কালার ইনসাইড

‘একটা লম্বা বিরতিতে যাবো’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩:৩৭ পিএম, ২৩ অগাস্ট, ২০১৯


Thumbnail

ঈদ অনুষ্ঠানমালায় নাট্য নির্মাতা হিসেবে সবচেয়ে বেশি কাজ করেছেন। তার মধ্যে বেশকিছু কাজ আলোচিত হয়েছে। সময়ের জনপ্রিয় নাট্য নির্মাতা মাবরুর রশীদ বান্নাহ কথা বললেন ঈদের নাটক ও সামনের দিনের পরিকল্পনা নিয়ে।

অভিনয়শিল্পীরাও যেমন অনেক কাজ করলে সমালোচনায় পড়েন, এবার ঈদে আপনারও বেশকিছু নাটক-টেলিফিল্ম প্রচার হয়েছে। দর্শকের সমালোচনার মুখোমুখি কিংবা মান ঠিক রাখতে পেরেছেন?

মাবরুর রশীদ বান্নাহ: সমালোচনাটা হচ্ছে ব্যক্তিগত ব্যাপার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইচ্ছে করলেই বলা যায় এর মতো বিচ্ছিরি পরিচালক আর একটি নেই। কিন্তু যখন সেই পরিচালক সেটা জানতে চাইবেন যে বাজে বললেন কেন? তখন যদি কেউ তার যুক্তিসঙ্গত কারণ বলতে না পারেন। তাহলে তো ওই কথার কোন ভিত্তি থাকে না। আমার কথা হচ্ছে আমি যদি কোয়ালিটির সঙ্গে কোয়ানটিটি মিক্স করে করতে পারি, আমার কাজ যদি ভালো হয়, তাহলে তো আর কোন সমস্যা থাকেনা। আমি সেটাই জানতে চেয়েছি, এমনকি আমি এটাই বলবো আমার যদি কোন কাজ খারাপ হয়ে থাকে তাহলে বলুক সেটা, এই কাজটা খারাপ হয়েছে। আমি চেষ্টা করবো নিজেকে ওই জায়গা থেকে শুধরে নিতে, বা আমি পরবর্তীতে ঐটা করবো না। কারণ দর্শকের রিঅ্যাকশন আমি অনেক বেশি গুরুত্ব দেই। তাছাড়া আমি একশত নাটক একশত মানুষকে ভালো লাগাতে পারবো না, এটা সম্ভব না। কারো নাটক ১০০% ভালো লাগেনা। একজন অভিনেতা যেমন অনেকগুলো নাটকে একসাথে অভিনয় করে, তাকে এই প্রশ্নটা করা যেতে পারেনা আপনি কেন এতগুলো নাটকে অভিনয় করলেন। একজন ডিরেক্টরকে তাহলে এই প্রশ্নটা কেন করবে! আপনি এতগুলো নাটক কেন করলেন! আর একটা তথ্যগত ভুল সবাই করছেন। আমার আসলে ১৮টি নাটক রিলিজ হয়নি। এবার সব মিলিয়ে রিলিজ হয়েছে ১৪টি নাটক। একটা তথ্যগত ভুল চারদিকে দেখতে পাচ্ছি। এর মধ্যে ৫ টি নাটক করা ছিলো আগে, আর নতুন নাটক করেছি ৯ থেকে ১০টি। আমার সমালোচনা আর আলোচনা যেটাই বলেন, আমি সমালোচনার থেকে পজেটিভ রিভিউই বেশি পাচ্ছি। যদি আমি এমন দেখতাম ১০টি কমেন্টের মধ্যে ৮টি কমেন্ট খারাপ আসছে তাহলে আমি কনফার্ম থাকতাম। গড়পড়তায় আমাকে নিয়ে পজেটিভ কত পার্সেন্ট বলছে আর নেগেটিভ কত পার্সেন্ট বলছে? সাধারণ মানুষ কি বলছে আমার নাটক নিয়ে? বোদ্ধা শ্রেণীর দর্শক আমি খুব একটা গ্রাহ্য করিনা। কারণ তারা সার্বিক দিক বিবেচনা করে কথা বলেন না। সাধারণ মানুষ যদি দেখি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভালো বলছে তাহলে আমি মনে করি আমি ঠিক আছি। আর যদি দেখি সাধারণ দর্শক বলছে নেগেটিভ বেশি তাহলে আমি বলবো আমি ঠিক নাই , আমি ভুল করেছি। আমার রেসপন্স এখন পর্যন্ত অনেক ভালো। আলহামদুলিল্লাহ এবার ঈদটা আমার ভালো কেটেছে। আর একটি কারণে আমি বেশ খুশি যে, ইউটিউবের চেয়েও এবার দর্শক টিভিতে নাটক দেখে বেশি রেসপন্স করেছে। 

বেশি রেসপন্স পাচ্ছেন কোন নাটকগুলোতে?

আশ্রয়, ডেইট, মুগ্ধ ব্যাকরণ, এটাই ভালোবাসা, থার্ড জেন্ডার- র‌্যাংকিং করলে এগুলোকে টপে রাখা যায়। পাশাপাশি ‘আমি মিস্টার পরিস্কার’, ‘লেডি কিলার২’সহ অন্যান্য নাটকগুলো থেকেও প্রত্যাশিত রেসপন্স পাচ্ছি। মোট কথা হচ্ছে যে, ইয়ুথ নিয়ে যে কয়টা কাজ করেছি। যেমন থার্ড জেন্ডারটা নির্মাণ করলাম হিজরা শ্রেণীর মানুষদের নিয়ে। নাটকটি ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে ‘এক’ নাম্বারে চলে আসছিল। থার্ড জেন্ডারে শাওন আর ফারহানের মতো তরুনদের নিয়ে করা নাটকটি যে এত মানুষ দেখবে এটা আমি কল্পনাও করতে পারিনি। অন্যান্য কাজগুলোর মধ্যে তাহসান ভাই ও মোশাররফ ভাইয়ের সঙ্গে যে কাজগুলো করেছি এবার আমি, সেগুলো স্পেসিফিকেলি প্রত্যেকটা কাজের রেসপন্সই খুব ভালো।

তারপরও ‘আশ্রয়’ নাটকটি থেকে তো একটু বেশি রেসপন্স পাওয়া হচ্ছে?
 
এই কাজটা হলো এবার ঈদে আমার সবচেয়ে ‘ম্যাচিউরড’ কাজ। ‘আশ্রয়’ যিনি দেখেছেন, সেই আমাকে কাজটি নিয়ে জানাচ্ছেন কোন না কোনভাবে। কাজটা মানুষ পছন্দ করছে ভালোবাসছে, প্রচুর টেক্সট পাচ্ছি। এমন এমন মানুষ রেসপন্স করছেন যাদের কাছ থেকে সাধারণত আমি নাটকের রেসপন্স পাইনা। সেটা আমার কাছে উল্লেখযোগ্য বিষয়। নাটকের এই দর্শক শ্রেনীটা হয়তো আমার মিসিং ছিলো, ওই দর্শকগুলোও আমার এই নাটক নিয়ে পজেটিভ রেসপন্স করছে।

‘আশ্রয়’- টেলিফিল্মের আইডিয়াটা মাথায় আসলো কেন?

আইডিয়াটা খুব সিম্পল, যদি সন্তান এডপ্ট করা যায় তাহলে মা বাবা এডপ্ট করা যাবে না কেন! এই সমাজে তো অনেকেই অন্যের সন্তানকে এডপ্ট করে। তাহলে যেই সন্তানের বাবা-মা নেই। তারা তো চাইলে বাবা-মাও এডপ্ট করতে পারে। এই গল্প ভাবনাটা দিয়েছেন নাটকটা প্রডিউসার আকবার হায়দার মুন্না ভাই। এই লাইনটাই উনি আমাকে বলছেন, কেন হয় না? আমি আর সেতু আরিফ মিলে বাকিটা ঠিক করেছি। স্পেশালি প্রথম দৃশ্যটার স্ক্রিনপ্লে আমি তৈরী করার পরে সেতু আরিফকে দিই, তারপর সে পান্ডুলিপি তৈরী করে। একটা টিমওয়ার্ক ছিলো কাজটার মধ্যে। আশ্রয় নাটকে আটিস্টরা আমাকে যে পরিমানে সাহায্যে করেছে সেটা অবিশ্বাসযোগ্য। চারজন নাটকের সুপারস্টার এখানে কাজ করেছেন। মোশাররফ ভাই এবং মম বৃদ্ধার চরিত্রে অভিনয় করেছে। এটা খুব চ্যালেঞ্জিং ক্যারেকটার। আমার সব থেকে বড় অস্ত্রটা ছিলো এটার গল্পটা। সবচেয়ে বড় হাতিয়ার গল্পটা। এই অ্যাডভান্টেজ পয়েন্টা দিয়ে সবার কাছে বলতে সাহসটা পাই। গল্পটা প্রথমে শোনাই মোশাররফ ভাইকে, তারপর তাহসান ভাই, তারপর তিশা- মমকে। যাকে যখনি শুনিয়েছি, খুব পজেটিভ রেসপন্স দিয়ে সবাই রাজি হয়েছে। কেউ দুইবার চিন্তা করেনি কাজটি করার জন্য। মোশারফ ভাইকে বলেছি ৬০ বছরের বৃদ্ধের অভিনয় করতে হবে। সবাই আমার কথায় সাড়া দিয়েছে। অভিনেতা অভিনেত্রীরা কী পরিমান হেল্প করতে পারে তা আশ্রয় করার পরে বুঝতে পেড়েছি। আমি অনেক নাটক করেছি কিন্ত এতটা হেল্প কোন নাটকেই আর্টিস্টদের থেকে পাইনি।

এই ঈদের সবচেয়ে ব্যয়বহুল নাটক বলেও শোনা যাচ্ছে…

এটার ক্রেডিট দিতে হয় আকবর হায়দার মুন্না ভাইকে। এই প্রোডাকশনটা অনেক ব্যয়বহুল। এটার বাজেট হাই ছিলো এটা সবাই বুঝেছে। এর চেয়ে বেশি বাজেটে এবার ঈদে কোন নাটক আছে কিনা জানি না। এখানে আর্টিস্টদের পারিশ্রমিকই একটা বড় অংক ছিল। মুন্না ভাইয়ের টার্গেট ছিলো একটা ভালো কাজ করতে চাই। টাকা কোন বিষয় না। এখানে যদি আমার ক্ষতি হয় তাতেও কোন সমস্যা নেই। এটা ছিলো মূললক্ষ্য। তিনি টাকা পয়সার দিকে তাঁকায়নি। তিনি তার দায়িত্ব পালন করেছে। কোথাও কোন কৃপণতা নেই, কোথাও কোন ছাড় নেই। যেখানে যেখানে টাকা দেওয়া প্রয়োজন মনে করেছে সেখানে সেখানে টাকা তিনি দিয়েছে। যে কারণে আমি অনেক ফ্লেক্সিবল ছিলাম। আমার বিষয়টি হয়েছে অন্যান্য নাটকে নানা দিক নিয়ে ভাবতে হয় এই নাটকে এতটা ভাবতে হয়নি। ডিরেকশন ছাড়া ভাবনার পুরো দায়িত্ব মুন্না ভাই নিয়ে নিয়েছেন। এটা আমার জন্য কাজের ক্ষেত্রে সহজ হয়ে গেছে। আমার শুধু ডিরেশনেই আমার কনস্রেনটেশন ছিল। অন্য কোন কাজে আমার কোন চিন্তা ছিলোনা। আমাদের দেশের ডিরেক্টটররা তো ম্যানেজারিও করে, খেয়েছে কিনা বসছে কিনা, আর্টিস্টকে চেয়ারটা দেওয়া হলো কিনা, টাকাটা দেওয়া হলো কিনা অনেক কিছু নিয়ে চিন্তা করে। সেই চিন্তাটা আমার এই প্রডাকশনে করতে হয়নি।

রোমান্টিক গল্পের নাটক থেকে কি দূরে সরে যাচ্ছেন?

রোমান্টিক কচলাইয়া, চিবাইয়া তিতা বানাইয়া ফেলছি সবাই। আমার কাছে মনে হয়েছে এই রোমান্টিক জনরা আমার জন্য স্টপ। আমি আপাতত এই রোমান্টিকে একদমই কমফোর্টেবল না। কারণ সবাই রোমান্টিক- কমেডি বানাচ্ছেন। সবার ইনটেনশন শুধু ভিউয়ের পেছনে ছোটা। আমরা যখন ‘আশ্রয়’ করি, আমাদের এতটুকু ইনটেনশন ছিল না যে এই নাটকটি অনেকবেশি ভিউ হবে। আমরা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো একটা কাজ করতে চেয়েছি। পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি ভিউ পর্নের। তাই আমি ভিউয়ের পিছনে ছুটি না। রোমান্টিক নাটকে এখন একই আর্টিস্ট একই চরিত্রে দশজন পরিচালকের সঙ্গে করছেন। এখন রোমান্টিক নাটকের নামগুলো ফেলে দিলে আলাদা করা কষ্টকর হবে।

ঈদের পরের ব্যস্ততা কি?

এখন আমি ফুল বিশ্রামে। গত দুই ঈদে অনেক কাজ করেছি। এখন লম্বা ব্রেক নিতে চাই। এখন একটু ভাবতে চাই, পড়াশুনা করতে চাই, সিনেমা দেখতে চাই। অনেকগুলো বই, সিনেমা জমে গেছে। আমি এজন্য একটা লম্বা বিরতিতে যাবো। আমার ইনটেনশন ছিল দুটি ঈদে অনেক কাজ করবো। সবচেয়ে বড় কথা একটু ব্রেক নিয়ে আমি আবার নতুন করে শুরু করতে চাই। আমি নেক্সট ইয়ারে একই ধরনের কাজ আবার করতে চাই না। একদম নতুনভাবে আসতে চাই।

বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বুবলীর উপযুক্ত চিকিৎসার দরকার, বললেন অপু বিশ্বাস

প্রকাশ: ০৬:১৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঢালিউড প্রাঙ্গণের সুপারস্টার খ্যাত শাকিব খানের সাথে শবনম বুবলী ও অপু বিশ্বাসের গভীর সম্পর্কের কথা এখন সবার মুখে মুখে। দুজনই ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের সাবেক ঘরনি ও অভিনেতার দুই সন্তানের মা। ভিন্ন মেরুতে অবস্থান করলেও মাঝেমধ্যেই অপু-শাকিব-বুবলী এই ত্রয়ীর সমীকরণ নিয়ে চর্চা উঠে আসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। খবরের শিরোনাম হন তারা।
 
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে শাকিব খানের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা কথা বলেছেন বুবলী।  বলছেন, 'আইনগতভাবে আমি এখনো শাকিব খানের বৈধ স্ত্রী। তার সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম পার করি, আমাদের সন্তান অনেক সময় সে সুযোগটাও করে দেয়।'

বুবলীর বক্তব্য প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে হেসে দেন অপু বিশ্বাস। হাসতে হাসতে তিনি বলেন, ‘শাকিবকে নিয়ে তার এত এত মন্তব্যে আমি ভাষা হারাচ্ছি, আবেগাপ্লুত হচ্ছি। আমি কী বলব, বুঝতে পারছি না।’

সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমি একজন নারী হিসেবে বলব, উনি যথার্থ সম্মানীয় মানুষ। প্রতিটি মানুষের তার নিজের কাছে সম্মানের জায়গা খোঁজেন। তিনিও এতটা সময় ধরে তার ক্যারিয়ারের ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তবে আমার মনে হয় নিজের প্রচারের স্বার্থে অন্যকে ব্যবহার করে নিজের ব্যক্তিত্ব বিলিয়ে দেয়াটা বুদ্ধিমানের লক্ষণ নয়। আর যদি এটাই সে মনে করে, তাহলে তার উপযুক্ত চিকিৎসার দরকার।’
 
তিনি আরও বলেন, ‘এই যে উনি শাকিবের একের পর এক হাঁড়ির খবর দিচ্ছেন, কিন্তু আমি কোনো হাঁড়ি খুঁজে পাচ্ছি না। কিন্তু মজার মজার খবর পাচ্ছি তার মুখ থেকে। এ ব্যাপারে আর কি-ই-বা বলব। ওনার মনে হয় ডাক্তার দেখানো উচিত।’
 
সবশেষে অপু বলেন, ‘এখন আমরা একটা পর্যায়ে আছি। আমাদের কথাবার্তা যেন যথাযথ হয়, খেয়াল রাখা উচিত। এখন এসব কথা হাস্যকর মনে হয়। অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ। আমি মনে করি ওনার সুস্থ থাকা দরকার।’


অপু বিশ্বাস   শবনম বুবলী   শাকিব খান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

তামান্না ভাটিয়াকে ভারতীয় সাইবার সেলে তলব

প্রকাশ: ০৪:০৪ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির আলোচিত অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া এখন বলিউডেরও পরিচিত মুখ। বেশ দাপুটের সঙ্গে কাজ করছেন তিনি। ক্যারিয়ারে দুর্দান্ত সময় পার করছেন। কিন্তু এরই মধ্যে বিপাকে পড়লেন এ তারকা। তাকে তলব করেছে ভারতের মহারাষ্ট্র সাইবার সেল।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সাইবার সেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মহাদেব অনলাইন গেমিং এবং বেটিং অ্যাপ্লিকেশনের একটি সহায়ক অ্যাপে আইপিএল ম্যাচ দেখার জন্য কথিত প্রচারের জন্য তলব করা হয়েছে তামান্নাকে।

দক্ষিণী এই নায়িকাকে আগামী ২৯ এপ্রিল মহারাষ্ট্র সাইবার সেলে হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সেখাতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। 

এর আগে, গত বছরও কিছু আইপিএল ম্যাচ অ্যাপে অবৈধভাবে স্ট্রিম করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে একটি অভিযোগও রয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেই মামলায় সাক্ষী হিসেবে তার বক্তব্য রেকর্ড করার জন্য ডাকা হয়েছে।

ইতোমধ্যে এ মামলায় মহারাষ্ট্র সাইবার সেল গায়ক বাদশা, অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত ও জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের ম্যানেজারদের বক্তব্য নিয়েছে। আর মহাদেব অ্যাপটি অবৈথ অর্থ লেনদেন এবং বাজি ধরার জন্য বিভিন্ন তদন্ত সংস্থার মনিটরিংয়ে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, তামান্না ভাটিয়া ‘বাহুবলী’ এবং নেটফ্লিক্স অ্যান্থলজি ‘লাস্ট স্টোরিজ-২’ এর জন্য দর্শকমহলে বহুল পরিচিত।


তামান্না ভাটিয়া   ভারতীয় সাইবার সেল   বলিউড  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বাংলাদেশের 'নীল জোছনা' সিনেমায় পাওলি দাম

প্রকাশ: ১০:২২ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের সরকারি অনুদানের 'নীল জোছনা' সিনেমায় অভিনয় করবেন ভারতের অভিনেত্রী পাওলি দাম। 

মোশতাক আহমেদের প্যারাসাইকোলজি বিষয়ক উপন্যাস 'নীল জোছনার জীবন' অবলম্বনে নির্মিত হবে সিনেমাটি।

সিনেমার প্রধান নারী চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেত্রী পাওলি দামকে। তার বিপরীতে কে থাকছেন সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। 

গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) পাওলির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করেন নির্মাতা ফাখরুল আরেফীন খান।

তিনি বলেন, 'প্রায় ৬ বছর আগে 'নীল জোছনা' সিনেমার কাজ শুরু করেছিলাম। এরপর ২০১৯ সালে করোনা এবং আমার আরেকটি সিনেমার কারণে কাজটি বন্ধ ছিল।

এরপর আবার গত বছরের শুরু থেকে কাজ শুরু করি। সিনেমার দৃশ্যধারণ শুরু হবে মে মাসের শেষ দিকে।' 


পাওলি দাম   নীল জোছনা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসির সামনে মানববন্ধন

প্রকাশ: ১০:২৪ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরীর নেতৃত্বে গণমাধ্যমকর্মীদের উপর নারকীয় হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিকরা।

গতকাল বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বিএফডিসি'র টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (টিসিএ) উদ্যোগে বিএফডিসি'র সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন বক্তৃতা রাখেন বিএফইউজে'র সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজের নব-নির্বাচিত অন্যতম সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু, সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রব, বাচসাস'র সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা নানাক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করে তাদের আমরা মননশীল করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন নারকীয় এই হামলার নেতৃত্ব দেওয়া জয় চৌধুরী শিবা শানু, ও আলেকজান্ডার বো'সহ জড়িত সবাইকে শিল্পী সমিতি থেকে সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানান মানববন্ধন থেকে বক্তারা।

মানববন্ধনে আরও অংশ নেয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত বিনোদন বিটের সাংবাদিকরা।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিকালে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো'র নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪ জন। এ ঘটনার প্রতিবাদে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিনোদন সাংবাদিকসহ নানা বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা।

এদিকে, ঘটনার তদন্তের জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচজন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান। দশ জনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল, রত্না।


সাংবাদিকদের ওপর হামলা   এফডিসি   মানববন্ধন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

এবার বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন জয়া

প্রকাশ: ০৯:৪৯ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ইতোমধ্যে ঢালিউড-টালিউড মাতিয়ে অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন বলিউডেও। পর্দায় ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তোলেন এই নায়িকা। সাবলীল অঙ্গভঙ্গি আর অভিনয় দক্ষতায় বরাবরই দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যান তিনি।

কাজের পাশাপাশি এই অভিনেত্রীর ঘরের খবর পেতেও মুখিয়ে থাকেন দর্শক। কবে বিয়ে করছেন, কেন একা থাকেন এসব জানার খুব শখ তাদের। বরাবরই তিনি মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। তবে এবার সবকিছু নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে জয়া কথা বলেছেন বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে।

বিয়ে নিয়ে জয়া বলেন, বর্তমান জীবন খুবই এনজয় করছি। দেখুন, পরিবার তো শুধু স্বামী-স্ত্রীকেই ঘিরে নয়, অথবা পার্টনার হলেই হয় না, পরিবারে আরও অনেকেই আছে। পরিবারে মা-বাবা আছেন, আমার বাড়িতে যেসব লোক কাজ করেন, তারা আছেন। আমি খুবই এনজয় করি।

একাকী জীবনযাপন নিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, আমি তো কোনোকিছু পরিকল্পনা করি না। যদি মনে করি যে সিঙ্গেল থেকে ডাবল হতে চাই, দরকার আছে, তখনই হবো। তবে এই মুহূর্তে আমার কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ, আমি খুবই ভালো আছি, শান্তিতে আছি চারদিকে। আমার আপাতত কোনো প্ল্যান নেই।

এদিকে প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজে কাজ করতে যাচ্ছেন জয়া। এটি নির্মাণ করবেন মহানগর খ্যাত নির্মাতা আশফাক নিপুণ।


জয়া আহসান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন