ইনসাইড বাংলাদেশ

থমথমে খুলনা: প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছে না মানুষ

প্রকাশ: ১১:১২ এএম, ২২ অক্টোবর, ২০২২


Thumbnail থমথমে খুলনা: প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছে না মানুষ

বিএনপির গণসমাবেশের আগের দিন বিভাগীয় শহর খুলনাকে সারা দেশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। দুই দিন আগে থেকে সড়কপথে বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুধু সড়ক পথই নয়, গতকাল থেকে নদীপথে লঞ্চ চলাচলও বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে খুলনা থেকে দক্ষিণ দিকে (দাকোপ, কয়রা ও সাতক্ষীরা) যাতায়াতের সব লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। ১০ দফা দাবিতে হঠাৎ ৪৮ ঘণ্টার ওই ধর্মঘটের ঘোষণা দেয় লঞ্চ শ্রমিক ইউনিয়ন। বাস ও যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধের পর এবার বন্ধ করা হয়েছে নগরে প্রবেশের প্রধান দুই খেয়াঘাট। শুক্রবার রাতে যাত্রীপ্রতি ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে ২৪ ঘণ্টার জন্য রূপসা ও জেলাখানা ঘাট বন্ধের ঘোষণা দেন নৌকা মাঝি সমিতির নেতারা। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। আর এক উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে খুলনায়। প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না মানুষ। সব মিলিয়ে খুলনাজুড়ে উত্তেজনা ও সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। 

এদিকে সড়ক ও জলপথে বাধার মুখেও গণসমাবেশের এক দিন আগেই আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের অনেক নেতা-কর্মী যেভাবে সম্ভব হচ্ছে খুলনায় প্রবেশ করেছেন। কেউ হেঁটে, ট্রলারে চেপে, ট্রেনে চড়ে, অটোরিকশা বা মোটরসাইকেলে চেপে খুলনায় ঢুকেছেন। গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপির কয়েক হাজার নেতা-কর্মীকে সমাবেশস্থল সোনালী ব্যাংক চত্বরে জড়ো হতে দেখা গেল। তখন মঞ্চ নির্মাণের সরঞ্জামবাহী ট্রাক সমাবেশস্থলে ঢুকছিল।

আজ তৃতীয় বিভাগীয় সমাবেশ হচ্ছে খুলনায়। এই সমাবেশের আগের দিন সড়ক ও জলপথে যাত্রীবাহী যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে সাধারণ মানুষকেও ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।

সমাবেশ বানচাল করতে খুলনা বিভাগজুড়ে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির সমন্বয়ক শামসুজ্জামান। গতকাল খুলনার কে ডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বাসের পর লঞ্চ ও ট্রলার চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাহলে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, বাগেরহাট, নড়াইল থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা কি পায়ে হেঁটে আসবেন? এ কেমন মানসিকতা?

এই বিষয়ে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা গণমাধ্যমকে বলেন, পরিবহন বন্ধ করা আওয়ামী লীগের দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত নয়। এটা পরিবহনমালিকদের সিদ্ধান্ত। তাঁর দাবি, ‘পরিবহন ধর্মঘট কেন করেছে, এটা পরিবহনের লোকেরা জানেন। আমরা সাংগঠনিক অবস্থা গিয়ারআপ (চাঙা) করার জন্য দুই দিন কিছু কর্মকাণ্ড করেছি।’

আজ শনিবার বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতারা। নগরের ডাকবাংলো ও ফেরিঘাট মোড়ের মাঝামাঝি সোনালী ব্যাংক চত্বরে বেলা দুইটায় এই গণসমাবেশ হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ দিকে খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে বাধা দিয়ে সরকার পরিস্থিতি সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি গতকাল সকালে ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনভীতি রোগে ভুগছে। জনগণকে ভয় পায় বলেই বিএনপির সমাবেশে বাধা সৃষ্টি করছে।

গতকাল বেলা ৩ টায় নগরের শিববাড়ী মোড়ে সমাবেশ করে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ। সমাবেশে বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে যোগ দেন নেতা-কর্মীরা। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল দলীয় কার্যালয়ের দিকে যায়। মিছিলটি বিএনপির সমাবেশস্থল অতিক্রম করার সময় রাস্তার দুই পাশে থাকা বিএনপির ব্যানার, ফেস্টুন ছিঁড়তে দেখা যায়। সন্ধ্যার পর মোড়ে মোড়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের দলবদ্ধ অবস্থায় দেখা যায়। এতে শহরে আসা বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে খুলনায় আছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি শহরের ৩ নম্বর ক্রস রোডের পশ্চিম বানিয়া খামার এলাকায় একটি বাসায় উঠেছেন। বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে লাঠিসোঁটা নিয়ে একদল লোক ওই বাসায় যান। গয়েশ্বর চন্দ্র তাঁদের পরিচয় জানতে চাইলে তাঁরা পুলিশের লোক বলে জানান। পরে সেখান থেকে ১৯ জনকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় গতকাল গণমাধ্যমকে বলেন, একদিকে গণপরিবহন বন্ধ, অন্যদিকে রাস্তায় রাস্তায় মহড়ায় শহরে একটা ভুতুড়ে পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে। কর্মীরাও আতঙ্কে আছে। দেখা যাচ্ছে, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহের চেয়ে খুলনায় সমাবেশ ঠেকানোর পদ্ধতি এক ধাপ এগিয়ে।

এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় বিএনপির শতাধিক নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। এর মধ্যে গতকাল ৬৮ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

এই বিষয়ে গতকাল সন্ধ্যায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঞা গণমাধ্যমকে জানান, এটা পুলিশের রুটিন কাজ, সারা বছর চলে। বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ এ রকম করছে, বিএনপির এই দোষারোপ ঠিক নয়। তিনি বলেন, ‘এই শহরে এখন বিএনপির হাজার হাজার কর্মী আছেন। আমরা কতজনকে ধরছি?’

বিএনপির অভিযোগ, তাদের গণসমাবেশে মানুষের উপস্থিতি ঠেকাতে ‘ষড়যন্ত্র’ করে এ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।

ঢাকা-খুলনা সড়কপথে চলাচলকারী বাস ঢাকা থেকে যশোর ও গোপালগঞ্জ পর্যন্ত চলছে। সাতক্ষীরামুখী যেসব বাস যশোর হয়ে চলে, সেগুলো চলছে। তবে যেগুলো খুলনা হয়ে চলে, সেগুলো বন্ধ রয়েছে। মূলত খুলনায় কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে ও খুলনা থেকে বিভিন্ন সড়কপথে গাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে না। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে সমাজসেবা কার্যালয়ের ইউনিয়ন সমাজকর্মী নিয়োগ পরীক্ষা দিতে আসা ব্যক্তিদের ভোগান্তি ছিল সবচেয়ে বেশি। বাস বন্ধ থাকায় চাকরিপ্রার্থীরা ইজিবাইক ও ভ্যানে করে খুলনায় এসেছেন।

ডুমুরিয়ার চুকনগর থেকে খুলনার দূরত্ব প্রায় ৩৫ কিলোমিটার। সমাজকর্মী নিয়োগ পরীক্ষা দিতে এসে কমলেশ বৈরাগী নামে এক ব্যক্তি পড়েন ভোগান্তিতে। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন,  ইজিবাইক ও ভ্যানে ভেঙে ভেঙে অনেক কষ্টে খুলনায় পৌঁছেছেন তিনি। ফিরবেন কীভাবে, সে দুশ্চিন্তায় আছেন।

যশোর ও চুয়াডাঙ্গা থেকে কোনো বাস ও মাইক্রোবাস বিএনপির নেতা-কর্মীদের ভাড়া দেওয়া হয়নি বলে জানান দলটির নেতারা। যশোর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সৈয়দ সাবেরুল হক বলেন, ‘যশোরের কোনো বাস বা মাইক্রোবাস আমাদের কাছে ভাড়া দিচ্ছে না। এ বিষয়ে আমরা পরিবহন মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁদের অনেকে বলেছেন, সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে অলিখিত নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।’

গতকাল সকালে বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ঘুরে সরেজমিনে দেখা যায়, টার্মিনালের সব কটি পরিবহনের কাউন্টার বন্ধ। বাগেরহাট থেকে খুলনাগামী বাস ছাড়াও ঢাকা-চট্টগ্রামসহ অভ্যন্তরীণ সড়কপথের কোনো বাস চলছে না। বাস টার্মিনালসহ আশপাশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীদের লাঠি হাতে টহল দিতে দেখা গেছে।

বাংলাদেশ লঞ্চ শ্রমিক ইউনিয়ন খুলনা জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, লঞ্চশ্রমিকদের বেতন বাড়ানো, ভৈরব থেকে নওয়াপাড়া পর্যন্ত নদের খনন, ভারতগামী জাহাজের ল্যান্ডিং পাস দেওয়ার দাবিসহ ১০ দফা দাবিতে ধর্মঘট পালন করছেন যাত্রীবাহী লঞ্চের শ্রমিকেরা। তিনি দাবি করেন, অনেক আগেই এই দাবিগুলো মেনে নেওয়ার জন্য সময়সীমা বেঁধে (আলটিমেটাম) দেওয়া হয়েছিল। এর সঙ্গে বিএনপির সমাবেশের সম্পর্ক নেই।

খুলনার বর্তমান পরিস্থিতি মোটেই প্রত্যাশিত নয় উল্লেখ করে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) খুলনার সাধারণ সম্পাদক কুদরত-ই-খুদা গণমাধ্যমকে বলেন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সাধারণ মানুষ তার রাজনীতি করবে এবং স্বাধীনভাবে কথা বলবে, এটাই কাম্য। জনগণের মতামত, সমালোচনাকে গ্রহণ করা উচিত। তিনি বলেন, ‘খুলনার প্রেক্ষাপটে আমার মনে হয়, বাধা দিয়ে মানুষের মধ্যে আরও উৎসাহ তৈরি করা হচ্ছে।’

খুলনা   সমাবেশ   থমথমে পরিবেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বুলেট থাকতে ব্যালটে কেউ হাত দিতে পারবে না: ফরিদপুর জেলা প্রশাসক

প্রকাশ: ১০:৪৫ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বলেছেন, ‘একটি ব্যালটের বিপরীতে একটি বুলেট ব্যবহার করা হবে। বুলেট থাকতে ব্যালটে কেউ হাত দিতে পারবে না।’

তিনি বলেন, ‘কেউ ভোট কাটতে একটা ব্যালটে হাত দিতে চাইলে তার জন্য একটি বুলেট খরচ করা হবে। তাই যারা এই পরিকল্পনায় আছে তারা ভুলে যান, এবার অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।’

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে সদরপুর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাচন অফিসের আয়োজনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপ উপলক্ষে প্রিসাইডিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ ও মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা (ইউএনও) মো. সৈয়দ মোরাদ আলীর সভাপতিত্বে ওই মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ মোর্শেদ আলম, সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার তারেক আহম্মদ, সদরপুর থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাচন ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ।


জেলা প্রশাসক   কামরুল আহসান তালুকদার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কাঁচা মরিচের কেজি ছাড়াল ২০০ টাকা

প্রকাশ: ১০:০৩ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

কাঁচা মরিচের দাম আরও বেড়েছে। গত ১০ দিনের ব্যবধানে এই পণ্যের দাম দ্বিগুণ হয়ে প্রতি কেজি ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে। কোথাও কোথাও আরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বছরের এই সময়ে বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি থাকে। ফলে আমদানি করে মরিচের প্রয়োজন মেটাতে হয়। তবে এবার দাম বাড়তে থাকলেও সরকারের পক্ষ থেকে দাম নিয়ন্ত্রণে এখনো কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।

এবার কাঁচা মরিচের দাম বাড়ছে ঈদুল আজহার মাসখানেক আগে থেকেই। গত বছর কোরবানির সময়ে ঢাকায় কাঁচা মরিচের কেজি ৭০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। তখন দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দিয়েছিল।

গত পাঁচ বছরের বাজারের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বছরের এই সময়ে উৎপাদন কমে যাওয়ায় কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা বাড়ে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশে বৃষ্টিসহিষ্ণু মরিচের জাত কম। ফলে বৃষ্টি বেশি হলে কাঁচা মরিচের উৎপাদন কমে যায়। তখন আমদানি করে কাঁচা মরিচের চাহিদা মেটানো হয়। সাধারণত ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি করা হয়। তবে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার থেকেও কিছু কাঁচা মরিচ আসে। মিয়ানমারে চলমান যুদ্ধের কারণে কাঁচা মরিচ আমদানিতে ভারতের ওপর নির্ভর করতে হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সঙ্গনিরোধ শাখা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি (আইপি) দেওয়া হয়নি। তবে বাজারে কাঁচা মরিচের দাম ও সরবরাহ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। চাহিদা ও সরবরাহ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।


কাঁচা   মরিচ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জুজুৎসুর নিউটন ভয়ংকর যৌন নিপীড়ক: র‍্যাব

প্রকাশ: ০৯:৫৫ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

নারী ক্রীড়াবিদদের ধর্ষণ ও শারীরিক নিপীড়ন। অপ্রাপ্তবয়স্ক ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে অনৈতিক কার্যকলাপের কারণে গর্ভবতী হলে তাদের গর্ভপাত করানোর মতো ভয়ংকর কাজও করেছেন তিনি। নারী ক্রীড়াবিদকে ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় প্রধান আসামি বাংলাদেশ জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম নিউটনকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জেনেছে র‍্যাব।

তার অনৈতিক এ কাজে আরেক নারী সহযোগী ক্রীড়াবিদকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলায় দ্বিতীয় আসামি ওই নারী ক্রীড়াবিদকে ইতোমধ্যে রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।

র‍্যাব কমান্ডার আরাফাত ইসলাম জানান, ১৮ মে রাজধানীর শাহ আলী ও মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে রফিকুল ইসলাম নিউটন ও তার সহযোগী একজন নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। জুজুৎসু এসোসিয়েশনের একজন নারী ক্রীড়াবিদদের করা নারী শিশু নির্যাতন দমন ও পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

সংবাদ সম্মেলনে  র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ধর্ষণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা স্বীকার করেছেন। রফিকুল ইসলাম নিউটন জুজুৎসু (জাপানি মার্শাল আর্ট) খেলার প্রশিক্ষক। অ্যাসোসিয়েশনের অধিকাংশ প্রশিক্ষণার্থী নারী। যেখানে অভিভাবক হিসেবে কোমলমতি মেয়েদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি কোমলমতি মেয়েদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তার হীন চরিত্র চরিতার্থ করার প্রয়াস চালান।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, রফিকুল ইসলাম নিউটন অ্যাসোসিয়েশনের অপ্রাপ্তবয়স্ক নারী ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে অনৈতিক কার্যকলাপের কারণে কেউ গর্ভবতী হলে তাদের গর্ভপাত করাতেন। এছাড়া অনুশীলনের আগে মেয়েদের পোশাক পরিবর্তনের কক্ষে প্রবেশ করে তাদের জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ ও নগ্ন ছবি তুলে রাখতেন তিনি। পরে ধারণ করা নগ্ন ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ব্ল‍্যাকমেইল করে বারবার ধর্ষণ করতেন।


জুজুৎসু   নিউটন   র‍্যাব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদি অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ


Thumbnail

আগামী ২১ মে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন ২ জন। এর মধ্যে জনগণের ও সরকার দলীয় কর্মীদের পছন্দের প্রার্থী তালিকায় অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ অন্যতম। অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদের আনারস প্রতীকে ভোট দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ভোটাররা।

অপর প্রার্থী আলতাফ হোসেন মোটরসাইকেল প্রতীকে প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। তবে তার বিরুদ্ধে চরের জমি নিয়ে নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, আইন অমান্য করে মাছ শিকারসহ জেলেদেরকে দিয়ে নদী দখল ও বাস্তুচ্যুতদের মহিষ দিয়ে চর দখলে রেখেছেন।

প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভোটারদের মন জয় করতে নানা কুরুচীপূর্ণ বক্তব্য দিতেও সংকোচ বোধ করছেন না অনেকে।

এদিকে নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি  মেনে চলার  আহ্বান জানিয়েছে।


বিজয়   অধ্যক্ষ   মামুনুর রশীদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যে কারণে ডিবি কার্যালয়ে যান মামুনুল হক

প্রকাশ: ০৯:১৬ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেফাজত ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হক প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবস্থান করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে। পরে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে তিনি ডিবির কার্যালয় ত্যাগ করেন।

সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নেওয়ার জন্য তিনি ডিবি কার্যালয়ে এসেছিলেন।

মামুনুল হক বলেন, আমাকে যখন গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তখন মামলার আলামত হিসেবে আমার মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়েছিল। সেই মোবাইল ফোনটি নিতে আমি আজ ডিবি কার্যালয়ে এসেছি।

ডিবি কার্যালয়ে মামলা সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাকে ডিবি ডাকেনি এবং মামলা সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি।

মোবাইল ফোনটি তিনি ফেরত পেয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই হেফাজতের এই নেতা গাড়িতে উঠে যান।


মোবাইল   ডিবি   মামুনুল হক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন