নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৮
জামাত অভিযোগ করেছে যে, যোগ্যতা কিংবা জনপ্রিয়তার বিচারে নয় বরং তারেক জিয়াকে টাকা দিয়ে মনোনয়ন পেয়েছে তাবিথ আউয়াল। দলটি বিএনপিকে বলেছে, জামাত নীতিগত ভাবে মনোনয়ন বাণিজ্যের বিরুদ্ধে, তাই তাবিথ আউয়ালকে ২০ দলের একক প্রার্থী হিসেবে তারা মেনে নেবে না। রোববার দুপুরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে জামাত নেতৃবৃন্দের বৈঠকে এই অভিযোগ করা হয়। জামাতের ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়। আগামী ১৬ জানুয়ারি রাতে ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে একক প্রার্থীতার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গত শনিবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে, জামাতকে ঢাকা উত্তর মেয়র পদে প্রার্থী না দেওয়ার জন্য রাজি করাতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। আজ দুপুরে গুলশানের একটি বাড়িতে জামাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে জামাত বলে, ২০ দল যদি এককভাবে প্রার্থী দিতে আন্তরিক হতো, তাহলে ২০ দলীয় জোটগতভাবে মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও জমা দেওয়া উচিত ছিল। সেটি হলো না কেন? জামাত বলে, বিএনপি জোটে বড় দল এজন্য তারা তাদের সিদ্ধান্তই জোটের ওপর চাপিয়ে দিতে চাইছে। উত্তরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এরকম কোনো চিন্তা থেকে তারা এটি করেননি। তিনি বলেন, যেহেতু দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যেহেতু জামাতের নিবন্ধণ নেই, তাই এই নির্বাচনে জামাতের প্রার্থী দেওয়া হবে অর্থহীন। উত্তরে জামাতের ভারপ্রাপ্ত আমির বলেন, জামাতের কর্মীরা মার্কা দেখে ভোট দেয় না, তারা ভোট দেয় প্রার্থী দেখে। আমাদের যে প্রার্থী যে প্রতীক নিয়েই দাঁড়াক, তাঁকে কর্মীরা ভোট দেবেন। মির্জা ফখরুল বলেন, জামাত স্বতন্ত্র ভাবে নির্বাচন করলে, সরকারই লাভবান হবে, জামাত বা বিএনপির কোনো লাভ হবে না। উত্তরে জামাত প্রতিনিধিরা বলেন, একক নির্বাচন করলে সবচেয়ে লাভবান হবে জামাত। আমাদের শক্তি কতটুকু তা সরকার এবং বিএনপি বুঝবে। এর ফলে সরকারও জামাতকে হিসেব করবে, বিএনপিও জামাতকে গুরুত্ব দেবে। জামাত নেতারা বলেছেন, যদি জোটের বৈঠকে আলাপ-আলোচনা করে তাবিথকে প্রার্থী করা হতো, তাহলে আমরা মেনে নিতাম। কিন্তু আমরা জানি, লন্ডন থেকে তাবিথকে প্রার্থী করা হয়েছে, জোট তো দূরের কথা বিএনপিতেও এ নিয়ে আলোচনা হয়নি। এরকম চাপিয়ে দেওয়া প্রার্থীর ব্যাপারেই জামাতের আপত্তি। মির্জা ফখরুল আশ্বাস দেন, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময়ের আগেই জোটের ‘বৈঠকে’ প্রার্থীতা চূড়ান্ত করা হবে। এতে জামাত রাজি হয়। তবে জামাত জানিয়েছে, তাদের প্রার্থী সেলিম মনোনয়নপত্র কিনবেন এবং জমাও দেবেন। শেষ পর্যন্ত যদি সমঝোতা হয়, তাহলেই জামাত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবে।
বিএনপির একটি সূত্র জানায়, বিএনপির মহাসচিব জামাতকে বলেছেন, ২০ দলীয় জোটগত ভাবে নির্বাচন করলে জামাতকে ৬ টি কাউন্সিলর পদ ছেড়ে দেওয়া হবে। জামাত অবশ্য ৩৬ টি কাউন্সিলর পদেই তাদের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বলে জানিয়েছে।
Read In English: http://bit.ly/2FAvAyx
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
এভিয়েশন শিল্প যুক্তরাজ্য বিমান মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারত পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা লোকসভা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
সরকারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
এবার জাতীয় সংসদে তোপের মুখে পড়লেন সৈয়দ সায়েদুল হক ওরফে ব্যারিস্টার সুমন। কারও নাম উল্লেখ্য না করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু অভিযোগ করেছেন একজন সদস্য সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জন করতে গিয়ে ৩৪৯ জন এমপির জন্য মর্যাদাহানিকর ঘটনা ঘটিয়েছেন। এ জন্য তিনি স্পিকারের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
ভারতে এখন লোকসভা নির্বাচন চলছে। এই লোকসভা নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী ৪ জুন জানা যাবে নতুন সরকার কারা গঠন করছে। নির্বাচন নিয়ে চলছে অনিশ্চয়তা। বিজেপির কপালে ভাঁজ। কিন্তু এর মধ্যেই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা আগামীকাল বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা সফরে আসছেন। দুই দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সফরের জন্য আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানাতেই বিনয় মোহন কোয়াত্রার এই বাংলাদেশ সফর বলে কূটনৈতিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
দেশে সরকারি মালিকানাধীন ২৮টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান লোকসানে চলছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। তিনি জানান, লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের (বিএসইসি) অধীন চারটি, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি) নিয়ন্ত্রণাধীন ১৫টি এবং বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) অধীন নয়টি কোম্পানি রয়েছে।
আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে উপজেলা নির্বাচন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর উপজেলা নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ না থাকলেও স্থানীয় পর্যায়ে এই নির্বাচন নিয়ে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বিএনপিকে ছাড়াও বাংলাদেশের গণতন্ত্র যে অব্যাহত থাকতে পারে এবং নির্বাচনে ভোটারদের আগ্রহ থাকতে পারে- সেটি প্রমাণের নির্বাচন উপজেলা নির্বাচন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হারানোর কিছু নেই। অর্জন করবার আছে অনেক কিছুই। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপজেলা নির্বাচনের জন্য তিনটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন।