ইনসাইড বাংলাদেশ

নাসিক নির্বাচন: এক নজরে আদ্যোপান্ত

প্রকাশ: ০৮:০৪ এএম, ১৬ জানুয়ারী, ২০২২


Thumbnail নাসিক নির্বাচন: এক নজরে আদ্যোপান্ত

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) মেয়র পদে তৃতীয়বারের মত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ রোববার (১৬ জানুয়ারি)। এ নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে রয়েছে উত্তাপ। বিশেষ করে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তৈমুর আলম খন্দকার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় নির্বাচনকে ঘিরে উত্তেজনা বেড়েছে। ২০১১ সালের ৫ মে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা, কদম রসুল পৌরসভা ও সিদ্ধিরগঞ্জ পৌরসভাকে বিলুপ্ত করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন গঠনের গেজেট প্রকাশ করে সরকার।

প্রথমবার (২০১১) ৯টি ওয়ার্ডে ইভিএমে, বাকিগুলোয় ব্যালট পেপারে ভোট হয়। ২০১৬ সালে সব কেন্দ্রে ব্যালট পেপারে এবং এবার পুরো সিটিতে ভোট হচ্ছে ইভিএমে।

অন্যদিকে, প্রথমবার নির্দলীয় প্রতীকে ভোট হয় এ সিটিতে। দলীয় প্রতীকে এবার দ্বিতীয় নির্বাচন হচ্ছে। দলীয় নির্বাচনের সুযোগ শুধু মেয়র পদে।


নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন - ২০২২

১. রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোট চলবে।
২. মোট ভোটার রয়েছেন ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন। তাদের মধ্যে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৬ জন পুরুষ; ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১১ জন নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৪ জন।
৩. একজন মেয়র, ৯ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর এবং ২৭টি ওয়ার্ডে একজন করে কাউন্সিলর নির্বাচিত হবেন এ ভোটে।
৪. মেয়র পদে ৭ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৪ জন আছেন ভোটের লড়াইয়ে।
৫. ১৯২ কেন্দ্রের ১৩৩৩টি কক্ষে ভোট প্রদান করবেন ভোটাররা।
৬. গণনা শেষে ফল ঘোষণা হবে রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন গত ৩০ নভেম্বর এবারের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে।

সে অনুযায়ী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন ছিল ১৫ ডিসেম্বর। ২০ ডিসেম্বর বাছাইয়ের পর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ছিল ২৭ ডিসেম্বর। ২৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর শুরু হয় ভোটের প্রচার।


মেয়রের লড়াইয়ে ৭ জন

বাংলদেশ আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াৎ আইভী (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকার (হাতি), খেলাফত মজলিসের এবিএম সিরাজুল মামুন (দেওয়াল ঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ) এবং বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি), স্বতন্ত্র মো. কামরুল ইসলাম (ঘোড়া)।


ইভিএমে ভোট

১. ইভিএমে ভোট হওয়ায় প্রতিটি ভোটকক্ষে থাকবে মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদের একটি করে ব্যালট ইউনিট।
২. কেন্দ্রভিত্তিক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি থাকবে কারিগরি টিম। কোথাও কোনো ধরনের প্রযুক্তিগত প্রয়োজনে কারিগরি টিম সহযোগিতা করবে।
৩. ইভিএমে ভোট দেওয়ার আগে আঙ্গুলের ছাপ, ভোটার নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ব্যবহার করে ভোটার শনাক্ত করা হয়ে থাকে। নির্দিষ্ট কেন্দ্রের ভোটকক্ষে একজন পোলিং অফিসার ভোটার ভেরিফিকেশনের কাজটি করেন।
৪. ডেটাবেইজে ভোটার বৈধ বা অবৈধ হিসেবে শনাক্ত হলে মনিটরের মাধ্যমে তা দেখতে পান পোলিং এজেন্টরা।
৫. ভোটার বৈধ হলে ভোটিং মেশিনে ভোটারকে ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়।
৬. ভোটার সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তার কাছে গেলে গোপন কক্ষে থাকা ব্যালট ইউনিটে ব্যালট ইস্যু করা হয়।
৭. গোপনকক্ষে গিয়ে ভোটার পছন্দের প্রার্থী ও প্রতীক বেছে নিয়ে ব্যালট ইউনিটের ডান দিকের সাদা বোতামে চাপ দিলে প্রতীক সিলেক্ট হবে। ওই ব্যালট ইউনিটে সবুজ রংয়ের CONFIRM বোতামে চাপ দিলে তার ভোট দেওয়া হয়ে যাবে।


কর্মী বাহিনী

১. নারায়ণগঞ্জে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার।
২. তার সঙ্গে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে আছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মতিয়ুর রহমান, উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, আব্দুল কাদির, আফরোজা খাতুন, মো. ইউসুফ-উর-রহমান, মোসা. মাহফুজা আক্তার, সুলতানা এলিন, মো. আ. আজিজ ও আল-আমিন।
৩. রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ছাড়াও প্রতি কেন্দ্রে একজন করে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা; ১৩৩৩ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ২৬৬৬ জন পোলিং কর্মকর্তা আছেন।
৪. সব মিলিয়ে ভোটের দায়িত্বে আছেন চার সহস্রাধিক কর্মকর্তা।


আইনশৃঙ্খলায় হাজার সদস্য

১. নির্বাচনী এলাকায় ভোটের পরদিন পর্যন্ত পুলিশের ২৭টি স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে।
২. পুলিশের মোবাইল টিম থাকবে ৬৪টি; প্রতি টিমে ৫ জন করে সদস্য থাকবে।
৩. প্রতি কেন্দ্রে একজন এসআইয়ের নেতৃত্বে ৫ জন পুলিশ এবং ১২ (৮ জন পুরুষ, ৪ নারী) আনসার সদস্য থাকবে।
৪. বিজিবি থাকবে ১৪ প্লাটুন। আরও ৬ প্লাটুনের চাহিদা দেওয়া হয়েছে।
৫. র‍্যাবের স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে ৩টি, চেকপোস্ট ৬টি, টহল টিম ৭টি ও স্ট্যাটিক ফোর্স ২টি।
৬. প্রচারের শুরু থেকে ওয়ার্ডগুলোতে ২৭ জন নির্বাহী হাকিম এবং ৯ জন বিচারিক হাকিম দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ভোটের দিন আরও ৩৬ জন নির্বাহী ও ১৪ জন বিচারিক হাকিম মাঠে থাকবেন।


নজর রাখবে যারা

ইসির নিবন্ধিত নয়টি পর্যবেক্ষক সংস্থার ৪২ জনকে অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পর্যবেক্ষক সংস্থার মধ্যে আছে– জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদ (জানিপপ), সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন, আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশন, সমাজ উন্নয়ন প্রয়াস, তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা, তালতলা যুব উন্নয়ন সংগঠন, রিহাফ ফাউন্ডেশন, বিবি আছিয়া ফাউন্ডেশন এবং মানবাধিক ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা (মওসুস)।

পর্যবেক্ষণ নীতিমালা অনুযায়ী, প্রতিটি সংস্থা প্রতি দলে সর্বোচ্চ পাঁচজনের ভ্রাম্যমাণ দল নিয়োগ করতে পারবে। তারা নির্ধারিত ইউনিটের সব ভোটকেন্দ্রের প্রতি বুথে স্বল্প সময়ের জন্য অবস্থান ও কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। ভোটকেন্দ্রের বুথভিত্তিক সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা যাবে না।

ভোটকেন্দ্রের ভোট গণনার কক্ষে ও রিটার্নিং অফিসারের দপ্তরে ফলাফল একত্রীকরণের সময় একজন করে পর্যবেক্ষক পাঠানো যাবে।

পর্যবেক্ষক ছাড়াও হাজারখানেক স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমের সংবাদকর্মী নিয়োজিত থাকবেন ভোটের খবর সংগ্রহে।


নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) বিগত নির্বাচন

প্রথম নির্বাচন ২০১১: ওই বছরের ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত প্রার্থী সাবেক সাংসদ শামীম ওসমানকে এক লাখের বেশি ভোটে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সেলিনা হায়াৎ আইভী।

১. আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী পান ১৮০০৪৮ ভোট; তার প্রতীক ছিল দোয়াত কলম।
২. নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত শামীম ওসমানের দেয়াল ঘড়িতে জুটেছিল ৭৮৭০৫ ভোট।
৩. বিএনপি সমর্থিত তৈমুর আলম খন্দকারের প্রতীক ছিল আনারস; তিনি পান ৭৬১৬ ভোট।
৪. এছাড়া গরুর গাড়ি প্রতীকে আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সী ৬৬১২ ভোট, হাঁস প্রতীকে শরীফ মোহাম্মদ ১৪৯৩ এবং তালা প্রতীকে আতিকুল ইসলাম জীবন ১৮৫৫ ভোট পান।


দ্বিতীয় নির্বাচন ২০১৬ : ওই বছর ২২ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে সিটি ভোটে ধানের শীষের প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানকে পৌনে ১ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র পদে পুনঃনির্বাচিত হন নৌকা প্রতীকের আইভী।

১. নৌকা প্রতীকে আইভী পান ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬১১ ভোট। আর সাখাওয়াত পান ৯৬ হাজার ৪৪ ভোট।
২. মেয়র পদে দুই প্রধান প্রার্থীর পর তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩৯১৪ ভোট পান হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাছুম বিল্লাহ। কোদাল প্রতীকে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মাহবুবুর রহমান ইসমাইল পান ৬৭৪ ভোট; মিনার প্রতীকে ইসলামী ঐক্যজোটের এজহারুল হকের প্রাপ্ত ভোটসংখ্যা ৯১০।

টানা দ্বিতীয় মেয়াদে মেয়র নির্বাচিত হয়ে সেলিনা হায়াৎ আইভী ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি শপথ নেন। এরপর ৮ ফেব্রুয়ারি কর্পোরেশনের প্রথম সভা হয়। ২০২২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটির নির্বাচন করার আইনি বাধ্যবাধকতার মধ্যেই রোববার ভোট হচ্ছে।

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন   নাসিক   ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী   তৈমুর আলম খন্দকার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রেমিকার আত্মহত্যার শোকে পৃথিবী থেকে বিদায় প্রেমিক

প্রকাশ: ০৩:৫৪ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নরসিংদীর শিবপুরে প্রেমিকার আত্মহত্যার শোক সইতে না পেরে প্রেমিক সিফাত (১৯) নিজেই আত্মহত্যা করেছেন। প্রেমিকার মৃত্যুর ১৯ দিন পর ফেসবুক‌ স্ট্যাটাস দিয়ে প্রেমিক সিফাত পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাছিমপুর ইউনিয়নের খড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সিফাত ওই গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে। তিনি শিবপুর সরকারি শহীদ আসাদ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

ফেসবুকে দীর্ঘ স্ট্যাটাসে সিফাত লিখেছেন, ‘তানহা আত্মহত্যা করে প্রমাণ করে গেল আমারে কতটা ভালোবাসে। আমিও প্রমাণ করে দিমু তানহারে আমি কতটা ভালোবাসি। কারও সঙ্গে ভুল করে থাকলে মাফ করে দিও। আর দেখা হবে না সবাই দোয়া কইরো শান্তিতে থাকি কিংবা অশান্তিতে দুজন যেন একসঙ্গে থাকতে পারি। আমার শেষ ইচ্ছা তানহার কবরের পাশে আমাকে কবর দেওয়া হোক।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি পরিস্থিতির শিকার। আর আমার কোনো কিছুর জন্য তানহার পরিবার বা আমার পরিবার দায়ী না, এমনকি আমার কোনো ভাই-ব্রাদার বা বন্ধুও দায়ী না। যা হবে আমার নিজের ইচ্ছেতে হবে। সত্যি বলতে আমার আর বাঁচার ইচ্ছে নাই। আমাকে যদি কেউ বাঁচিয়েও নেয় আমি পুনরায় আত্মহত্যার চেষ্টা করব। প্লিজ আমাকে কেউ বাঁচানোর চেষ্টা কইরো না। বেঁচে থেকে আর কি হবে, যার জন্য বাঁচার কথা ছিল সে তো আর নেই।’

সিফাত লিখেছেন, ‘তানহা আমারে কথা দিছিলো যদি বাঁচি তো একসঙ্গে বাঁচমু আর যদি মরতে হয় তো একসঙ্গে মরমু। আমি তানহারে এই কথাটাই দিছিলাম। কিন্তু একটা চরিত্রহীন জানোয়ার আমাদের সুখে থাকতে দিল না। ওদের অত্যাচারে তানহা আত্মহত্যা করল। এক প্রকার তারা তানহারে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করল। জানোয়ারের পরিবারকেই আমি খুনি বলে দাবি করি। আমি যদি বেঁচে থাকি তাহলে জানোয়ারের পরিবার স্বাধীনভাবে চলবে, ওদের কোনো সাজা হবে না। আর অন্যদিকে আমার তানহা শেষ, আমি অর্ধেক শেষ আমার পরিবারও শেষ। আমি আর কষ্ট সহ্য করতে পারছি না (প্রমাণ হয়ে যাক দুজন দুজনকে কতটা ভালোবাসতাম) আর আমি চরিত্রহীন জানোয়ারের পরিবারের সঠিক বিচারের দাবি জানাচ্ছি। এমন সাজা দেওয়া হোক অন্য কোনো মেয়ের সঙ্গে যেন এমন না হয়। আর যেন কারও প্রাণ না ঝরে। কেউ যেন ব্ল‍্যাকমেইলের শিকার না হয়। আমার শেষ একটাই ইচ্ছে- আমরা দুজনে সারাজীবন একসঙ্গে থাকতে চেয়েছিলাম, বাস্তবে তা হলো না। তাই আমার মৃত্যুর পর তানহার কবরের পাশে যেন আমার কবর দেওয়া হয়। আমি আঙ্গুররে মারছি শুধু একটা কারণে, হেয় তানহার হাতে ধরছিল। তানহারে খারাপ প্রস্তাব দিছিল। আমি সহ্য করতে পারি নাই। তাই হেরে কোবাইছি। আমরা প্রেম করছি এটাই কি অপরাধ ছিল। আমাদের জীবন শেষ করে দিল। ভালো থাকুক আঙ্গুর আর আঙ্গুরের পরিবার।

এদিকে সিফাতের বাবা ইব্রাহিম জানান, প্রতিবেশী চাচাতো বোন খলিলের মেয়ে তানহার (১৫) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল আমার ছেলে সিফাতের। গত ৩ এপ্রিল দিবাগত রাত ২টার সময় তানহা ঘরের ভেতর থেকে আর সিফাত জানালার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় দেখে ফেলে একই এলাকার রাজুর ছেলে আঙ্গুর (২৫)।

এ সময় আঙ্গুর তানহাকে কুপ্রস্তাব দেয়। সিফাত এতে নিষেধ করে। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আঙ্গুর সিফাতকে মারধর করে টাকা দাবি করে। পরে সে উত্তেজিত হয়ে আঙ্গুরকে কুপিয়ে আহত করে। মারামারির বিষয়ে মামলা চলমান রয়েছে। লোকলজ্জায় গত ৬ এপ্রিল রাতে তানহা নিজ ঘরে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

এসব বিষয়ে গ্রামীণ সালিস দরবার হওয়ার কথা ছিল। সালিস দরবারে আমাকে ও আমার ছেলেকে এটা করবে ওটা করবে বলে বিভিন্নভাবে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতো। দরবারে গেলে জমির দলিল নিয়ে যেতে বলতো। এসব মানসিক চাপ সইতে না পেরে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ছেলে সিফাত। আমি এর বিচার দাবি করছি।

শিবপুর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও তদন্তের পর আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।


আত্মহত্যা   প্রেমিক-প্রেমিকা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মাদক পাচার বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দিলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৩:৩২ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পশ্চিম ভারত মহাসাগর অঞ্চলে মাদক পাচার এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার বিষয়ক প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। বৃহস্পতিবার মরিশাসের বালাক্লাভায় ইন্টারকন্টিনেন্টাল রিসোর্ট-এ মরিশাস আয়োজিত এ সম্মেলনে যোগ দেন তিনি।

সম্মেলনে বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী ও প্রতিনিধিদলের প্রধানরা মাদক পাচার ও মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার মোকাবিলার কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো এবং একটি আঞ্চলিক ড্রাগ অবজারভেটরি স্থাপনের মাধ্যমে ড্রাগ রেসপন্স সমন্বয়ের জন্য নেতৃস্থানীয় জাতীয় সংস্থাগুলোর একটি নেটওয়ার্ক স্থাপনের ওপর সম্মেলনে গুরুত্বারোপ করা হয়।

সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা যে চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন তা হলো- তরুণদের মাদক ব্যবহারের অধিক ঝুঁকি, আইনের প্রয়োগ এবং আন্তঃসীমান্তীয় নিরাপত্তা অস্থিতিশীল করার ঝুঁকি, অবৈধ আর্থিক প্রবাহ, আন্তর্জাতিক অপরাধ, পরিবার এবং সামাজিক শান্তি বিনষ্টকরণ, আইনহীন অঞ্চল সৃষ্টি, সমুদ্র নিরাপত্তার হুমকি, সিন্থেটিক ওষুধের ক্রমবর্ধমান হুমকি, আইনি কাঠামোর ত্রুটি এবং মাদক উৎপাদন ও ঔষধের বাজারের ক্রমবর্ধমান পরিমাণ।

উল্লিখিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা যেসব প্রস্তাব করেন তা হলো- সমুদ্র নজরদারি বৃদ্ধি এবং আন্তঃসীমান্তীয় সহযোগিতার উন্নয়ন, মাদক পাচারের নেটওয়ার্ক ব্যাহত এবং ধ্বংস করার জন্য এ সংক্রান্ত সব দলের অংশীদারিত্ব, পৃথক আঞ্চলিক দায়িত্ব গ্রহণ, ভারত মহাসাগর কমিশন (আইওসি) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত আঞ্চলিক সমুদ্র নিরাপত্তার বিষয়ে অংশীদারদের একত্রিত করা, বিশ্বব্যাপী প্রশিক্ষণ এবং ভারত মহাসাগরের দেশগুলোর মধ্যে পুলিশি এবং কাস্টমস সহযোগিতাসহ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।

সম্মেলনে আরও যে সুপারিশগুলো উঠে আসে তা হলো- ড্রাগ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের কৌশল পুনর্বিবেচনা এবং নবায়ন, আইনি কাঠামো এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা পর্যালোচনা, আইওসি এবং জাতিসংঘের ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম দপ্তরের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সাথে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় কাজ করা, যারা সফলভাবে মাদক পাচার এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার মোকাবিলা করেছে তাদের উদাহরণ অনুসরণ করে মাদকের অপব্যবহার এবং সামগ্রিকভাবে সংঘবদ্ধ অপরাধ হ্রাস করতে টেকসই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি।

সম্মেলনের বিরতিতে মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ জগন্নাথের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এবং তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে মরিশাসের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

২৪টি দেশ ও ২৬টি আন্তর্জাতিক সংস্থা এ সম্মেলনে অংশ নেয়। সম্মেলনের শেষ সময় মাদক পাচার ও মাদকদ্রব্যের অপব্যবহারের ওপর প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের ঘোষণা গৃহীত হয়।


তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী   মোহাম্মদ আলী আরাফাত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তাপপ্রবাহ: রেলের মাঠ পর্যায়ে কর্মরতদের জন্য ৫ নির্দেশনা

প্রকাশ: ০১:১৭ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে নিজেকে সুরক্ষার জন্য মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৫টি নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের দু’টি প্রশাসনিক অঞ্চল থেকে সম্প্রতি প্রকাশ করা আলাদা আলাদা বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের চিফ মেডিকেল অফিসার (পূর্বাঞ্চল) ডা. ইবনে সফি আব্দুল আহাদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষায় নিচের উপায়গুলো অনুসরণের অনুরোধ করা হলো—

১. পানিশূন্যতা থেকে রক্ষার জন্য প্রচুর পানি পান করুন। অতিরিক্ত ঘাম হলে নিষেধ না থাকলে পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইন পান করুন। তৃষ্ণাবোধ না করলেও নির্দিষ্ট সময় অন্তর পানি পান করতে হবে।

২. ঠান্ডা পানি ও বরফ পানি পান থেকে বিরত থাকুন।

৩. সুতির ঢিলেঢালা পোশাক ব্যবহার করুন। বাইরে বের হওয়ার সময় ছাতা, টুপি ব্যবহার করুন।

৪. খাবারের মেন্যুতে আমিষ ও চর্বি জাতীয় খাবার কমিয়ে শাকসবজি বাড়াতে হবে।

৫. শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি, ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্টের রোগী এবং হৃদরোগের ওষুধ সেবন করেন এমন ব্যক্তির এই আবহাওয়ায় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। 

বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার স্বাক্ষরিত আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতেও এই পাঁচ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে এর সঙ্গে সূর্যের আলো থেকে চোখ সুরক্ষার জন্য সানগ্লাস ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।


তাপপ্রবাহ   রেল মন্ত্রণালয়   মাঠ কর্মরতা   নির্দেশনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চলতি বছরই থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ১২:২৬ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করার জন্য থাইল্যান্ডকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের কাছে থাইল্যান্ড একটি সম্ভাবনাময় অংশীদার। চলতি বছরই দেশটির সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই হবে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের কাছে থাইল্যান্ড একটি সম্ভাবনাময় অংশীদার। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সমুদ্র বন্দর কেন্দ্রিক যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।

সকালে থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউসে যান শেখ হাসিনা। এ সময় থাই প্রধানমন্ত্রী জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাকে স্বাগত জানানো হয়।

এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে থাই কুহ ফাহ বিল্ডিংয়ের সামনের লনে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। এ সময় থাইল্যান্ডের সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল কর্তৃক প্রদত্ত গার্ড অব অনার পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে স্রেথা থাভিসিন তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের শেখ হাসিনার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। শেখ হাসিনা পরে সরকারি ভবনের অতিথি বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

বৈঠক শেষে সরকারি বাসভবন ত্যাগের আগে শেখ হাসিনা সেখানে আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এর আগে, গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) ৬ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে থাইল্যান্ডে পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে পৌঁছলে বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনায় বরণ করে নেওয়া হয়। থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত মন্ত্রী পুয়াংপেট চুনলাইদ অভ্যর্থনা জানান।


থাইল্যান্ড   বাংলাদেশ   বাণিজ্য চুক্তি   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক

প্রকাশ: ১২:০৭ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউসে যান তিনি। এ সময় থাই প্রধানমন্ত্রী জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে থাই কুহ ফাহ বিল্ডিংয়ের সামনের লনে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। এ সময় থাইল্যান্ডের সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল কর্তৃক প্রদত্ত গার্ড অব অনার পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী।

পরে স্রেথা থাভিসিন তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের শেখ হাসিনার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। শেখ হাসিনা পরে সরকারি ভবনের অতিথি বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

এ বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করতে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক নথিতে স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে।

বৈঠক শেষে সরকারি বাসভবন ত্যাগের আগে শেখ হাসিনা সেখানে আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এর আগে গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) ৬ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে থাইল্যান্ডে পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে পৌঁছলে বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনায় বরণ করে নেওয়া হয়। থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত মন্ত্রী পুয়াংপেট চুনলাইদ অভ্যর্থনা জানান।


থাইল্যান্ড প্রধানমন্ত্রী   দ্বিপক্ষীয় বৈঠক   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন