কালার ইনসাইড

চলচ্চিত্রে সাহিত্যের প্রয়োজনীয়তা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:০৮ পিএম, ০৯ অক্টোবর, ২০১৭


Thumbnail

শিল্পের সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম হলো চলচ্চিত্র। দৃশ্যমান বিনোদন মাধ্যম। কিন্তু চলচ্চিত্র কি শুধুই দৃশ্যমান বিনোদন? চলচ্চিত্র কী আমাদের কখনো ভাবায়নি? কখনো কী নতুন ভাবে চিন্তা করতে শেখায়না? চলচ্চিত্র আমাদের ভাবায়, ভাবতে বাধ্য করে, ভাবতে শেখায়। বদলে দেয় জীবনযাত্রার দৃশ্যপট। কিন্তু কিভাবে?

চলচ্চিত্রের মূল অস্ত্র হচ্ছে গল্প। একটা চলচ্চিত্রের গল্পই আমাদের চিন্তাভাবনা মতাদর্শ বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। তবে হ্যাঁ, সেটা সব সিনেমার ক্ষেত্রে নয়, বিশেষ কিছু সিনেমার ক্ষেত্রে। আর সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারে বইয়ের পাতা থেকে নেয়া গল্প অথবা উপন্যাস। খেয়াল করে দেখবেন, সাহিত্য থেকে বানানো চলচ্চিত্রগুলোয় রয়েছে প্রান। প্রতিটাই কেমন যেনো হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার মত! সারা বিশ্বেই সাহিত্য থেকে সিনেমা বানানোর এই ধারাটি প্রচলিত আছে।

দুই দশক আগেও বাংলায় সাহিত্য নির্ভর ছবি হতো প্রচুর। কারণ, ওই সময় প্রযোজক পরিচালকরা ছিলেন শিক্ষিত, সাহিত্য পড়া শিল্প অনুরাগী লোক। এখন যারা আসছেন তারা কোন ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসছেন?

বাংলা চলচ্চিত্রের একাল সেকাল যদি বিবেচনা করা হয়। তাহলে সাহিত্য থেকে নির্মিত সিনেমা সবসময়ে আলোচিত ছিল। কিন্তু একটা সময়ে এসে সাহিত্য নির্ভর সিনেমার কদর কমে গেছে। পরিচালকরা গল্প নিতে ঝুকছে তামিল তেলেগুর সিনেমায়। এই ওই ছবি দিয়ে জোড়াতালি দিয়ে হয় আমাদের সিনেমা। একটা সময়ে কিন্তু এমন চল ছিল না। মেইনস্ট্রিম সিনেমার গল্প সাহিত্য থেকে নেয়া হত। সেসব সিনেমা দেখতে হলে ভীড় জমে যেত। বর্তমান সময়ে চলচ্চিত্র নির্মাতারা মন দেয় অর্থের দিকে। সস্তা গল্প দিয়ে দর্শক টানার যে সংস্কৃতি, সেটার দৌড় যে কতটা হয় সেটা সময়ই বলে দিবে। হলিউড কিংবা বলিউডে প্রচুর পরিমান সাহিত্য নির্ভর সিনেমা নির্মাণ হচ্ছে। সেসব সিনেমা যেমর সমলোচকরদের মন কেড়ে নিচ্ছে। তেমনি ব্যবসায়িকভাবেও সফল হচ্ছে। উদাহরণ হিসাবে বর্তমান সময়ে রয়েছে অনেক চলচ্চিত্রের নাম। সেখানে আমরা কী করছি প্রতিনিয়ত? আমাদের দেশের সাহিত্য এতটা সমৃদ্ধশালী হওয়া সত্বেও আমরা প্রতিনিয়ত সিনেমার গল্প চুরিতে মাতি। একই গল্প ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দর্শকদের খাওয়াতে ব্যস্ত।

বর্তমানেও সাহিত্য নির্ভর কিছু চলচ্চিত্র নির্মাণ হচ্ছে। কিন্তু সেটা নির্মাণ পর্যন্তই ক্ষ্যান্ত। এসব ছবি বানানো হয় সাধারনত অনুদানের টাকা দিয়ে। তা টিভিতে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার আর নামমাত্র কিছু হলে মুক্তি দেয়া হয় দায়সারা ভাবে। সাহিত্য থেকে সিনেমা নির্মাণ ও তা যেন সময়ের উপযোগী হয় সেটা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে পরিচালকদের।

 

কিছু উদাহরণ:

শুধু সাহিত্য নির্ভর সিনেমা হিসেবেই নয়, বাংলাদেশের সেরা ছবির একটি তালিকা করা হলে সবার উপরে যে নামটি থাকবে, তা হচ্ছে ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ ২০০৭ সালে ব্রিটিশ ফিল্ম ইন্সটিটিউট বাংলাদেশের সেরা ১০টি সিনেমা নিয়ে দুটি তালিকা প্রকাশ করে। একটি তালিকা হয়েছে চলচ্চিত্র বোদ্ধাদের মতে, আর অপরটি দর্শকদের মতে। দুটি তালিকায়ই ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ সিনেমাটি প্রথম স্থান অধিকার করে।

তিতাস একটি নদীর নাম সিনেমাটির পরিচালক ঋত্বিক ঘটক। অদ্বৈত মল্লবর্মনের লেখা বিখ্যাত উপন্যাস ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ -এর কাহিনী অবলম্বনে এই চলচ্চিত্রটি নির্মিত। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদী আর তার আশেপাশের মানুষদের, বিশেষ করে জেলেদের জীবনযাত্রা এই সিনেমার উপজীব্য বিষয়। নিঃসন্দেহে শুধু আমার নয়, যে কারো তৈরী করা তালিকার প্রথমেই থাকবে ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ চলচ্চিত্রটি !

বাংলা চলচ্চিত্রে যখন রোমান্টিক সিনেমার স্বর্ণযুগ চলছিলো, তখনই মুক্তি পায় ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’ নামে ব্যতিক্রমী একটি সিনেমা। এই ছবিটি পায় ‘আর্টফিল্ম’ এর মর্যাদা। সিনেমাটি যৌথভাবে পরিচালনা করেছেন মসিহউদ্দিন শাকের ও শেখ নিয়ামত আলী। বিশিষ্ঠ গ্রন্থকার আবু ইসহাক -এর ১৯৫৫ সালে প্রকাশিত কালজয়ী উপন্যাস সূর্য দীঘল বাড়ী অবলম্বনে ছবিটি নির্মাণ করা হয়।

১৯৯৭ সালে দেশের প্রখ্যাত পরিচালক চাষী নজরুল ইসলামের পরিচালনায় ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ সিনেমাটি মুক্তি পায়। এতে অভিনয় করেন সুচরিতা, সোহেল রানা, অরুণা বিশ্বাস, অন্তরা, ইমরান, দোদুল ও আশিক। সিনেমার গল্পটি নেওয়া হয়েছে সেলিনা হোসেনের হাঙর নদী গ্রেনেড নামক উপন্যাস থেকে। উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় ১৯৭৬ সালে। চাষী নজরুলের এই সিনেমা ঢালিউডের অন্যতম সেরা সিনেমা হিসেবে চিরকাল বিবেচিত হবে।

শ্রাবণ মেঘের দিন সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন জনপ্রিয় পরিচালক ও কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ। সিনেমাটি মুক্তি পায় ১৯৯৯ সালে। তারই লেখা ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ উপন্যাস অবলম্বনে তৈরী হয়েছে সিনেমাটি। অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান, শাওন, মাহফুজ আহমেদ, আনোয়ারা, ডাঃ এজাজ সহ অনেকে। ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ সিনেমাটি মোট ৬টি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছিলো।

সারেং বৌ চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। গল্পটি নেওয়া হয়েছে শহীদুল্লাহ কায়সারের সারেং বৌ উপন্যাস থেকে। সিনেমাটি মুক্তি পায় ১৯৭৮ সালে।

কবি নির্মলেন্দু গুণের বহুল পঠিত একটি কবিতা ‘নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ’। জনপ্রিয় এই কবিতাকে ঘিরে রয়েছে একটি বাস্তব চিত্র। সেই চিত্রকে দর্শকের সামনে তুলে ধরেছেন তরুণ কবি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মাসুদ পথিক। কবিতাটি পড়তে পড়তে পাঠক যেমন তন্ময় হয়ে যান; ঠিক তেমনি সিনেমাটি দেখতে দেখতে দর্শকও নিশ্চয়ই তন্ময় হয়ে যাবেন। চলচ্চিত্রটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভের গৌরব অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। ফলে কবি নির্মলেন্দু গুণ এবং পরিচালক মাসুদ পথিক নতুন ইতিহাসের পাতায় যুক্ত হলেন। স্বাধীন বাংলাদেশে ইসলাম ধর্ম, হিন্দু পুরাণ, রাজা-বাদশাহর ইতিহাস, গল্প ও উপন্যাস অবলম্বনে অনেক চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। তবে কবিতা থেকে চলচ্চিত্র নির্মাণ এবং চলচ্চিত্রে জাতীয় স্বীকৃতি লাভ- এই বোধহয় প্রথম।


বাংলা ইনসাইডার/ এমআরএইচ 



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বুবলীর উপযুক্ত চিকিৎসার দরকার, বললেন অপু বিশ্বাস

প্রকাশ: ০৬:১৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঢালিউড প্রাঙ্গণের সুপারস্টার খ্যাত শাকিব খানের সাথে শবনম বুবলী ও অপু বিশ্বাসের গভীর সম্পর্কের কথা এখন সবার মুখে মুখে। দুজনই ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের সাবেক ঘরনি ও অভিনেতার দুই সন্তানের মা। ভিন্ন মেরুতে অবস্থান করলেও মাঝেমধ্যেই অপু-শাকিব-বুবলী এই ত্রয়ীর সমীকরণ নিয়ে চর্চা উঠে আসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। খবরের শিরোনাম হন তারা।
 
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে শাকিব খানের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা কথা বলেছেন বুবলী।  বলছেন, 'আইনগতভাবে আমি এখনো শাকিব খানের বৈধ স্ত্রী। তার সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম পার করি, আমাদের সন্তান অনেক সময় সে সুযোগটাও করে দেয়।'

বুবলীর বক্তব্য প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে হেসে দেন অপু বিশ্বাস। হাসতে হাসতে তিনি বলেন, ‘শাকিবকে নিয়ে তার এত এত মন্তব্যে আমি ভাষা হারাচ্ছি, আবেগাপ্লুত হচ্ছি। আমি কী বলব, বুঝতে পারছি না।’

সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমি একজন নারী হিসেবে বলব, উনি যথার্থ সম্মানীয় মানুষ। প্রতিটি মানুষের তার নিজের কাছে সম্মানের জায়গা খোঁজেন। তিনিও এতটা সময় ধরে তার ক্যারিয়ারের ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তবে আমার মনে হয় নিজের প্রচারের স্বার্থে অন্যকে ব্যবহার করে নিজের ব্যক্তিত্ব বিলিয়ে দেয়াটা বুদ্ধিমানের লক্ষণ নয়। আর যদি এটাই সে মনে করে, তাহলে তার উপযুক্ত চিকিৎসার দরকার।’
 
তিনি আরও বলেন, ‘এই যে উনি শাকিবের একের পর এক হাঁড়ির খবর দিচ্ছেন, কিন্তু আমি কোনো হাঁড়ি খুঁজে পাচ্ছি না। কিন্তু মজার মজার খবর পাচ্ছি তার মুখ থেকে। এ ব্যাপারে আর কি-ই-বা বলব। ওনার মনে হয় ডাক্তার দেখানো উচিত।’
 
সবশেষে অপু বলেন, ‘এখন আমরা একটা পর্যায়ে আছি। আমাদের কথাবার্তা যেন যথাযথ হয়, খেয়াল রাখা উচিত। এখন এসব কথা হাস্যকর মনে হয়। অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ। আমি মনে করি ওনার সুস্থ থাকা দরকার।’


অপু বিশ্বাস   শবনম বুবলী   শাকিব খান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

তামান্না ভাটিয়াকে ভারতীয় সাইবার সেলে তলব

প্রকাশ: ০৪:০৪ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির আলোচিত অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া এখন বলিউডেরও পরিচিত মুখ। বেশ দাপুটের সঙ্গে কাজ করছেন তিনি। ক্যারিয়ারে দুর্দান্ত সময় পার করছেন। কিন্তু এরই মধ্যে বিপাকে পড়লেন এ তারকা। তাকে তলব করেছে ভারতের মহারাষ্ট্র সাইবার সেল।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সাইবার সেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মহাদেব অনলাইন গেমিং এবং বেটিং অ্যাপ্লিকেশনের একটি সহায়ক অ্যাপে আইপিএল ম্যাচ দেখার জন্য কথিত প্রচারের জন্য তলব করা হয়েছে তামান্নাকে।

দক্ষিণী এই নায়িকাকে আগামী ২৯ এপ্রিল মহারাষ্ট্র সাইবার সেলে হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সেখাতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। 

এর আগে, গত বছরও কিছু আইপিএল ম্যাচ অ্যাপে অবৈধভাবে স্ট্রিম করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে একটি অভিযোগও রয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেই মামলায় সাক্ষী হিসেবে তার বক্তব্য রেকর্ড করার জন্য ডাকা হয়েছে।

ইতোমধ্যে এ মামলায় মহারাষ্ট্র সাইবার সেল গায়ক বাদশা, অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত ও জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের ম্যানেজারদের বক্তব্য নিয়েছে। আর মহাদেব অ্যাপটি অবৈথ অর্থ লেনদেন এবং বাজি ধরার জন্য বিভিন্ন তদন্ত সংস্থার মনিটরিংয়ে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, তামান্না ভাটিয়া ‘বাহুবলী’ এবং নেটফ্লিক্স অ্যান্থলজি ‘লাস্ট স্টোরিজ-২’ এর জন্য দর্শকমহলে বহুল পরিচিত।


তামান্না ভাটিয়া   ভারতীয় সাইবার সেল   বলিউড  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বাংলাদেশের 'নীল জোছনা' সিনেমায় পাওলি দাম

প্রকাশ: ১০:২২ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের সরকারি অনুদানের 'নীল জোছনা' সিনেমায় অভিনয় করবেন ভারতের অভিনেত্রী পাওলি দাম। 

মোশতাক আহমেদের প্যারাসাইকোলজি বিষয়ক উপন্যাস 'নীল জোছনার জীবন' অবলম্বনে নির্মিত হবে সিনেমাটি।

সিনেমার প্রধান নারী চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেত্রী পাওলি দামকে। তার বিপরীতে কে থাকছেন সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। 

গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) পাওলির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করেন নির্মাতা ফাখরুল আরেফীন খান।

তিনি বলেন, 'প্রায় ৬ বছর আগে 'নীল জোছনা' সিনেমার কাজ শুরু করেছিলাম। এরপর ২০১৯ সালে করোনা এবং আমার আরেকটি সিনেমার কারণে কাজটি বন্ধ ছিল।

এরপর আবার গত বছরের শুরু থেকে কাজ শুরু করি। সিনেমার দৃশ্যধারণ শুরু হবে মে মাসের শেষ দিকে।' 


পাওলি দাম   নীল জোছনা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসির সামনে মানববন্ধন

প্রকাশ: ১০:২৪ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরীর নেতৃত্বে গণমাধ্যমকর্মীদের উপর নারকীয় হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিকরা।

গতকাল বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বিএফডিসি'র টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (টিসিএ) উদ্যোগে বিএফডিসি'র সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন বক্তৃতা রাখেন বিএফইউজে'র সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজের নব-নির্বাচিত অন্যতম সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু, সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রব, বাচসাস'র সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা নানাক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করে তাদের আমরা মননশীল করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন নারকীয় এই হামলার নেতৃত্ব দেওয়া জয় চৌধুরী শিবা শানু, ও আলেকজান্ডার বো'সহ জড়িত সবাইকে শিল্পী সমিতি থেকে সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানান মানববন্ধন থেকে বক্তারা।

মানববন্ধনে আরও অংশ নেয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত বিনোদন বিটের সাংবাদিকরা।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিকালে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো'র নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪ জন। এ ঘটনার প্রতিবাদে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিনোদন সাংবাদিকসহ নানা বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা।

এদিকে, ঘটনার তদন্তের জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচজন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান। দশ জনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল, রত্না।


সাংবাদিকদের ওপর হামলা   এফডিসি   মানববন্ধন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

এবার বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন জয়া

প্রকাশ: ০৯:৪৯ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ইতোমধ্যে ঢালিউড-টালিউড মাতিয়ে অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন বলিউডেও। পর্দায় ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তোলেন এই নায়িকা। সাবলীল অঙ্গভঙ্গি আর অভিনয় দক্ষতায় বরাবরই দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যান তিনি।

কাজের পাশাপাশি এই অভিনেত্রীর ঘরের খবর পেতেও মুখিয়ে থাকেন দর্শক। কবে বিয়ে করছেন, কেন একা থাকেন এসব জানার খুব শখ তাদের। বরাবরই তিনি মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। তবে এবার সবকিছু নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে জয়া কথা বলেছেন বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে।

বিয়ে নিয়ে জয়া বলেন, বর্তমান জীবন খুবই এনজয় করছি। দেখুন, পরিবার তো শুধু স্বামী-স্ত্রীকেই ঘিরে নয়, অথবা পার্টনার হলেই হয় না, পরিবারে আরও অনেকেই আছে। পরিবারে মা-বাবা আছেন, আমার বাড়িতে যেসব লোক কাজ করেন, তারা আছেন। আমি খুবই এনজয় করি।

একাকী জীবনযাপন নিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, আমি তো কোনোকিছু পরিকল্পনা করি না। যদি মনে করি যে সিঙ্গেল থেকে ডাবল হতে চাই, দরকার আছে, তখনই হবো। তবে এই মুহূর্তে আমার কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ, আমি খুবই ভালো আছি, শান্তিতে আছি চারদিকে। আমার আপাতত কোনো প্ল্যান নেই।

এদিকে প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজে কাজ করতে যাচ্ছেন জয়া। এটি নির্মাণ করবেন মহানগর খ্যাত নির্মাতা আশফাক নিপুণ।


জয়া আহসান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন