ইনসাইড বাংলাদেশ

এনআরবিসি কমার্শিয়াল ব্যাংকে হরিলুট

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০৮ এএম, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৭


Thumbnail

নতুন প্রজন্মের এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংকে নতুন চেয়ারম্যান হলেন মস্কো প্রবাসী উদ্যোক্তা তমাল এস পারভেজ। এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই ব্যাংকের এমডিকে অপসারিত করে। নতুন পরিচালনা পর্ষদ কতটা দক্ষতার সঙ্গে এই ব্যাংক চালাবে, এখন তা দেখার বিষয়। তবে এই ব্যাংকটিকে একাই ‘ঝুঁকিগ্রস্ত’ ব্যাংকে পরিণত করেছেন মার্কেন্টাইল ব্যাংকের চেয়ারম্যান শহীদুল আহসান।

তিনি এনআরবিসি বা এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের একজন গ্রাহকমাত্র। ব্যাংক পরিচালনার পাশাপাশি শহীদুল আহসান পুরো এনআরবিসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ এবং ব্যবস্থাপনায় প্রভাব বিস্তার করেছেন দীর্ঘদিন। 

এনআরবিসি ব্যাংকের ওপর করা বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। সেখানে বলা হয়, এনআরবিসি ব্যাংক আইন না মেনে শহীদুল আহসানকে ঋণ দিয়েছে, আইন লঙ্ঘন করে বেনামি শেয়ার কিনেছেন শহীদুল আহসান এবং অবৈধভাবে তিনি ব্যাংকটির পর্ষদ সভায়ও অংশ নিয়েছেন।

শহীদুল আহসানের কার্যকলাপগুলোকে আলাদাভাবে বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রয়োজনীয় সহায়ক জামানত ছাড়াই তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট দুটি প্রতিষ্ঠানকে এনআরবিসি ৩০১ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে, যা ব্যাংকটির মূলধনের ৫৬ শতাংশ। বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘একক গ্রাহকের ঋণসীমা’ নীতির লঙ্ঘন এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তার বেনামি শেয়ার বাজেয়াপ্ত হওয়ার যোগ্য।

আওয়ামী লীগ সরকার সর্বশেষ যে নয়টি ব্যাংকের লাইসেন্স দেয়, এনআরবিসি ব্যাংক তারই একটি। ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল এ ব্যাংকের ইচ্ছাপত্র (এলওআই) দেওয়া হয় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা ফরাসত আলীর নামে। তবে প্রতিষ্ঠাকালে ব্যাংকটিতে ২০ পরিচালকের নাম থাকলেও নানা কৌশলে ৫ জনকে বাদ দেওয়া হয়েছিলো।

তারা হলেন- জার্মানিপ্রবাসী প্রকৌশলী আবু মোহাম্মদ তুষার ইকবাল রহমান, কানাডায় একটি কোম্পানির ভাইস প্রেসিডেন্ট ফিরোজ হায়দার খান, ফিনল্যান্ডে একটি কোম্পানির সিইও তমাল এস এম পারভেজ, রাশিয়ায় তিনটি কোম্পানির অন্যতমমালিক রফিকুল ইসলাম মিয়া আরজু এবং যুক্তরাজ্যে তিনটি কোম্পানির এমডি মোহাম্মদ আদনান ইমাম।

শহীদুল আহসানের ব্যবসায়িক গ্রুপের নাম আহসান গ্রুপ (এজি)। এনআরবিসি ব্যাংক এ গ্রুপের প্রতিষ্ঠান এজি এগ্রোকে বাংলাদেশ ব্যাংকের আপত্তি সত্ত্বেও ১৮৩ কোটি টাকা ঋণ দিয়ে আমানতকারীদের অর্থ ঝুঁকিগ্রস্ত করেছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। একাধিক ব্যাংক থেকে আগেও বিপুল অঙ্কের ঋণ নেওয়া আছে এজি এগ্রোর।

ঋণের বিপরীতে এজি এগ্রো যে কিস্তি দিয়ে যাচ্ছে, তার উৎস নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের। কারণ, কিস্তির অর্থ এসেছে এনআরবিসি ব্যাংকের উত্তরা শাখার গৃহনির্মাণ ঋণগ্রহীতা আজিজ চৌধুরী, তার পুত্র সালাউদ্দিন চৌধুরী ও তারেক চৌধুরী এবং এ পরিবারেরই মালিকানাধীন স্টাইলিশ গার্মেন্টসের ঋণ হিসাব থেকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সন্দেহ, এজি এগ্রো কিস্তি দিচ্ছে বিভিন্ন নামে নেওয়া তারই ঋণের অর্থ থেকে।

এনআরবিসি ব্যাংকের পরিচালক কামরুন নাহারের বিকল্প পরিচালক এ কে এম শফিকুল ইসলাম এবং এ বি এম আবদুল মান্নানের বিকল্প পরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুক। বিকল্প দুইপরিচালকই এজির পরিচালক ও উপদেষ্টা। নিয়ম লঙ্ঘন করে তাদের উপস্থিতিতেই এজি এগ্রোর ঋণ অনুমোদন করে পর্ষদ।

আহসান গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বেগমগঞ্জ ফিড মিলকে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ১১৮ কোটি টাকা ঋণ দেয় ব্যাংকটির নোয়াখালীর চন্দ্রগঞ্জ শাখা। বাংলাদেশ ব্যাংক দেখেছে, ঋণ আবেদনপত্রেসিল, স্বাক্ষর ও তারিখ নেই। ঋণ দিতে শাখা সুপারিশও করেনি।

এ নিয়ে ব্যাংকের তৎকালীন বিকল্প পরিচালক এ এম সাইদুর রহমান এক চিঠিতে এনআরবিসি ব্যাংককে জানিয়েছিলেন, ‘নোয়াখালীর এক প্রত্যন্ত এলাকায় জমির যে মূল্য দেখানো হয়েছে, তা শুধু অতি মূল্যায়ন নয়, একে অদ্ভুতুড়ে কাণ্ডকারখানা হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।’

বেগমগঞ্জ ফিডকে এজির স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বলে স্বীকার করতে চান না শহীদুল আহসান। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, এজি এগ্রো ও বেগমগঞ্জ ফিডের ঠিকানা একই অর্থাৎ ৭৬, মহাখালী।বেগমগঞ্জ ফিডের নামে নেওয়া ঋণের ছদ্মাবরণে সুবিধাভোগী হচ্ছে এজি এগ্রো। শহীদুল আহসানের ভাই শফিকুল আহসান ও মিরাজুল আহসান বেগমগঞ্জ ফিডের পরিচালক। দুই প্রতিষ্ঠানই একে অন্যের হিসাবে বিপুল অর্থ স্থানান্তর করেছে।

আবার এজির মালিকানাধীন মেরিডিয়ান ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের ওয়েবসাইটে বেগমগঞ্জ ফিডকে এজির সহযোগী প্রতিষ্ঠান দেখানো হয়েছে। মেরিডিয়ান ফাইন্যান্সে এজির মনোনীত পরিচালক শফিকুল আহসান। তিনি বেগমগঞ্জ ফিডের এমডি ছিলেন। ঋণ অনুমোদনের পরই ২০১৬ সালের ১৫ডিসেম্বর শফিকুল আহসানকে এমডি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এনআরবিসি ব্যাংকে শহীদুল আহসানের বেনামি শেয়ারও রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কামরুন নাহার, এ বি এম আবদুল মান্নান ও আমির হোসেন—এনআরবিসি ব্যাংকে এতিন পরিচালকের বিনিয়োগের টাকা এসেছে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে। এ শাখায় তাঁদের নামে সঞ্চয়ী ও ফরেন কারেন্সি (এফসি) হিসাব খোলা হয় তাদের অনুপস্থিতিতে।

দেশের নয়টি ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে দেশ ছেড়েছেন চট্টগ্রামের দুই ভাই মিজানুর রহমান শাহীন ও মজিবুর রহমান মিলন। মিজানুর রহমান শাহীনের স্ত্রী কামরুন নাহার নিজেও একজন ঋণখেলাপি। তাদের কাছে মার্কেন্টাইল ব্যাংকেরই পাওনা ৩০০ কোটি টাকা। অথচ খেলাপি ঋণের তথ্য গোপন রেখে ব্যাংক কোম্পানি আইনের ১৫(৬)(ঊ) ধারার লঙ্ঘন করে কামরুননাহার এনআরবিসি ব্যাংকের পরিচালক হন।

কামরুন নাহার ২০০৯ সালের পর থেকে দেশে ছিলেন না। কানাডা থেকে দেশে এসেছেন তিনি গত মাসে। দেশে না থাকলেও কামরুন নাহারের সই জাল করে আটটি পর্ষদ বৈঠকে তিনি এবং এ বি এমআবদুল মান্নান উপস্থিত ছিলেন বলে দেখানো হয়। আবার কামরুন নাহারের পক্ষে ২০১৬ সালের ১৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত এনআরবিসি ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) অংশ নেন শহীদুল আহসান।

কামরুন নাহার এবং এ বি এম আবদুল মান্নানের ২০১৫ সালের লভ্যাংশের অর্থ ২০১৬ সালের ২ মে তাদের সঞ্চয়ী হিসাবে জমা হয়। একই দিন দুজনের টাকা তুলে নেন এজির কর্মকর্তা ওমর ফারুক।

কামরুন নাহারের অংশ শহীদুল আহসানের ব্যক্তিগত হিসাবে এবং এ বি এম আবদুল মান্নানের অংশ এজির আরেক সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্রিন প্রোপার্টি ডেভেলপমেন্টের হিসাবে জমা দেন। দুই দিনপরই কামরুন নাহারের হিসাব থেকে আসা টাকা তুলে নেন শহীদুল আহসান।

বাংলাদেশ ব্যাংকের
প্রতিবেদন মতে, ২০১৬ সালের ২৪ জুলাই অনুষ্ঠিত এনআরবিসি ব্যাংকের পর্ষদ সভায় কামরুন নাহারের অনুপস্থিতিতে তার শেয়ার হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত হয়। তার এক সপ্তাহ আগে এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ফরাসত আলীর কাছে কামরুন নাহারের নামে একটি আবেদন আসে, যাতে দুবাইপ্রবাসী ব্যবসায়ী মো. হারুনের নামে কামরুন নাহারের শেয়ার হস্তান্তরের কথা বলা হয়।
আবেদনে মো. হারুনের ঠিকানা দেওয়া হয় মহাখালীর আহসান টাওয়ার। ফরাসত আলী পর্ষদ সচিবের কাছে এই আবেদনের উৎস জানতে চেয়েও জবাব পাননি। তবে এনআরবিসি ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, এটা ভুয়া আবেদন।

কামরুন নাহারের ব্যক্তিগত ইমেইল ঠিকানা থেকে ফরাসত আলীর কাছে ২০১৬ সালের ৪ ও ৫ অক্টোবর পাঠানো একাধিক ইমেইল বার্তা পরীক্ষা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কামরুন নাহার এসব বার্তায় তাঁর সশরীরে উপস্থিতি অথবা কানাডার বাংলাদেশ হাইকমিশনের লিখিত নিশ্চয়তা ছাড়া শেয়ার হস্তান্তর না করার আবেদন জানান।

মো. হারুনের নামে কামরুন নাহারের শেয়ার হস্তান্তরের বিষয়ে জানতে চাইলে শহীদুল আহসান বলেন, ‘মো. হারুন দুবাইয়ের এক ভদ্রলোক। তার শেয়ার কেনার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছিল। মনে হয় কামরুন নাহারকে দিয়ে কেউ অভিযোগ করিয়েছে।’

টিভি চ্যানেলে তিন কোটি টাকা
এনআরবিসি ব্যাংক থেকে পাওয়া কাগজপত্রে দেখা গেছে, ঢাকা বাংলা মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশনস চ্যানেলের (ডিবিসি) আয়ের অন্যতম জোগানদাতা শহীদুল আহসান। চ্যানেলটির এমডি তিনিএবং এর স্টেশনও আহসান টাওয়ারে।

চ্যানেলটির সঙ্গে বছরে ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা বিজ্ঞাপন দেওয়ার চুক্তি করেছে এনআরবিসি ব্যাংক। বিজ্ঞাপন বাবদ প্রতি মাসে ব্যাংকটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ করবে। এর সঙ্গে থাকবে ১৫শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও অন্যান্য খরচ। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে বিজ্ঞাপন চলছে।

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী ডিবিসির চেয়ারম্যান। আর ডিবিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ মনজুরুল ইসলাম—যিনি এনআরবিসি ব্যাংকেরও পরিচালক। বিজ্ঞাপন চেয়ে গত ৪ ডিসেম্বর ডিবিসি আবেদন করলে ব্যাংকের পর্ষদ দুই দিন পরই তা অনুমোদন করে দেয়।


বাংলা ইনসাইডার/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কারামুক্ত হলেন মাওলানা মামুনুল হক

প্রকাশ: ১২:১৯ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

জামিনে মুক্তি পেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। শুক্রবার (০৩ মে) সকাল ১০টার দিকে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়।

পরে রিজার্ভ গার্ডে তাকে বসিয়ে রাখা হয় এবং বেলা ১১টার দিকে কারাগারের মূল ফটক থেকে তিনি বের হয়ে যান। গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার মামুনুল হকের জামিনের কাগজপত্র কারাগারে এসে পৌঁছায়। পরে তা যাচাই-বাছাই শেষে আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে মাওলানা মামুনুল হককে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।

জানা গেছে, মামুনুল হকের জিম্মাদার অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী আসতে দেরি হওয়ায় তাকে প্রায় এক ঘণ্টা রিজার্ভ গার্ডে বসিয়ে রাখা হয়। পরে বেলা ১১ টার দিকে সাদা রঙের একটি গাড়িতে করে তিনি কারাগারের মূল ফটো থেকে বের হয়ে যান।

এ সময় মামুনুল হকের সঙ্গে ছিলেন তার ছেলে জিসান ও ভাগিনাসহ আরো কয়েকজন। এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে মামুনুল হক কারাগার থেকে মুক্ত পাবেন, এমন খবরে আলেম-ওলামারা কারা ফটকে ভিড় করেন। সন্ধ্যার পর থেকেই কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে ভিড় করতে শুরু করেন মামুনুল হকের সমর্থকরা।  


মাওলানা মামুনুল হক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: উঠান বৈঠকে বদির বিরুদ্ধে ফাঁকা গুলি ছোড়ার অভিযোগ

প্রকাশ: ১২:১৪ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

কক্সবাজারের টেকনাফের বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আলমের উঠান বৈঠকে তার সমর্থকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করার জন্য সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে ফাঁকা গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ১০টার দিকে উপজেলার হোয়াইক্ষং পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। 

উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম বলেন, আমি বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। আমার নির্বাচনী এলাকার হোয়াইক্ষং পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়ায় আমার একটি উঠান বৈঠক ও আলোচনা সভা ছিল। সেখানে হঠাৎ সাবেক এমপি বদি (আব্দুর রহমান বদি) চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফর আলমকে সঙ্গে নিয়ে আমার অনুষ্ঠানস্থলে এসে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেন।

তখন ভয়ে আমার সমর্থকরা পালিয়ে যায়। আমি জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিয়েছি। পরে সেখান থেকে বের হয়ে থানায় অভিযোগ করেছি। সাবেক এমপি বদি আমার সমর্থকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। যাতে কেউ আমার বিরুদ্ধে কাজ না করে। আমার জনপ্রিয়তা বদি সাহেব মেনে নিতে পারছেন না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফর আলম বলেন, গুলি ছোড়ার ঘটনা পুরাপুরি মিথ্যা। উল্টো নুরুল আলম আমার এক সমর্থককে ধরে নেওয়ার খবর শুনে আমি আর বদি ভাই (সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদি) সেখানে যাই।

টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গনী ঢাকা পোস্টকে বলেন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলমের একটি অনুষ্ঠানে ফাঁকা গুলি ছোড়ার ঘটনা শুনেছি। খবর পেয়ে আমাদের পুলিশের টিম সেখানে গিয়েছে। এ ঘটনায় নুরুল আলম একটি অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে কথা বলতে সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।


উপজেলা নির্বাচন   উঠান বৈঠক   অভিযোগ   সাবেক এমপি   আব্দুর রহমান বদি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গাজীপুরে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত বহু

প্রকাশ: ১১:২৩ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজীপুরের জয়দেবপুরে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে অন্তত অর্ধশতাধিক যাত্রী আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৩ মে) সকালে জয়দেবপুর স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। তবে টাঙ্গাইল কমিউটারে খুব বেশি যাত্রী ছিলেন না বলে জানা গেছে। জয়দেবপুর স্টেশনমাস্টার হানিফ মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে এসে গাজীপুর হয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। ট্রেনটি জয়দেবপুর স্টেশনের আউটার সিগনালে পৌঁছালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তবে টাঙ্গাইল কমিউটারে খুব বেশি যাত্রী ছিল না।


দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত সিলেটের নিম্নাঞ্চল

প্রকাশ: ১০:১৪ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল। একই সঙ্গে সুরমা, কুশিয়ারা, পিয়াইন, ধলাই ও সারিসহ বিভিন্ন নদনদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে। সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর কাইনাইঘাট পয়েন্টে ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। যা ছিল বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার ওপরে। রাত ৯টায় তা আরও বেড়ে ১১ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস জানান, পাহাড়ি ঢলের কারণে নদনদীতে পানি বাড়ছে। 

জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, জৈন্তাপুর উপজেলায় অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হয়। পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে টানা বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা (ফ্ল্যাশ ফ্লাড) পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: প্রভাব বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুপক্ষে সংঘর্ষ

প্রকাশ: ০৯:৪৭ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

বরিশালের গৌরনদীতে উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ তিনজন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৮টার দিকে উপজেলার বাটাজোর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গৌরনদী মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আহতরা হলেন, গৌরনদী উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য সাবেক পৌর মেয়র চেয়ারম্যান প্রার্থী হারিছুর রহমানের সমর্থক দেলোয়ার হোসেন দিলু, উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরীর সমর্থক ও মাহিলারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈকত গুহ পিকলু ও তার মোটরসাইকেলের চালক পলাশ হাওলাদার।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বাটাজোর ইউনিয়নের আ.লীগ নেতা আলতাফ হোসেন মারা গেছেন। রাতে তার জানাজায় অংশ নিতে বাটাজোর বাসস্ট্যান্ডে আসেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির হোসেন মিয়া ও ইউপি চেয়ারম্যান পিকলু। পরে সেখানে প্রতিপক্ষ হারিছুর রহমানের সমর্থকরাও আসেন। তখন দুইপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

আহত ইউপি চেয়ারম্যান পিকলুর স্ত্রী বিপাশা গুহ বলেন, আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে নেওয়ার পর হারিছুর রহমানের ক্যাডাররা পিকুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাসপাতাল ঘেরাও করে। তখন প্রধান গেট আটকে তাকে রক্ষা করা হয়।

তিনি বলেন, হামলাকারীরা গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। তারা হাসপাতাল কম্পাউন্ডে থাকা অ্যাম্বুলেন্সসহ সব যানবাহন সরিয়ে দেয়। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী ও পুলিশ সদস্যরা এসে আহতদের বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী বলেন, কুপিয়ে জখম হওয়া পিকলুকে বরিশাল হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স খবর দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিপক্ষের লোকজন হাসপাতাল ঘেরাও করে। তারা অ্যাম্বুলেন্সসহ সব যানবাহন আটকে দেয়। পরে পিকলুকে বরিশাল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

আহত দেলোয়ার হোসেন দিলুর ভাই বাটাজোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রব হাওলাদার বলেন, আমি অসুস্থ। কী ঘটেছে আমি জানি না। শুনেছি নির্বাচনি প্রচারে হামলা হয়েছে। এতে দিলু গুলিবিদ্ধ হয়েছে ও পিকলুকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে বলে শুনেছি।

আহত দেলোয়ার হোসেন দিলুর দাবি, ইউপি চেয়ারম্যান পিকুল তাকে গুলি করে। পরে স্থানীয়রা এসে প্রতিরোধ করলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শাহাদাত হোসেন বলেন, তিনজন জখম অবস্থায় এসেছেন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তিনজনকে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।


সংঘর্ষ   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন