মাত্র দেড় কিলোমিটার খাল খননের কারণে ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রাস্তা ও প্রায় ৫শ’ জনবসতি হুমকিতে পড়েছে। যে কোন সময়ে পাকা রাস্তা খালের মধ্যে দেবে যেতে পারে, অপর পাশের প্রায় ৫শতাধিক বাড়ীঘর ওই খালের মধ্যে বিলীন হতে পারে যে কোন মুহূর্তে। এই আশঙ্কা স্থানীয় বসতিসহ জনপ্রতিনিধি এবং সরকারি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের।
জানা গেছে, গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্পের আওতায় মুকসুদপুর উপজেলার জলিরপার ইউনিয়নের কলিগ্রাম পারঘাটা পয়েন্ট থেকে ননীক্ষির ইউনিয়নের গোয়ালগ্রাম পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার খাল খনন করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের
নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুর রহমান বলেন ‘এই খালটির মুখ
দীর্ঘ ৫৫ বছর বন্ধ
ছিলো। খালটি নদীর সাথে সংযোগ
স্থাপন করা হলো। এতে
খালটিতে জোঁয়ার-ভাটা সৃষ্টি হবে।
শুষ্ক মৌসুমে সেচ কাজে এই
খালের পানি ব্যবহৃত হবে।
বিদ্যুত সাশ্রয়ী হবে, ভুগর্ভস্থ পানির ওপর চাপ কমবে। হাজার
হাজার মেট্রিক টন অতিরিক্ত ফসল
উৎপাদিত হবে।
অপরদিকে মুকসুদপুরে কর্মরত এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল রাশেদী জানান, তাদের দপ্তরের আরইসিসিপি প্রকল্পের আওতায় ২১ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে টেংরাখোলা জলিরপাড় সড়কের কলিগ্রাম থেকে দক্ষিণ গোয়ালগ্রাম অংশে এলজিইডি বা যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক এক্সকাভেটর ব্যবহারের মাধ্যমে অপরিকল্পিতভাবে খাল খনন করার ফলে তাদের নির্মিত রাস্তার ব্যপক ক্ষতি হচ্ছে।
উপজেলা প্রকৌশলী আরও বলেন, পানি
উন্নয়ন বোর্ড তাদের নির্মিত পাকা রাস্তার কোন
সোল্ডার না রেখেই রাস্তার
উপরে ট্রাক ট্রলিদ্বারা মাটি অন্যত্র অপরাসরণ
করা হচ্ছে। রাস্তার পাশে খাড়াখাড়ি খনন
এবং প্রায় ১০ টনের বেশী
ওজনের ট্রাক-লরি দিয়ে অপসারণ
করায় রাস্তার ক্যাপাসিটি বা ভারসহন ক্ষমতা
লোপ পাচ্ছে। ইতোমধ্যে কয়েক স্থানে রাস্তায় ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে
করে যে কোন সময়
রাস্তাটি খালের মধ্যে পতিত হলে মুকসুদপুর
থেকে জলিরপার যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়বে। ওই
এলাকার আর কোন বিকল্প
রাস্তা না থাকায় দক্ষিণ
মুকসুদপুরের মানুষ চরম দুভোর্গে পড়বে।
এজন্য তিনি বিষয়টি জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে এলাকার সংসদ
সদস্য, এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী,
ঢাকা বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী,
নির্বাহী প্রকৌশলী, উপজেলা চেয়ারম্যান এবং উপজেলা নির্বাহী
অফিসারকে লিখিতভাবে
অবহিত করেছেন।
মাদারীপুর মধুমতি বিলরুট ক্যানেল (কাটা মধুমতি) জলিরপাড়ের কলিগ্রাম পারঘাটার ডা. শিবাজী বিশ্বাস জানান, তাদের পৈত্রিক ভিটা ৮ শতক জমির ওপরে গত ৫০বছর ধরে বসবাস করছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদার হঠাৎই এসে তাদের বাড়ী পাশ থেকে ২০ ফুট নিচু করে এক্সকাভেটর দিয়ে মাটি সরিয়ে অন্যত্র বিক্রি করে দিয়েছে। তারা পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি ছাড়াও আমাদের পৈত্রিক জমি কেটে খাল বানিয়েছে। আমরা স্থানীয় মেম্বার চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েছি, কোনভাবেই জমির মাপ ছাড়াই তাদের জমি কেটে খাল খনন করেছে।
তিনি আরও জানান, তার
কলিগ্রামের ঘনবসতি এলাকায় তাদের পাশের ৫০পরিবার, অপর পাশের ১শ
পরিবার ক্ষতি হয়েছে প্রত্যক্ষভাবে। পরোক্ষভাবে রাস্তাঘাট বন্ধ করে দিয়ে
বের হতে পারে না
হাজার পরিবার।
কলিগ্রাম
কলেজ রোডের বাসিন্দা ৮০ বছরের বিধবা
প্রভাতী বাড়ৈ বলেন, মাত্র
সাড়ে ৫ শতক জমিতে
একটি ভবন করে গত
৬০ বছর ধরে বসবাস
করছি। একদিন দুপুরে দেখি এক্সকাভেটর দিয়ে
আমার বসতবাড়ী ভেঙ্গে খাল খনন করে
ফেলেছে। ঘরের মালামাল কোথাও
সরাতে পারিনি। তিনি আরো জানান
তার ৫ ছেলে মেয়ে বিজলী,
শেফালী, দীপালি, ডেভিট ও সমরকে নিয়ে
অপরের ঘরের বারান্দায় থাকছি।
এ তো ‘খাল কেটে
কুমির’ আনার মতো অবস্থা,
এখন কুমিরের উৎপাতে যন্ত্রণায় আছি।
মুন্সী
কলিগ্রামের বৈদ্যবাড়ীর মন্মথ বৈদ্য (৭০) বলেন, তার
বাবার আমল থেকে পানি
উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা বাদ দিয়েই তারা
বসবাস করছেন। তার বাড়ির সামনে
পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি আছে ৫০
ফুট, তারা বাড়ীর সামনে
থেকে ৭০ ফুট চওড়া
করে কেটেছে। এতে তার বাড়ির
৬৫টি পরিবার ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। বিএডিসির স্থানীয় ব্লক ম্যানেজার
দীনেশ বৈদ্য জানান এ বছর খাল খনন
করায় তার ব্লক বন্ধ রয়েছে। এজন্য সেসহ ১০জন ব্লক ম্যানেজারের দিনমজুরি করে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে। দু’পাশের শত শত একর
জমি অনাবাদি রয়েছে।
এ ব্যাপারে
জলিরপার চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে
না চাইলেও ননীক্ষির চেয়ারম্যান শেখ রনি আহমেদ
জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড
যে খাল খনন করছে
তাতে আমাদের উপকারের চাইতে বেশি ক্ষতি হয়েছে।
তারা (পাউবো) আমাদের এলাকায় উন্নয়ন কাজ করবে, আমাদের
জানানোর প্রয়োজন বোধ করে না।
উপজেলা
পরিষদ চেয়ারম্যান কাবির মিয়া বলেন, জনগণের জন্যই তো সরকারের বিভিন্ন
উন্নয়ন প্রকল্প গৃহীত হয়। তিনি জনগণের
দাবির মুখে ঘটনাস্থল পরিদর্শন
করে জানান জনগণসহ এলজিইডির রাস্তার যে ক্ষতি করেছে
তা অপুরণীয়।
গোপালগঞ্জ জলিরপার ননীক্ষি খাল খনন হুমকি জনবসতি
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপের ভোট উপলক্ষে ১৫০
উপজেলায় তিন দিনের জন্য মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন
(ইসি)। ইতোমধ্যে সংস্থাটির নির্দেশনায় প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক
বিভাগ।
রবিবার (০৫ মে) সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সহকারী সচিব মো.
জসিম উদ্দিনের সই করা প্রজ্ঞাপনটি সংশ্লিষ্ট সবাইকে পাঠানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে- আগামী ৮ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের
সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর ৩২ ধারা অনুযায়ী, নির্বাচন
উপলক্ষে ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিবসের আগের মধ্যরাত অর্থাৎ ০৭ মে দিবাগত মধ্যরাত
১২টা থেকে ৮ মে দিবাগত মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত ট্যাক্সি ক্যাব, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও ট্রাক
চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। আর ৬ মে দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ৯ মে মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত
মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, যানজট
নিরসন ইত্যাদি প্রয়োজনে বাস্তবতার নিরিখে এবং স্থানীয় বিবেচনায় উল্লিখিত যানবাহন
ছাড়াও যেকোনো যানবাহন চলাচলের ওপর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে।
এ নিষেধাজ্ঞা রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তাদের
নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি বা বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য।
নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি বা বিদেশি সাংবাদিক
(পরিচয়পত্র থাকতে হবে) নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী
বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং জরুরি কাজে ব্যবহৃত কতিপয় যানবাহন (অ্যাম্বুলেন্সসহ
ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগে ব্যবহৃত যানবাহন) চলাচলের ক্ষেত্রে
এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।
জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর ও জরুরি পণ্য সরবরাহসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এরূপ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে পারবে। যানবাহন চলাচলে বর্ণিত সময়সূচি
অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন ইসি মোটরসাইকেল নিষেধাজ্ঞা
মন্তব্য করুন
রোগীকে চিকিৎসা দিতে দেরি করায় ডাক্তারকে বেধড়ক পেটানো সেই আওয়ামী
লীগ নেতা এলিম পাহাড় এবার পা ধরে মাফ চেয়েছেন।
রোববার (৫ মে) শরীয়তপুর-১ আসনের এমপি ইকবাল হোসেন অপুর উপস্থিতিতে
চিকিৎসকের পা ধরে মাফ চান তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার মাফ চাওয়ার ভিডিওটি ছড়িয়ে
পড়েছে। এলিম পাহাড় শরীয়তপুর জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী সভাপতি।
ভুক্তভোগীরা হলেন, চিকিৎসক শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার
ডাক্তার শেহরিয়ার ইয়াছিন ও তত্ত্বাবধায়ক হাবিবুর রহমান।
ভিডিওতে দেখা যায়, সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপুর বাসভবনে হামলার
শিকার চিকিৎসকরাসহ কয়েকজন চিকিৎসক বসে আছেন। এলিম পাহাড়কে তাদের পায়ে ধরে মাফ চাইতে
বলছেন এমপি। তখন এলিম দুই চিকিৎসকের মধ্যে প্রথমে ডাক্তার শেহরিয়ারের পায়ে এবং পরে
তত্ত্বাবধায়ক হাবিবুর রহমানের কাছে পা ধরে ক্ষমা চান। এ সময় তাকে সংসদ সদস্য ইকবাল
হোসেন অপুর পায়ে ধরতেও দেখা যায়।
ভিডিওতে পালং মডেল থানার ওসি মেজবাউদ্দিন আহমেদ, যুবলীগ নেতা বাচ্চু
বেপারী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সিদ্দিক পাহাড় ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিব) শরীয়তপুর
জেলা শাখার সভাপতি ডা. মনিরুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে দেখা যায়।
মীমাংসার বিষয়ে জানতে চাইলে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক
হাবিবুর রহমান বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা কমিটির সভাপতি। ঘটনাটি
না বাড়িয়ে মীমাংসা করার জন্য তিনি অনুরোধ করেছেন। তাই তার উপস্থিতিতে ওই ব্যক্তি ক্ষমা
চেয়েছেন। তাই তার প্রতি সম্মান দেখিয়ে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী চিকিৎসক ডাক্তার শেহরিয়ার ইয়াছিন বলেন, স্থানীয় সংসদ
সদস্য অনুরোধ করায় আমি মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করতে বাধ্য হয়েছি। আমার কানের পর্দা
ও কণ্ঠনালিতে আঘাত লেগেছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ ও শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা এলিম পাহাড়, মোবাইল
ফোনে বলেন, সংসদ সদস্য আমাদের মুরব্বি। উনি বলেছেন, তাই মীমাংসা করেছি। আমার ছেলেরে
অন্য জায়গায় চিকিৎসা করাচ্ছি।
এ বিষয়ে শরীয়তপুরের জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুল আলম (পিপিএম)
বলেন, শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় ভুক্তভোগী জেলা পুলিশের কাছে
একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের সঙ্গে সঙ্গেই এলিম পাহাড়কে আটক করে পুলিশ। কিন্তু
আসামি গ্রেপ্তারের পর ভুক্তভোগী তার অভিযোগপত্রটি তুলে নেন। যার কারণে কোনো মামলা গ্রহণ
করা সম্ভব হয়নি।
এর আগে শনিবার (৪ মে) দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে মারামারিতে আহত ছেলেকে চিকিৎসা দিতে দেরি করার অভিযোগে ডা. শেহরিয়ারকে বেধড়ক পেটান এলিম পাহাড়। এই সময় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হাবিবুর রহমানকেও লাঞ্ছিত করা হয়। পরে ডা. শাহরিয়ার বাদী হয়ে দুপুরে সদরের পালং মডেল থানায় একটি মামলার আবেদন করলে পুলিশ এলিম পাহাড়কে আটক করে।
এমপি ইকবাল হোসেন অপু শ্রমিক নেতা চিকিৎসক
মন্তব্য করুন
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান থানার ওসি
মো. মুজাহিদুল ইসলামসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (৫ মে) দুপুরে মুন্সীগঞ্জ জেলা
ও দায়রা জজ আদালতে পুলিশের হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করেন নির্যাতনের
শিকার আব্দুল বারেক।
মামলা দায়ের করা আব্দুল বারেক সিরাজদিখান
উপজেলার বড়বর্তা গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় কেয়াইন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. হোসেন মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মুন্সীগঞ্জ সিনিয়র জেলা
ও দায়রা জজ কাজী আব্দুল হান্নান মামলার ঘটনার সত্যতা যাচাই-পূর্বক তদন্ত করে প্রতিবেদন
দেওয়ার জন্য পিবিআই পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
একইসঙ্গে বাদী তথা ভুক্তভোগীদের জখমের
বিষয়ে সিভিল সার্জনকে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. জামাল
হোসাইন জানান, গত ১৮ এপ্রিল জেলার সিরাজদিখান থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। ২৪ এপ্রিল
ওই মামলায় এজাহার নামীয় আসামি দেখিয়ে উপজেলার কুচিয়ামোড়া গ্রামের আব্দুল বারেকসহ ১১
জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এরপর ওই দিন রাতে গ্রেপ্তারকৃতদের থানা
পুলিশের হেফাজতে নির্যাতন করা হয়। পরদিন গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে
পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, জেল হাজতে থেকে আব্দুল
বারেক বাদী হয়ে সিরাজদীখান থানার ওসি ও অন্যান্য আরো ৮ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে পুলিশের
হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছেন আদালতে।
এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান
সার্কেল) মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, শুনেছি আদালতে একটি পিটিশন মামলা হয়েছে। তবে ওই
ঘটনার সময় আমি ট্রেনিংয়ে ছিলাম।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিমানবন্দর বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী জাতীয় সংসদ
মন্তব্য করুন