ইনসাইড বাংলাদেশ

আজ সংসদে পাস হতে যাচ্ছে ইসি গঠন বিল

প্রকাশ: ১২:১৯ পিএম, ২৭ জানুয়ারী, ২০২২


Thumbnail আজ সংসদে পাস হতে যাচ্ছে ইসি গঠন বিল

নানা আলোচনা-সমালোচনা মাঝেও আজ সংসদে পাস হতে যাচ্ছে প্রধান নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন বিল। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি উত্থাপন করবেন।  প্রক্রিয়া শেষে কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হবে। সব মিলিয়ে ১০ দিনের মধ্যে বিলটি পাসের প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) সংসদ সচিবালয়ের ওয়েবসাইটে আজকের কার্যসূচি থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

সংসদের আজকের কার্যসূচিতে সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের নিমিত্তে বিধান প্রণয়নকল্পে আনিত ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল, ২০২২’ পাসের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।  

গতকাল বুধবার (২৬ জানুয়ারি) আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে বিলটির দুটি ধারায় আংশিক পরিবর্তনের সুপারিশ করে সংসদে প্রতিবেদন জমা দেয়। সংসদের বৈঠকে সুপারিশসহ বিলটির ওপর সংশোধিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার।

এর আগে ১৭ জানুয়ারি মন্ত্রীসভার বৈঠকে এ সংক্রান্ত খসড়া আইনটি নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর গত রোববার সংসদের বৈঠকে তা বিল আকারে উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। উত্থাপনের পর আপত্তি জানান বিরোধী দল বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ ও রুমিন ফারহানা। 
 
গতকাল বুধবার রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়েও এই বিলের সমালোচনা করেন সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির দুই সদস্য ফখরুল ইমাম ও ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী।

সমালোচনা করেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। এ ছাড়া সংসদের বাইরেও এ বিলের বিভিন্ন ত্রুটি ও অপূর্ণতা নিয়ে নাগরিক সমাজসহ বিভিন্ন মহল জোরালো বক্তব্য দিয়ে আসছে। সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে এ সংক্রান্ত আইন প্রণয়নের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি ইসি গঠন করবেন- এমন নির্দেশনা থাকার পরও দীর্ঘ ৫০ বছরে কোনো সরকারই এই আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়নি। দেশে ইসি গঠনে প্রথমবারের মতো একটি নতুন আইন হতে যাচ্ছে।

এর আগে রোববার ৭ দিনের সময় দিয়ে বিলটি সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছিল। কমিটি দুই ঘণ্টার এক বৈঠকে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) বিলটি পাসের জন্য সংসদের বৈঠকে উত্থাপন করতে যাচ্ছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

নির্বাচন কমিশন গঠন আইনের খসড়ায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের যোগ্যতা-অযোগ্যতার অংশে দুটি পরিবর্তনের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। সংসদে উত্থাপিত বিলে সিইসি ও কমিশনারদের যোগ্যতা সংক্রান্ত ৫(গ) ধারায় বলা আছে, সিইসি ও কমিশনার হতে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি বা বেসরকারি পদে তার অন্যূন ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ধারায় সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি বা বেসরকারি পদের পাশাপাশি 'স্বায়ত্তশাসিত ও পেশায়' শব্দ দুটি যুক্ত করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

অর্থাৎ সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার পদে সার্চ কমিটি এমন কাউকে সুপারিশ করবে, যার কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি বা বেসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত পদে বা পেশায় অন্যূন ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা আছে। আর অযোগ্যতার ক্ষেত্রে ৬ (ঘ) ধারায় বলা আছে, নৈতিক স্খলজনিত ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বছরের কারাদণ্ড প্রাপ্ত হলে সিইসি ও কমিশনার হওয়া যাবে না।

এই ধারায় 'দুই বছরের কারাদণ্ড ' শব্দের পরিবর্তে শুধু কারাদণ্ডের সুপারিশ করেছে কমিটি। অর্থাৎ, নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে যে কোনো মেয়াদের সাজা হলেই তিনি সিইসি বা কমিশনার হওয়ার ক্ষেত্রে অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন।

আগের সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠনের বৈধতা প্রদান

আজ পাস হতে যাওয়া বিলটিতে এর আগে সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠন করা সর্বশেষ দুটি ইসি গঠনেরও বৈধতা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে| এতে বলা হয়েছে, এর আগে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গঠিত সার্চ কমিটি, তাদের কাজ এবং তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে সিইসি ও কমিশনার নিয়োগ বৈধ ছিল বলে গণ্য হবে এবং এ বিষয়ে আদালতে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না|

সার্চ কমিটি গঠন ও এর কর্মপ্রক্রিয়া

বিলে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করবেন। সিইসি ও কমিশনার হিসেবে নিয়োগের জন্য প্রতিটি পদের বিপরীতে দুই জন করে মোট ১০ জনের নাম প্রস্তাব করার জন্য একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করবেন রাষ্ট্রপতি। অনুসন্ধান কমিটির সভাপতি হবেন প্রধান বিচারপতির মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি। আর সদস্য হিসেবে থাকবেন প্রধান বিচারপতির মনোনীত হাইকোর্টের একজন বিচারপতি, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান এবং রাষ্ট্রপতির মনোনীত দুজন বিশিষ্ট নাগরিক। বিলটিতে বলা হয়, সার্চ কমিটি স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার নীতি অনুসরণ করে দায়িত্ব পালন করবে। আইনে বেঁধে দেওয়া যোগ্যতা, অযোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও সুনাম বিবেচনা করে সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করবে। কমিটি গঠনের ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সুপারিশ রাষ্ট্রপতির কাছে দেবে। খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সার্চ কমিটি সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার পদে যোগ্যদের অনুসন্ধানের জন্য রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সংগঠনের কাছ থেকে নাম আহ্বান করতে পারবে। আর কমিটির কাজে সাচিবিক সহায়তা দেবে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ।

এদিকে গতকাল সংসদের বৈঠকে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, সরকার দেরিতে হলেও নির্বাচন কমিশন নিয়োগের আইন এনেছে। কিন্তু আইনটি অসম্পূর্ণ এবং এটা সংশোধন করতে হবে। না হলে বিতর্ক অব্যাহত থাকবে।

জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম বলেন, একটা আইন নিয়ে এসেছেন। এটা জনগণের দাবি ছিল। এ জন্য ধন্যবাদ। তবে সংবিধানের ৪৮(৩) অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগ এই দুটি কাজ রাষ্ট্রপতি করতে পারেন। অন্য সব দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করবেন। একটি নতুন আইন করা হচ্ছে, এখানে নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি। সংবিধানে ৪৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি এই নিয়োগ দিতে পারেন কি না, তা আমি জানি না। এটা দেখতে হবে। অন্ততপক্ষে এখানে আইনের প্রাধান্য দেওয়া উচিত।

ইসি গঠন আইন   সংসদ অধিবেশন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিল মারা ব্যালটসহ ইউপি চেয়ারম্যানের ফেসবুকে পোস্ট

প্রকাশ: ১১:৩৬ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গোপন কক্ষে সিল মারা ব্যালটের সঙ্গে ছবি তুলেছেন আশরাফুল ইসলাম নামে এক ইউপি চেয়ারম্যান। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যক্তিগত আইডিতে পোস্ট করেছেন।

এছাড়াও বিজয়ী উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর আইডির পোস্টসহ বিভিন্ন আইডিতে কমেন্ট করেছেন তিনি। তবে বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইল থেকে পোস্টটি সরিয়ে নেন।

জানা গেছে, আশরাফুল ইসলাম তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, এছাড়াও তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। বুধবার (৮ মে) জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের মাঝিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি।

খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম আচরণবিধি অমান্য করে মোবাইল নিয়ে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। পরে ভোট দেওয়ার গোপন বুথে গিয়ে ব্যালটে সিল মেরে সেখানেই ব্যালটসহ ছবি (সেলফি) তুলেন তিনি। বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ব্যক্তিগত আইডিতে পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যায়, তিনি সিল মারা ব্যালট এক হাতে ধরে আরেক হাতে সেলফিটি তুলেছেন এবং সেই ছবি আপলোড দিয়ে লেখেন ‘ভালোবাসা নেতার পেছনে যায় না, যায় ভালোবাসার পেছনে।’

এর আগেও এই জনপ্রতিনিধি গত ৭ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করে সিল মারা ব্যালটের ছবি তুলে সামাজিকে যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন।  এ বিষয়ে শালবাহান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, ভোট কেন্দ্রে গোপন বুথে প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার ছবি তোলা বেআইনি ও কোনো ভোটার মোবাইল ফোন নিয়ে ভোটকক্ষে প্রবেশ ও তা ব্যবহার করা যাবে না। তবে ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রিজাইটিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা থাকা অবস্থায় একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে কীভাবে এমন আইন ভঙ্গ হলো এ বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনা ও সমালোচনা দেখা দিয়েছে স্থানীয় মানুষেদের মাঝে। একজন ভোটার কর্তৃক এরূপ কর্মকাণ্ড উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এবং উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর পরিপন্থী এবং শাস্তিযোগ্য একটি অপরাধ।

এদিকে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফজলে রাব্বি জানান, একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বশীল পদে থাকা অবস্থায় তিনি যে কাজটি করেছেন সেটি ঠিক নয়। বিষয়টি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দেখবেন। তবে, বিষয়টি আমাদের নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমি উপজেলা নির্বাচন ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে অবগত করেছি। বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছেন।


সিল   ব্যালট   ইউপি   চেয়ারম্যান   ফেসবুক   পোস্ট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

প্রকাশ: ১১:০৬ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (১০ মে) সকাল ১০টা ৫ মিনিটে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণের পর তার সম্মানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর চৌকস সদস্যরা গার্ড অব অনার প্রদান করে।

এরপর বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্ট নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে স্বাধীনতার জন্য আত্মদানকারী শহীদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।

মোনাজাতে প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানাসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকালে সড়কপথে গোপালগঞ্জ আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পরে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দাড়িয়াকুল গ্রাম উন্নয়ন সমিতির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং সুবিধা বঞ্চিতদের মাঝে কৃষি ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করবেন।

পরে তিনি টুঙ্গিপাড়া উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। বিকেলে সড়ক পথে ঢাকায় ফিরে আসবেন তিনি।


টুঙ্গিপাড়া. বঙ্গবন্ধু. প্রধানমন্ত্রী   শ্রদ্ধা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রবাসীদের সুখবর দিল মালয়েশিয়া হাইকমিশন

প্রকাশ: ০৯:০৭ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

মালয়েশিয়ার প্রবাসীদের সুখবর দিল হাইকমিশন। দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশিদের জন্য পেনাং জোহরবারু প্রদেশে পোস্ট অফিসের পাশাপাশি দিন হাতে হাতে পাসপোর্ট ডেলিভারি দেবে হাইকমিশন। সম্প্রতি পাসপোর্ট ভিসা কাউন্সেলর মিয়া মোহাম্মদ কিয়ামউদ্দিন সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ হাইকমিশন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ১৮ ১৯ মে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পেনাং জর্জ টাউনের বাংলাদেশ অনারারি কনস্যুলেট অফিস থেকে সরাসরি পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন বাংলাদেশিরা। এই জন্য আগামী ১৫ মে মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

সেই সঙ্গে আগামী ২৫ ২৬ মে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জহুর বারুর অগ্রণী রেমিট্যান্স হাউস থেকে সরাসরি পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন বাংলাদেশিরা। এই জন্য আগামী ২২ মে মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

যেসব পাসপোর্ট আবেদনকারীর তথ্য অনলাইনে থাকবে শুধু তারাই সরাসরি উপস্থিত হয়ে হাতে হাতে পাসপোর্ট গ্রহণ করতে পারবেন। ছাড়াও পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পাসপোর্ট বিতরণের সার্ভিসটিও যথারীতি চালু থাকবে। নির্ধারিত স্থান থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য https://appointment.bdhckl.gov.bd/other ঠিকানায় গিয়ে অনলাইনে অ্যাপয়েনমেন্ট গ্রহণ করতে হবে। একইসঙ্গে পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য ডাকযোগ সেবাটি চালু থাকবে।

 

 


প্রবাসী   সুখবর   মালয়েশিয়া   হাইকমিশন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: গজারিয়ায় সংঘর্ষ, মামলায় ২শ আসামি

প্রকাশ: ০৮:৪০ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হোসেন্দী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালটপেপার ছিনতাইয়ের চেষ্টা, অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় হোসেন্দি ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠুকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আরও দুইশো ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।  

গজারিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক এসআই জাহিদ বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও দেড়শো থেকে দুইশো জনকে আসামি করে গজারিয়া থানায় এ মামলা দায়ের করেন। গতকাল বিকেলে মামলাটি দায়ের করা হয়। এ মামলায় একজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।  

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের সময় দুপুর দেড়টার দিকে কেন্দ্র দখলে নিয়ে একাধিক ব্যালটপেপারে সিল মারেন আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলামের সমর্থকরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে ব্যালটে মারার সিল লুট করে নিয়ে যান তারা।

পরে ওই কেন্দ্রে দুপুর ১টা ৫৫ মিনিট থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখেন কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং অফিসার। বিকাল ৩টা ২৫ মিনিটের দিকে আবার ভোটগ্রহণ শুরু করা হলে কেন্দ্রের বাইরে থাকা দেড়শো থেকে দুইশো কর্মী সমর্থক জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যন্ড অপারেশন) মোহাম্মদ বদিউজ্জামানের ওপর হামলা করেন। ভাঙচুর করা হয় তার ব্যবহৃত সরকারি গাড়ি। হামলা ঠেকাতে গিয়ে ইট-পাটকেলের আঘাতে আহত হন পুলিশের দুই সদস্য সাদ্দাম (২৪) ও সোহাগ (২৫)। 

ঘটনা শুনে কেন্দ্রের ভেতরে থাকা পুলিশ সদস্যরা বাইরে বেরিয়ে এলে তাদের ওপর ইট-পাটকেল, লাঠি-সোটা, হাতবোমা নিক্ষেপ করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে আবার কেন্দ্রের দখল নেয়ার চেষ্টা করেন ওই কর্মী-সমর্থকরা। এসব ঘটনার উসকানি ও নেতৃত্ব দেন হোসেন্দি ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু।  

পুলিশ বারবার তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৭৪ রাউন্ড রাবার বুলেট ও বেশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ।

গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব খান মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলার এজাহারে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও দেড়শো থেকে দুইশো জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মাসুম (২৫) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


উপজেলা নির্বাচন   সংঘর্ষ   মামলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পাইলট অসীম জাওয়াদ মানিকগঞ্জে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন

প্রকাশ: ০৮:৩৫ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

চট্টগ্রামে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পাইলট অসীম জাওয়াদকে মানিকগঞ্জে দাফন করা হবে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাতে নিহতের পারিবারিক সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।

নিহত বৈমানিক অসীম মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দরগ্রাম ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের ডা. মোহাম্মদ আমানউল্লার ছেলে। তার মায়ের নাম নিলুফা খানম। নিহত পাইলট মৃত্যুকালে স্ত্রী, ছয় বছর বয়সী কন্যা আইজা ও এক পুত্র সন্তানের জনক ছিলেন। একমাত্র ছেলের মৃত্যুর খবর শোনে কান্না থামছে না মা নিলুফা খানমের। ছেলে হারিয়ে বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন। ছেলের এমন মৃত্যু কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা জহুরুল হক বিমান ঘাঁটির থেকে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান উড্ডয়ন করে। এর কিছুক্ষণ পরই বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় এবং বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। কর্ণফুলী নদীতে ভূপাতিত হওয়ার আগেই বিমানে থাকা বৈমানিক উইং কমান্ডার সোহান ও বৈমানিক স্কোয়াড্রন লিডার অসীম জাওয়াদ প্যারাসুট দিয়ে নদীতে নামলেও দুজন আহত হন।

পরে তাদের উদ্ধার করে পতেঙ্গা বিএনএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিমানের উইং কমান্ডার সোহান জহুরুল হক ঘাঁটির মেডিকেল স্কোয়াড্রনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে বিমান বিধ্বস্তর ঘটনায় বৈমানিক অসীম জাওয়াদ বিএনএস পতেঙ্গা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

১৯৯২ সালের ২০ মার্চ আসীম জাওয়াদ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ থেকে এসএসসি  এবং এইচএসসি পাস করেন। ২০১০ সালের ১০ জানুয়ারি তিনি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে যোগদান করেন এবং ১ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে ক্যাডেটদের জন্য সর্বোচ্চ সম্মান সোর্ড অব অনার প্রাপ্তিসহ জিডি (পি) শাখায় কমিশন লাভ করেন।

চাকরিকালীন তিনি দেশ-বিদেশে পেশাগত বিভিন্ন কোর্সে অংশগ্রহণ করে সফলতার সঙ্গে তা সম্পন্ন করেন। তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস থেকে এভিয়েশন ইন্সট্রাক্টর্স পোস্টগ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন। এছাড়া তিনি চীন থেকে ফাইটার পাইলটস ফাউন্ডেশন ট্রেনিং কোর্স, ভারত থেকে অপারেশনাল ট্রেনিং ইন এভিয়েশন মেডিসিন ফর ফাইটার পাইলটস কোর্স, বেসিক এয়ার স্টাফ কোর্স ও কোয়ালিফায়েড ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টর্স কোর্স সম্পন্ন করেন।

তিনি পেশাদারি দক্ষতা ও সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘মফিজ ট্রফি’, ‘বিমানবাহিনী প্রধান ট্রফি’ ও বিমানবাহিনী প্রধানের প্রশংসাপত্র লাভ করেন। এ ছাড়া ভারতীয় বিমানবাহিনীতে কোর্সে অংশগ্রহণ করে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ ইন্ডিয়ান এয়ার অর্জন করেন।

 


পাইলট   অসীম   মানিকগঞ্জ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন