনড করেছেন। এছাড়া সিনেমাটির সুইমিংটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সমুদ্রের মধ্যে ফাইট সিকোয়েন্স ছিল। অ্যাকটিংয়ের জন্য আলাদা করে প্রশিক্ষন নিয়েছি। ভাগ্যিস নাচ ছিল না। সেক্ষেত্রে বেচে গিয়েছি। আর এই ক্যারেক্টারটায় আমি অ্যাক্টিং করার চেষ্টা করিনি। যে ক্যারেক্টারটা প্লে করেছি। ওটা যদি আমি হতাম। আর ওখানে যদি আমার সঙ্গে এমন ঘটনাগুলো ঘটতো। তাহলে আমি যা করতাম। আমি ওটাই করার চেষ্টা করেছি। এখন আসলে ওটা কতটুকু অভিনয় হয়েছে আর কতটুকু রিয়েলিস্টিক হয়েছে। দর্শকই তার বিচার করবে।



নিজের চোখে সিনেমার সেরা দৃশ্য কী?

দুটি দৃশ্যকে আমি একটু বেশি এগিয়ে রাখবেন। একটা ফিজিক্যালি খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল। সমুদ্রের মধ্যে একটি ফাইট সিকোয়েন্স। যেখানে আমাকে ভেসে থাকতে হয়। আমার মনে আছে, জানুয়ারী মাসের ঠান্ডার মধ্যে ৮ ঘন্টা পানিতে ভেসে থাকতে হয়েছে। বঙ্গোপসাগরের মাঝখানে ফাইট সিকোয়েন্স আমার জন্য খুবই একটা টাফ সিকোয়েন্স ছিল। আর সবচেয়ে ইমোশনাল ছিল যখন আমার ফ্যামিলিটাকে আমি হারাই। মর্গের ভিতরে দৃশ্যটা আমরা করেছিলাম। ওই দৃশ্যটা ইমোশনালি খুবই খুবই টাফ ছিল। এই দুইটা দৃশ্য আমার জন্য বলবো খুবই কঠিন ছিল। একটি ফিজিক্যালি। আরেকটি ইমোশনাল।

কোন প্রতিবন্ধকতায় পড়তে হয়েছে?

এ ধরনের একটি সিনেমা করার জন্য টাকা যোগাড় করা ছিল সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। কারণ এ ধরনের সিনেমার জন্য টাকা যোগাড় করা খুবই কষ্টসাধ্য ছিল। আর হ্যা, আমার এবং আমার ইউনিটের কিছু সদস্যদের উপর তো জীবনের হুমকি আছেই। ওইটা স্পেসেফিক আর বললাম না। এটা একটা যুদ্ধের মতো। যুদ্ধের ময়দানে আছি। হুমকি তো আসবেই। সেটা মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত। তবে কেউ ছবিটা সম্পর্কে না জেনে না বুঝে এ নিয়ে মন্তব্য না করলে খুশি হবো। গল্পটা নিয়ে মানুষের মধ্যে বাইর থেকে নানা ধারণা হতে পারে। আমি বলবো আগে সিনেমাটি দেখুন। তারপর বিচার- বিশ্লেষন করেন। আমরা ভাবছিলাম হয়তো সিনেমা রিলিজের পর হুমকি আসবে, কিন্তু সিনেমা রিলিজের আগেই আমাদের ইউনিটের অনেকের জন্য নানা হুমকি আসছে!

ধর্ম ও জঙ্গিবাধ উঠে এসেছে সিনেমায়?

হ্যা। আমাদের মূল থিটাই এটা। সিনেমাটি ইসলামের বিপক্ষে নয়, এটা জোর দিয়ে বলছি। ইসলামের সপক্ষের একটি ছবি। আমরা দেখাতে চেয়েছি কিভাবে ইসলামকে অপব্যাখ্যা করে লক্ষ্যভ্রষ্ট তরুণদের যে অন্ধকারে ফেলে দেয়া হয়।



এমন গল্প কেন বেছে নেয়া?

গল্পটি খুবই একটি ব্যাক্তিগত জায়গা থেকে বেেেছ নেয়া। আমার খুব কাছের বন্ধুকে হলি আর্টিজনে হারাই। আমার আরও কিছু বন্ধু , ছোট ভাই তারা জঙ্গিবাদের দিকে চলে গেছে। যখন এমন একটা ইস্যুতে আপন মানুষগুলোকে হারাতে শুরু করবেন। তখন তো আপনারও কিছু করতে ইচ্ছে করবে। তো আমি একজন ফিল্ম মেকার। আমি কি করতে পারি! আমি ফিল্মই বানাতে পারবো। আমি তো অস্ত্র নিয়ে প্রতিহত করতে পারবো না। ফিল্মটাই আমার কাছে অস্ত্র। তাই এই এমন একটি সিনেমা করা।

পরিচালক আবু আকতারুল ইমান। প্রথম ছবি। তাঁর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কী?

‘মাটির ময়না’তে তিনি তারেক মাসুদের প্রধান সহকারী ছিলেন। এছাড়াও সোহানুর রহমান সোহান, এজে মিন্টু, শাহ আলম কিরণের মতো বড় বড় পরিচালকের সঙ্গে প্রধান সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ সিনেমারও সহকারী ছিলেন। একটা অভিমানে উনি এতদিন সিনেমা বানাননি। ডকুমেন্টরি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। দেড়শোর বেশি আন্তর্জাতিক ক্লাইন্টের জন্য ডকুমেন্টরি নির্মাণ করেছেন। ৫২ বছর বয়সে তাকে পরিচালনায় আনলাম। ওনার সঙ্গে প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে কাজ করেছি। আমার প্রডাকশন হাউজের ডকুমেন্টরিগুলো উনি দেখেন। তার সঙ্গে আমার অনেকদিনের রিলেশন। আমার কাছে মনে হয়েছে একজন মানুষ যিনি সারা জীবন কমার্শিয়াল মুভির মধ্যে ছিলেন। কিন্তু সিনেমাটি বানাননি। এটা আসলে আমাদের একটা হতাশার জায়গা। ওনাকে আমি বলেছি আপনি একটি কমার্শিয়াল স্ট্রাকচারে সিনেমাটি বানাবেন। যেখানে ফাইট থাকবে, গান থাকবে কিন্তু দিনশেষে এই সেন্সেটিভ ম্যাসেজটা দিবেন। আমার কাছে মনে হয়েছে উনি সেটা শতভাগ দক্ষতার সঙ্গে ওনার কাজটি করতে পেরেছেন।

নায়িকা লাক্স সুন্দরী সানু কেমন করেছেন?

খবুই হার্ডওয়ার্কিং একজন অভিনেত্রী। সে আপ্রান চেষ্টা করেছে তার চরিত্রটা ফুটিয়ে তোলার জন্য। সে আমাকে প্রচুর হেল্প করেছে। সে তো প্রতিদিন ক্যামেরার সামনে দাড়ায়নি। আমি দাড়িয়েছি। কিন্তু তিনি ক্যামেরার সামনে না দাড়ালেও হেল্প করেছেন। আমাদের গল্পের যে চরিত্রটা, তার জন্য শানুর মতোই একজন অভিজ্ঞ অ্যাকট্রেস দরকার ছিল। রোমান্টিক সিনে তো আমার হাত পা কাপছিল। কিসের সিনও ছিল। ও যথেষ্ট হেল্প করেছে। আমার জন্য সমুদ্রের মাঝে ফাইট করা যতটা না কঠিন ছিল, তারচেয়ে বেশি কঠিন ছিল রোমান্টিক সিন বা গানের দৃশ্যে অভিনয়। চলন্ত বাইকে চুমুর সিন ছিল। চলন্ত বাইকে চুমুর সিন করা যে কত ডিফিকাল্ট। সেটা আমি বুঝলাম। পর্দায় হয়তো অনেকের সহজ লাগবে। সহজ কিছু হয়েছে বলে ধরে নিবে। আরেকটা দৃশ্য ছিল ওকে কোলে তুলে লেকের মত একটা জায়গা ক্রস করবো। ও পায়ে ব্যাথা পায়। ১২/১৩ বার টেক হয়েছে দৃশ্যটি।

পরিশেষে, সিনেমাটি নিয়ে কী বলতে চান?

আমরা একটা দায়িত্বের জায়গা থেকে। অত্যান্ত ঝুকি এবং সেন্সেটিভ একটা জায়গা থেকে এই সিনেমাটি বানিয়েছি। সাদাকে সাদা বলেছি, যেটা কালো সেটা দেখিয়েছি। মানুষ বুঝে নিবে। আমাদের দেশের তরুণদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জঙ্গিবাদের দিকে। দর্শকের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে। তারাও যেন ছবিটা দেখে এবং ছবিটা ছড়িয়ে দেয়। আমরা যদি একটা ছেলে বা মেয়েকেও এই সিনেমার মাধ্যমে বাঁচাতে পারি। তাহলেই বুঝবো যে আমাদের ছবি সফল।



বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ

 



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

তামান্না ভাটিয়াকে ভারতীয় সাইবার সেলে তলব

প্রকাশ: ০৪:০৪ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির আলোচিত অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া এখন বলিউডেরও পরিচিত মুখ। বেশ দাপুটের সঙ্গে কাজ করছেন তিনি। ক্যারিয়ারে দুর্দান্ত সময় পার করছেন। কিন্তু এরই মধ্যে বিপাকে পড়লেন এ তারকা। তাকে তলব করেছে ভারতের মহারাষ্ট্র সাইবার সেল।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সাইবার সেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মহাদেব অনলাইন গেমিং এবং বেটিং অ্যাপ্লিকেশনের একটি সহায়ক অ্যাপে আইপিএল ম্যাচ দেখার জন্য কথিত প্রচারের জন্য তলব করা হয়েছে তামান্নাকে।

দক্ষিণী এই নায়িকাকে আগামী ২৯ এপ্রিল মহারাষ্ট্র সাইবার সেলে হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সেখাতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। 

এর আগে, গত বছরও কিছু আইপিএল ম্যাচ অ্যাপে অবৈধভাবে স্ট্রিম করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে একটি অভিযোগও রয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেই মামলায় সাক্ষী হিসেবে তার বক্তব্য রেকর্ড করার জন্য ডাকা হয়েছে।

ইতোমধ্যে এ মামলায় মহারাষ্ট্র সাইবার সেল গায়ক বাদশা, অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত ও জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের ম্যানেজারদের বক্তব্য নিয়েছে। আর মহাদেব অ্যাপটি অবৈথ অর্থ লেনদেন এবং বাজি ধরার জন্য বিভিন্ন তদন্ত সংস্থার মনিটরিংয়ে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, তামান্না ভাটিয়া ‘বাহুবলী’ এবং নেটফ্লিক্স অ্যান্থলজি ‘লাস্ট স্টোরিজ-২’ এর জন্য দর্শকমহলে বহুল পরিচিত।


তামান্না ভাটিয়া   ভারতীয় সাইবার সেল   বলিউড  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বাংলাদেশের 'নীল জোছনা' সিনেমায় পাওলি দাম

প্রকাশ: ১০:২২ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের সরকারি অনুদানের 'নীল জোছনা' সিনেমায় অভিনয় করবেন ভারতের অভিনেত্রী পাওলি দাম। 

মোশতাক আহমেদের প্যারাসাইকোলজি বিষয়ক উপন্যাস 'নীল জোছনার জীবন' অবলম্বনে নির্মিত হবে সিনেমাটি।

সিনেমার প্রধান নারী চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেত্রী পাওলি দামকে। তার বিপরীতে কে থাকছেন সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। 

গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) পাওলির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করেন নির্মাতা ফাখরুল আরেফীন খান।

তিনি বলেন, 'প্রায় ৬ বছর আগে 'নীল জোছনা' সিনেমার কাজ শুরু করেছিলাম। এরপর ২০১৯ সালে করোনা এবং আমার আরেকটি সিনেমার কারণে কাজটি বন্ধ ছিল।

এরপর আবার গত বছরের শুরু থেকে কাজ শুরু করি। সিনেমার দৃশ্যধারণ শুরু হবে মে মাসের শেষ দিকে।' 


পাওলি দাম   নীল জোছনা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসির সামনে মানববন্ধন

প্রকাশ: ১০:২৪ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরীর নেতৃত্বে গণমাধ্যমকর্মীদের উপর নারকীয় হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিকরা।

গতকাল বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বিএফডিসি'র টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (টিসিএ) উদ্যোগে বিএফডিসি'র সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন বক্তৃতা রাখেন বিএফইউজে'র সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজের নব-নির্বাচিত অন্যতম সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু, সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রব, বাচসাস'র সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা নানাক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করে তাদের আমরা মননশীল করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন নারকীয় এই হামলার নেতৃত্ব দেওয়া জয় চৌধুরী শিবা শানু, ও আলেকজান্ডার বো'সহ জড়িত সবাইকে শিল্পী সমিতি থেকে সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানান মানববন্ধন থেকে বক্তারা।

মানববন্ধনে আরও অংশ নেয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত বিনোদন বিটের সাংবাদিকরা।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিকালে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো'র নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪ জন। এ ঘটনার প্রতিবাদে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিনোদন সাংবাদিকসহ নানা বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা।

এদিকে, ঘটনার তদন্তের জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচজন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান। দশ জনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল, রত্না।


সাংবাদিকদের ওপর হামলা   এফডিসি   মানববন্ধন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

এবার বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন জয়া

প্রকাশ: ০৯:৪৯ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ইতোমধ্যে ঢালিউড-টালিউড মাতিয়ে অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন বলিউডেও। পর্দায় ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তোলেন এই নায়িকা। সাবলীল অঙ্গভঙ্গি আর অভিনয় দক্ষতায় বরাবরই দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যান তিনি।

কাজের পাশাপাশি এই অভিনেত্রীর ঘরের খবর পেতেও মুখিয়ে থাকেন দর্শক। কবে বিয়ে করছেন, কেন একা থাকেন এসব জানার খুব শখ তাদের। বরাবরই তিনি মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। তবে এবার সবকিছু নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে জয়া কথা বলেছেন বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে।

বিয়ে নিয়ে জয়া বলেন, বর্তমান জীবন খুবই এনজয় করছি। দেখুন, পরিবার তো শুধু স্বামী-স্ত্রীকেই ঘিরে নয়, অথবা পার্টনার হলেই হয় না, পরিবারে আরও অনেকেই আছে। পরিবারে মা-বাবা আছেন, আমার বাড়িতে যেসব লোক কাজ করেন, তারা আছেন। আমি খুবই এনজয় করি।

একাকী জীবনযাপন নিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, আমি তো কোনোকিছু পরিকল্পনা করি না। যদি মনে করি যে সিঙ্গেল থেকে ডাবল হতে চাই, দরকার আছে, তখনই হবো। তবে এই মুহূর্তে আমার কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ, আমি খুবই ভালো আছি, শান্তিতে আছি চারদিকে। আমার আপাতত কোনো প্ল্যান নেই।

এদিকে প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজে কাজ করতে যাচ্ছেন জয়া। এটি নির্মাণ করবেন মহানগর খ্যাত নির্মাতা আশফাক নিপুণ।


জয়া আহসান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

কবে আসছে ‘অ্যানিমাল-২, জানালেন সিনেমাটির নির্মাতা

প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বহুল আলোচিত সিনেমা 'অ্যানিমাল' দেখেনি এখন খুব কম মানুষ আছে। সেই ছবিতে রণবীর কাপুরের অভিনয় মুগ্ধ করেছে সকলকেই। এই ছবির শেষেই পরিচালক দেখিয়েছিলেন যে এই সিনেমার সিক্যুয়েল আসছে। অনেকেই মুখিয়ে আছেন এই সিক্যুয়েলের জন্য, যার নাম 'অ্যানিমাল পার্ক'।

সম্প্রতি সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা জানিয়েছেন কবে আসছে সেই ছবি। সাম্প্রতিক অ্যাওয়ার্ড শোতে সিনেমাটির পরিচালক শেয়ার করেছেন, ২০২৬ সালে রণবীর কাপুর-অভিনীত 'অ্যানিমাল'-এর সিক্যুয়েলের কাজ শুরু হয়েছে। তিনি সন্দীপ রেড্ডি সিনেমাটিক ইউনিভার্সের সম্ভাবনার কথাও বলেছেন।

পুরস্কার গ্রহণ করার সময় হোস্টরা তাকে রণবীর কাপুর-অভিনীত 'অ্যানিমাল' সিক্যুয়েল 'অ্যানিমাল পার্ক' সম্পর্কে কিছু বিশদ প্রকাশ করতে বলায় তখনই তিনি জানান, ছবিটি ২০২৬ সালে ফ্লোরে যাবে।

তিনি আরও যোগ করেছেন, 'অ্যানিমাল পার্ক' আসলে 'অ্যানিমাল'-এর চেয়ে বড় এবং আরও বন্য একটি সিনেমা হবে। যদিও এমন দাবি তিনি আগেও করেছিলেন।


অ্যানিমাল   রণবির কাপুর   বলিউড   সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন