ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশে কোনো বেকারত্ব নেই: সালমান এফ রহমান

প্রকাশ: ০৮:৩২ পিএম, ১১ মে, ২০২২


Thumbnail বাংলাদেশে কোনো বেকারত্ব নেই: সালমান এফ রহমান

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশে কোনো বেকারত্ব নেই।

বুধবার (১১ মে) রাজধানীর বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) মাল্টি পারপাস হলে অনুষ্ঠিত ‘আইসিটি ফ্রিল্যান্সিং ইন বাংলাদেশ : প্রেজেন্ট স্ট্যাটাস, চ্যালেঞ্জিং অ্যান্ড অপরচুনিটি’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতাধীন জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ) সেমিনারটির আয়োজন করে।

সালমান এফ রহমান বলেন, সেমিনারের মূল প্রবন্ধে বেকারত্বের কথা বলা হয়েছিল। আমি বার বার একটি কথা বলে আসছি, আমি মনে করি ‘বাংলাদেশে দেয়ার ইজ নো আনএমপ্লয়মেন্ট’। আপনারা জানেন, পোশাক রপ্তানি খাতে অনেক বেশি অর্ডার আসছে। এই খাতের এখন বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, মালিকরা শ্রমিক পাচ্ছেন না। আমার কাছে বিজিএমইয়ের নেতারা বলছেন, জর্ডানের পোশাক কারখানায় আমাদের শ্রমিকগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আপনি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে বলেন এটি বন্ধ করতে। কারণ আমরা পোশাক কারখানায় শ্রমিক পাচ্ছি না।

তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন ফসল ঘরে তোলার সময় শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না । গতবার প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ কৃষকদের সহায়তা করেছে। আমাদের গ্রামীণ অঞ্চল ইউনিয়ন লেভেলে অনেক উন্নত হচ্ছে। সেখানে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, পেটশপ ও বিউটি পার্লার হচ্ছে।’

বেকারত্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আনএমপ্লয়মেন্ট কোথায় আছে? যারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিয়েছেন তারা এখন বসে সরকারকে বলছে চাকরি দাও। আমার কথা হচ্ছে ভাই আপনারা ডিগ্রি নেওয়ার আগে চিন্তা করেন নাই, কী ক্যারিয়ার গড়বেন? যারা চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার, অ্যাকাউন্টেন্ট ডিগ্রি নিয়েছে তাদের তো চাকরি পেতে কোনো অসুবিধা হয় না। তারা সহজে চাকরি পেয়ে যাচ্ছেন।’

বিদেশে সবাই ডিগ্রি নিতে যায় না উল্লেখ করে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘অকেশনাল একটি ডিপ্লোমা নিয়ে প্রফেশনালে চলে যায়। অনেক ভোকেশনাল ট্রেনিং ও ডিপ্লোমা ট্রেনিং আছে, সেগুলো নিয়েও কাজ করা যায়। আমাদের আননেসাসারি ইউনিভার্সিটি থেকে ডিগ্রি নিয়ে অনেকে চাকরি পাচ্ছেন না। আরেকটি সমস্যা হয়, আমি ইউনিভার্সিটি গ্রাজুয়েট। আমাকে ওই ধরনের একটি কাজ দিতে হবে। তবে এগুলো নিয়ে আমরা অনেক কাজ করছি। আমরা ফ্রিল্যান্সিংটাকে ভালোভাবে নিয়ে যেতে চাই।’

ফ্রিল্যান্সিংয়ে আয় বাড়ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা ফ্রিল্যান্সারদের সব সমস্যা সমাধান করেছি। এখন সমস্যার কথা কেউ বলছে না। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সাররা ১ বিলিয়ন ডলার আয় করছেন। আমরা ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অফিসিয়ালি পেয়েছি।’

‘এখন যেভাবে ফ্রিল্যান্সারদের আয় বাড়ছে, দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে এটি ২ থেকে ৩ বিলিয়ন ডলার হয়ে যাবে। অনেকে ২০৪১ সালের কথা বলছে যে এই সময়ে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় হবে। তবে আমরা বলছি, এতদিন অপেক্ষা করা লাগবে না। আমি আশাবাদী ২০২৫-২৬ এ ১০ বিলিয়ন ডলার আয় করতে পারব ফ্রিল্যান্সিংয়ে। আমি মনে করি গার্মেন্ট খাতের পরেই ফ্রিল্যান্সিং খাত হবে।’

সালমান এফ রহমান   বেকারত্ব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ: ০২:০২ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

বরিশালের গৌরনদীতে উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারিচুর রহমানসহ ২৬ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাইবার আইনে মামলা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে এ মামলা করা হয়। বিচারক গোলাম ফারুক গৌরনদী মডেল থানার ওসিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার বাদী গৌরনদী উপজেলার বিল্বগ্রামের বাসিন্দা এইচএম তারেক।

আসামিরা হলেন- উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হারিচুর রহমান হারিছ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়েরুল ইসলাম সান্টু ভুইয়া, লুৎফুর রহমান দ্বীপ, ইমরান মিয়া, সোহেল সিকদার, মীর নাইয়ান, সাদ্দাম খান, কাজী সাইমুর রহমান, এনএইচ আজবি, শাকিল খান, পিয়াল সরদার, কেএম মিলন, এইচএম রাসেল, আবির আহম্মেদ, সজিবুর রহমান জিয়া, রাতুল শরীফ, শেখ রায়হান শাওন, তালুকদার মো. রবি, মেহেদি হাসান শাওন, শাহাদাত তালুকদার, দেলোয়ার হোসেন দিলু, জিএস জাহিদুল ইসলাম।

তাদের বিরুদ্ধে ফেসবুক আইডিতে মানহানিকর ও বিভ্রান্তিকর পোস্ট দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, মামলার ২৬ আসামি গৌরনদী উপজেলার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও ধর্ষক। বিবাদীরা পরস্পর যোগসাজশে পূর্বপরিকল্পিতভাবে মাহিলারা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু, চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব, মিয়া মনির ও সৈয়দ মনিরুন্নাহার মেরিকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য আক্রমণাত্মক বক্তব্য, মিথ্যা তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ, মানহানিকর তথ্য ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে প্রকাশ ও ডিজিটাল বিন্যাসের মাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ করে স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে শত্রুতা, ঘৃণা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করা, অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে খুন জখমের পাঁয়তারাসহ আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করেছেন।

গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজাহারুল ইসলাম জানান, মামলার বিষয়ে আদালতের নথিপত্র এখনো হাতে পাননি। মামলার নথি হাতে পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সম্পর্কে হারিছুর রহমান বলেন, আমার প্রতি গৌরনদীর সাধারণ মানুষের ভালোবাসা দেখে এবং আসন্ন নির্বাচনে আমার বিজয় নিশ্চিত জেনে গৌরনদীর চিহ্নিত সন্ত্রাসী একটি গোষ্ঠী ষড়যন্ত্রে নেমেছে। আমার বিজয়কে বাধাগ্রস্ত করতে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে।


উপজেলা নির্বাচন   সাইবার ট্রাইব্যুনাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রাণে বাঁচলেন ১৯৮ জন বিমানযাত্রী

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

এবার যান্ত্রিক ত্রুটি নিয়ে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে এয়ার এরাবিয়ার একটি ফ্লাইট। শুক্রবার (১০ মে) সকাল ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে ফ্লাইটটি অবতরণ করে।

জানা গেছে, এয়ার এরাবিয়ার ফ্লাইট জি ৯৫২৬-এ ১৯১ জন যাত্রী ও সাতজন ক্রু ছিল। সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে ফ্লাইটটি চট্টগ্রামে আসছিল। এর মধ্যে সেখানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। ফ্লাইটের ত্রুটির সংকেত পাঠানো হয় শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কন্ট্রোল রুমে। এরপর পাইলটের দক্ষতায় নিরাপদে অবতরণ করে ফ্লাইটটি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ। তিনি বলেন, ‘সকাল ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে ত্রুটি নিয়ে ফ্লাইটটি অবতরণ করে। যাত্রীরা সবাই নিরাপদে ছিল। সেখানে ১৯১ জন যাত্রীসহ সাতজন ক্রু ছিল।’ 


চট্টগ্রাম   আন্তর্জাতিক   বিমানবন্দর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

খাদ্য ও আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ১২:৫০ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সারাদেশে সমবায় ছড়িয়ে দিতে হবে, খাদ্যের নিশ্চয়তা ও আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। সরকারে আসার পর থেকেই প্রচেষ্টা ছিল দেশের মানুষ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত হবে।

শুক্রবার (১৯ মে) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় `আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্পের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে, সকালে একদিনের সফরে গণভবন থেকে সড়ক পথে টুঙ্গিপাড়ায় যান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান তিনি। পাশাপাশি ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন তিনি।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা, চাচাতো ভাই শেখ হেলালসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।


প্রধানমন্ত্রী   `আমার বাড়ি আমার খামার’  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কোরবানির ঈদের আগে মসলার বাজারে আগুন

প্রকাশ: ১২:৩৮ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে। এতে দেশের বৃহৎ পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পণ্যটির দাম কেজিতে কমেছে ১০ টাকা পর্যন্ত। প্রায় চার মাস পর পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলো ভারত। কিন্তু বাজারে আরেক মসলাপণ্য এলাচ কেজিতে বেড়েছে এক হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত। অস্থির এলাচের বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপের কথা বলেছেন ভোক্তা অধিকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

খাতুনগঞ্জে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। এটি এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। চোরাই পথে আসা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৮০ টাকা পর্যন্ত। এটি গত সপ্তাহে ছিল ৯০ টাকা কেজি। আগে দেশের বাজারে ভারত থেকে যেসব পেঁয়াজ আসত তার সবটাই চোরাই পথে। এখন বৈধপথে পণ্যটি আসবে। এ জন্য দাম কমে গেছে। আমদানি শুরু হলে দাম আরো কমবে।

এদিকে প্রতিদিনই অস্থির হয়ে উঠছে মসলাপণ্য এলাচের বাজার। দেশে তিন ধরনের এলাচ আমদানি হয়। এর মধ্যে বড় দানার সবচেয়ে উন্নত এলাচ আসে ভুটান থেকে। মাঝারি সাইজের মোটামুটি ভালো মানের এলাচ আসে গুয়াতেমালা থেকে। এর বাইরে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভারত, সিঙ্গাপুর ও ইন্দোনেশিয়া থেকেও কিছু এলাচ আমদানি হয়।

বর্তমানে খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে ছোট দানার এলাচ বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার ৮০০ টাকা কেজি দরে। ১৫ দিন আগেও একই এলাচ বিক্রি হয়েছিল তিন হাজার ৫০০ টাকায়। বড় দানার এলাচের বর্তমান মূল্য প্রতি কেজি তিন হাজার ৭০০ থেকে তিন হাজার ৯০০ টাকা। এটি গত দেড় মাসে বেড়েছে কেজিতে এক হাজার ১০০ টাকা।

এলাচের আমদানিকারকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এলাচ আমদানিতে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ককর দিতে হয়। এই এলাচ শুল্কায়ন করা হয় ২৫ ডলারে, অথচ এর আমদানি মূল্য সাত ডলার। শুল্কায়ন মূল্য বেশি ধরার কারণে কেজিতে শুল্ককর বেশি দিতে হচ্ছে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। যে কারণে দাম হু হু করে বাড়ছে।

দাম বাড়ার বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, ‘খাতুনগঞ্জের পাইকারি ব্যবসায়ীরা সঠিক রসিদ রাখেন না। এক মাস আগে অভিযানে আমদানির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রতি কেজি এলাচ ১৫ শতাংশ মুনাফাসহ বিক্রয়মূল্য হওয়ার কথা সর্বোচ্চ এক হাজার ৭০০ টাকা। কিন্তু বাজারে বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার টাকায়। তখন একটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানাও করেছিলাম। এখনো আমাদের বাজার তদারকি চলমান। আমরা অসাধু ব্যবসায়ীদের তালিকা করছি। তাদের শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসব।’

এলাচ ছাড়াও অন্যান্য মসলাপণ্যের দামও বাড়ছে। বর্তমানে শুকনা মরিচের কেজি ৪৩০ থেকে ৪৪০ টাকা। এক মাস আগে এর দাম ছিল ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকা। এখন দেশি রসুনের কেজি ১৭০ থেকে ২০০ টাকা। আমদানি করা রসুন কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে হয়েছে ২০০ থেকে ২৪০ টাকা। দেশি আদা আগে ছিল ৩০০ টাকা কেজি, এখন ৪৫০ টাকা। আমদানি করা আদা সর্বোচ্চ ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


কোরবানি ঈদ   মসলার বাজার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সড়কে নতুন গতিসীমা ধীরে ধীরে কার্যকর করা হবে: বিআরটিএ

প্রকাশ: ১২:০৭ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে সড়কভেদে মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার ও বাসের সর্বোচ্চ গতি নির্ধারণ করা হয়েছে। এজন্য মোটরযানের গতিসীমা সংক্রান্ত নির্দেশিকা, ২০২৪ জারি করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

দেশের সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিসীমা বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। বুধবার (০৮ মে) বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার স্বাক্ষরিত ‘মোটরযান গতিসীমা নির্দেশিকা, ২০২৪’ জারি করা হয়। এতে এক্সপ্রেসওয়ে এবং জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে থ্রি-হুইলার যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বিআরটিএর মুখপাত্র মাহবুব-ই-রব্বানী জানিয়েছেন, এটি ব্যাপকভাবে বাস্তবায়নে সময় লাগবে। নতুন নির্দেশিকা সম্পর্কে জনগণকে জানানোর জন্য প্রচারণা কর্মসূচি চালানো হবে। এই অন্তর্বর্তী সময়কালে গতিসীমা লঙ্ঘন প্রতিরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত ব্যবহার করা হবে। এর উদ্দেশ্য চালকদেরকে নতুন গতিসীমা সম্পর্কে জানানো।

নির্দেশিকায় ১০ ধরনের যানবাহনের জন্য সড়কের ৬টি ক্যাটাগরিতে গতিসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। সড়কভেদে ব্যক্তিগত গাড়ি ও বাসের সর্বোচ্চ গতি নির্ধারণ করা হয়েছে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। আর মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতি হবে ৬০ কিলোমিটার। তবে শহরের রাস্তায় ৩০ কিলোমিটার গতিতে চলবে মোটরসাইকেল ও থ্রি-হুইলার।

তবে সড়ক-মহাসড়কে লেন ঠিক না করে যানবাহনের গতিসীমা বেঁধে দেওয়াকে অপরিকল্পিত উদ্যোগ বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। তা ছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশের সড়কে ৩৫০ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। বিআরটিএ যে গতিসীমা বেঁধে দিয়েছে, তা ওই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তাদের মতে, সর্বোচ্চ মানের সড়ক এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করে যানবাহন চলাচলের কম গতিসীমা বেঁধে দেওয়া এ ধরনের স্থাপনার মানের সঙ্গে বেমানান। সাধারণত এক্সপ্রেসওয়েতে ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার গতিতে যানবাহন চলে। এক্সপ্রেসওয়েতে সাধারণ হাইওয়ের মতো গতিতে যানবাহন চালাতে হলে এ ধরনের অবকাঠামো নির্মাণে বিপুল বিনিয়োগের কোনো প্রয়োজন ছিল না।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. হাদীউজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, এক মন্ত্রণালয় মোটরসাইকেলের সিসি বাড়াচ্ছে। অন্য মন্ত্রণালয় ৩০ কিলোমিটার গতিতে চালাতে বলছে। এতে বোঝা যায়, নিজেদের মধ্যে সমন্বয় নেই। তিনি বলেন, ‘একই লেনে যদি সব ধরনের যানবাহন চলে, তা হলে কোনোভাবেই যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। গতিসীমা ঠিক করার উদ্দেশ্য হলো সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো। কিন্তু যেভাবে গতি নির্ধারণ হয়েছে, তা মোটেই বিজ্ঞানসম্মত নয়, তেমনি অবকাঠামোর সঙ্গে সামাঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এটা মানানো যাবে না। এতে সড়কে আরও বেশি বিশৃঙ্খলা বাড়বে। মামলা বাড়বে। কারণ একই লেনে সব ধরনের যানবাহন চললে দুর্ঘটনাও বাড়বে।’

বিআরটিএ বলছে, এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা অর্ধেকে কমিয়ে আনতে নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। বেঁধে দেওয়া গতিসীমা অমান্য করা হলে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিসের মতো জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিত মোটরযানের ক্ষেত্রে এই গতিসীমা শিথিলযোগ্য হবে।

 

 


সড়ক   গতিসীমা   বিআরটিএ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন