ইনসাইড বাংলাদেশ

অরক্ষিত ও পরিত্যক্ত ঐতিহাসিক মুসা খান মসজিদ

প্রকাশ: ০৬:৩৭ পিএম, ০২ জানুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

রাজধানী ঢাকা শহরের ঐতিহাসিক মসজিদ মুসা খান মসজিদ। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে স্থাপনাটি। মসজিদের সামনে এলে প্রথমইে চোখে পড়বে একটি সাইনবোর্ড। তাতে মসজিদটির পরিচিতির বিষয়ে লেখা রয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল এলাকার পশ্চিমাংশ বাগ-ই-মুসা খান নামে পরিচিত।

মুসা খান বারো ভূঁইয়া খ্যাত ঈসা খাঁ’র পুত্র। মসজিদটি তিনি নির্মাণ করেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু স্থাপত্যশিল্পে এটি শায়েস্তা খান আমলের রীতিতে নির্মিত এবং সম্ভবত মুসা খানের পুত্র মনোয়ার খান, শায়েস্তা খানের আমলে মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন বলে মনে করছেন অনেক ঐতিহাসিক। দেয়ালের গায়ে শিলালিপি না থাকলেও সপ্তদশ-অষ্টাদশ শতকে নির্মিত এ ধরনের বহু মসজিদের অস্তিত্ব এ দেশে এখনো বিদ্যমান। স্থাপত্যিক দৃষ্টিতে মসজিদটি খাজা শাহবাজ মসজিদের ১৬৭৯ খ্রিস্টাব্দের অনুরূপ। মসজিদের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে মুসা খানের কবর রয়েছে।

মুসা খানের কবর। ফাইল ছবি

বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল যেখানে অবস্থিত সেখানে মুসা খানের নির্মিত অসংখ্য দালানকোঠা ছিল বলে ঐতিহাসিকদের মত রয়েছে। এসব স্থাপত্য নির্মাণকালে তিনি এখানে একটি মসজিদও নির্মাণ করেছিলেন বলে অনেকে মনে করেন। মুসা খানের এই সমগ্র এলাকাটিকে তখন বলা হতো ‘বাগ-ই-মুসা’ বা মুসার বাগান।

বর্তমান লালবাগ, সদরঘাট, পুরান ঢাকা, কার্জন হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও শাহবাগ তথা সমগ্র পুরান ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল নিয়ে এই ‘বাগ-ই-মুসা’ গঠিত হয়েছিল বলে জানা যায়। মুসা খানের নাম অনুসারে এর নামকরণ করা হয়েছিল ‘বাগ-ই-মুসা’। তখনকার সময়ে এই সমগ্র এলাকাটি মুসা খানের ব্যক্তিগত জমি হিসেবেই বিবেচিত হতো। মুসা খান মসজিদটির নির্মাণ-কৌশল বিবেচনায় মসজিদটির সঙ্গে রমনার তিন নেতার মাজারের পেছনে অবস্থিত খাজা শাহবাজের মসজিদের সঙ্গে সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়।

মসজিদটি মাটি থেকে বেশ খানিকটা উঁচুতে অবস্থিত। সমতল থেকে ৩.০৫ মিটার উঁচু খিলান ছাদবিশিষ্ট ভিতের ওপর স্থাপিত মসজিদটি বাইরের দিকে উত্তর-দক্ষিণে এর পরিমাপ ১৭.৬৪ মিটার এবং পূর্ব-পশ্চিমে ১৪.০২ মিটার। এ উঁচু ভিতের তলদেশে কয়েক সারি কক্ষ রয়েছে; বর্তমানে যা অরক্ষিত ও পরিত্যক্ত। এসব কক্ষে দেয়ালের মাঝখানে একটি করে বুকশেলফ রয়েছে। কক্ষগুলোর গঠনশৈলী প্রমাণ করে, এখানে একটি মাদরাসা ছিল। মোগল আমলের অন্যান্য মসজিদের মতো একসময় এখানেও ধর্মীয় শিক্ষার কার্যক্রম চালু ছিল বলে মনে করেন অনেক ইতিহাস গবেষক।

এই ভিতের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণের সিঁড়ি বেয়েই ওপরের মূল অংশে উঠতে হয়। পশ্চিমাংশে মসজিদ কাঠামো, পূর্বাংশে খালি বারান্দা এবং বারান্দার দক্ষিণাংশে অজুখানা। পূর্ব দিকের তিনটি দরজার মাঝের দরজাটি নান্দনিক কারুকার্য শোভিত হয়ে প্রধান দরজার প্রতিনিধিত্ব করছে। উত্তর ও দক্ষিণ দিকের দেয়ালেও রয়েছে একটি করে দরজা, যা বর্তমানে বন্ধ রাখা হয়েছে।

মসজিদের ওপরের অংশে তিনটি গম্বুজ অষ্ট কোণাকার ড্রামের ওপর স্থাপিত; মধ্যবর্তী গম্বুজটি তুলনামূলক বড়। গম্বুজগুলোর ভেতরের অংশ সম্পূর্ণ খালি হওয়ায় মসজিদের ছাদ অনেক উঁচু ও সুদৃশ্য মনে হয়। মসজিদের ভেতরে সামনের দেয়ালে তিনটি খিলানবিশিষ্ট অর্ধ অষ্টভুজাকৃতির মিহরাব। মধ্যখানের মিহরাবটি তুলনামূলক বড় এবং সেটিতেই ইমাম দাঁড়িয়ে ইমামতি করেন। মসজিদের উত্তর পাশে ভিতের সঙ্গে লাগোয়া একটি কক্ষ। সেই কক্ষে রয়েছে নারীদের জন্য নামাজ আদায়ের বিশেষ ব্যবস্থা।


মুসা খান মসজিদ   ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়   কার্জন হল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তিস্তা প্রকল্পে অর্থায়নে আগ্রহী ভারত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

তিস্তা প্রকল্পে ভারত অর্থায়ন করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢাকা সফররত ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক করে তিস্তায় দেশটির অর্থায়ন আগ্রহের কথা জানান।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে তিস্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তিস্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিস্তায় আমরা একটা বৃহৎ প্রকল্প হাতে নিয়েছি। ভারত সেখানে অর্থায়ন করতে চায়। আমি বলেছি, তিস্তায় যে প্রকল্পটি হবে সেটা আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী হবে। আমাদের প্রয়োজন যেন পূরণ হয়।

তিস্তায় ভারতের মতো চীনও অর্থায়ন করতে চাচ্ছে এ বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত যে এক্ষেত্রে সহায়তা করতে চাচ্ছে, সে বিষয় নিয়েই আজকে আলোচনা হয়েছে’।


তিস্তা প্রকল্প   অর্থায়ন   ভারত   পররাষ্ট্রমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পাবনার তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান হলেন যারা

প্রকাশ: ০১:৫৫ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রথম ধাপে পাবনার সুজানগর, বেড়া সাঁথিয়া এই তিনটি উপজেলায় বুধবার ( মেইভিএম ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্নভাবে অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে দু'টি উপজেলায় এসেছে নতুন মুখ। আর একটিতে রয়েছে পুরোনো মুখ।

ঘোষিত বেসরকারি ফলাফলে সুজানগর উপজেলায় আব্দুল ওহাব, বেড়া উপজেলায় রেজাউল হক বাবু সাঁথিয়া উপজেলায় সোহেল রানা খোকন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে সুজানগর সাঁথিয়া উপজেলায় নতুন মুখ নির্বাচিত হয়েছেন। পাবনা সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বুধবার (৮ মে) মধ্যরাতে তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সুজানগরে ৭২টি কেন্দ্রের ফলাফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব মোটর সাইকেল প্রতীকে ৬২ হাজার ৭৫২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

তার একমাত্র নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৫৮ হাজার ৪৪১ ভোট। অর্থাৎ ওহাব হাজার ৩১১ ভোটে শাহীনকে পরাজিত করেছেন।

এই উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে জুয়েল রানা চশমা প্রতীকে ৬৩ হাজার ২৮৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এস মোস্তফা আহমেদ তালা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৯ হাজার ২৫৫ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শারমিন আক্তার শিপ্রা ফুটবল প্রতীকে ৬৪ হাজারে ৮৭৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মর্জিনা খাতুন কলস প্রতীকে  পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৬৪৭ ভোট।

বেড়া উপজলায় ৬৮টি ভোট কেন্দ্রের ফলাফলে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক বাবু হেলিকপ্টার প্রতীকে ২৯ হাজার ৬৮৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাতেন ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৩ হাজার ৭৬৬ ভোট। অর্থাৎ বাবু হাজার ৯২৩ ভোটে বাতেনকে পরাজিত করেছেন।

এই উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে মেসবাহ-উল-হক চশমা প্রতীকে ২৪ হাজার ৭৯০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী  প্রার্থী নাজমুল বাসার বই প্রতীকে  পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫৭৪ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শায়লা শারমীন ইতি হাঁস প্রতীকে  ৪৪ হাজার ৭৯০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী  প্রার্থী সুষমা রানী সাহা কলস প্রতীকে  পেয়েছেন ৩১ হাজার ৮৮৪ ভোট।

সাঁথিয়া উপজেলায় ৯৩টি কেন্দ্রের ফলাফলে চেয়ারম্যান পদে পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা খোকন কাপ-পিরিচ প্রতীকে ৩৮ হাজার ৫২৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ আশরাফুজ্জামান টুটুল আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৭১২ ভোট। অর্থাৎ খোকন হাজার ৮১৪ ভোটে আশরাফুজ্জামানকে পরাজিত করেছেন।

এই উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে শামসুল হক স্বপন টিউবওয়েল প্রতীকে ৪৬ হাজার ৭৬১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মেহেদি হাসান রুবেল উড়োজাহাজ প্রতীকে পেয়েছেন ২৪ হাজার ৬১৯ ভোট।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নাসিমা খাতুন ফুটবল প্রতীকে ৩০ হাজার ২৬৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সেলিমা সুলতানা শীলা হাঁস প্রতীকে পেয়েছেন ৩০ হাজার ৭৭ ভোট।


উপজেলা নির্বাচন   চেয়ারম্যান   ফলাফল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দুই উপজেলায় জামানত হারালেন ১১ প্রার্থী

প্রকাশ: ০১:৫৫ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রথম ধাপে হবিগঞ্জের বানিয়াচং আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন করে জামানত হারিয়েছেন। বানিয়াচং উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাতজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন জামানত হারিয়েছেন।

আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জামানত হারিয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মর্তুজা হাসান (আনারস) মো. রেজাউল করিম (মোটরসাইকেল) ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামানত হারিয়েছেন হারুনুর রশীদ (মাইক) হীরেন্দ্র পুরকায়স্থ (বই) 

বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাতজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যানপদে জামানত হারিয়েছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আমীন (উড়োজাহাজ), আরশাদ হোসেন খান (পালকি), এস এম সুরুজ আলী (মাইক), তাফাজ্জুল হক (বই), প্রিতোষ রঞ্জন দেব (বৈদ্যুতিক বাল্ব), সৈয়দ নাসিরুল ইমাম (টিয়া পাখি) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শিউলি রানী দাস (কলস) জামানত হারিয়েছেন।


উপজেলা   প্রার্থী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঢাকায় জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল

প্রকাশ: ০১:১৪ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী। ফিলিস্তিনে দখলদার ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করে তারা। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের উদ্যোগে যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারের সামনে থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। একই সময়ে ভিন্ন স্থানে সংগঠনটির ঢাকা মহানগরী উত্তরের আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার (০৯ মে) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত মিছিলে কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন নেতৃত্ব দেন। এ সময় বিক্ষোভ মিছিলটি রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারের সামনে থেকে শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি যথাক্রমে দেলওয়ার হোসেন, মুহাম্মদ কামাল হোসাইন ও ড. আব্দুল মান্নান।

আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খান, শামসুর রহমান, ড. মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুস সালাম, সৈয়দ সিরাজুল হক, কামরুল আহসান হাসান, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগরী পূর্বের সভাপতি তাকরিম হাসান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি আলাউদ্দিন শেখ, ঢাকা কলেজের সভাপতি আনিসুর রহমানসহ জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন থানা আমির ও সেক্রেটারিরা।

অন্যদিকে মজলুম ফিলিস্তিন জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য বিশ্ব জনমত গড়ে তোলা, ইসরায়েলিদের জুলুমের প্রতিবাদে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের আয়োজনে বিক্ষাভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।


বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী   বিক্ষোভ   মিছিল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পাবনায় পুকুর খনন করতে গিয়ে পরিত্যক্ত গ্রেনেডের সন্ধান

প্রকাশ: ০১:০৭ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail পাবনার ঈশ্বরগঞ্জে অবিস্ফোরিত অবস্থায় গ্রেনেড সন্ধান

পাবনার ঈশ্বরদীতে পুকুর খনন করতে গিয়ে পরিত্যক্ত গ্রেনেডের সন্ধান মিলেছে। গ্রেনেডটি মাটি চাপা দিয়ে স্থানটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। এক শিশু সেটিকে খেলনা ভেবে প্রথমে বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিল।

বুধবার ( মে) রাতে ঈশ্বরদী পৌর শহরের এম এস কলোনি তিনতলা এলাকায় খনন কাজ চলমান একটি পুকুরে পরিত্যক্ত গ্রেনেডটির সন্ধান মেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, রেলওয়ের জমিতে খোকন নামের এক মাছ ব্যবসায়ী বেশ কিছুদিন ধরে এম এস কলোনির তিনতলা মাঠে পুকুর খননের কাজ করছেন। বুধবার বিকেলে শ্রমিকরা কাজ শেষ করে বিকেলে চলে যান।

সে সময় তৃতীয় শ্রেণী পড়ুয়া স্বর্ণা নামের এক শিশুকন্যা বাড়ির পেছনে গিয়ে উপরের অংশে লাল টেপ মোড়ানো লোহার গোলকের মত বস্তুটি খেলনা ভেবে বাড়িতে নিয়ে যায়। তার বাবা সুবাস কুমার দাস গোলাকার বস্তুটি গ্রেনেড বলে বুঝতে পারে। তখন বিপদের আশংকায় গোলাকার বস্তুটি পূর্বের স্থানে রেখে জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান তিনি।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, 'রাতে জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনাটি জানতে পারি। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় এলাকাটি পাক বাহিনীর অধ্যুষিত এলাকা ছিল। ওই সময় গ্রেনেডটি যেকোনোভাবে ঘটনাস্থলে অবিস্ফোরিত হয়ে মাটি চাপা পড়েছিল। মাটি খনন করায় সেটি বের হয়ে এসেছে।'

ওসি আরও জানান, 'বর্তমানে গ্রেনেডটি মাটা চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। এলাকাটি আম বাগান পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সবুজ আলীর তত্ত্বাবধায়নে রাখা হয়েছে। বোম নিষ্ক্রিয় করার জন্য র‌্যাবের বোম ডিসপোজাল টিমকে খবর দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) দলটি ঘটনাস্থলে এসে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করার কথা রয়েছে।'


গ্রেনেড   অবিস্ফোরিত   পরিত্যক্ত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন