নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:২৮ পিএম, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৭
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটনের টাইমস স্কয়ারের কাছে ভূগর্ভস্থ পথে বোমা হামলার অভিযোগে বাংলাদেশি আকায়েদ উল্লাহকে আটক করা হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার সকাল সাড়ে সাতটারদিকে (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা) ওই ঘটনা ঘটে। আর এর পরপরই আমেরিকায় অভিবাসন ব্যবস্থা কঠোর করার বিষয়ে নিজের অবস্থানের কথা পুনর্ব্যাক্ত করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর ঘটনার দিনেইনিউইয়র্কের ব্রুকলিনের বাঙালিদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় নিউইয়র্ক পুলিশ। এক আকায়েদ উল্লাহর কারণে বাংলাদেশিদের যুক্তরাষ্ট্রের যাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেনসংশ্লিষ্টরা।
নিউইয়র্কের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাতে সিএনএন জানিয়েছে, কর্মস্থলে বিস্ফোরকটি তৈরি করেছিলেন আকায়েদ উল্লাহ। প্রাথমিক তদন্তে এ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।আকায়েদ এটি স্বীকারও করেছেন। তবে কারিগরি ত্রুটির কারণে এটি পুরোপুরি বিস্ফোরণ হয়নি।
সোমবার দিনই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন অভিবাসন নীতি আরও কঠোর করার কথা পুণর্ব্যাক্ত করেন। আর মুসলমান দেশগুলো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ বিষেয়ে নিষেধাজ্ঞার বিষয়েও কথাবলেন।
আকায়েদের ঘটনার পরপরই নিউইয়র্কের বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে আতঙ্ক দেখা গেছে। অনেকে এর ফলে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয় আরও কঠিন হবে বলে অশঙ্কা করছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেঅনেকেই পড়াশুনার জন্য যান। এক্ষেত্রেও আকায়েদের ঘটনার প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের ভিসাপেতেও জটিলতার সম্মুখীন হতে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। অনেকে মনে করছেন, এ কারণে বাংলাদেশিদের জন্য ইমিগ্রেশনই বন্ধ করে দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।
জানা গেছে, আকায়েদ উল্লাহ যুক্তরাষ্ট্রের ব্রুকলিনে থাকতেন। তাঁর সঙ্গে তাঁর মা, বোন ও দুই ভাই থাকেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ড পেয়েছেন। একাধিক গণমাধ্যম সূত্রে আরও জানা গেছে, আকায়েদউল্লাহর দেশের বাড়ি সন্দ্বীপের মুছাপুরে। বাবার নাম সানাউল্লাহ মিয়া। যুক্তরাষ্ট্রে আসার আগে তিনি ঢাকার হাজারীবাগ এলাকায় থাকতেন বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার আকায়েদ উল্লাহর এক আত্মীয়কেশনাক্ত করে রয়টার্স। আহমেদ উল্লাহ নামের ওই ব্যক্তি জানান, আকায়েদ উল্লাহর বাবা পাঁচ বছর আগে মারা যান। যুক্তরাষ্ট্রে আসার আগে আকায়েদ উল্লাহ সাধারণ সরকারি স্কুলে লেখাপড়া। আকায়েদেরআরেক স্বজন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে সে কী করতো বা তার গতিবিধি কেমন ছিল সে ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো ধারণা নেই তাঁদের। বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, দেশে আকায়েদের বিরুদ্ধেকোনো অভিযোগ ছিল না।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ফরিদপুর স্বাচিপ সম্মেলন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ
মন্তব্য করুন
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, শ্রমিকরাই জাতীয় অর্থনীতির চাকা সচল রাখে। তাই শ্রমিকদের
জন্য কর্মবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। উন্নত কর্মপরিবেশ শ্রমিকের কর্মদক্ষতা ও প্রতিষ্ঠানের
উৎপাদন বৃদ্ধি করে। তাই শোভন কর্মপরিবেশ তৈরিতে বিনিয়োগ করতে হবে।
‘শ্রমিক মালিক গড়ব দেশ; স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’ এ প্রতিপাদ্যে দেশে
পালিত হচ্ছে মহান মে দিবস। বুধবার (১ মে) সকালে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয়
শ্রমিক লীগ নওগাঁ জেলা শাখা আয়োজিত মহান মে দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমার বাংলার মাটি যদি
থাকে, মানুষ যদি থাকে, একদিন এই বিধ্বস্ত বাংলাকেই আমি সুজলা-সুফলা শস্য-শ্যামলা বাংলায়
রূপান্তরিত করব।’ বাংলাদেশ এখন খাদ্য শষ্য উৎপাদনে স্বয়সম্পূর্ণ। বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের
বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন সর্বদা। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য ছিলেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের
সর্বশ্রেষ্ঠ উন্নয়ন হয়েছে, হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হবে। শ্রমিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের
কল্যাণে মালিকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের মজুরি বৃদ্ধি করেছেন। দেশের ভেতরে ও বাইরে কর্মরত
শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রমে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অচিরেই স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানে নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন
জলিল বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়া নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এম
এ খালেক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাভেদ জাহাঙ্গীর সোহেল, বিভাস মজুমদার
গোপাল, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ বকুল, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি
মো. আব্দুল মজিদ, ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির রহমান উপস্থিত ছিলেন।
পরে এক বর্ণাঢ্য র্যালি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার শ্রমিক মে দিবস
মন্তব্য করুন
লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে।