ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশকে ঋণ না দিতে ইউনূসের লবিং?

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ২৯ জুলাই, ২০২২


Thumbnail বাংলাদেশকে ঋণ না দিতে ইউনূসের লবিং?

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। গ্রামীণ টেলিকমের দুর্নীতির বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। অন্যদিকে ড. ইউনূসও বসে নেই। তিনি সরকারকে চাপে ফেলার জন্য আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নতুন করে লবিং, দেনদরবার এবং তদবির শুরু করেছেন। এবার তার মূল উদ্দেশ্য হলো দুর্নীতির মামলা থেকে বাঁচা। উল্লেখ্য যে, গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের ঠকানো এবং তাদের সাথে প্রতারণার অভিযোগে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। এই মামলায় তাকে হাজিরাও দিতে হয়েছিল। কিন্তু মামলা থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য অসাধু পন্থা অবলম্বন করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের সাথে অনৈতিক লেনদেনে জড়ান এবং তাদেরকে মামলা প্রত্যাহারে প্ররোচিত করেন। একজন আইনজীবির ব্যাংক একাউন্টে বিপুল পরিমাণ টাকা জব্দ করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে যে, আদালতের বাইরে মামলাটি অনৈতিকভাবে ফয়সালার জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূস এটি করেছিলেন। আর এখন গ্রামীণ টেলিকমের দুর্নীতির অভিযোগ এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ পরিচালনা পরিষদের বিরুদ্ধে দুদক অনুসন্ধান করলো। এই পরিস্থিতিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এখন অন্য পন্থা বেছে নিয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ কিছুটা অর্থনৈতিক চাপের মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশ এই চাপ কাটিয়ে ওঠার জন্য আইএমএফ, জাইকাসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থার কাছ থেকে ঋণ চেয়েছে। ইতোমধ্যে আইএমএফের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এসেছিল এবং বাংলাদেশ সফর করে যাওয়ার পর বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ৪ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ প্রস্তাব দিয়েছে। এখন পর্যন্ত সরকার জানে না যে এই ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে কিনা এবং এই ঋণ প্রস্তাবের বিষয়ে কি কি শর্ত থাকে। একাধিক সূত্র বলছে যে, আইএমএফ এর সঙ্গে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটা ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে এবং বাংলাদেশ যেন সহজে ঋণ না পায় বা ঋণের শর্তগুলো যেন এমন করা হয় যেন বাংলাদেশ ঋণ গ্রহণ না করে, সে ব্যাপারে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠান ইউনূস সেন্টারের যুক্তরাষ্ট্র শাখা কাজ শুরু করেছে। তবে ইউনূস সেন্টার আনুষ্ঠানিকভাবে এ ধরনের অভিযোগকে ডাহা মিথ্যা, বানোয়াট এবং কল্পনাপ্রসূত বলে উল্লেখ করেছে। কিন্তু আইএমএফ এর সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউনূস সেন্টেরের ঘনিষ্ট যোগাযোগের খবর পাওয়া গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠান লোকেরা আইএমএফের প্রতিনিধির সাথে বৈঠক করেছেন বলেও একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, আইএমএফ বাংলাদেশকে ঋণ দিতো কিছু শর্তসাপেক্ষে। এই শর্তগুলো দেখেশুনে বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত নেবে ঋণ নেবে কিনা। আর এই শর্তগুলো যদি জটিল, কঠিন হয় এবং বাংলাদেশের স্বার্থের পরিপন্থী হয় তাহলে বাংলাদেশ ঋণ গ্রহণ করবে না বলেই বাংলাদেশের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের ঋণ প্রক্রিয়াকে জটিল করার জন্য কাজ করছেন। একইসাথে বাংলাদেশ যেন জাইকার কাছ থেকে ঋণ না পায় সে ব্যাপারেও ড. ইউনূসের লোকজন লবিং করছেন বলে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত হোসেন জিল্লুর রহমান, ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যরা এখন সরকারের অর্থনৈতিক বিভিন্ন নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন। এর পিছনেও ড. মুহাম্মদ ইউনূস রয়েছেন বলে জানা গেছে।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য, হোসেন জিল্লুর রহমানের মতো অর্থনীতিবিদরা যখন বাংলাদেশ সম্বন্ধে নেতিবাচক মন্তব্য করে তখন আইএমএফের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে নিত্য নতুন শর্ত দেওয়ার জন্য উৎসাহিত হয়। পুরো নেটওয়ার্কটি নেপথ্যে থেকে তত্ত্বাবধান করছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নিজের দুর্নীতি ঢাকতে শেষ পর্যন্ত তিনি আবারও পদ্মা সেতুর মতো বাংলাদেশকেই জিম্মি করতে চাইছেন কিনা এটি এখন কূটনীতিক অঙ্গনে বড় প্রশ্ন। উল্লেখ্য, এর আগে পদ্মা সেতু নিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বব্যাংকের কাছে লবিং করেছিলেন, বাংলাদেশকে যেন সেতু নির্মাণের জন্য ঋণ না দেওয়া হয়। তার লবিং এর কারণে শেষ পর্যন্ত বিশ্বব্যাংক ঋণ চুক্তি থেকে সরে এসেছিল। 

বাংলাদেশ   ঋণ   ড. মুহাম্মদ ইউনূস   ড. ইউনূস   আইএমএফ   জাইকা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাবার কৌশল

প্রকাশ: ০৩:৪১ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

বজ্রপাতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ অবস্থায় বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার কৌশল জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন।

রোববার(৫ মে) আবহাওয়ার সব শেষ খবর জানাতে আগারগাঁওয়ে ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।

বজ্রপাতে প্রাণহানির বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মনোয়ার হোসেন জানান, সারা দেশে বজ্রপাত অনেক বেড়ে গেছে। বজ্রপাত এখন যে অবস্থায় গেছে। সে জন্য সরকার একে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই বজ্রপাতে শুধু মানুষ নয়, অনেক পশুপাখিও প্রাণ হারাচ্ছে। এ মৌসুমে বৃষ্টিপাত ও বজ্রঝড় হয়। সেই সঙ্গে বজ্রপাতের খুবই আশঙ্কা রযেছে। নানা কারণে বজ্রপাত বেড়ে গেছে। সেটা হচ্ছে ক্লাইমেট চেঞ্জ হওয়ার কারণে হতে পারে, ওজন স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণেও হতে পারে। আবার বৃক্ষ, পাহাড় ও পরিবেশ বিভিন্ন কারণে বিনষ্ট হওয়ার কারণেও হতে পারে।

বজ্রপাত থেকে বাঁচার কৌশল উল্লেখ করে তিনি বলেন, পৃথিবীব্যাপীই এই কৌশল অনুসরণ করা হয়। সেটা হলো বিদ্যুৎ চমকাতে দেখার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে যদি বজ্রপাতের শব্দ শুনতে পান তাহলে বুঝবেন সেটা আপনার দিকে আসছে বা সেটার দ্বারা আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। আর যদি দেখেন বিদ্যুৎ চমকানোর ৩০ সেকেন্ড পর শব্দটা পেয়েছেন তাহলে বুঝবেন সেটা আপনার থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। সে সময় যদি নিরাপদ আশ্রয়ে না থাকেন তাহলে এক আঙুলের ওপর ভর করে বসে পড়তে হবে। এবং সেটা দ্বারা অনেক ক্ষয়ক্ষতি কমতে পারে। মানুষকে এটা বেশি বেশি করে জানাতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বজ্রপাতের সময় যেন মানুষ ঘর থেকে বের না হয়। যদি বাইরে থাকে তবে গাছ বা বিদ্যুতের খুঁটির কাছে যেন না থাকে।

চলমান দাবদাহের বিষয়ে মনোয়ার হোসেন বলেন, সোমবার রাজশাহী ও খুলনায় দাবদাহ চলমান থাকার আশঙ্কা রয়েছে। তবে রাজধানীসহ অন্যান্য বিভাগীয় অঞ্চলে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। ঢাকার তাপপ্রবাহ মৃদু থেকে মৃদু হয়ে সোমবার থেকে দাবদাহ পুরোপুরি কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মে মাসের মাঝামাঝি সময়ের পর ফের বাড়তে পারে তাপমাত্রা, তবে তা দীর্ঘ সময়ের জন্য বা বিস্তর এলাকার জন্য হবে না।


বজ্রপাত   আবহাওয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তিন দিন ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে শাহজালালে ফ্লাইট ওঠানামা

প্রকাশ: ০৩:৩২ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এখন থেকে ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে ফ্লাইট ওঠানামা।

রোববার (৫ মে) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম।

তিনি জানান, পাঁচ থেকে সাত মে বিমানবন্দরে রানওয়ের রক্ষণাবেক্ষণসহ বেশ কয়েকটি কাজের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই তিন দিন মধ্যরাতে তিন ঘণ্টার জন্য ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ থাকবে। এই সময়টাতে রানওয়ের মার্কিং করা, বৈদ্যুতিক ও রক্ষণাবেক্ষণের কিছু কাজ করা হবে।

বিমানবন্দরের সূত্র জানায়, এই তিন ঘণ্টায় বিমানবন্দরে নিয়মিতভাবে সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইনস, মালয়েশিয়ান এয়ারওয়েজ, থাই এয়ারওয়েজ, কুয়েত এয়ারওয়েজ, কাতার এয়ারওয়েজ ও ক্যাথে প্যাসিফিকের ফ্লাইট থাকে। তাদের এই তিন দিন ফ্লাইটের সময় এগিয়ে বা পিছিয়ে নিতে বলা হয়েছে।

এর আগে, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফ্লাইট ব্যবস্থাপনায় সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং যাত্রীসেবা মানোন্নয়নে রানওয়ের সেন্ট্রাল লাইনে আরও লাইট স্থাপনের জন্য দুই মাস পাঁচ ঘণ্টার জন্য রানওয়ে বন্ধ করা হয়েছিল। এসব রুটিন কাজ বিমানবন্দরের।

শাহজালাল বিমানবন্দর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশ: ০৩:১৫ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

রোববার (৫ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মন্ত্রীর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ফেসবুকে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এরমধ্যে ২০ দিন নতুন কারিকুলামের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, তবে শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।

এর আগে, গত ৩০ এপ্রিলও মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শিক্ষামন্ত্রী একই ধরনের কথা বলেছিলেন। ওইদিন তিনি বলেছিলেন, যদি শিক্ষাদিবস কমে যায়, তাহলে শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও স্কুল খোলা রাখা হতে পারে। যদিও একদিন পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল শুক্রবার ক্লাস নেওয়ার চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে দেওয়া ছুটি শেষে আজ রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগেই ঘোষণা দিয়েছে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও ক্লাস চলবে।

শিক্ষামন্ত্রী   মহিবুল হাসান চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সেনাবাহিনীকে আরও আধুনিক ও যুগোপযোগী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি সেনাবাহিনীকে আরও আধুনিক, দক্ষ ও যুগোপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (৫ মে) সকালে ঢাকা সেনানিবাসে নবনির্মিত আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি (এএফআইপি) ভবন এবং আর্মি সেন্ট্রাল অডিটরিয়াম-সেনাপ্রাঙ্গণের উদ্বোধন করে তিনি এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুন: এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় বসবাসকারীদের উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজির জন্য এ নতুন ভবনের নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সভা, সেমিনার, অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে আর্মি সেন্ট্রাল অডিটরিয়াম-সেনাপ্রাঙ্গণ।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বর্তমান সরকার দেশের অন্যান্য সেক্টরের উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে গড়ে তুলেছে অত্যন্ত আধুনিক, দক্ষ ও সময়োপযোগী বাহিনী হিসেবে।’

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী, তিন বাহিনী প্রধান, ঢাকা সেনানিবাসের ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন পদবির অফিসারেরা উপস্থিত ছিলেন।


সেনানিবাস   প্রধানমন্ত্রী   সেনাবাহিনী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অননুমোদিত স্টিকারযুক্ত ৩৬৩ গাড়িতে মামলা

প্রকাশ: ০১:৩৭ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

অননুমোদিত স্টিকার সম্বলিত যানবাহন, ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর পুলিশের ৮টি ট্রাফিক বিভাগ গত ১২ এপ্রিল থেকে ৩ মে পর্যন্ত মোট তিন হাজার ১৭৪টি যানবাহনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে। এরমধ্যে ৩৬৩টি অননুমোদিত স্টিকার, ৪৬১টি ফিটনেসবিহীন ও দুই হাজার ৩৫০টি অবৈধ যানবাহন।

রোববার (৫ মে) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের যুগ্ম কমিশনার এস এম মেহেদী হাসান।

এস এম মেহেদী হাসান বলেন, পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার স্টিকারের অবৈধ ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে অভিযান পরিচালনা করছে ডিএমপির ট্রাফিক পুলিশ। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এ অভিযান চলমান থাকবে। ব্যক্তিগত গাড়িতে পুলিশসহ জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের অনুমোদিত স্টিকার ব্যবহার করলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রায় ২ হাজার গাড়ি ডাম্পিং করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘ঢাকা মহানগরীর নিরাপত্তা ও যানজট নিরসনের লক্ষ্যে জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক সচেতনতা বৃদ্ধি, ট্রাফিক প্রসিকিউশন ব্যবস্থাপনা, সময়োপযোগী ট্রাফিক আইন বাস্তবায়ন, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনয়ন এবং ট্রাফিক আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগকল্পে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের এ বিশেষ অভিযানের পাশাপাশি জনগণের মধ্যে ট্রাফিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

বিশেষ করে স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনদের সাথে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ ও ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্ব পালনে জনগণের সহযোগিতার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরছে’।

ডিএমপির ৮টি বিভাগের পরিসংখ্যান তুলে ধরে ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের যুগ্ম কমিশনার এস এম মেহেদী হাসান বলেন, গত ১২ এপ্রিল থেকে ৩ মে পর্যন্ত ট্রাফিক রমনা বিভাগ অননুমোদিত স্টিকারের বিরুদ্ধে ৪০টি মামলা করেছে। ৭৪টি ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

এছাড়াও ১৮৮টি অবৈধ যানবাহন ডাম্পিং করা হয়েছে। ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগ অননুমোদিত স্টিকারের বিরুদ্ধে ১৬৪টি মামলা করেছে। ৪৬টি ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

এছাড়াও ৩টি অবৈধ যানবাহন ডাম্পিং করা হয়েছে। ট্রাফিক লালবাগ বিভাগ অননুমোদিত স্টিকারের বিরুদ্ধে ৯টি মামলা করেছে। ২০টি ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এছাড়াও ২০৭টি অবৈধ যানবাহন ডাম্পিং করা হয়েছে। ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ অননুমোদিত স্টিকারের বিরুদ্ধে ৪৪টি মামলা করেছে। ৪২টি ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এছাড়াও ২১৫টি অবৈধ যানবাহন ডাম্পিং করা হয়েছে। ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগ অননুমোদিত স্টিকারের বিরুদ্ধে ৩৪টি মামলা করেছে। ৫৩টি ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এছাড়াও ২০৪টি অবৈধ যানবাহন ডাম্পিং করা হয়েছে।

ট্রাফিক গুলশান বিভাগ অননুমোদিত স্টিকারের বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা করেছে। ৬১টি ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এছাড়াও ১২৩টি অবৈধ যানবাহন ডাম্পিং করা হয়েছে। ট্রাফিক উত্তরা বিভাগ অননুমোদিত স্টিকারের বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা করেছে। ৯৪টি ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এছাড়াও ৭৬টি অবৈধ যানবাহন ডাম্পিং করা হয়েছে। ট্রাফিক মিরপুর বিভাগ অননুমোদিত স্টিকারের বিরুদ্ধে ৪২টি মামলা করেছে। ৭১টি ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এছাড়াও এক হাজার ৩৩৪টি অবৈধ যানবাহন ডাম্পিং করা হয়েছে।

মেহেদী হাসান বলেন, সম্প্রতি চলমান তাপপ্রবাহে কর্তব্যরত ট্রাফিক, সাধারণ মানুষ, পথচারী, রিকশাচালকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষদের একটু স্বস্তি দিতে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমানের উদ্যোগে সুপেয় পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হচ্ছে।

গেল মাসের রোববার (২৮ এপ্রিল) মার্চ মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, রাস্তায় পুলিশের স্টিকার লেখা কোনো গাড়ি দেখলে কর্তব্যরত পুলিশ অবশ্যই যাচাই করবেন। গাড়িতে পুলিশের স্টিকার লাগিয়ে বা ডিএমপির লোগো লাগিয়ে সন্ত্রাসীদের চলাফেরার তথ্য পাওয়া গেছে। যদি যাচাই করে দেখা যায় সেটা পুলিশের গাড়ি নয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ডিএমপির ক্রাইম ও ট্রাফিক বিভাগ এ বিষয়টি নজরে রাখবেন।


ডিএমপি   মামলা   ফিটনেসবিহীন যানবাহন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন