ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশে বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ: বিশ্বে রোল মডেল

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০১ জানুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail ‘বই উৎসব-২০২৩’ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রতি বছর গড়ে সোয়া ৩৩ কোটির বেশি পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করছে সরকার। এ বছর (২০২৩ সাল) সারাদেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্য ৩৫ কোটি বই বিনামূল্যে দিচ্ছে সরকার। যার দাম হবে হাজার কোটি টাকা। এ পর্যন্ত এ পরিমাণ বই বিশ্বের কোনো উন্নত রাষ্ট্রও শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করতে সক্ষম হয়নি। এজন্য বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের রোল মডেল বলছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষাবিদরা।

শিক্ষাবিদরা জানিয়েছেন, ‘বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ’, ‘বই উৎসব’-এই ধরনের নজির পৃথিবীর আর কোথাও নেই, যেখানে বিনামূল্যে ছেলে মেয়েদের পাঠ্যবই দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লেখাপড়ার জন্য এ পর্যন্ত ৪ কোটির অধিক ছেলে মেয়েকে বিনামূল্যে বই দিয়েছেন। যা বিশ্ব পরিমণ্ডলে এক অনন্য দৃষ্টান্ত।

জানা গেছে, ২০০৯ সালের আগে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে পড়ুয়া সব শিক্ষার্থী নতুন বই থেকে বঞ্চিত হতো। সাধারণত দুই-তিনটি নতুন বইয়ের সঙ্গে পুরনো বই মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হতো। সব বই পেতে মার্চ পর্যন্ত সময় গড়িয়ে যেতো। ফলে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় পিছিয়ে পড়তো। এখন সময় বদলে গেছে। বছরের প্রথম দিন সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেয়ায় পড়ালেখায় গতি ফিরেছে। নতুন বই ও উপবৃত্তি দেয়ায় শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হারও কমে এসেছে। বর্তমান সময়ে প্রাথমিকে প্রায় শতভাগ শিশুকে স্কুলে পাঠাচ্ছেন অভিভাবকরা। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রতিবছর বিনামূল্যের বিপুল বই ছাপাতে দেশীয় মুদ্রণ শিল্পও মহীরুহ আকার ধারণ করেছে। হাজার হাজার মানুষের নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে।

শিক্ষাবিদরা বলছেন, দেশের স্বাধীনতার ৫১ বছরে অন্যতম বৃহৎ একটি অর্জন কোটি কোটি শিক্ষার্থীর মধ্যে বিনামূল্যে বই বিতরণ। ২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে সব শিক্ষার্থীকে নতুন পাঠ্যবই দেয়া শুরু হয়। প্রতি বছর গড়ে প্রায় সাড়ে চার কোটি শিক্ষার্থীদের মাঝে সোয়া ৩৩ কোটির বেশি পাঠ্যবই বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। গত ১২ বছরে এর ব্যতিক্রম হয়নি। ২০২০ সালে করোনা মহামারিতে সারাবিশ্ব যখন ঝুঁকির মুখে তখন সব শঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে ২০২১ শিক্ষাবর্ষে বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া হয়েছে। এটি বিশ্বের কোনো উন্নত দেশ করতে পারেনি। এটি একটি বিশ্ব রেকর্ড। এ বছর ২০২৩ সালেও বছরের প্রথম দিন ‘বই উৎসব-২০২৩’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে সরকার ঘোষিত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বছরের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হলো নতুন বই।  

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্র জানায়, ২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০২১ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত মোট ১২ বছরে ৩৬৫ কোটি ৮৪ লাখ ৪৫ হাজার ৭৮১টি বিনামূল্যের বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। সর্বশেষ চলতি ২০২১ শিক্ষাবর্ষে প্রাক-প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত চার কোটি ১৬ লাখ ৫৫ হাজার ২২৬ জন শিক্ষার্থীকে ৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ৬২ হাজার ৪১২টি বিনামূল্যের বই দেয়া হয়েছে।

এনসিটিবি সূত্র আরও জানায়, সরকার ২০১৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিশুদের মাঝে তাদের নিজেদের ভাষায় বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ শুরু করেছে। চাকমা, মারমা, সাদ্রী, গারো ও ত্রিপুরা -এ পাঁচ ভাষার শিশুদের জন্য প্রাক-প্রাথমিক স্তরে তাদের মাতৃভাষায় বই ছাপানো হয়। এছাড়া দৃষ্টি-প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদেরও বিনামূল্যে ব্রেইল বই দেয়া হচ্ছে।

এনসিটিবির সূত্রমতে, শিক্ষাবর্ষসহ (২০২০ সাল) ১১ বছরে মোট ৩৩১ কোটি ৪৭ লাখ ৮৩ হাজারের কিছু বেশি বই দেওয়া হয়েছে ও হচ্ছে। বই দিতে এখন প্রতিবছর সরকারের খরচ হচ্ছে এক হাজার কোটি টাকারও বেশি। শুধু ২০২১ সালের জন্য খরচ হচ্ছে প্রায় ১ হাজার ৫০ কোটি টাকা।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনসিটিবির কর্মকর্তা এবং শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বিনা মূল্যে বই দেওয়ার ক্ষেত্রে এটি সারা বিশ্বে একটি বিরল ঘটনা। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একাধিকবার বলেছেন, ‘তিনি যখন ইউনেসকোসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যেতেন, তখন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা বিনামূল্যে এতো বিপুল পরিমাণ বই বিতরণের তথ্য শুনে অবাক হতেন এবং তাঁরা বলতেন, বিনা মূল্যে এতো বই আর কোথাও দেওয়া হয় না।’

সবাইকে একসঙ্গে বিনামূল্যে বই দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈষম্য যেমন কমছে, তেমনি শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বাড়ছে। আবার ঝরে পড়াও কমছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক-দুই স্তরে বিনামূল্যের বই দেওয়া শুরুর ১১ বছরের মাথায় দেড় কোটির বেশি শিক্ষার্থী বেড়েছে। তবে বিনামূল্যে বই দেওয়ার পাশাপাশি উপবৃত্তি, স্কুল ফিডিং এবং মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরিও শিক্ষার্থী বৃদ্ধির কারণ বলে জানিয়েছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্টারা।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনসিটিবির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগে প্রাথমিক স্তরে অর্ধেক বই বিনামূল্যে দেওয়া হতো। বাকি বই কিনে পড়তে হতো। আর মাধ্যমিক স্তরে সব বই কিনতে হতো। তখন শিক্ষার্থীদের বই পেতেই বছরের কয়েক মাস চলে যেত। অনেকে সামর্থ্যের অভাবে কিনতেও পারত না। এর ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈষম্যের সৃষ্টি হতো। ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে সব শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে নতুন পাঠ্যবই দেওয়া শুরু করে সরকার। এখন প্রাক-প্রাথমিক ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর (৫টি ভাষায় রচিত তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত) শিক্ষার্থীদেরও বিনামূল্যে বই দেওয়া হচ্ছে। কখনো কখনো বইয়ের মান এবং বিষয়বস্তু নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এমনকি, কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক একটি সংগঠনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ ধারার বইয়ের বিষয়বস্তু পরিবর্তন নিয়েও আন্দোলন ও সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই বছরের শুরুতে বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের বই দেওয়া হয়েছে এবং হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার যতদিন থাকবে, ততোদিন অবশ্যই এই ‘বই উৎসব’কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তারা। 

সংশ্লিষ্ট শিক্ষাবিদরা আরও বলছেন, বিনামূল্যে বই দেওয়ার আগে দেখা যেত, অসংখ্য শিক্ষার্থী ঝরে যাচ্ছে। আবার কখনো কখনো সব শিক্ষার্থীর বই পেতে জুন পর্যন্তও সময় লেগে যেত। কিন্তু বিনামূল্যে বই দেওয়ার পর দেখা যাচ্ছে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈষম্য কমে গেছে। ঝরে পড়াও কমছে (এখন প্রাথমিকে ঝরে পড়ার হার ১৮ শতাংশ ও মাধ্যমিকে ৪০ শতাংশের কম)। আরেকটি বিষয় হলো, আগে দেখা যেত, শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হতেই এক-দুই মাস চলে যেত। এখন বছরের শুরুতেই শ্রেণি কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হচ্ছে। ইতিবাচক এই পরিবর্তনের বড় কারণ বিনামূল্যে বই দেওয়া। শিক্ষার্থীরা যাতে আনন্দের সঙ্গে শিখতে পারে, সেই কথা বিবেচনা করে শিক্ষাক্রমে নতুন করে পরিবর্তনও আনা হয়েছে।

এদিকে এনসিটিবি সূত্র জানায়, বিনামূল্যে বই দেওয়ার শুরুর বছর ২০১০ সাল। প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাদ্রাসার ইবতেদায়ি, দাখিল, দাখিল (ভোকেশনাল), এসএসসি (ভোকেশনাল) স্তরে মোট শিক্ষার্থী ছিল ২ কোটি ৭৬ লাখ ৬২ হাজার ৫২৯ জন। তখন তাদের জন্য ১৯ কোটি ৯০ লাখ ৯৬ হাজার ৫৬১টি বই ছাপানো হয়। এরপর দু-এক বছর ব্যতিক্রম ছাড়া প্রতিবছরই শিক্ষার্থী ও বইয়ের সংখ্যা বেড়েছে।


পাঠ্যবই বিতরণ   বই উৎসব   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভারতে মোদি হারলে বাংলাদেশে কী হবে?

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।

প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।

ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।

এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।

বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।

এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।

অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


ভারত   লোকসভা নির্বাচন   মল্লিকার্জুন খাড়গে   নরেন্দ্র মোদি   বাংলাদেশ   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাল্যবিবাহ রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে: ড. কামাল উদ্দিন

প্রকাশ: ০৬:২৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাল্যবিবাহ রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বাল্যবিবাহের বহুমাত্রিক ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে। একটি শিশু হয়েও গর্ভে ধারণ করতে হয় আরেকটি শিশুকে। শিকার হতে হয় পারিবারিক সহিংসতা ও নির্যাতনের।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে বেসরকারি সংস্থা প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। 

ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, বাল্যবিবাহে বাড়ছে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু। আবার শিশু জন্মগ্রহণ করেই পুষ্টিহীনতাসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হচ্ছে ৷ বাল্যবিবাহের মাধ্যমে কন্যাশিশুর স্বপ্নগুলো ভেঙে দেওয়া হয়। এটি অমানবিক এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন। দেশকে বাল্যবিবাহ মুক্ত করতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। 

বক্তারা বলেন, সমাজে নারী ও শিশু নির্যাতন, স্বাস্থ্য খাতে অনাচার, কিশোর অপরাধ, মাদকাসক্তিসহ অনেক সামাজিক সমস্যা বিদ্যমান। এগুলো অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে প্রতিরোধ করতে হবে। সুন্দর ও মানবিক সমাজ নির্মাণের লক্ষ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহমর্মিতার ভিত্তিতে মানবাধিকার ধারণাটির অবাধ বিস্তার ঘটাতে হবে। তারা শিশুর বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি, সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরী প্রমুখ। 

বাল্যবিবাহ   সামাজিক আন্দোলন   ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ   জাতীয় মানবাধিকার কমিশন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পদ্মা সেতুতে টোল আদায়ের মাইলফলক স্পর্শ

প্রকাশ: ০৬:০৯ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পদ্মা সেতু এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা টোল আদায়ের মাইলফলক স্পর্শ করেছে। সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, দেশের বৃহত্তম এই সেতু চালু হওয়ার পর থেকে শনিবার (২৭ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত এক হাজার ৫০২ কোটি ৬২ লাখ ১৫ হাজার ৯০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে।

এ পর্যন্ত সেতুর উভয় প্রান্ত দিয়ে যানবাহন পারাপার হয়েছে ১ কোটি ১২ লাখ ৯১ হাজার ৯৫টি। এর মধ্যে মাওয়া প্রান্ত দিয়ে পারাপার হয়েছে ৫৬ লাখ ১ হাজার ২৩২ টি। অপরদিকে, জাজিরা প্রান্ত থেকে যানবাহন পারাপার হয়েছে ৫৬ লাখ ৮৯ হাজার ৮৬৩টি।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে পদ্মা সেতু সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী জানান, সেতু দিয়ে আশানুরূপ টোল আদায় অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন। পরদিন থেকে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয় সেতুটি। চালু হওয়ার পর প্রথম দিন ৫১ হাজার ৩১৬টি যানবাহন সেতু ব্যবহার করেছিল। সেদিন টোল আদায় হয় ২ কোটি ৯ লাখ ৩১ হাজার ৫৫০ টাকা।

পদ্মা সেতু   টোল আদায়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য প্রণব কুমার বড়ুয়া আর নেই

প্রকাশ: ০৬:০৭ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. প্রণব কুমার বড়ুয়া মারা গেছেন। 

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে চট্টগ্রামের নিজ বাসায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। 

মৃত্যুকালে তিনি তিন ছেলে, দুই মেয়ে, পুত্রবধূ, জামাতা, নাতি-নাতনি ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। 

প্রণব কুমার বড়ুয়া ১৯৩৪ সালের ২৩ আগস্ট চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার আবুরখীল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলা সাহিত্য ও পালিতে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।  

শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০১৯ সালে একুশে পদক প্রদান করে। কর্মজীবনে এই শিক্ষাবিদ ৩৫ বছরের বেশি শিক্ষকতা করেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগে খণ্ডকালীন অধ্যাপক হিসেবেও শিক্ষকতা করেছেন। এছাড়া, কানুনগোপাড়া কলেজ, রাঙ্গুনিয়া কলেজ, অগ্রসার বালিকা মহাবিদ্যালয় ও কুণ্ডেশ্বরী কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। 


আওয়ামী লীগ   ড. প্রণব কুমার বড়ুয়া   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জাল ভোট দিতে গিয়ে ধরা, নারীর ৬ মাসের কারাদন্ড


Thumbnail জাল ভোট দিতে আসায় নারীকে আটক

পটুয়াখালী সদর উপজেলাধীন ভুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে জাল ভোট দিতে গিয়ে শাহানাজ বেগম (২৫) নামের এক নারীকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

 

রবিবার (২৮এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে ভুরিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্র ১৬৪ নং পশ্চিম ভায়লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এ ঘটনাটি ঘটে। সাজাপ্রাপ্ত আসামি শাহানাজ বেগম ভায়লা এলাকার নুরুল ইসলাম ফরাজির মেয়ে ও আলমগীর হোসেনের স্ত্রী। 

 

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই কেন্দ্রে ছদ্মবেশে দ্বিতীয় বারের মতো ভোট দিতে আসে তখন অনেক এজেন্টদের তাকে সন্দেহ হয়। পরে তাকে চ্যালেঞ্জ করলে তিনি জাল ভোট দেয়ার কথা স্বীকার করেন।

 

এঘটনায় তাকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন আইনের ১৮৬০ এর ১৭১এর চ ধারা অনুযায়ী তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

শাহানাজ বেগম একজন ইউপি সদস্য প্রার্থীর পক্ষে দ্বিতীয় বার ভোট দিতে এসে ধরা খেয়েছেন বলে তিনি স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।


ইউপি নির্বাচন   জাল ভোট   নারী আটক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন