নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০৫ পিএম, ০৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
‘আমরাতো সাধারণ পাবলিক। আমরাতো থাকি কষ্টে। রায় হলে আমাদের গাড়িতে পেট্রোল বোমা মারতে পারে। রাস্তায় ব্যারিকেড দিতে পারে। আমাদের গাড়ি ভাঙচুর করতে পারে। তাই আমরা ভয়ে আছি।’
জিয়ার অরফানেজ দুর্নীতি মামলায় রায় বৃহস্পতিবার। বিএনপি চেয়ারপাসন বেগম জিয়া মামলার অন্যতম আসামি। রায়কে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এমন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আতঙ্ক দেখা গেছে জনমনে। নিজের আতঙ্কের কথা এভাবেই জানালেন একজন সিএনজি অটোরিকশা চালক।
বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে মামলার রায়ে বেগম জিয়াকে দণ্ডিত হলে, যে কারাগারে নেওয়া হবে, সেই কারাগার ঘেরাও করা হবে। শনিবার বিক্ষোভ কর্মসূচি এবং রোববার থেকে টানা হরতাল এবং কারাগারের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি।
রায়ের দিন ভোর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীতে সব ধরনের জমায়েত ও মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার রায় ঘোষণার সুযোগ নিয়ে জামায়াত-শিবির ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করতে পারে। আরও বড় ধরনের সুযোগ নিতে পারে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনগুলো।
দেশের এমন পরিস্থিতিতে বুধবার দুপুরে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে মতামত জানতে চায় বাংলা ইনসাইডার। তারা জানান নিজেদের আতঙ্ক ও জীবন সংশয়ের কথা।
৬ নং বাসের একজন চালক বলেন, ‘সবাই জানে যে কাল রায় হবে। তাই আতঙ্কিত হয়ে আছে। যদি গ্যানজাম লাগে, মারামারি লাগে এই কারণে কেউ নামতেছে না বাড়ি থেকে।’
প্রাইভেটকারের একজন চালক বলেন, ‘ যদি আন্দলোন হয়, বোমা মারে, গোলাগুলি হয়, সে জন্য ভয়ের মধ্য থাকে জনগণ। কাল গাড়ি বের হবে না, মালিক নির্দেশ দিয়ে দিছে।’
কারওরান বাজারের এক সবজি ব্যাবসায়ী জানান, ‘দুই দিন থেকে আতঙ্কের কারণে বাজারে পাইকার কমে গেছে। বেচা-কেনা কমে গেছে।’
অপর একজন ব্যাবসায়ী বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, ‘মানুষজন আতঙ্কে আছে যেকোনো সময় একটা ঘটনা ঘটতে পারে। হামলা হতে পারে। ঢাকায় মানুষ জমায়েত করতে পারে। দোকান লুটপাট হতে পারে। শহরের মানুষ আতঙ্কের মধ্যে আছে।’
উত্তরায় বসবাসকারী এক ব্যবসায়ী জানান, আমি উত্তরা থেকে পুরান ঢাকায় আসতে ভয় পাচ্ছিলাম এই ভেবে না জানি কি বাসের ভিতরে গ্যানজাম হয় না বাসের সামনে গেনজাম হয়। আট তারিখ না গেলে আর আমাদের শান্তি হচ্ছে না।’
এক কলেজ শিক্ষার্থী বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, কাল যেহেতু রায় হচ্ছে কি হবে আমরা কেউ জানি না। হরতাল হলে স্কুল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। স্কুল খোলা থাকলে যাবার সময় আমাদের ক্ষতি হতে পারে। কিংবা গাড়ি ভাংচুর হতে পারে। কারো হয়তো জানও যেতে পারে। এই ব্যাপারগুলো নিয়ে কিছুটা আতঙ্কতো আছেই যে কি হবে?’
বাংলা ইনসাইডার/আরকে/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বাসিন্দা ইতালি প্রবাসী বাচ্চু শেখ অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে মারা যান ৩ বছর আগে। সেই মামলার রহস্যের জট খুলেছে ৩ বছর পর। আসামী আমির হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ঘটনার সত্যতা প্রকাশ করেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই-এর এসআই ফিরোজ আহমেদ জানান, বিগত ২০২১ সালের ৯ মার্চ ইতালি প্রবাসী বাচ্চু শেখ হানিফ এন্টারপ্রাইজের একটি বাসে করে তার গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার তপারকান্দি গ্রামে আসছিলেন। পথিমধ্যে অজ্ঞান পার্টির সদস্য আমির হোসেন ও তার দলবল কায়দা করে ভিকটিমের সাথে ভাব জমিয়ে তাকে বিস্কুটের সাথে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে খ্ইায়ে দেয় এবং তার কাছে থাকা মালামাল নিয়ে যায়। এতে সে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে বাসের হেলপার তার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে ছাগলছিড়া এলাকায় তাকে বুঝে দিয়ে বরিশালের দিকে বাস চলে যায়।
পরে
মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় বাচ্চু শেখকে প্রথমে মাদারীপুরের রাজৈর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মৃত বাচ্চু শেখের স্ত্রী মুকসুদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে গোপালগঞ্জ পিবিআই মূল অভিযুক্ত আমির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসে এবং সে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে গোপালগঞ্জের পিবিআই-এর পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
নওগাঁয় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে খরিপ মৌসুমে উফশী আউশ, পাট ও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।
এসময় নওগাঁ সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা শওকত মেহেদী সেতু’র সভাপতিত্বে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। এসময় নওগাঁ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল হক কমল ও সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম এবং পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রণোদনার অংশ হিসেবে মোট ৭ হাজার ১৫০ জন কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে প্রতি বিঘা ফসলের জন্য উফশী আউশ ৬ হাজার ৬৭০ জনকে ৫ কেজি বীজ, ডিএপি ১০ কেজি ও এমওপি ১০ কেজি। এছাড়া ২৩০ জনের প্রত্যেককে এক কেজি করে পাট বীজ এবং গ্রীষ্মকালিন ২৫০ জন কৃষককে পেয়াঁজ চাষে এক কেজি বীজ, ডিএপি ২০ কেজি এবং এমওপি ২০ কেজি দেয়া হয়।
মন্তব্য করুন
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জানা গেছে, ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গতকাল রবিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরের পর দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে একাধিক বার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশের গাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটে।
পুলিশের গাড়িতে হামলার ঘটনায় বিজয়ী চেয়ারম্যান ওমর হোসাইন ভুলু ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আকতার হোসেন বোরহান চৌধুরী সহ ১১ জনের নাম উল্লেখ ও আরো ৪/৫শ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে পুলিশবাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেছে।
এঘটনায় বিজয়ী ও পরাজিত দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফ উদ্দিন আনোয়ার।গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রোববার (২৮ এপ্রিল) রাতে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আঁধার মানিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পর আবারও দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৫ রাউন্ড রাবার বুলেট, ৪ রাউন্ড গ্যাস সেল ও ২ রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিজয়ী ও ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং জেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি ওমর ইবনে হোসাইন ভুলু এবং পরাজিত প্রার্থী তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আকতার হোসেন বোরহান চৌধুরীকে আটক করেছে।
ইউপি নির্বাচন সংষর্ঘ চেয়ারম্যান প্রার্থী গ্রেপ্তার
মন্তব্য করুন
আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম ফেনী-১
মন্তব্য করুন