ইনসাইড বাংলাদেশ

সিলেটে তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছে ‘মুরাদ খান’

প্রকাশ: ১০:৫৫ এএম, ২৬ মে, ২০২২


Thumbnail সিলেটে তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছে ‘মুরাদ খান’

সিলেটে তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছে ‘মুরাদ খান’ নামক একটি নাম। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার একটি বিতর্কিত প্রতিবেদনের সঙ্গে এই নামটি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে করা সেই প্রতিবেদনের বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনজন। তাদের একজনের নাম হলো মুরাদ খান বলে জানা যায়। 

ওই নামের এক ব্যক্তি অতিথি মঞ্চে বসে গত ২২ মে সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। এ ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে সিলেটে। বইছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। এই মুরাদই সেই মুরাদ কিনা তা নিয়ে চলছে খোঁজ। 

সিলেট শিল্পকলা একাডেমিতে তিন দিনের নির্দেশনা কর্মশালা উদ্বোধন ও সমাপনী অনুষ্ঠানের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন জেলা কালচারাল অফিসার অসিত বরণ দাশ গুপ্ত। এতে সমাপনী অনুষ্ঠানে মুরাদ খানকে মঞ্চে দেখা যায়। পরে সেই ছবি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হলে অসিত বরণ তার পোস্টটি ফেসবুক থেকে সরিয়ে নেন।

মঙ্গলবার (২৪ মে) বিকেলে অসিত বরণের সঙ্গে কথা হলে তিনি দাবি করেন, মুরাদ খানকে তিনি চেনেন না। এমনকি কর্মশালার অতিথিদের তিনি বা জেলা শিল্পকলা একাডেমির পক্ষ থেকে দাওয়াতও দেওয়া হয়নি। ‘অপরিচিত লোক’ মঞ্চে অতিথির আসনে বসানোর ব্যাপারে জানতে চাইলে কোনো উত্তর তিনি দেননি। 

কর্মশালার উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে অতিথিদের গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন দাওয়াত দিয়েছিল বলে দাবি করেন অসিত বরণ। বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক অনিরুদ্ধ ধর শান্তনুর দাবি, তিনিও মুরাদ খানকে চেনেন না। তিনি বলেন, ‘ফেসবুকে কর্মশালার ব্যাপক প্রচারণা দেখে মুরাদ খান সমাপনী অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। তিনি নিজেকে ঢাকার আরণ্যক নাট্যদলসহ দেশে ও বিদেশে নাটকের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে পরিচয় দেন। এই সুবাদে তাকে শুভেচ্ছা বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়।’ এভাবে কারও পরিচয় নিশ্চিত না হয়ে বক্তৃতার সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যান শান্তনু। 

ওই কর্মশালা আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমিকে সহযোগিতা করে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন। মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মশালায় ‘দেশবিরোধী প্রচারণার সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তির অতিথি হওয়া’ নিয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রিন্স সদরুজ্জামান চৌধুরী ফেসবুকে কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানের ছবিসহ এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘এই কি সেই আল-জাজিরার মুরাদ খান? যদি হয়ে থাকে, তবে বাংলাদেশ-বিরোধী ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতার সাথে সংশ্লিষ্ট এই মুরাদ খান শিল্পকলার মঞ্চে কি করে বসল? কে তাকে বসাল? কে তার নেপথ্য কর্তা? আমি জানতে চাই। কর্মশালার আয়োজকরা এর দায় এড়াবেন কিভাবে?’ 

স্ট্যাটাসের পাশাপাশি একটি ভিডিও লিংক শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘সকলের অবগতির জন্য সময় টিভির একটি ইউটিউব লিংক শেয়ার করলাম, দয়া করে সবাই দেখবেন কে সেই মুরাদ খান।’

পুরো ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেকেই। সদরুজ্জামান চৌধুরীর স্ট্যাটাসের নিচে নাট্যব্যক্তিত্ব, সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ ক্ষোভ ও বিস্ময় প্রকাশ করেন। 

সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি মিশফাক আহমদ মিশু ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ-বিরোধী আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের হোতা ডেভিড বার্গম্যান ও আল-জাজিরার করা জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সেই রিপোর্ট সরকারের সর্বোচ্চ মহল গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়েছে বলেই জানি। কাজেই এ ধরনের কর্মকাণ্ডের (মুরাদ খানকে অতিথি করা) তীব্র নিন্দা জানাই।’

আওয়ামী লীগ নেতা সদরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে থেকে রাষ্ট্রবিরোধী লোকদের অতিথি করার ধৃষ্টতা যারা দেখিয়েছে, তাদের বিচার হওয়া উচিত। কারণ, এরাই বিশ্বাসঘাতকদের এজেন্ট। এদের রোধ করতে না পারলে মুক্তিযুদ্ধের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ বাধা পাবে।’

আরণ্যক নাট্যদলের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি নিশ্চিত হতে যোগাযোগ করা হয় এর প্রতিষ্ঠাতা এবং অভিনেতা ও নাট্যপরিচালক মামুনুর রশীদের সঙ্গে। মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘মুরাদ খান নামে এক সময় আমাদের একজন সদস্য ছিলেন। তিনি যুক্তরাজ্য থেকে সম্প্রতি দেশে এসেছেন। তবে তিনি আল-জাজিরার প্রতিবেদনে কখনো কণ্ঠ দিয়েছেন কিনা আমার জানা নেই।’

প্রসঙ্গত, ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শিরোনামে আল-জাজিরার ওই প্রতিবেদন গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি সম্প্রচার হলে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়। তবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিবেদনটি ভিত্তিহীন দাবি করে কঠোর ভাষায় এর প্রতিবাদ জানায়। 

সিলেট   মুরাদ খান   প্রধানমন্ত্রী   সেনাবাহিনী   অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এমপির মধ্যস্থতায় চিকিৎসকের পা ধরে মাফ চাইলেন শ্রমিক নেতা

প্রকাশ: ০৮:৫৯ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

রোগীকে চিকিৎসা দিতে দেরি করায় ডাক্তারকে বেধড়ক পেটানো সেই আওয়ামী লীগ নেতা এলিম পাহাড় এবার পা ধরে মাফ চেয়েছেন।

রোববার (৫ মে) শরীয়তপুর-১ আসনের এমপি ইকবাল হোসেন অপুর উপস্থিতিতে চিকিৎসকের পা ধরে মাফ চান তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার মাফ চাওয়ার ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়েছে। এলিম পাহাড় শরীয়তপুর জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী সভাপতি।

ভুক্তভোগীরা হলেন, চিকিৎসক শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার শেহরিয়ার ইয়াছিন ও তত্ত্বাবধায়ক হাবিবুর রহমান।

ভিডিওতে দেখা যায়, সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপুর বাসভবনে হামলার শিকার চিকিৎসকরাসহ কয়েকজন চিকিৎসক বসে আছেন। এলিম পাহাড়কে তাদের পায়ে ধরে মাফ চাইতে বলছেন এমপি। তখন এলিম দুই চিকিৎসকের মধ্যে প্রথমে ডাক্তার শেহরিয়ারের পায়ে এবং পরে তত্ত্বাবধায়ক হাবিবুর রহমানের কাছে পা ধরে ক্ষমা চান। এ সময় তাকে সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপুর পায়ে ধরতেও দেখা যায়।

ভিডিওতে পালং মডেল থানার ওসি মেজবাউদ্দিন আহমেদ, যুবলীগ নেতা বাচ্চু বেপারী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সিদ্দিক পাহাড় ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিব) শরীয়তপুর জেলা শাখার সভাপতি ডা. মনিরুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে দেখা যায়।

মীমাংসার বিষয়ে জানতে চাইলে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হাবিবুর রহমান বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা কমিটির সভাপতি। ঘটনাটি না বাড়িয়ে মীমাংসা করার জন্য তিনি অনুরোধ করেছেন। তাই তার উপস্থিতিতে ওই ব্যক্তি ক্ষমা চেয়েছেন। তাই তার প্রতি সম্মান দেখিয়ে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী চিকিৎসক ডাক্তার শেহরিয়ার ইয়াছিন বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য অনুরোধ করায় আমি মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করতে বাধ্য হয়েছি। আমার কানের পর্দা ও কণ্ঠনালিতে আঘাত লেগেছে।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ ও শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা এলিম পাহাড়, মোবাইল ফোনে বলেন, সংসদ সদস্য আমাদের মুরব্বি। উনি বলেছেন, তাই মীমাংসা করেছি। আমার ছেলেরে অন্য জায়গায় চিকিৎসা করাচ্ছি।

এ বিষয়ে শরীয়তপুরের জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুল আলম (পিপিএম) বলেন, শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় ভুক্তভোগী জেলা পুলিশের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের সঙ্গে সঙ্গেই এলিম পাহাড়কে আটক করে পুলিশ। কিন্তু আসামি গ্রেপ্তারের পর ভুক্তভোগী তার অভিযোগপত্রটি তুলে নেন। যার কারণে কোনো মামলা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।

এর আগে শনিবার (৪ মে) দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে মারামারিতে আহত ছেলেকে চিকিৎসা দিতে দেরি করার অভিযোগে ডা. শেহরিয়ারকে বেধড়ক পেটান এলিম পাহাড়। এই সময় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হাবিবুর রহমানকেও লাঞ্ছিত করা হয়। পরে ডা. শাহরিয়ার বাদী হয়ে দুপুরে সদরের পালং মডেল থানায় একটি মামলার আবেদন করলে পুলিশ এলিম পাহাড়কে আটক করে।


এমপি ইকবাল হোসেন অপু   শ্রমিক নেতা   চিকিৎসক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মুন্সীগঞ্জে ওসিসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ: ০৮:২৮ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান থানার ওসি মো. মুজাহিদুল ইসলামসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রোববার (৫ মে) দুপুরে মুন্সীগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পুলিশের হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করেন নির্যাতনের শিকার আব্দুল বারেক।

মামলা দায়ের করা আব্দুল বারেক সিরাজদিখান উপজেলার বড়বর্তা গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় কেয়াইন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. হোসেন মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মুন্সীগঞ্জ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ কাজী আব্দুল হান্নান মামলার ঘটনার সত্যতা যাচাই-পূর্বক তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পিবিআই পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।

একইসঙ্গে বাদী তথা ভুক্তভোগীদের জখমের বিষয়ে সিভিল সার্জনকে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. জামাল হোসাইন জানান, গত ১৮ এপ্রিল জেলার সিরাজদিখান থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। ২৪ এপ্রিল ওই মামলায় এজাহার নামীয় আসামি দেখিয়ে উপজেলার কুচিয়ামোড়া গ্রামের আব্দুল বারেকসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এরপর ওই দিন রাতে গ্রেপ্তারকৃতদের থানা পুলিশের হেফাজতে নির্যাতন করা হয়। পরদিন গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

তিনি আরও বলেন, জেল হাজতে থেকে আব্দুল বারেক বাদী হয়ে সিরাজদীখান থানার ওসি ও অন্যান্য আরো ৮ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে পুলিশের হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছেন আদালতে।

এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান সার্কেল) মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, শুনেছি আদালতে একটি পিটিশন মামলা হয়েছে। তবে ওই ঘটনার সময় আমি ট্রেনিংয়ে ছিলাম।


পুলিশ   মামলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজধানীতে বজ্রসহ শিলা-বৃষ্টি

প্রকাশ: ১০:৪১ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীতে শুরু হয়েছে বজ্রসহ বৃষ্টি। সঙ্গে শিলা। আজ রোববার (৫ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হয় এ শিলা-বৃষ্টি। এর আগে রাত ৯টার দিকে শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়া।

শনিবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পরিস্থিতির পূর্বাভাস দেয়। পূর্বাভাসে বলা হয়, সোমবার থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছয় দিন ধরে হতে পারে ঝড়বৃষ্টি। কয়েক দিনের বৃষ্টির পর কমে যেতে পারে তাপপ্রবাহ।

আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বলেন, রোববার বিকেল ৪টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের ওপর দিয়ে বজ্রপাত ও বিচ্ছিন্নভাবে শিলাবৃষ্টিসহ কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে। সেজন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া কাল সোমবার থেকে সারা দেশে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। এতে করে যেসব জায়গায় তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল সেগুলো ধীরে ধীরে প্রশমিত হবে। 

রাজধানী   শিলা-বৃষ্টি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বন্ধ বিমানবন্দর চালুর পরিকল্পনা আপাতত নেই: বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯:৪৩ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান জানিয়েছেন, বন্ধ থাকা বিমানবন্দরগুলো চালুর পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই।

রোববার (৫ মে) বিকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য আলী আজমের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।
 
ফারুক খান বলেন, বর্তমানে দেশে তিনটি আন্তর্জাতিক, সাতটি অভ্যন্তরীণ ও পাঁচটি স্টল বিমানবন্দর রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং পাঁচটি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর চালু রয়েছে। এসব বিমানবন্দর দিয়ে আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, বন্ধ থাকা বিমানবন্দরগুলো চালু করার পরিকল্পনা সরকার তথা বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের আপাতত নেই। তবে বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন, যাত্রী চাহিদা এবং এয়ারলাইনসগুলোর আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে বন্ধ বিমানবন্দরগুলো চালুর উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।

বিমানবন্দর   বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী   জাতীয় সংসদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা লোডশেডিং, বিদ্যুৎ গেল কোথায়: সংসদে চুন্নু

প্রকাশ: ০৯:৩৪ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

লোডশেডিং নিয়ে সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, গ্রামে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। সরকার বলেছে ২৮ হাজার বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্যাপাসিটি রয়েছে। তাহলে এই বিদ্যুৎ গেল কোথায়?

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে তিনি এ প্রশ্ন করেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, এই মুহূর্তে সারাদেশের মানুষ অনেক সমস্যায় আছে। তার মধ্যে দুটি সমস্যায় মানুষ খুব আক্রান্ত। একটি হলো বিদ্যুৎ। এই মৌসুমে সারাদেশে গ্রামে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। আর সরকার বলেছে ২৮ হাজার বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্যাপাসিটির কথা, তাহলে এই বিদ্যুৎ গেল কোথায়? বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে আমার এলাকার মানুষ দাওয়াত দিয়েছে, লোডশেডিং হয় কিনা দেখার জন্য।

তিনি আরও বলেন, যে সব বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ভাড়ায়, তাদের সক্ষমতার ৪১ শতাংশ সক্ষমতা থাকার পরেও বসে আছে এবং ২২-২৩ আর্থিক বছরে বসে থেকে ভাড়া বাবদ ২৬ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। আগের পার্লামেন্টে আমি বলেছিলাম, আমার এলাকায় প্রায় বিদ্যুৎ চলে যায়। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আমাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, আমি আজকে চ্যালেঞ্জ চাই না। আমি চাই সশরীরে উনি আমার এলাকায় একটু যাবেন, যে কয় ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে।

চুন্নু বলেন, দায়মুক্তি দিয়ে যেসব চুক্তি আমরা করেছি, সেগুলো দয়া করে প্রত্যাহার করুন। বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে বসে বসে জরিমানা দেওয়া হবে, এ চুক্তি বাতিল করুন। সেসব কোম্পানি বিদ্যুৎ দিলে বিল পরিশোধ করবেন। বসিয়ে রেখে এভাবে এক বছরে ২৬ হাজার কোটি টাকা দেবেন, তারপর আবার লোডশেডিংও থাকবে! ঢাকায় থেকে অসহনীয় অবস্থা আপনারা বুঝবেন না।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ করুন। বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছেন। মন্ত্রী একটি সুন্দর কথা বলেন, সমন্বয়। সমন্বয়ের মানে মূল্যবৃদ্ধি। এ সমন্বয় আগামী তিন বছর বারবার করবেন। ভর্তুকি তুলে নিলে বিদ্যুতের দাম দ্বিগুণ হয়ে যাবে দুই-তিন বছর পর। মানুষ কিনতে পারবে কি না, আমি জানি না। আমি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে বলব, শুধুমাত্র দাম না বাড়িয়ে এমন কিছু পদক্ষেপ নিন, যাতে জনগণের ওপর চাপ না পড়ে, একটি সহনীয় অবস্থায় আপনারা সরকারেও থাকতে পারেন, আর বিদ্যুৎও যাতে পাওয়া যায়।

লোডশেডিং   মুজিবুল হক চুন্নু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন