ইনসাইড বাংলাদেশ

সড়কে বাস ভাড়া নিয়ে চলছে নৈরাজ্য

প্রকাশ: ০৮:০৯ পিএম, ১১ অগাস্ট, ২০২২


Thumbnail সড়কে বাস ভাড়া নিয়ে চলছে নৈরাজ্য

ফরিদ আহমেদ। গন্তব্য ফরিদপুর। উদ্দেশ্য এক আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান। তাই সস্ত্রীক নিয়ে রাজধানীর আরামবাগ থেকে ওয়েলকাম বাসে উঠেছেন। নামবেন গাবতলী বাস স্ট্যান্ড। শাহবাগ অতিক্রম করতেই হঠাৎ উচ্চস্বরে বলে উঠলেন, চোর এবং ডাকাতের পার্থক্য বুঝ? চোর চুরি করে ভয়ে ভয়ে, গোপনে, কারো অজান্তে। কিন্তু ডাকাত ডাকাতি করে প্রকাশ্য দিবালোকে। তার কোনো ভয়ই থাকে না। সে কাউকে তোয়াক্কা করে না। তোমরা হচ্ছো ঠিক তেমনই! এভাবে আমাদের জিম্মি করে রাখছো আমরা কিন্তু করতে পারছি না। কথাগুলো বলছিলেন বাসের কন্ট্যাক্টরকে। নির্ধারিত ভাড়া থেকে অতিরিক্ত ভাড়া প্রসঙ্গে তিনি এই কথা বলেন কন্ট্যাক্টরকে।

ফরিদ আহমেদের মতো অভিজ্ঞতা গণ পরিবহনে চলাচলকারী প্রত্যেক যাত্রীর। জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে ইচ্ছে মতো ভাড়া আদায় করা হচ্ছে গণ পরিবহনে। সরকার নির্ধারিত ভাড়া চার্ট বাসে লাগানো হলেও তা মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ যাত্রীদের। এর প্রতিবাদ করলে বাস থেকে নেমে যেতে বলা হচ্ছে তাদের।

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বিভিন্ন রুটে সরেজমিন ঘুরে পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে বাস নিয়ে বিভিন্ন নৈরাজ্যের চিত্র পাওয়া গেছে।

দেখা গেছে, ভাড়া নিয়ে আগের মতোই স্বেচ্ছাচারিতা চলছে। প্রতিটি বাসে ভাড়ার তালিকা টাঙানোর থাকলেও তার মানা হয় না। চলন্ত বাসের দরজা বন্ধ থাকার নিয়মও কেউ মানে না। যাত্রী পেলে মাঝপথেও বাস দাঁড়াতে দ্বিধা করে না। আবার যেখানে সেখানে যাত্রী নামানো হয়। সব মিলে গণপরিবহনে নৈরাজ্য চরম আকার ধারণ করেছে।

বাড়তি ভাড়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ। তারা বলছেন, আগে থেকেই আমরা অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে আসছি। এখন আবার ভাড়া যে মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, জনগণের বিষয়টি দেখা হয়নি। শুধু মালিকদের সুবিধাটাই দেখা হয়েছে। ব্যয় বাড়ে কিন্তু কর্মস্থলে বেতন বাড়ে না।

কথা হয় মতিঝিল-নবীনগর রুটের ওয়েলকাম বাসের যাত্রী এনআরবিসি ব্যাংকের ক্যাশ অফিসার মো: মুক্তারুল হকের সঙ্গে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করার ব্যাপারে তিনি বলেন, সরকারের সঙ্গে বাস মালিক সমিতির সম্পর্ক আতাতীয়। আপনি কোথায় অভিযোগ করবেন? তিনি বলেন, মতিঝিল থেকে বাসে উঠলেও ফার্মগেট পর্যন্ত ১৫ টাকা ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। আবার যারা গুলিস্তান বা পল্টন মোড়, প্রেসক্লাব থেকে উঠছেন তাদের কাছ থেকেও একই ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। অথচ সরকার কিমি হিসেবে ভাড়া বাড়িয়েছে কিন্তু মালিক সমিতি ভাড়া আদায় করছে ওয়েবিল পদ্ধতিতে।

এব্যাপারে ওই বাসের কন্ট্যাক্টরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোম্পানীর ভাড়া ১৭ টাকা কিন্তু কেউ ১৭ টাকা দেয় না। ১৫ টাকা ভাড়া দেয়। এ জন্য আমরা সেটা সমন্বয় করি।

মানা হচ্ছে না শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে হাফ ভাড়ার নিয়মও। ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সানজিদা খানম। তিনি কল্যাণপুরে এম এম লাভলী পরিবহনে উঠেন। যাবেন মুগদা। নিয়মিত ভাড়া ৪০ টাকা। সে হিসেবে হায় ভাড়া হয় ২০ টাকা। কিন্তু সে কন্ট্যাক্টরকে ২০ টাকা ভাড়া দিলে কন্ট্যাক্টর সে ভাড়া নিতে অস্বীকৃত জানান। কারণ জানতে চাইলে বলেন,  স্টুডেন্ট ভাড়া ৩০ টাকা। কেন এত ভাড়া জানতে চাইলেও তিনি বাস থেকে নেমে যেতে বলেন। দেখিয়ে দেন বিআরটিসি বাস।

সড়কে ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্যের কথা বলতেই যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সরকার যখন ভাড়া নির্ধারণ করেন তখন ওই বৈঠকে শুধুমাত্র প্রশাসন এবং মালিক সমিতির লোক থাকেন। যাত্রী সাধারণ বা তাদের কোনো প্রতিনিধি থাকেন না। সুতরাং স্বাভাবিকভাবেই সমিতির চাওয়া প্রাধান্য পায়। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ সেখানে উপেক্ষিত হয়।

সরকারের নির্ধারিত ভাড়া চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করার ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের ঢাকা বিভাগীয় (বিআরটিএ) কার্যালয়ের উপপরিচালক স্বদেশ কুমার দাসের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, বাসে নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ করতে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি। এছাড়াও আমাদের কাছে যে সমস্ত অভিযোগ আসছে আমরা সেগুলোর নোট রাখছি। এ সমস্ত অভিযোগের ব্যাপারে আমরা  কঠোরভাবে মনিটরিং করবো।

এর আগে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে শনিবার (৬ আগস্ট) বাস ভাড়া বাড়ায় বিআরটিএ।

এতে দেখা যায়, দূরপাল্লার বাসের ভাড়া আগে ছিল প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৮০ পয়সা, যা বাড়িয়ে এখন করা হলো ২ টাকা ২০ পয়সা।

এছাড়া মহানগর পর্যায়ে আগে প্রতি কিলোমিটারে বড় বাসের ভাড়া ছিল ২ টাকা ১৫ পয়সা, এখন তা ২ টাকা ৫০ পয়সা হয়েছে। মিনি বাসের আগে ছিল ২ টাকা ৫ পয়সা যা বাড়িয়ে করা হয়েছে ২ টাকা ৪০ পয়সা।

এছাড়া সর্বনিম্ন ভাড়া বাসে ১০ টাকা, মিনিবাসে ৮ টাকা হয়েছে।

বাস ভাড়া   নৈরাজ্য  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এমপির প্রার্থী দাবি করায় স্বতন্ত্র প্রার্থীকে শোকজ

প্রকাশ: ১২:৩৫ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের এক স্বতন্ত্র প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন মো. কামরুল ইসলাম এ নোটিশ দেন।

ওই নোটিশে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সশরীরে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শোকজ নোটিশ পাওয়া ওই চেয়ারম্যান প্রার্থী হলেন, আনারস প্রতীকের প্রার্থী কাজী শুভ রহমান চৌধুরী। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন কাপ-পিরিচ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী রবিউল ইসলাম।

রবিউল ইসলাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য। তিনি গত বৃহস্পতিবার বিকেলে কাজী শুভ রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেন। পরে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রির্টানিং অফিসার মো. শাহীনুর আলম অভিযোগের চিঠি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠান।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া সত্বেও আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী শুভ রহমান চৌধুরী নির্বাচনী প্রচারণার দ্বিতীয় দিনে এক উঠান বৈঠকে নিজেকে এমপির সমর্থিত (সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক) মনোনীত প্রার্থী দাবি করে ভোট চান। যেটা আচারণবিধি লঙ্ঘন করেছেন মর্মে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রবিউল ইসলামের করা লিখিত ও হোয়াটসঅ্যাপের ভিডিও চিত্র অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর পাঠানো হয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী শুভ রহমান চৌধুরী ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলছেন, জাতীয় নির্বাচনের এক পথ সভায় এমপি ( সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক) তাকে তার মনোনীত প্রার্থী হিসাবে আমাকে সমর্থন করেছেন। আমি মনে করি, এই সম্মান এখন শিবলী সাদিকের সম্মান। এই সম্মান রক্ষা করার দায়িত্ব কিন্তু আপনাদের।

অভিযোগ ব্যাপারে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী শুভ রহমান চৌধুরী বলেন, আমরা বংশ পরম্পরায় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমাদের রাজনীতির ইতিহাস প্রায় ১০০ বছরের উপরে। আমি নিজেও রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। হয়তো কথা বলার ক্ষেত্রে আমি বলে থাকতে পারি। ওইটা হয়ত ভুলবশত হতেই পারে। আগামী দিন আর এ রকম হবে না।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার সকালে ওনাকে (কাজী শুভ রহমান চৌধুরী) শোকজ করা হয়েছে।


উপজেলা নির্বাচন   এমপি   নির্বাচন কমিশন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চট্টগ্রামে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটে ভোগান্তিতে যাত্রীরা

প্রকাশ: ১২:২৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় গাড়ি ভাংচুরের প্রতিবাদে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট চলছে চট্টগ্রামে। বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা এই ধর্মঘট শুরু হয় রোববার (২৮ এপ্রিল) ভোর ৬টা থেকে। রাস্তায় বাসসহ বিভিন্ন গণপরিবহনের সংখ্যা স্বাভাবিকের চেয়ে কম। এছাড়া তিন পার্বত্য জেলা, কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপ-জেলাগামী রুটেও বাস চলাচল বন্ধ আছে।

এই পরিস্থিতিতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। মোড়ে মোড়ে বিভিন্ন গন্তব্যমুখী মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা। অনেকেই ট্রাকে চড়ে গন্তব্য যাচ্ছেন।

তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নগরে গণ-পরিবহনের সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু সকাল ১১টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম থেকে তিন পার্বত্য জেলা, কক্সবাজার ও উপজেলাগামী কোনও বাস ছেড়ে যায়নি। 

এদিকে ধর্মঘটের সমর্থনে জেলার বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিকরা পিকেটিং করছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

রাঙ্গুনিয়াগামী যাত্রী দিবাকর দাশ বলেন, ‘চুয়েটের সঙ্গে বাস মালিক-শ্রমিকদের সমস্যা। চুয়েটের শিক্ষার্থীদের অবরোধে ৪ দিন গাড়ি চলেনি। এখন আবার শ্রমিকেরা ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট ডেকেছে। মোটকথা সবকিছুতে ভুক্তভোগী আমরা।’

বাহাদুর শাহ নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী বলেন, ‘গণপরিবহন সংকটের কারণে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।’

এর আগে, গতকাল শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম আন্তঃজেলা মালিক সমিতি কার্যালয়ে গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের জরুরি সভায় এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনের আহ্বায়ক মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী। এ সময় গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তবে এই ধর্মঘট প্রত্যাখ্যান করেছেন মালিক-শ্রমিকদের একাংশ। 

বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব মোহাম্মদ মুছা বলেন, ‘সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রোববার ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর, কক্সবাজার এবং তিন পার্বত্য জেলায় বাস, মিনিবাস, হিউম্যান হলার, অটোরিকশা ও অটো-টেম্পু চলাচল বন্ধ থাকবে। দূরপাল্লার কোনও বাস এসব জেলা ও মহানগর থেকে ছাড়বে না এবং ঢুকতেও পারবে না। মালিক-শ্রমিকদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে ধর্মঘট সফল করার আহ্বান জানানো হয়েছে।’

তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে ওয়েবিল চেকার-লাইনম্যানসহ পরিবহন শ্রমিকদের র‌্যাবের গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে পূর্বাঞ্চলীয় সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে ২৪ ঘণ্টার ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছিল। এর মধ্যে চুয়েটের পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার দুপুরে ঐক্য পরিষদ জরুরি সভায় বসে। সভা থেকে চার দফা দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা পরিবহন ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত হয়। 

এসব দাবির মধ্যে আছে, চুয়েটে দুই শিক্ষার্থী নিহতের জেরে ৪-৫টি গাড়ি ভাঙচুর ও তিনটি বাস পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় মামলা গ্রহণ, ক্ষতিপূরণ দেওয়া, ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার এবং চুয়েটের তিন শিক্ষার্থীকে বহনকারী মোটরসাইকেলটি নিবন্ধিত ছিল কি না, চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল কি না, তিনজন একইসঙ্গে মোটরসাইকেলে ওঠার ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইনের লঙ্ঘন হয়েছে কি না ও তারা মাদকাসক্ত ছিল কি না- এসব বিষয় তদন্তে কমিটি গঠন।


৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট   ভোগান্তিতে যাত্রীরা   চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে ফেন্সিডিল ও গাঁজাসহ ৩ মাদক কারবারি আটক

প্রকাশ: ১২:০৬ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail সিরাজগঞ্জে ফেন্সিডিল ও গাজা সহ ৩ জনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ

সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ এর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযান চালিয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত কাশিয়াহাটা বাজারের মেসার্স হোসাইন বস্ত্রালয় এর সামনে থেকে ২০০শ বোতল ফেন্সিডিল ও ২০ কেজি গাঁজাসহ ৩ মাদক কারবারিকে আটক করেছে।

 

বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীদের নিশ্চিত করেছেন জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জুলহাজ উদ্দিন,বিপিএম (বার), পিপিএম।

 

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযান ডিউটি করা কালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আটককৃত আসামিরা হলেন, আব্দুল্লাহ ওরফে আঃ আলিম (৩৯), মোঃ আঃ লতিফ শেখ (৫১), মোঃ আজিজুল আকন্দ (৪৫) ।

 

আটককৃত আসামী আব্দুল্লাহ ওরফে আঃ আলিম এবং আসামী মোঃ আঃ লতিফ শেখ (৫১) এর বিরুদ্ধে ৩টি করে মাদক মামলা আদালতে বিচারাধীন আছে।


মাদক   ফেন্সিডিল   গাজা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শেখ জামালের জন্মদিনে স্বেচ্ছাসেবক লীগের শ্রদ্ধা

প্রকাশ: ১১:৫৩ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষে তার কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৯টায় বনানী কবরস্থানে সংগঠনের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ শহীদ শেখ জামালের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।

শেখ জামাল ১৯৫৪ সালের ২৮ এপ্রিল গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। তিনি ছিলেন সংস্কৃতিপ্রেমী এবং একজন ক্রীড়াবিদ।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে শেখ জামালও গৃহবন্দি ছিলেন। সেখান থেকে পালিয়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধের ৯ নম্বর সেক্টরে সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট ব্যাটালিয়ন ডিউটি অফিসার হিসেবে ক্যান্টনমেন্টে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ওইদিন রাতে ক্যান্টনমেন্ট থেকে ফিরে আসেন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে। পরদিন ১৫ আগস্ট কাক ডাকা ভোরে দিনের প্রথম সূর্য রশ্মি ধানমন্ডি লেকের পানিকে উজ্জ্বল করার আগেই ঘাতকের বুলেটের আঘাতে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে সস্ত্রীক শহীদ হন শেখ জামাল।

শেখ জামালের জন্মদিন উপলক্ষে আজ সকাল থেকে বনানী কবরস্থানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে।


শেখ জামাল   স্বেচ্ছাসেবক লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জয়পুরহাটে মাদক বিরোধী র‌্যালি ও মানববন্ধন

প্রকাশ: ১১:২০ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail জয়পুরহাটে মাদক বিরোধী র‌্যালি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে

'মাদক সেবন বন্ধ কর, সুশীল সমাজ গড়ে তোল' এই স্লোগানে জয়পুরহাটে মাদক বিরোধী র‌্যালি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে জেলার সদর উপজেলার মাঝিপাড়া গ্রামে মাঝিপাড়া সমাজ কল্যাণ সংস্থা আয়োজিত মাদক বিরোধী এই মানববন্ধন করা হয়।

এসময় মাঝিপাড়া সমাজ কল্যাণ সংস্থার সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এমদাদ হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির, ভাদসা ইউপি চেয়ারম্যান সরোয়ার হোসেন স্বাধীন, সংস্থার সহ সভাপতি আমিনুর রহমান বুলু, সাধারণ সম্পাদক সামছুল ইসলামসহ অন্যান্যরা।

অনুষ্ঠানে যুবক ছেলে ও মেয়েরা সেই সাথে অভিভাবকরা হাত তুলে মাদককে না বলে ভাদসা ইউনিয়নকে মাদকমুক্ত ঘোষণা করেন।


মাদক   মাদক বিরোধী   মানববন্ধন   মাদক মুক্ত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন