ইনসাইড বাংলাদেশ

নিউমার্কেটের সহিংসতা: রিপোর্টারের ডায়রি

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২২


Thumbnail

ঘড়িতে তখন দুপুর ১টা। ঠিক তখনও চলছিল ঢাকা নিউমার্কেট ছাত্র-পুলিশ এবং ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ। একপ্রকার রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল ঢাকা কলেজ-নিউ মার্কেট এলাকা। সেখানে কখনো পুলিশ ধাওয়া দিচ্ছে ব্যবসায়ীকে আবার ব্যবসায়ীরা ধাওয়া দিচ্ছে ছাত্রদেরকে আবার কখনোবা পুলিশ ধাওয়া দিচ্ছে ছাত্রদেরকে। দুপুর একটায় নিউমার্কেট এলাকাতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, সেখানে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করলেও কোনভাবেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছিল না। তবে একটি দিক বলে রাখা ভালো যে, আজকের পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীরা অনেকটা শান্ত থাকলেও বেশ উগ্র ছিল ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। তারা ঢাকা কলেজের নতুন ভবনের উপর থেকে নিয়মিত ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে পুলিশ এবং ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে। পাশাপাশি সেখানে নিয়োজিত সাংবাদিকদের ওপরও তারা বিভিন্নভাবে হামলা চালায়। শুধু ঢাকা কলেজের ছাত্ররাই না, সংঘর্ষের কারণে বেশ কয়েকজন সাংবাদিকও আহত হয়েছেন। এদিকে ঢাকা কলেজের ছাত্ররা ইট-পাটকেলের পাশাপাশি সেখানে বেশ কয়েকটি পেট্রলবোমাও নিক্ষেপ করেছে এবং অল্পের জন্য অনেক সাংবাদিক এবং পুলিশ তা রক্ষা পেয়েছেন।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে বিষয়গুলো। কেউ বলছেন ব্যবসায়ীর আগে থেকে এরকম, আবার কেউ বলছেন ছাত্র ঢাকা কলেজের ছাত্ররা সবসময় উগ্র মেজাজের। এদিকে সরজমিনে দেখা গিয়েছে চন্দ্রিমা এবং নুরজাহান মার্কেটের বেশ কয়েকটি দোকানে অগ্নিসংযোগ করেছে ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। যার ফলে প্রায় কোটি টাকার মতো লোকসানের মুখে পড়েছেন বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। এই নিয়ে ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি নুরজাহান মার্কেট একটি দোকানে তালা ভেঙে আগুন দেওয়ার পর তাঁর পাশের দুইটি দোকানে এসি বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুণ নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসকে বেশ কয়েকবার ফোন দেওয়া হলেও তারা প্রায় দেড় ঘণ্টা পর সেখানে উপস্থিত হন এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। কেন এই দেরিতে আসা ফায়ার সার্ভিসের? ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করছেন, ছাত্রদের ভয়ে তারা এদিকে তাদের গাড়ি নিয়ে আসতে ভয় পাচ্ছে বলেই দেরি হয়েছে। যদি আরো আগে আসত তাহলে ক্ষয়ক্ষতি কম হতো।



এদিকে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করছেন, প্রায় বিভিন্ন উৎসবে ঢাকা কলেজের ছাত্ররা তাদের কাছে চাঁদা দাবি করে। করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা ব্যবসা করতে পারেনি। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবারের ঈদে তাঁদের ব্যবসা বেশ জমে উঠেছিল। ঠিক এমন মূহুর্তে ছাত্ররা বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে টাকা দাবি করছে। এত টাকা দিলে তারা কীভাবে ব্যবসা করবে বলে প্রশ্ন তুলেছেন ব্যবসায়ীরা। ছাত্রদের দাবি তাঁদের সাথে ব্যবসায়ীরা বাজে ব্যবহার করছেন জন্য এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে সরেজমিনে দেখা গিয়েছে, আজকে যে পরিস্থিতি সেখানে ঢাকা কলেজের ছাত্ররা শুধু সাংবাদিক-ব্যবসায়ীদের নয়, পুলিশদেরও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া দিয়েছে। এমনও দেখা গিয়েছে দেশীয় অস্ত্র হাতে পুলিশদের পিছিয়ে যেতে বারবার হুমকি দিয়েছে।

ব্যবসায়ীরা একসময় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পুলিশের টিয়ার শেল নিক্ষেপের পরও যখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছিল না এবং যখন বেশ কয়েকটি দোকানে আগুন লেগেছিল তখন তার অনেকটাই ক্ষিপ্ত হয়ে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের ওপর চড়াও হয়। তবে পুলিশ দুই পক্ষকেই নানাভাবে বুঝিয়ে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও পরিস্থিতি শান্ত করতে পারেনি। সেখানে উপস্থিত সাধারণ জনগণ বলছে যে, ঢাকা কলেজের ছাত্ররা পড়াশোনা করতে এসেছে। তারা কেন রাজনীতিতে যুক্ত হচ্ছে? রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে কেন তারা এই অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে? এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বেশকিছু মাধ্যমে অনেকেই ব্যবসায়ীদের বিষয়ে বলছেন যে, নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের ব্যবহার অনেক বেশি খারাপ এবং তারা প্রায়ই মেয়েদেরকে ইভটিজিং করে থাকে। তবে সেই ক্ষেত্রে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের কখনোই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়নি। বরং তারা বিতর্কিত হয়েছেন বাসের ভাড়া না দেয়া, কাপড় কিনে টাকা না দেওয়া, খাবার খেয়ে টাকা না দেওয়ার মত ঘটনায়।

ঘটনার সূত্রপাত গতকাল রাত ১২টায়। জানা যায়, লাচ্ছি খেয়ে তার বিল পরিশোধ না করায় ঢাকা কলেজের ছাত্রদের ওপর এক প্রকার ক্ষেপে যান নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। আর এই নিয়ে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়, যা শেষ পর্যন্ত মারামারিতে গড়ায়। রাত দেড়টা-দুইটা পর্যন্ত এই সংঘর্ষ চলে। যদিও নিউ মার্কেটের এই ঘটনার একটি সিসিটিভির ফুটেজ বলছে ভিন্ন কথা। সেখানে দেখা যায়, ঢাকা কলেজ নয় বরং দুটি দোকানের কর্মচারীদের মধ্যে তৈরি হয় সংঘাত। সেখানে ঢাকা কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে সম্পৃক্ত করা হয় এবং পরে রটানো হয় যে, ব্যবসায়ীরা ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মেরেছে। আর এই খবর ছড়িয়ে পড়লেই মূলত পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নিয়োগ করা হয় পুলিশ, প্রয়োগ করা হয় টিয়ার শেল গ্যাস। সারারাত পার হলেও সেই যুদ্ধ থেমে থাকেনি। আজকে সকাল ১২ টা থেকে ফের সংঘর্ষে লিপ্ত হন ঢাকা কলেজের ছাত্র এবং নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা।



এই মারামারি সংঘাতের মাঝে ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপ করলে তাঁরা জানায়, তাঁদের দাবি একটাই যে সরকার এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া উচিত যেন একটি ব্যবসায়ীক এলাকাতে ঢাকা কলেজের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না রাখা হয়। কেননা এই প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে প্রতিনিয়তই কিছুদিন পরপরই একেকটি আলোচিত ঘটনা ঘটে এবং ফলে তাঁরা সঠিকভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন না। যার ফলে তারা চান না এই নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজ থাকুক। তবে ব্যবসায়ীদের এমন দাবি আসলে কতটুকু যৌক্তিক এ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে অনেক মহলেই।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আদালতে মিল্টনের রিমান্ড চাওয়া হবে: ডিবি

প্রকাশ: ১০:০১ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অজস্র অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার নামে মামলা প্রক্রিয়াধীন। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডে চাইবে পুলিশ। 

বুধবার (১ মে) রাত ৯টার দিকে ডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন,’মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে মানবপাচার ও নির্যাতনসহ প্রতারণার মামলার করা হবে। মিডিয়ায় যতো অভিযোগ এসেছে সব বিষয়েই তদন্ত করা হবে। এছাড়া রাতে কেনো লাশ দাফন করতেন এই বিষয়ে মিল্টন জানান, মানুষ তাকে প্রশ্ন করে তাই রাতে তিনি লাশ দাফন করতেন। তার বক্তব্য অনুযায়ী ৯০০ দাফন করলেও ৮৩৫টি লাশের দাফনের কাগজপত্র দেখাতে পারেনি তিনি।’

এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। 

উল্লেখ্য, গত ২৫ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে মানবতার ফেরিওয়ালার মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর সব প্রতারণার খবর প্রকাশ পায়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, মিল্টন সমাদ্দার নামক এক ব্যক্তি ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’নামের বৃদ্ধাশ্রম গড়ে রাস্তা থেকে অসুস্থ কিংবা ভবঘুরেদের কুড়িয়ে সেখানে আশ্রয় দেন। সেসব নারী, পুরুষ ও শিশুকে নিয়ে ভিডিও তৈরি করে প্রায়ই তাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করতে দেখা যায়।

মিল্টন সমাদ্দার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে পাঁচ শঙ্কা

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।

উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তারা ভোট বর্জনের ডাক দিয়েছে এবং যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে তাদেরকে ঢালাওভাবে বহিষ্কার করা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে ৭৩ জন, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৬৩ জনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। কিন্তু এই সব বহিষ্কার সত্ত্বেও বিএনপির নেতাকর্মীরা উপজেলা নির্বাচনে তাদের আগ্রহ হারায়নি। বরং যারা উপজেলা নির্বাচনে আগ্রহী, তারা দলের নির্দেশ অমান্য করেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে।

জাতীয় পার্টিকে উপজেলা নির্বাচনে তেমন সরব দেখা যাচ্ছে না। সারা দেশে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তি এবং হতাশার ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হবে কিনা সেটি নিয়ে অনেকের মধ্যেই সংশয় রয়েছে।

উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে পাঁচটি শঙ্কা ক্রমশ দানা বেঁধে উঠছে। 

১. ভোটার উপস্থিতি: উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল ভোটার উপস্থিতি। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নেতাকর্মীদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। এ কারণেই আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার করছে না। একাধিক প্রার্থী যেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন, দলের ভিতর যেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় এবং নির্বাচনে যেন ভোটার উপস্থিতি পারে সেটাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য। কিন্তু আওয়ামী লীগের এই কৌশল কতটুকু কার্যকর হবে, ভোটাররা ভোটে কতটুকু আগ্রহ দেখাবে- সেটি নিয়েও অনেকের সংশয় রয়েছে।

২. আওয়ামী লীগের বিশৃঙ্খল অবস্থা: উপজেলা নির্বাচনে একটা বড় শঙ্কার জায়গা হল আওয়ামী লীগের বিশৃঙ্খলা এবং এই বিশৃঙ্খলা শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলেই অনেকে মনে করছেন। উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় সে কারণে আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে। কিন্তু দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে বহু এমপি-মন্ত্রীর আত্মীয় স্বজন এবার নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। এই সমস্ত প্রার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের প্রার্থীদের সহিংসতার ঘটনা উপজেলা নির্বাচনকে উত্যক্ত করতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন। বিভিন্ন স্থানে তার আলামতও পাওয়া যাচ্ছে।

৩. প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ: নির্বাচনে প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য একটি বড় বাধা। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগ মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদেরকে নির্বাচনে না যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু সেই পরামর্শ না শুনেই মন্ত্রী-এমপিরা তাদের স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছেন। শুধু প্রার্থী করাই নয়, এলাকায় তারা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টাও করছেন। এই প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা সুষ্ঠু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। প্রতিপক্ষকে ঘাবড়িয়ে দেওয়া, ভোটারদেরকে নিরুৎসাহিত করা ইত্যাদি প্রবণতাগুলো উপজেলা নির্বাচনকে ম্লান করতে পারে বলেই অনেকে মনে করছেন।

৪. প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরপেক্ষতা: প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে উপজেলা নির্বাচনে নিরপেক্ষ থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আর সেই পরামর্শ অনুযায়ী প্রশাসন কতটুকু নিরপেক্ষ থাকবে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। বিশেষ করে প্রভাবশালীরা যখন নির্বাচনের মাঠে হস্তক্ষেপ করবে তখন প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কতটুকু নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে নির্বাচন পরিচালনা করতে পারবে সেটি নিয়ে একটি প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

৫. ভোটারদের অনীহা: উপজেলা নির্বাচনেও ভোটারদের অনীহা রয়েছে। কারণ একাধিক বিকল্প প্রার্থী এবং ভিন্নমতের প্রার্থী না থাকার কারণে উপজেলা নির্বাচন নিয়েও ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনার অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভোটারদের এই অনাগ্রহ উপজেলা নির্বাচনকে একটি সাদামাটা নির্বাচনে পরিণত করতে পারে বলেই অনেকে মনে করেন।

উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে বৃহস্পতিবার

প্রকাশ: ০৮:৪৭ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলমান দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হচ্ছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেল ৫টায়। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে গত ১৫ এপ্রিল এ অধিবেশন আহ্বান করেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেল ৫টায় এ অধিবেশন শুরু হবে। 

অধিবেশন শুরুর আগে সংসদ ভবনে সংসদের কার্য-উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক হবে। বৈঠকে সংসদ অধিবেশনের মেয়াদ নির্ধারণ ছাড়াও আলোচ্যসূচি ও কার্যবিবরণী নিয়ে আলোচনা হবে।

সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, জুনে দ্বাদশ সংসদের প্রথম বাজেট অধিবেশনের আগে অনুষ্ঠেয় এই দ্বিতীয় অধিবেশন তেমন দীর্ঘ হবে না।

এর আগে ৩০ জানুয়ারি সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়ে ৫ মার্চ শেষ হয়।

দ্বাদশ সংসদ অধিবেশন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আলোচিত সেই মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৮:০৭ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

মানবতার ফেরিওয়ালার মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর সব প্রতারণার অভিযোগ ওঠা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিচিত মুখ ও ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল ঢাকার মিরপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

এর আগে গত ২৫ এপ্রিল কালবেলার প্রিন্ট ভার্সনে ‘মানবিক মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর মিল্টন সমাদ্দার’ শিরনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

মিল্টন সমাদ্দার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরের তেওয়ারীগঞ্জে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ, স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ


Thumbnail

লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে। 

প্রায় সাড়ে আট বছর পর ওই ইউনিয়নে নির্বাচনকে ঘিরে মানুষের মাঝে ছিলো ব্যাপক আমেজ। আটজন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধীতা করে। এর মধ্যে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও অটোরিক্সা প্রতীকের প্রার্থী আক্তার হোসেন বোরহান চৌধুরী ও জেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক ইবনে হোসাইন আনারস প্রতীকের প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্ধীতা হয় ব্যাপক। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা থেকে শুরু করে ভোটের দিন সকাল পর্যন্ত ছিলো সেই আমেজ। তবে ভোট গ্রহণ শুরু হলে নারী-পুরুষের ব্যাপক উপস্থিতি নজর কাড়ে সবার। 

অটোরিক্সা প্রতীকের প্রার্থী, সমর্থক, এজেন্ট ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানালেন, ভোটের আগের দিন থেকে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী ভুলু কালো টাকা দিয়ে প্রভাব বিস্তার করে। কেন্দ্রের ভেতর ও বাহিরে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত ও ভোটারদের নানাভাবে প্রভাবিত করে। এতে করে কয়েকটি কেন্দ্রের বাহির থেকেই নারী ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ না করেই বাড়ি ফিরেন। কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বের করে দেয়ার অভিযোগও করেন কেউ কেউ। 

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আনারস প্রতীকের প্রার্থী জানালেন, তিনি শান্তি চান। তিনি হয়রানি হতেও চান না কাউকে করতেও চান না। সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে, যদি কেউ মনে করে আবারো নির্বাচন করা দরকার তবে তিনি প্রতিদ্বন্ধিতা করতে প্রস্তুত। 

পুলিশ সুপার তরেক বিন রশিদ বলেন, নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার সময় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এসময় পুলিশের গাড়ির ওপর তারা হামলা করে। এঘটনায় দুই প্রার্থীকেই পুলিশ আটক করে।

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন