ইনসাইড বাংলাদেশ

দালালদের প্রতারণায় সৌদিতে গিয়ে নিঃস্ব লক্ষ্মীপুরের শতশত যুবক


Thumbnail

কাজের সন্ধানে জনপ্রতি সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার ভিসায় একত্রে সৌদি আরব পাড়ি দেন লক্ষ্মীপুরের ৭ যুবক। কিন্তু সৌদি যাওয়ার কয়েক মাস পরেও ভিসার শর্তানুসারে কাজ ও ইকামা পায়নি তারা। কাজ ও ইকামা চাওয়ায় এদের মধ্যে শাহাব উদ্দিন নামের এক যুবক প্রবাসী দালালের পিটুনীতে পঙ্গু হয়ে দেশে ফিরে এখন নির্বাক । অন্য ৩ জন জেলে এবং ৩ জন পুলিশের ভয়ে মরুভূমিতে পলাতক।
দালালদের নানা প্রলোভন ও প্রতারণায় অনেকে প্রবাসে গিয়ে এখন পুরো নিঃস্ব হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। সৌদি আরবে লক্ষ্মীপুর জেলার এমন শতশত যুবকের তথ্য ও খোঁজ পাওয়া গেছে । অন্য জেলার অনেকের ভাগ্যেও এমন ঘটছে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন সৌদি প্রবাসী। কিন্তু দালালদের বিরুদ্ধে শক্ত কোন পদক্ষেপ নেই বলেও অভিযোগ প্রবাসীদের। 

সৌদি প্রবাসী ২০ জন যুবক, তাদের পরিবার এবং স্থানীয়দের সাথে কথা জানা গেছে দালালদের প্রতারণার নানা কৌশল। 
সৌদি মরুভূমিতে পলাতক যুবক আবদুর রহমান জানায়, তিনিসহ অনেকে সৌদি গিয়ে ৮ মাস পরেও মালিকের সন্ধান পাননি। ফলে বেকার হয়ে এখানে সেখানে লুকিয়ে দিনপার করছেন তিনি। ইকামা না থাকায় কাজ করতেও পারছেন দেশেও আসতে পারছেন না। থাকার জায়গায় নেই, খেতে পারেন না। উল্টো দেশ থেকে টাকা নিয়ে অনেকে খরচ করছেন তিনি। আবদুর রহমান লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বাসিন্দা। 

একই এলাকার পলাতক যুবক হানিফ জানায়, নতুন প্রবাসীদের জন্য আতংক দেশের স্থানীয় দালাল। দালালদের লোভের কারণে অনেকের জীবন নিয়েও শঙ্কা। দেশে প্রত্যেকের পরিবার চরম উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে। অনেকে দেশে ফেরত যেতে আহাজারি করছে। এমন প্রতারণার ঘটনায় স্থানীয় দালালদের বিচার দাবী করছেন তিনি।

পাঁচ কন্যা সন্তানের বাবা শাহাব উদ্দিন (৪০)। সৌদি থেকে পঙ্গু অবস্থায় বাড়িতে এসে বিনা চিকিৎসায় শুয়ে শুয়ে কাঁদছেন। কাজের সন্ধানে সৌদি আরব গিয়ে দালালের নির্যাতনের শিকার হয়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসে হুইল চেয়ারে বসে দেশে ফিরেন তিনি। সৌদি যাওয়ার তিন মাস পরেও ভিসার শর্তানুসারে কাজ ও ইকামা (সৌদিকর্মী পরিচয়পত্র) না দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে দালাল তাকে মেরে ঘাড়ের একটি রগ থ্যাথলে দেয়। এখন পঙ্গু সে। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি সৌদি গিয়েছিল। এর মধ্যে ২০২২ সালের মার্চ মাসে দেশে ফেরা পর্যন্ত একদিনও কাজ করতে পারেননি।

শাহাব উদ্দিন কমলনগর উপজেলার দক্ষিণ চর মার্টিন গ্রামের বাঁশতলা এলাকার আবদুল খালেকের ছেলে। ঘটনার ৩ মাস পর তার স্ত্রী শামছুন নাহার একই উপজেলার দক্ষিণ চর লরেঞ্চ গ্রামের ইব্রাহীম মুন্সির ছেলে প্রবাসী মোঃ বেলালকে দালাল হিসেবে অভিযুক্ত করে প্রতারণা ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান এবং অভিবাসী আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত মোঃ বেলালের বাড়ি বর্তমানে নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানার আন্ডার চর গ্রামে। মামলায় বেলালের বাবা ইব্রাহীম মুন্সি, ভাই আজগর এবং আরেক প্রবাসী দালাল আবদুল হামিদকে আসামী করা হয়েছে।

অন্যদিকে বেলালের দেয়া ভিসা ও কাজের চুক্তিতে সৌদি গিয়ে ইকামা না পেয়ে অবৈধ হিসেবে জেলে রয়েছেন, সদর উপজেলার শফিউল্লাহর ছেলে মিজান, হারুনের ছেলে মোঃ আরিফ হোসেন এবং মোঃ হারুনের ছেলে আরমান হোসেন। এ যুবকদের জেলে থাকার বিষয়টি তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

সদর উপজেলার আবদুল খালেকের ছেলে আবদুর রহমান, রইজল হকের ছেলে মোঃ সেলিম এবং মোঃ মোস্তফার ছেলে মোঃ হানিফ নামের তিন যুবক ইকামা ও মালিকের সন্ধান না পেয়ে বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। তারাও বেলাল থেকে ভিসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

জেলে থাকা এবং পলাতক ৬জন যুবকই গত জানুয়ারি মাসে সৌদি গিয়েছেন।

পলাতক তিন যুবক দ্য বিজনেস স্ট্যার্ন্ডাডের এ প্রতিনিধির নিকট ভিডিও বার্তা পাঠিয়ে তাদের ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। তারা জানায় বেলালের দেয়া ভিসায় গত জানুয়ারি মাসে সৌদি যান তারা । সৌদি গিয়ে কোন মালিকের সন্ধান পাননি। বহুদিন পর বেলাল তার লোকের মাধ্যমে তিন মাস মেয়াদি একটি ইকামা দিয়ে একমাস পর তা আবার ব্লক করে দেয়। এখন ওই তিন যুবক অবৈধ। সেকারণে কোন কাজ পায় না তারা। যে কোন সময় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হতে পারেন বলে জানিয়েছেন তারা।

দালালদের নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশে ফেরত শাহাব উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে জানা যায়, আরেক প্রবাসী হামিদের সহায়তায় সৌদি প্রবাসী বেলাল সাড়ে পাঁচ লাখ টাকায় নির্মাণ শ্রমিকের ভিসা বিক্রি করে শাহাব উদ্দিনের নিকট। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শাহাব উদ্দিন সৌদি রওয়ানা হয়। সেখানে গিয়ে বুঝতে পারে,  তার কোন কাজ নেই। কোন বাস্তব মালিক নেই। আকামা নেই। বুঝতে পারে বেলাল তার সাথে প্রতারণা করেছে। এর মাঝে কেটে গেছে প্রায় ৩ মাস। একদিন বেলালকে কাছে পেয়ে আকামার জন্য শাহাব উদ্দিন তার সাথে তর্কে জড়ায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বেলাল ও হামিদ মিলে শাহাব উদ্দিনকে দেয়ালের সাথে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। পরে সৌদি হাসপাতালে ৩ মাস চিকিৎসার পর দেশে থেকে ৪ হাজার সৌদি রিয়াল পাঠানোর পর শাহাব উদ্দিন হুইল চেয়ারে চড়ে দেশে ফিরেন শাহাব উদ্দিন। বর্তমানে তিনি পঙ্গু। পাঁচ মেয়ে নিয়ে অর্ধহারে অনাহারে থাকছে স্ত্রী।

এ ঘটনায় শাহাব উদ্দিনের স্ত্রী শামছুন নাহার বাদি হয়ে সৌদি প্রবাসী মোঃ বেলালকে প্রধান আসামী করে ৪ জনের বিরুদ্ধে গত ২২ মার্চ তারিখে লক্ষ্মীপুরের জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।মামলাটি লক্ষ্মীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওপর তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়। গত জুন মাসে গোয়েন্দা শাখা থেকে আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।

সেলিম (৩০)। রিকসা চালিয়ে সংসার চলতো। দালালের মাধ্যমে সৌদি যায় এ যুবক। সৌদি যাওয়ার একমাস পর তিন মাসের ইকামা দিয়ে কয়েক দিনের মধ্যে তা বাতিল করে দেয় দালাল। বর্তমানে তার কোন মালিক নেই। আকামা নেই। ফলে সেলিম এখন রাস্তায় বের হতে পারে না। কোন কাজ পায় না। চর মনসা গ্রামে সেলিমদের বাড়ি গিয়ে দেখা যায় ভাঙ্গা ঘরে দরজা বন্ধ। বাড়িতে থাকা সেলিম বাবাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, বউ ২ নাতি নাতনি কে নিয়ে বাড়ি থেকে চলে গেছে। সেলিম সৌদি যাওয়ার সময় যেসব ঋণ নিয়ে গিয়েছিল। পাওনাদার ও এনজিও এখন প্রতিদিন টাকার জন্য বাড়িতে আসে। কিন্ত সেলিম আট মাস পরেও কোন টাকা বা[ড়িতে পাঠাতে পারেনি এবং তার নিজেরও জীবন নিয়েও এখন শংকা।

একই গ্রামের যুবক আবদুর রহমান নামের টেলিকম ব্যবসা ছিল। সে জানায়, দালাল বেলাল তাকে ফুসলিয়ে সৌদি নেন। কিন্ত সৌদি নিয়ে কোন কাজ দেয় নি। তিন মাসের ইকামা দিয়ে কয়েকদিন পর তা ব্লক করে দিয়েছে। গত ১০ মাসে সে একদিনও কাজ করতে পারেনি বলে জানায় রহমান। এখন খেতে পায় না, থাকতে জায়গা পাচ্ছে না। দালালরা তার ফোন ধরে না। ফোন করলে গালাগাল করে। রহমান জানায়, তারা এক সাথে ৭ জন গিয়েছিল। ভিসা বিক্রির সময় তাদেরকে বলেছিল আবাসিক হোটেলের কাজ, কপি শপের কাজ। কিন্ত সৌদি আসার পর আমাদের খোঁজ কেউ নেয় নি। আমরা বহু দিন, রাস্তায় ঘুমাইছি, সৌদি বাঙালিদের থেকে ভিক্ষা করে খাইছি। বহুদিন উপবাস থাকছি। বাড়িতে বৌ বাচ্চা সবাই কষ্টে আছে। সব টাকা বিভিন্ন এনজিও এবং গ্রামের স্থানীয়দের থেকে সুদের ওপর নিয়ে দিছি। এখন কোথায় পাবো এত টাকা?

এসব বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত বেলালের সৌদি ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে বেলাল এ প্রতিবেদকে নানা ভাষায় হুমকি প্রদান করে। এক পর্যায়ে সৌদি আরবে নিয়ে যাওয়া যুবকদের কাউকে চিনে না বলেও জানান তিনি।

অন্যদিকে শাহাব উদ্দিনের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নুরুল ইসলামকে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, মামলার তদন্ত শেষে প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।

এদিকে সৌদি আরবে দালালদের প্রতারণার বিষয়ে জানতে চাইলে এ প্রতিবেদকের ফেসবুক ও ফোনে সাড়ে আটশ প্রবাসী দেশের দালালদের বড় সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে নানা ধরনের প্রতারণার অভিযোগ জানিয়েছেন। প্রবাসীরা জানায়, দালাল চক্র দেশে বেকার যুবকদের নানা প্রলোভনে সৌদি নিয়ে আসে। যুবকদের সৌদি নিয়ে আসার পর কাজ দিতে পারে না। ইকামা দেয় না। পরে অবৈধ হিসেবে অনেকে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে দেশে ফেরত যায়। অন্যদিকে যারা ইকামা ছাড়া সৌদি থাকছে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছে।

লক্ষীপুর সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়নের বাসিন্দা আবদুল কাদের জানায়, সে সৌদি আছে আট মাস। এখনও ইকামা পায়নি। মালিককে সে কখনো দেখেননি। একদিনও কাজ করতে পারেনি।

একই উপজেলার মোঃ মিনহাজ নামের এক বাসিন্দা জানায়, মার্চ মাসে সৌদি গিয়েছিল তিনি। ৬ মাস পর সে দেশে ফিরে যান। এর মধ্যে ১ দিনও কোন কাজ করতে পারেননি।

রামগঞ্জের এক বাসিন্দা নাইমুল ইসলাম র্দুজয় জানায়, চার মাস তিনি সৌদিতে আছেন। কিন্ত কাজ পাননি। স্বপন ইকবার নামের একজন জানায় গত আট মাস সেও বেকার। দালালরা ফোন ধরে না। কোন কাজই তাদের নেই। এখন কিভাবে বাড়ি যাবে তা জানে না সে।

মোহাম্মদ উল্লাহ নামের একজন জানায়, ইকামাবিহীন প্রবাসীরা কোন টাকা আয় করলেও ইকামা না থাকার কারণে তারা বৈধভাবে দেশে টাকা পাঠাতে পারে না। কারণ ব্যাংকে লেনদেন করতে ইকামা দেখাতে হয়। তখন এসব মানুষ হুন্ডি ও বিকাশের মাধ্যমে উবৈধ উপায়ে টাকা পাঠায়।

বিদেশী কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদানের প্রতিষ্ঠান লক্ষ্মীপুর সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সোহেল হোসেন জানায়, কর্মী হিসেবে সৌদিসহ বিদেশে যাওয়ার আগে প্রত্যেককে তার ভিসা এবং কাজের লিখিত চুক্তি বুঝে নেয়া উচিত। তাছাড়া কর্মী হিসেবে ৩ মাস ও ৬ মাসের ইকামা পাওয়ার চুক্তিতে কাউকে সৌদি না যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

দালাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বুলেট থাকতে ব্যালটে কেউ হাত দিতে পারবে না: ফরিদপুর জেলা প্রশাসক

প্রকাশ: ১০:৪৫ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বলেছেন, ‘একটি ব্যালটের বিপরীতে একটি বুলেট ব্যবহার করা হবে। বুলেট থাকতে ব্যালটে কেউ হাত দিতে পারবে না।’

তিনি বলেন, ‘কেউ ভোট কাটতে একটা ব্যালটে হাত দিতে চাইলে তার জন্য একটি বুলেট খরচ করা হবে। তাই যারা এই পরিকল্পনায় আছে তারা ভুলে যান, এবার অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।’

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে সদরপুর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাচন অফিসের আয়োজনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপ উপলক্ষে প্রিসাইডিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ ও মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা (ইউএনও) মো. সৈয়দ মোরাদ আলীর সভাপতিত্বে ওই মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ মোর্শেদ আলম, সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার তারেক আহম্মদ, সদরপুর থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাচন ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ।


জেলা প্রশাসক   কামরুল আহসান তালুকদার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কাঁচা মরিচের কেজি ছাড়াল ২০০ টাকা

প্রকাশ: ১০:০৩ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

কাঁচা মরিচের দাম আরও বেড়েছে। গত ১০ দিনের ব্যবধানে এই পণ্যের দাম দ্বিগুণ হয়ে প্রতি কেজি ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে। কোথাও কোথাও আরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বছরের এই সময়ে বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি থাকে। ফলে আমদানি করে মরিচের প্রয়োজন মেটাতে হয়। তবে এবার দাম বাড়তে থাকলেও সরকারের পক্ষ থেকে দাম নিয়ন্ত্রণে এখনো কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।

এবার কাঁচা মরিচের দাম বাড়ছে ঈদুল আজহার মাসখানেক আগে থেকেই। গত বছর কোরবানির সময়ে ঢাকায় কাঁচা মরিচের কেজি ৭০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। তখন দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দিয়েছিল।

গত পাঁচ বছরের বাজারের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বছরের এই সময়ে উৎপাদন কমে যাওয়ায় কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা বাড়ে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশে বৃষ্টিসহিষ্ণু মরিচের জাত কম। ফলে বৃষ্টি বেশি হলে কাঁচা মরিচের উৎপাদন কমে যায়। তখন আমদানি করে কাঁচা মরিচের চাহিদা মেটানো হয়। সাধারণত ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি করা হয়। তবে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার থেকেও কিছু কাঁচা মরিচ আসে। মিয়ানমারে চলমান যুদ্ধের কারণে কাঁচা মরিচ আমদানিতে ভারতের ওপর নির্ভর করতে হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সঙ্গনিরোধ শাখা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি (আইপি) দেওয়া হয়নি। তবে বাজারে কাঁচা মরিচের দাম ও সরবরাহ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। চাহিদা ও সরবরাহ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।


কাঁচা   মরিচ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জুজুৎসুর নিউটন ভয়ংকর যৌন নিপীড়ক: র‍্যাব

প্রকাশ: ০৯:৫৫ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

নারী ক্রীড়াবিদদের ধর্ষণ ও শারীরিক নিপীড়ন। অপ্রাপ্তবয়স্ক ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে অনৈতিক কার্যকলাপের কারণে গর্ভবতী হলে তাদের গর্ভপাত করানোর মতো ভয়ংকর কাজও করেছেন তিনি। নারী ক্রীড়াবিদকে ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় প্রধান আসামি বাংলাদেশ জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম নিউটনকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জেনেছে র‍্যাব।

তার অনৈতিক এ কাজে আরেক নারী সহযোগী ক্রীড়াবিদকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলায় দ্বিতীয় আসামি ওই নারী ক্রীড়াবিদকে ইতোমধ্যে রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।

র‍্যাব কমান্ডার আরাফাত ইসলাম জানান, ১৮ মে রাজধানীর শাহ আলী ও মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে রফিকুল ইসলাম নিউটন ও তার সহযোগী একজন নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। জুজুৎসু এসোসিয়েশনের একজন নারী ক্রীড়াবিদদের করা নারী শিশু নির্যাতন দমন ও পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

সংবাদ সম্মেলনে  র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ধর্ষণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা স্বীকার করেছেন। রফিকুল ইসলাম নিউটন জুজুৎসু (জাপানি মার্শাল আর্ট) খেলার প্রশিক্ষক। অ্যাসোসিয়েশনের অধিকাংশ প্রশিক্ষণার্থী নারী। যেখানে অভিভাবক হিসেবে কোমলমতি মেয়েদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি কোমলমতি মেয়েদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তার হীন চরিত্র চরিতার্থ করার প্রয়াস চালান।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, রফিকুল ইসলাম নিউটন অ্যাসোসিয়েশনের অপ্রাপ্তবয়স্ক নারী ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে অনৈতিক কার্যকলাপের কারণে কেউ গর্ভবতী হলে তাদের গর্ভপাত করাতেন। এছাড়া অনুশীলনের আগে মেয়েদের পোশাক পরিবর্তনের কক্ষে প্রবেশ করে তাদের জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ ও নগ্ন ছবি তুলে রাখতেন তিনি। পরে ধারণ করা নগ্ন ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ব্ল‍্যাকমেইল করে বারবার ধর্ষণ করতেন।


জুজুৎসু   নিউটন   র‍্যাব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদি অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ


Thumbnail

আগামী ২১ মে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন ২ জন। এর মধ্যে জনগণের ও সরকার দলীয় কর্মীদের পছন্দের প্রার্থী তালিকায় অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ অন্যতম। অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদের আনারস প্রতীকে ভোট দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ভোটাররা।

অপর প্রার্থী আলতাফ হোসেন মোটরসাইকেল প্রতীকে প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। তবে তার বিরুদ্ধে চরের জমি নিয়ে নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, আইন অমান্য করে মাছ শিকারসহ জেলেদেরকে দিয়ে নদী দখল ও বাস্তুচ্যুতদের মহিষ দিয়ে চর দখলে রেখেছেন।

প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভোটারদের মন জয় করতে নানা কুরুচীপূর্ণ বক্তব্য দিতেও সংকোচ বোধ করছেন না অনেকে।

এদিকে নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি  মেনে চলার  আহ্বান জানিয়েছে।


বিজয়   অধ্যক্ষ   মামুনুর রশীদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যে কারণে ডিবি কার্যালয়ে যান মামুনুল হক

প্রকাশ: ০৯:১৬ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেফাজত ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হক প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবস্থান করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে। পরে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে তিনি ডিবির কার্যালয় ত্যাগ করেন।

সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নেওয়ার জন্য তিনি ডিবি কার্যালয়ে এসেছিলেন।

মামুনুল হক বলেন, আমাকে যখন গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তখন মামলার আলামত হিসেবে আমার মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়েছিল। সেই মোবাইল ফোনটি নিতে আমি আজ ডিবি কার্যালয়ে এসেছি।

ডিবি কার্যালয়ে মামলা সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাকে ডিবি ডাকেনি এবং মামলা সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি।

মোবাইল ফোনটি তিনি ফেরত পেয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই হেফাজতের এই নেতা গাড়িতে উঠে যান।


মোবাইল   ডিবি   মামুনুল হক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন