বর্তমানে
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা যেন নিত্যদিনের খবরে
পরিণত হয়েছে। দেশে কয়েক বছর
ধরেই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার সংখ্যা ও মৃত্যু দুটোই
বাড়ছে। এক্ষেত্রে কিশোর-তরুণদের মৃত্যুর ঘটনা বেশি ঘটছে।
চলতি
বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত
১০ মাসে দেশে ২
হাজার ৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়
নিহত হয়েছেন ২ হাজার ৯৭
জন। গত বছরের একই
সময়ের তুলনায় দুর্ঘটনা ২১ শতাংশ এবং
প্রাণহানি ১৯ শতাংশ বেড়েছে।
দুর্ঘটনা
বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বেশ
কিছু বিষয় চিহ্নিত করেছে
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। বেপরোয়াভাবে কিশোর-যুবকদের মোটরসাইকেল চালানোর ক্ষেত্রে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা, ট্রাফিক আইন না জানা
ও না মানা, দুর্বল
ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারির ক্ষেত্রে শিথিলতা এবং সড়ক-মহাসড়কে
বিভাজক না থাকাকে দুর্ঘটনা বৃদ্ধির
অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।
একটি
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ঢাকার
জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে
(পঙ্গু হাসপাতাল) বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আহত হওয়া যত
মানুষ সেবা নেন, তাঁদের
৬৫ শতাংশই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার। গত মে মাসের
প্রথম সাত দিনে বিভিন্ন
ধরনের দুর্ঘটনায় আহত ১ হাজার
৪৭৪ জন পঙ্গু হাসপাতালে
সেবা নিয়েছিলেন। এর মধ্যে ৬৫
শতাংশই ছিলেন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কেউ হাত বা
পা ভাঙলে সুস্থ হতে ৩ থেকে
৯ মাস সময় লাগছে।
দেশের
৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ
পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের
তথ্যের ভিত্তিতে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
দুর্ঘটনা প্রতিবেদন তৈরি করে। রোববার
(২০ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রতিবেদনে তারা
বলেছে, চলতি বছর মোটরসাইকেল
দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে
সাড়ে ১৬ শতাংশের বয়স
১৩ থেকে ১৭ বছর।
আর ৭৩ শতাংশের বয়স
১৮ থেকে ৫০ বছরের
মধ্যে। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এ বছর এখন
পর্যন্ত ৭৬৪ জন শিক্ষার্থী
নিহত হয়েছেন। আর মোটরসাইকেলের ধাক্কায়
৯২ জন পথচারী নিহত
হয়েছেন।
রোড
সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯
সালে দেশে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়
মারা যান ৯৪৫ জন।
২০২০ সালে তা বেড়ে
হয় ১ হাজার ৪৬৩
জন। আর ২০২১ সালে
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা যান ২
হাজার ২১৪ জন। চলতি
বছরের প্রথম ১০ মাসেই মৃত্যুর
সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়ে
গেছে।
মহাসড়ক,
আঞ্চলিক সড়ক ও গ্রামীণ
সড়কে মোটরসাইকেল চালানোর সময় অনেকে ক্ষেত্রেই
চালকেরা নিয়ম মানছেন না।
আবার ঢাকার বাইারে চালক ও আরোহীদের
মধ্যে হেলমেট পরার প্রবণতা কম।
এক মোটরসাইকেলে দুজনের বেশি না ওঠার
নিয়মটিও ঠিকমতো মানা হয় না।
জেলা-উপজেলা পর্যায়ে অনিবন্ধিত মোটরসাইকেল চলে। অনেকেরই মোটরসাইকেল
চালানোর কোনো প্রশিক্ষণ থাকে
না।
রোড
সেফটি ফাউন্ডেশন বলছে, এ বছরের অক্টোবর
পর্যন্ত ১০ মাসে দেশে
মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৬২৯টি। মোটরসাইকেলের পেছনে অন্য যানবাহনের ধাক্কা
ও চাপা দেওয়ার ঘটনা
৯৫৮টি, অন্য যানবাহনের সঙ্গে
মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে ৩৭৪টি।
আর ৮৩৭টি দুর্ঘটনার জন্য মোটরসাইকেলচালক নিজেই
এককভাবে দায়ী।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।