ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে সরকারি বীজতলায় আগ্রহ কম, বেসরকারি নার্সারির বিপ্লব


Thumbnail লক্ষ্মীপুরে সরকারি বীজতলায় আগ্রহ কম, বেসরকারি নার্সারির বিপ্লব

গ্রাম কিংবা শহরে আড়া ও বাগান তৈরি ছাড়া লক্ষ্মীপুর জেলায় কোন নতুন বাড়ি তৈরির কল্পনাই করা যায় না। ফলে চারাগাছের চাহিদা থাকায় জেলার প্রতিটি বাজারে সারা বছরই হাটের দিন কিংবা ভ্যানে ফেরি করে চারা গাছ বিক্রি হয়। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে চাহিদা বেড়ে যায় বহুগুণ। চাহিদা মিটাতে গিয়ে জেলার ৫ উপজেলা জুড়ে রয়েছে গড়ে উঠেছে অসংখ্য নার্সারি। এসব নার্সারিতে বছরে প্রায় দুই কোটি বিভিন্ন প্রজাতির চারা গাছ উৎপাদন ও বিক্রি হয়। যার গড় বাজার মূল্য একশো কোটি টাকার বেশি। এ সবুজ বিপ্লবে জেলার তিন হাজারের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। দিন দিন বেসরকারি নার্সারি ব্যবসা সম্প্রসারণ হচ্ছে। নার্সারি ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

এসময় নার্সারি মালিক ও চারা গাছ ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কাঠ ও অর্থকরী ফল উৎপাদনে লক্ষ্মীপুরে নীরব বিপ্লব ঘটাচ্ছে বেসরকারি নার্সারিগুলো। তবে স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানিয়েছে, লক্ষ্মীপুরে বেসরকারি নার্সারির রমরমা উৎপাদন ও ব্যবসা থাকলেও আগ্রহ কম জেলার এক মাত্র সরকারি নার্সারি লক্ষ্মীপুর বীজতলা কেন্দ্রে।

চারা গাছের গ্রাহক, জেলার সচেতন মানুষ এবং নার্সারি মালিকদের দাবি, বেসরকারি নার্সারিগুলোতে সরকারি সংস্থার মাধ্যমে উন্নত মানের কাঠের বীজ ও ফলের বীজ এবং মাতৃগাছ সরবরাহ করা গেলে আগামী ৫-১০ বছরের মধ্যে জেলায় মান সম্মত কাঠ ও ফল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পারবে। নতুবা গাছে ভরপুর হলেও মানসম্মত কাঠ ও চাহিদানুপাতে ফল উৎপাদন সম্ভব হবে না।

স্থানীয় ভাবে তথ্য নিয়ে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর জেলার প্রতিটি বাড়িতে কাঠ গাছ, বিভিন্ন জাতের ফলের গাছ এবং অর্থকরী ফল নারিকেল ও সুপারি বাগান রয়েছে। জেলার বহু উদ্যোক্তা বাণিজ্যিক ভাবে বরই, কমলা, মাল্টা, আম, পেয়ারা, ড্রাগন চাষ শুরু করেছেন। জেলায় কাঠের চাহিদা বড় একটি অংশ নিজস্ব উৎপাদিত কাঠ থেকে মেটানো হয়। কাঠ বাগান ও ফল বাগানের গাছের চাহিদা মেটায় স্থানীয় নার্সারিগুলো। এসব নার্সারিতে প্রাকৃতিক বনের বীজ ও উন্নত ফলের বীজের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও সরকারি সংস্থা ছাড়া সেগুলো পাওয়া যায় না।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালালবাজার এলাকার সুন্দরবন নার্সারিতে প্রবেশ করতেই মনে হলো যেন সত্যিকারের সুন্দরবন। হাজার হাজার গাছের চারায় কানায় কানায় ভর্তি সুন্দরবন নার্সারির প্রতি ইঞ্চি জায়গায়। ক্রেতাদের ভিড় সারাক্ষণ লেগেই ছিল।

সুন্দরবন নার্সারির মালিক মোঃ মামুনুর রশিদ জানান, প্রায় তিন একর জায়গায় তিনি বছরে অন্তত পাঁচ লাখ গাছের চারা উৎপাদন ও বিক্রি বিক্রিতে ১০-১২ জন মানুষের কর্মসংস্থান রয়েছে। সুন্দরবন নার্সারিতে সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে ফল গাছের চারার। এছাড়া তিনি মেহগনি, সেগুন, গর্জন, আকাশমণি নামের কাঠের চারা এবং অর্থকরী ফল নারিকেল ও সুপারিগাছের চারাও উৎপাদন করেন। এ নার্সারিতে বছরে প্রায় ৫০ লাখ টাকার চারা গাছ বিক্রয় হয় বলে জানান তিনি।

একই এলাকার মাত্র আধা কিলোমিটার দূরে উপকূলীয় বন বিভাগ নোয়াখালীর অধীন লক্ষ্মীপুর বীজ তলা কেন্দ্র নামের একটি সরকারি নার্সারিতে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটির পুরো এলাকা ঝোপ জঙ্গলে পরিপূর্ণ পুরো ভুতুড়ে পরিবেশ। লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলার দালাল বাজার এলাকায় ৪ একর জমিতে প্রতিষ্ঠিত এ নার্সারি।

এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা আলা উদ্দিন সাজু (৪২) জানায়, ছোট বেলা দেখেছি এ নার্সারি থেকে লাইন দিয়ে মানুষ চারা গাছ কিনতো। কিন্তু গত প্রায় একযুগ যাবত তিনি এ নার্সারিতে চারা উৎপাদন হতে দেখেননি।

সাজু জানান, বৃহৎ জায়গায় দখল করে থাকা সরকারি নার্সারিটি এখন মুমূর্ষু। কিন্তু বছরে কমপক্ষে ৫ লাখের অধিক চারা গাছ উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। এ অবস্থা কেন এমন প্রশ্নের কোন উত্তর না দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির রেঞ্চ কর্মকর্তা চন্দন ভৌমিক জানায়, লক্ষ্মীপুর বীজ তলা কেন্দ্রে তিনটি ভবন, ৬ জন সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটিতে কিছু চারা গাছ উৎপাদন হয় বলে তিনি দাবী করলেও স্থানীয় কয়েকজন এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে জেলাবাসীর কোন উপকারে আসছে না।  

সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার সামনে মায়ের দোয়া আল আমিন নার্সারি। প্রায় সাড়ে তিন একর জমিতে প্রতিষ্ঠিত এ নার্সারিতে দেশীয় ফলের পাশাপাশি বিদেশী জাতের অনেক ফল গাছের চারা উৎপাদনও বিক্রি করা হয়। থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ভারতের কেরালা নারিকেলের চারা উৎপাদন হয় সেখানে। আছে বারমাসি কাঁঠাল, আমড়া, জাম, কামরাঙাসহ অনন্ত ২৫টি বারমাসি ফল গাছের চারা। নার্সারির মালিক নুর উদ্দিন (৬৫) জানান, তার নার্সারিতে বর্তমানে প্রায় একলক্ষ ফল গাছের চারা রয়েছে, যেগুলোর বাজার মূল্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা। তিনি জানান, তার প্রতিষ্ঠানে ২৫ জন শ্রমিক রয়েছে যাদের মাসিক বেতন ৩ লাখ টাকার মতো। নার্সারি ব্যবসায় ৩২ বছরের অভিজ্ঞ এ ব্যক্তি জানান, তিনি নিজ উদ্যোগেই বিদেশী ও দেশী উন্নতমানের ফলের বীজ সংগ্রহ করে চারা উৎপাদন সরাসরি নার্সারিতে, বিভিন্ন বাজার ও ছোট নার্সারির নিকট তিনি চারা বিক্রি করেন। বীজ সংগ্রহ ও চারা বিপণনে তিনি কখনো সরকারি কোন প্রতিষ্ঠান থেকে কোন পরামর্শ পাননি।

তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিন বৃক্ষরোপণ অভিযানের কারণে লক্ষ্মীপুরে প্রচুর গাছ রোপণ হয়েছে। তার মতে, এখন দরকার উন্নত মানের ফল ও কাঠের গাছ রোপণ করা। আর মানসম্মত কাঠের বীজ ও ফলের বীজের জন্য বন গবেষণা কেন্দ্র কিংবা সরকারি অন্য কোন সংস্থার মাধ্যমে নার্সারি মালিকদের বীজ বিক্রি জরুরী বলে জানান তিনি।

সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ এলাকায় জামাল নার্সারি। প্রায় ৫ একর জমিতে এ প্রতিষ্ঠান এ বছর প্রায় ২ লাখ চারা উৎপাদন করেছে। সবগুলোই কাঠ গাছের চারা। জামাল উদ্দিন জানান, তিনি স্থানীয় ভাবে সংগ্রহ বীজ থেকে শুধু কাঠ ও সবজি চারা উৎপাদন করেন। মেহগনি, সেগুন, আকাশমণি, চাপালিশ এবং কড়ই জাতীয় কাঠগাছের চারা তিনি উৎপাদন করেন।  তিনি জানান, বন গবেষণা ইনস্টিটিউট বা অন্য কোন সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যদি বীজ সংগ্রহ করা যেত তাহলে ভালো মানের কাঠ গাছ তিনি সরবরাহ করতে পারতেন। কিন্তু এখন স্থানীয় বীজে ভালো কাঠের গাছ তারা দিতে পারছে না। এতে দেশেরই ক্ষতি হচ্ছে। তার দাবী স্থানীয় ভাবে সংগ্রহ বীজে উন্নত কাঠ ও বারমাসি ফল আশা করা যায় না।

একই এলাকার কবির ব্রিকস ফিল্ড মাঠে গড়ে উঠেছে আনোয়ার নার্সারি। মালিক মোঃ মোরশেদ আলম জানায়, তার নার্সারিতে শুধুমাত্র ফুল ও ফল গাছ উৎপাদন করেন তিনি। এক একর জমিতে গড়ে উঠা এ নার্সারিতে বর্তমানে প্রায় আড়াইশ জাতের ৫০ হাজার ফুল গাছ রয়েছে। খুচরা বিক্রির পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন বাসাবাড়ি সাজানো, অফিস সাজানো এবং ছাদ বাগান তৈরি করার চুক্তিতে করে থাকেন। এ নার্সারিতে তার ২৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।  

কমলনগর উপজেলার করইতোলা এলাকার মায়ের দোয়া নার্সারির মালিক আনোয়ার জানায়, নার্সারিতে ব্যবহারের জন্য এ বছর ৫ হাজার ঘনফুট মাটি সংগ্রহ করেছেন। বর্তমানে মাটির দাম, প্লাস্টিক প্যাকেট, সার, কীটনাশক ও কর্মচারীদেরও মজুরি মূল্য বেশি হওয়ার কারণে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তিনি আরো জানান, তারা স্থানীয় ভাবে সংগৃহীত কাঠ ও ফলের বীজ থেকে চারা উৎপাদন করেন। কিন্তু সবজি বীজ উৎপাদনে বিভিন্ন কোম্পানির বীজ কিনে তা থেকে চারাগাছ উৎপাদন করেন। তিনি অভিযোগ করে জানান, বিভিন্ন বাজারে গাছের চারা বিক্রির জন্য তারা নিদিষ্ট জায়গা পান না। বিভিন্ন বাজারে তাদের থেকে বেশি খাজনা নেয়। এসব কারণে তাদের খরচ বেড়ে যাচ্ছে। তিনি গাছের চারা বিক্রির জন্য টোল ও খাজনা মুক্ত সুবিধা চাচ্ছেন।

লক্ষ্মীপুর বীজ তলা কেন্দ্রের কর্মকর্তা চন্দন ভৌমিক জানায়, জেলায় কতটি নার্সারি রয়েছে সে বিষয়ে তাদের নিকট কোন তথ্য নেই।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মোঃ জাকির হোসেন জানায়, জেলা কৃষি বিভাগ থেকে প্রায় ১শ ২০টি নার্সারি লাইসেন্স নিয়েছে।

লক্ষ্মীপুর জেলা নার্সারি মালিকদের অন্যতম নেতা নুর উদ্দিন জানায়, জেলা প্রায় দেড় শতাধিক বেসরকারি ও একটি সরকারি নার্সারি রয়েছে। বেসরকারি নার্সারি গুলোতে বছরে কমপক্ষে ২ কোটি কাঠ, ফল,ফুল এবং সবজি চারা উৎপাদন করা হয়। যেগুলোর বাজার মূল্য কমপক্ষে একশো কোটি টাকা। এ ব্যবসায় ৩ হাজারের মতো মানুষের কর্মসংস্থান রয়েছে । স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত বীজ থেকেই নার্সারি মালিকরা চারা উৎপাদন করে থাকে।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বন্ধ বিমানবন্দর চালুর পরিকল্পনা আপাতত নেই: বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯:৪৩ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান জানিয়েছেন, বন্ধ থাকা বিমানবন্দরগুলো চালুর পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই।

রোববার (৫ মে) বিকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য আলী আজমের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।
 
ফারুক খান বলেন, বর্তমানে দেশে তিনটি আন্তর্জাতিক, সাতটি অভ্যন্তরীণ ও পাঁচটি স্টল বিমানবন্দর রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং পাঁচটি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর চালু রয়েছে। এসব বিমানবন্দর দিয়ে আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, বন্ধ থাকা বিমানবন্দরগুলো চালু করার পরিকল্পনা সরকার তথা বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের আপাতত নেই। তবে বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন, যাত্রী চাহিদা এবং এয়ারলাইনসগুলোর আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে বন্ধ বিমানবন্দরগুলো চালুর উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।

বিমানবন্দর   বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী   জাতীয় সংসদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা লোডশেডিং, বিদ্যুৎ গেল কোথায়: সংসদে চুন্নু

প্রকাশ: ০৯:৩৪ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

লোডশেডিং নিয়ে সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, গ্রামে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। সরকার বলেছে ২৮ হাজার বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্যাপাসিটি রয়েছে। তাহলে এই বিদ্যুৎ গেল কোথায়?

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে তিনি এ প্রশ্ন করেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, এই মুহূর্তে সারাদেশের মানুষ অনেক সমস্যায় আছে। তার মধ্যে দুটি সমস্যায় মানুষ খুব আক্রান্ত। একটি হলো বিদ্যুৎ। এই মৌসুমে সারাদেশে গ্রামে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। আর সরকার বলেছে ২৮ হাজার বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্যাপাসিটির কথা, তাহলে এই বিদ্যুৎ গেল কোথায়? বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে আমার এলাকার মানুষ দাওয়াত দিয়েছে, লোডশেডিং হয় কিনা দেখার জন্য।

তিনি আরও বলেন, যে সব বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ভাড়ায়, তাদের সক্ষমতার ৪১ শতাংশ সক্ষমতা থাকার পরেও বসে আছে এবং ২২-২৩ আর্থিক বছরে বসে থেকে ভাড়া বাবদ ২৬ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। আগের পার্লামেন্টে আমি বলেছিলাম, আমার এলাকায় প্রায় বিদ্যুৎ চলে যায়। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আমাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, আমি আজকে চ্যালেঞ্জ চাই না। আমি চাই সশরীরে উনি আমার এলাকায় একটু যাবেন, যে কয় ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে।

চুন্নু বলেন, দায়মুক্তি দিয়ে যেসব চুক্তি আমরা করেছি, সেগুলো দয়া করে প্রত্যাহার করুন। বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে বসে বসে জরিমানা দেওয়া হবে, এ চুক্তি বাতিল করুন। সেসব কোম্পানি বিদ্যুৎ দিলে বিল পরিশোধ করবেন। বসিয়ে রেখে এভাবে এক বছরে ২৬ হাজার কোটি টাকা দেবেন, তারপর আবার লোডশেডিংও থাকবে! ঢাকায় থেকে অসহনীয় অবস্থা আপনারা বুঝবেন না।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ করুন। বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছেন। মন্ত্রী একটি সুন্দর কথা বলেন, সমন্বয়। সমন্বয়ের মানে মূল্যবৃদ্ধি। এ সমন্বয় আগামী তিন বছর বারবার করবেন। ভর্তুকি তুলে নিলে বিদ্যুতের দাম দ্বিগুণ হয়ে যাবে দুই-তিন বছর পর। মানুষ কিনতে পারবে কি না, আমি জানি না। আমি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে বলব, শুধুমাত্র দাম না বাড়িয়ে এমন কিছু পদক্ষেপ নিন, যাতে জনগণের ওপর চাপ না পড়ে, একটি সহনীয় অবস্থায় আপনারা সরকারেও থাকতে পারেন, আর বিদ্যুৎও যাতে পাওয়া যায়।

লোডশেডিং   মুজিবুল হক চুন্নু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে রাতের অন্ধকারে হামলা চালিয়ে সংখ্যালঘুর জমি দখল, ঘর নির্মাণ


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে রাতের অন্ধকারে হামলা চালিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে একটি টিনসেট ঘর স্থাপন করেছে তাজল ইসলাম নামে এক ভূমি পরিমাপক। 

রোববার (৫ মে) ভোর রাতে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের করুনানগর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলেও যথা সময়ে পুলিশ আসেনি বলে অভিযোগ ভূক্তভোগীদের। 

বিকেলে ভূক্তভোগী টিংকু রানী দাস, বিপন রানী দাস, শোভন দাস ও অনিক চন্দ্র দাসসহ কয়েকজন এ অভিযোগ করেন। তারা জানায়, লোক মারফত তারা জানতে পারেন তাজল ইসলাম বিরোধীয় জমিতে ঘর তুলবেন। এতে শনিবার (৪ মে) দিবাগত সারারাত তারা পাহারারত ছিলেন। কেউই ঘুমাননি। রোববার ফজরের আযান দিলে তারা ঘুমাতে যায়। ঠিক সেই মুহুর্তে তাজল ইসলাম প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষকে নিয়ে এসে বিরোধীয় জমিতে থাকা টিনের বেড়া ভেঙে ফেলে। ঘটনাটি আঁচ করতে পেরে সবাই এসে বাধা দিলে তাজল ইসলামসহ তার লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে তাদের (ভূক্তভোগী) ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে ভূক্তভোগীরা জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দেয়। সেখান থেকে বিষয়টি কমলনগর থানাকে জানানো হয়। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছতে ২ ঘণ্টা সময় লাগিয়েছে। এর মধ্যে অন্যত্র তৈরিকৃত একটি নতুন ঘর এনে তাজল ইসলামরা বিরোধীয় জমিতে স্থাপন করে। এসময় টিংকু, বিপন, শোভন ও অনিকসহ কয়েকজনকে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ আনা হয়। 

ভূক্তভোগীরা আরও জানায়, পুলিশ এসে ঘর দেখে তারা থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলে। যদি পুলিশ সময়মতো আসতো তাহলে তাজল ইসলামরা ঘর স্থাপন করার সুযোগ পেতো না। আদালতে মামলা চলমান থাকলেও হামলা চালিয়ে ঘর স্থাপনের ঘটনায় তাজল ইসলামের বিচার চেয়েছেন ভূক্তভোগীরা।

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মিলন মন্ডল বলেন, ডালিম কুমার দাস নামে এক ব্যক্তি তাজল ইসলামের কাছে জমি বিক্রি করে। ডালিম ও তাজলসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে প্রাক্তন স্কুল শিক্ষক রাম কৃষ্ণ দাসসহ ভূক্তভোগীরা অগ্রক্রয় অধিকার আইনে রামগতি সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন। মামলাটি এখনো চলমান। এরমধ্যে তাজল ইসলাম হামলা চালিয়ে ঘর স্থাপন করে আইন অমান্য করেছে। আমরা তার বিচার দাবি করছি। 

তবে অভিযুক্ত তাজল ইসলামের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। তিনি রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নের চরসীতা গ্রামের বাসিন্দা। 

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। পুলিশও পাঠানো হয়েছে। হামলার ঘটনায় কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। কেউ আটকও নেই। জায়গা জমি নিয়ে সমস্যা রয়েছে। ক্রেতা তার জমি দখল করতে এসেছে। এটি উভয়পক্ষ বসে মীমাংসা করতে পারতো।

লক্ষ্মীপুর   সংখ্যালঘু   জমি দখল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তাপপ্রবাহে কী করতে হবে, জানিয়ে জাতীয় নির্দেশিকা প্রকাশ

প্রকাশ: ০৮:২১ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

অতিরিক্ত গরমে মাথা ঘোরানো, দুশ্চিন্তা, স্ট্রোক, মুখের ভেতর শুকিয়ে যাওয়া, অ্যাজমা, মাংসপেশিতে খিঁচুনি, চামড়ায় ফুসকুড়ি, কিডনি অকার্যকর হওয়ার মতো অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের গরমে বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী, শ্রমজীবী মানুষেরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। তাই তাপপ্রবাহ থেকে সুরক্ষার জন্য কী কী করতে হবে, তা জানিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় গাইডলাইন বা নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে সরকার।

রোববার (৫ মে) দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত তাপমাত্রাজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি বিষয়ক জাতীয় গাইডলাইনের আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান করা হয়।

অনুষ্ঠানে জাতীয় গাইডলাইনের মোড়ক উন্মোচন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, তীব্র গরমে সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা। যারা একটু শারীরিকভাবে কম সামর্থ্যবান, যাদের ডায়াবেটিস, হার্ট-ডিজিস বা বিভিন্ন অসুখ রয়েছে, তারা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। এই বইয়ে নির্দেশিত গাইডলাইন লিফলেট আকারে স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে দিতে হবে। ইতোমধ্যে সব সরকারি হাসপাতালে এই গাইডলাইন প্রেরণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

নগর পরিকল্পনাবিদদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা দেখি গ্রামের চেয়ে ঢাকা শহরে তাপমাত্রা অনেক বেশি। এর কারণ আমরা ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে শহরের গাছপালা সব কেটে সাবাড় করেছি। জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর হয়তো আমরা খুব প্রভাব ফেলতে পারি না। কিন্তু নগর পরিকল্পনার সময় যদি এসব বিষয় আমরা মাথায় রাখি, তাহলে অনেকাংশেই পরিত্রাণ সম্ভব।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সাবরিনা ফ্লোরা, ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেজেনটেটিভ এমা ব্রিগহাম প্রমুখ।

তাপপ্রবাহ   জাতীয় নির্দেশিকা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শুক্রবার ক্লাস নেওয়া নিয়ে ফেসবুক পোস্ট ভুলবশত: শিক্ষা মন্ত্রণালয়

প্রকাশ: ০৮:১৬ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রয়োজনে শুক্রবারও স্কুল খোলা রাখা হতে পারে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া পোস্টটি ‘ভুলবশত’ করা হয়ছিল বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রোববার (৫ মে) বিকেলে মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে বন্ধের কারণে শিখন ঘাটতি পূরণে প্রয়োজনে শুক্রবারও স্কুল খোলা রাখা হতে পারে বলে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। এরপর থেকেই ওই পোস্ট নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে আলোচনা–সমালোচনা।

ফেসবুকে দেওয়া নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’

এর আগে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে প্রায় এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর রোববার থেকে আবারও স্কুল কলেজগুলোতে পাঠদান শুরু হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগেই জানিয়েছে,  পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও ক্লাস চলবে।   

এদিকে, শুক্রবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্তের কারণে অভিভাবকরাও পড়েছে দোটানায়। কোন ঘোষণা ঠিক আর কোনটি ভুল এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে তুলকালাম আলোচনা। 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়   শিক্ষামন্ত্রী   মহিবুল হাসান চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন