ইনসাইড বাংলাদেশ

১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি রাজশাহীর মাস্টার প্ল্যানে নেই নতুনত্ব

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ২২ জানুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

রাজশাহীকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে আগামী ২৪ বছরের জন্য মাস্টার প্ল্যান করা হয়েছে। ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ) এ মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেছে। কিন্তু ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি করা আরডিএ’র মাস্টার প্ল্যানে নেই কোনো নতুনত্ব। সাড়ে তিন বছরে তৈরি করা হয়েছে এ মাস্টার প্ল্যান। এটি তৈরিতে তিনটি ফার্ম কাজ করেছে। এবার মাস্টার প্ল্যানে ২৪ বছর আগে যে বিষয়গুলো ছিল সেটিই পুনরাবৃত্তি করে শুধু মাত্র দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার বিষয়টি যোগ হয়েছে। তারপরও নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে পারেনি আরডিএ’র নগর পরিকল্পনা শাখা। যদিও সুশীল ও নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দ বলছেন, আগের প্ল্যানই বাস্তবায়ন হয়নি। পুনরায় আবারো বিশাল অংকের টাকা ব্যয়ে মাস্টার প্ন্যান তৈরি বিলাসিতা ছাড়া আর কিছুই নয়। নতুন মাস্টার প্ল্যানে বাস্তবায়ন হবে কি না তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে।

জানা যায়, গত ২০০৪ সালে ২৪ বছরের জন্য আরডিএ কর্তৃপক্ষ পুরো রাজশাহীর উপর প্লান তৈরি করেছিল। এই প্ল্যানের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন, গণপূর্ত, সড়ক জনপদ বিভাগ, এলজিইডিসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে ও পরামর্শক্রমে এ প্ল্যান তৈরির কাজ হাতে নেয়। বিগত প্ল্যানে ভবন নির্মাণ থেকে শুরু করে আগামীর রাজশাহীর রাস্তা-ঘাট কেমন হবে সেটি উল্লেখ করা হয়েছিল। আগের প্ল্যানে আরডিএ’র পরিধি কম ছিল। বর্তমান আরডিএ’র ১৭টি জোন হয়েছে। এই ১৭টি জোন নিয়ে এবার করা হয়েছে এই মাস্টার প্ল্যান। প্রথম দফায় ২০১৯ সালের ২২ অক্টোবর, আগামী ২৫ বছরের উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনা নিয়ে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাথে মাস্টার প্ল্যান প্রণনয়ন বিষয়ে ‘উন্নয়নের ভবনা শীর্ষক মতবিনিময় সভা করা হয়। এই সভায় আগামীর রাজশাহী কেমন হবে তা নিয়ে রূপ রেখা তৈরি করা হয়। পরে মাস্টার প্ল্যানের জন্য অনুমোদনও হয়। এ প্ল্যান তৈরি করতে কত ব্যয় হবে সেটিও নির্ধারণ করা হয়। এরপর বিভিন্ন দপ্তর, সুশীল সমাজ, সাংবাদিকদের নিয়ে প্ল্যানের ব্যাপারে আলোচনা করা হয়। গত প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে আরডিএ’র নগর পরিকল্পনা শাখা এ মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেছে। এ মাস্টার প্ল্যান তৈরিতে কাজ করেছে এডিপিসি, ডেটেক্স, থ্যোই নামে তিনটি ফার্ম।

১৮ কোটি টাকা দিয়ে তৈরি করা এবারের মাস্টার প্ল্যানে বিশেষত্ব বলতে তেমন কিছু নেই। পূর্বের প্ল্যানে যা ছিল তার সাথে সামান্য কিছু যোগ করা হয়েছে। এবার মাস্টার প্ল্যানে যোগ হয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার বিষয়টি। এরমধ্যে রয়েছে চার ধরনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সংবেদনশীল, ভূমিকম্প, বন্যা, খরা, অগ্নিনির্বাপণ, ওয়াটার রিজার্ভ, বড় ভবন তৈরি ক্ষেত্রে অগ্নিনির্বাপণের জন্য রাস্তা। নতুন মাস্টার প্ল্যানে এ কয়টি বিষয় বিশেষত্ব বলা হলেও দেখা গেছে, অগ্নিনির্বাপণের জন্য ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে যেসব নির্দেশনা আগের প্ল্যানে ছিল, এবারো তাই রয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মধ্যে ভূমিকম্প এলাকায় বহুতল ভবন নির্মাণ করার ক্ষেত্রে আগে যে নির্দেশনা ছিল সেখানে, ভূমিকম্প প্রবণ এলাকায় বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে করণীয় বিষয় যোগ হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের মত দুর্যোগের ক্ষেত্রে আগের প্ল্যানে বলা হয়েছে, নগরীতে কোনো বহুতল ভবন নির্মাণ করতে হলে, অগ্নিকাণ্ডের মত ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি অনায়াসে যেতে পারে সেই পরিমাণ রাস্তা রেখে ভবন নির্মাণ করতে হবে, যা মাস্টার প্ল্যানেও সংযুক্ত হয়েছে। বন্যা বা খরার মত দুর্যোগে কি কি ব্যবস্থা নেয়া যায় সে বিষয়টি আগের প্ল্যানে ছিল, এবার যোগ হয়েছে। এছাড়াও বন্যা বা খরার মত দুর্যোগের পরবর্তী করণীয় সমূহ রয়েছে। নতুন মাস্টার প্ল্যানে যোগ হয়েছে ওয়াটার রিজার্ভ। যদিও সম্প্রতি দেশের বেশকিছু স্থানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর সরকার বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে নির্দেশনা জারি করেছে। সেই আলোকে রাজশাহীর মাস্টার প্ল্যানেও এ বিষয়টি উঠে এসেছে। রাজশাহীর আগামী ২৪ বছরের যে মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে সেখানে বড় বড় রাস্তা-ঘাট, আগামীর নগরী কেমন হবে, কতটা নিরাপদ হবে, নগরায়ন কেমন হবে, আরডিএ’র পরিধির মধ্যে যে জায়গা আছে সেসব জায়গার রাস্তা-ঘাট, বসতি কেমন হবে তা বলতে পারেনি আরডিএ’র নগর পরিকল্পনা শাখা।

বিষয়টি নিয়ে আরডিএ’র নগর পরিকল্পক আজমেরি আফসারী বলেন, নতুন মাস্টার প্ল্যান এ মাসের মধ্যেই সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। এটি সম্পন্ন হওয়ার পর প্রিন্টের কাজ চলছে। তিনি বলেন, রাজশাহীর জন্য যে মাস্টার প্ল্যান হয়েছে তাতে রাজশাহীর চিত্র বদলে যাবে। তবে নতুন মাস্টার প্ল্যানে নতুনত্ব কি আছে জানতে চাইলে তিনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ছাড়া নতুনত্ব বলতে আর কিছু নেই বলে মন্তব্য করেন। এই প্ল্যান তৈরি করতে কত লোকবল লেগেছে জানতে চাইলে তিনি সেটি জানাতে পারেন নি। তিনটি ফার্মের কাকে কত টাকা দিতে হয়েছে সেটিও তিনি জানেন না বলে জানান। তিনি নিজে মাস্টার প্ল্যানের প্রধান হওয়ার পরও সব কিছু জানেন না, বলে জানিয়ে বলেন, পুরো মাস্টার প্ল্যানের নকশা এলে তারপর সব কিছু জানানো সম্ভব হবে। এব্যাপারে আরডিএ’র অথরাইজ আবুল কালাম আজাদ বলেন, এক সময় রাজশাহীতে ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে বিল্ডিং কোড মানার কোনো প্রবণতা ছিল না। আমরা মানুষের সাথে ওয়ার্কসপ করে, প্রচার প্রচারণা চালিয়ে এখন কিছুটা হলেও নিয়মের মধ্যে এসেছে, সচেতন হয়েছে মানুষ। তিনি বলেন, রাজশাহীর মাস্টার প্ল্যান সম্পর্কে যদিও আমি কিছু জানি না, তারপরও বলবো এই মাস্টার প্ল্যান আগামীর রাজশাহীর জন্য মাইল ফলক হবে।

এদিকে এতো বিশাল অংকের টাকা খরচ করে আগামী রাজশাহীর জন্য মাস্টার প্ল্যান কোনো সুফল বয়ে আনবে না বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকেই। কারণ, যে ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এই মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে, সেই টাকা জনগণের। এখানে বড় ধরনের দুর্নীতি করা হয়েছে বলেও নগরীর সচেতন মানুষ মনে করছেন।

রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেন, সাধারণ নাগরিকের মতামত নিয়ে আগামীর রাজশাহী কেমন হবে তার মাস্টার প্ল্যান তৈরি করতে হতো। এই কাজে এতো বিশাল অংকের টাকা খরচ হওয়ার কথা নয়। এখানে বড় ধরনের দুর্নীতির আশ্রয় নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বিশাল অংকের টাকা খরচ হলেও আরডিএ রাজশাহীর জন্য নতুন কিছু দিতে পারেনি। যা দু:খ জনক। আমরা চাই খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হোক। আরডিএ’র কর্মকর্তারা এমনিতেই দুর্নীতি গ্রস্ত। আর মাস্টার প্ল্যানে ব্যাপক দুর্নীতি করা হয়েছে বলে আমার মনে হয়।

সুশাসনের জন্য নাগরিক এর বিশ্লেষক সুব্রতপাল বলেন, নগর পকিল্পনার জন্য মাস্টার প্ল্যান গুরুত্বপূর্ণ। পূর্বের যে প্ল্যান সেটা যথাযথ বাস্তবায়ন না করে ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে আবারও মাস্টার প্ল্যান করা হয় তাহলে দিন শেষে নাগরিকের উপ করের বোঝা বাড়বে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ১৮ কোটি টাকা ব্যয় করে মাস্টার প্ল্যান বিলাসিতা করার কোনো মানে হয় না। পর্বের যে প্লান ছিল সেটিও যদি পুনরায় জনপ্রতিনিধি, নাগরিক সমাজ, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে হেয়ারিং করে একটি মাস্টার প্ল্যান করা যায়, তাহলে যে ফল আসবে, এই ১৮ কোটি টাকা ব্যয় করে সেই ফল আসবে না। এটি বর্তমান অর্থনৈতিক ক্রাইসিসের মধ্যে আরো ক্রাইসিস বাড়ানো ছাড়া আর কিছুই নয়। এতো বিশাল টাকা খরচ করে মাস্টার প্ল্যান, তারপরও এ প্ল্যানের মধ্যে নতুন কিছু নাই। জনগণের এই বিশাল টাকা ব্যয় করার আগে কর্তৃপক্ষের ভাবার দরকার ছিল। বিশেষ করে পূর্বের প্ল্যানটা রিভাইজ করে গণশুনানির মাধ্যমে মাস্টার প্ল্যান করলে এই ১৮ কোটি টাকা ব্যয় কমিয়ে আনা যেতো। তিনি বলেন, মাস্টার প্ল্যান করতে ১৮ কোটি টাকা কোথায় ব্যয় হলো সেটিও প্রশ্নবিদ্ধ।

মাস্টার প্ল্যান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বুলেট থাকতে ব্যালটে কেউ হাত দিতে পারবে না: ফরিদপুর জেলা প্রশাসক

প্রকাশ: ১০:৪৫ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বলেছেন, ‘একটি ব্যালটের বিপরীতে একটি বুলেট ব্যবহার করা হবে। বুলেট থাকতে ব্যালটে কেউ হাত দিতে পারবে না।’

তিনি বলেন, ‘কেউ ভোট কাটতে একটা ব্যালটে হাত দিতে চাইলে তার জন্য একটি বুলেট খরচ করা হবে। তাই যারা এই পরিকল্পনায় আছে তারা ভুলে যান, এবার অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।’

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে সদরপুর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাচন অফিসের আয়োজনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপ উপলক্ষে প্রিসাইডিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ ও মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা (ইউএনও) মো. সৈয়দ মোরাদ আলীর সভাপতিত্বে ওই মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ মোর্শেদ আলম, সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার তারেক আহম্মদ, সদরপুর থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাচন ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ।


জেলা প্রশাসক   কামরুল আহসান তালুকদার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কাঁচা মরিচের কেজি ছাড়াল ২০০ টাকা

প্রকাশ: ১০:০৩ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

কাঁচা মরিচের দাম আরও বেড়েছে। গত ১০ দিনের ব্যবধানে এই পণ্যের দাম দ্বিগুণ হয়ে প্রতি কেজি ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে। কোথাও কোথাও আরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বছরের এই সময়ে বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি থাকে। ফলে আমদানি করে মরিচের প্রয়োজন মেটাতে হয়। তবে এবার দাম বাড়তে থাকলেও সরকারের পক্ষ থেকে দাম নিয়ন্ত্রণে এখনো কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।

এবার কাঁচা মরিচের দাম বাড়ছে ঈদুল আজহার মাসখানেক আগে থেকেই। গত বছর কোরবানির সময়ে ঢাকায় কাঁচা মরিচের কেজি ৭০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। তখন দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দিয়েছিল।

গত পাঁচ বছরের বাজারের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বছরের এই সময়ে উৎপাদন কমে যাওয়ায় কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা বাড়ে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশে বৃষ্টিসহিষ্ণু মরিচের জাত কম। ফলে বৃষ্টি বেশি হলে কাঁচা মরিচের উৎপাদন কমে যায়। তখন আমদানি করে কাঁচা মরিচের চাহিদা মেটানো হয়। সাধারণত ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি করা হয়। তবে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার থেকেও কিছু কাঁচা মরিচ আসে। মিয়ানমারে চলমান যুদ্ধের কারণে কাঁচা মরিচ আমদানিতে ভারতের ওপর নির্ভর করতে হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সঙ্গনিরোধ শাখা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি (আইপি) দেওয়া হয়নি। তবে বাজারে কাঁচা মরিচের দাম ও সরবরাহ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। চাহিদা ও সরবরাহ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।


কাঁচা   মরিচ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জুজুৎসুর নিউটন ভয়ংকর যৌন নিপীড়ক: র‍্যাব

প্রকাশ: ০৯:৫৫ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

নারী ক্রীড়াবিদদের ধর্ষণ ও শারীরিক নিপীড়ন। অপ্রাপ্তবয়স্ক ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে অনৈতিক কার্যকলাপের কারণে গর্ভবতী হলে তাদের গর্ভপাত করানোর মতো ভয়ংকর কাজও করেছেন তিনি। নারী ক্রীড়াবিদকে ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় প্রধান আসামি বাংলাদেশ জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম নিউটনকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জেনেছে র‍্যাব।

তার অনৈতিক এ কাজে আরেক নারী সহযোগী ক্রীড়াবিদকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলায় দ্বিতীয় আসামি ওই নারী ক্রীড়াবিদকে ইতোমধ্যে রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।

র‍্যাব কমান্ডার আরাফাত ইসলাম জানান, ১৮ মে রাজধানীর শাহ আলী ও মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে রফিকুল ইসলাম নিউটন ও তার সহযোগী একজন নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। জুজুৎসু এসোসিয়েশনের একজন নারী ক্রীড়াবিদদের করা নারী শিশু নির্যাতন দমন ও পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

সংবাদ সম্মেলনে  র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ধর্ষণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা স্বীকার করেছেন। রফিকুল ইসলাম নিউটন জুজুৎসু (জাপানি মার্শাল আর্ট) খেলার প্রশিক্ষক। অ্যাসোসিয়েশনের অধিকাংশ প্রশিক্ষণার্থী নারী। যেখানে অভিভাবক হিসেবে কোমলমতি মেয়েদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি কোমলমতি মেয়েদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তার হীন চরিত্র চরিতার্থ করার প্রয়াস চালান।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, রফিকুল ইসলাম নিউটন অ্যাসোসিয়েশনের অপ্রাপ্তবয়স্ক নারী ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে অনৈতিক কার্যকলাপের কারণে কেউ গর্ভবতী হলে তাদের গর্ভপাত করাতেন। এছাড়া অনুশীলনের আগে মেয়েদের পোশাক পরিবর্তনের কক্ষে প্রবেশ করে তাদের জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ ও নগ্ন ছবি তুলে রাখতেন তিনি। পরে ধারণ করা নগ্ন ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ব্ল‍্যাকমেইল করে বারবার ধর্ষণ করতেন।


জুজুৎসু   নিউটন   র‍্যাব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদি অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ


Thumbnail

আগামী ২১ মে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন ২ জন। এর মধ্যে জনগণের ও সরকার দলীয় কর্মীদের পছন্দের প্রার্থী তালিকায় অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ অন্যতম। অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদের আনারস প্রতীকে ভোট দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ভোটাররা।

অপর প্রার্থী আলতাফ হোসেন মোটরসাইকেল প্রতীকে প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। তবে তার বিরুদ্ধে চরের জমি নিয়ে নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, আইন অমান্য করে মাছ শিকারসহ জেলেদেরকে দিয়ে নদী দখল ও বাস্তুচ্যুতদের মহিষ দিয়ে চর দখলে রেখেছেন।

প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভোটারদের মন জয় করতে নানা কুরুচীপূর্ণ বক্তব্য দিতেও সংকোচ বোধ করছেন না অনেকে।

এদিকে নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি  মেনে চলার  আহ্বান জানিয়েছে।


বিজয়   অধ্যক্ষ   মামুনুর রশীদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যে কারণে ডিবি কার্যালয়ে যান মামুনুল হক

প্রকাশ: ০৯:১৬ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেফাজত ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হক প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবস্থান করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে। পরে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে তিনি ডিবির কার্যালয় ত্যাগ করেন।

সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নেওয়ার জন্য তিনি ডিবি কার্যালয়ে এসেছিলেন।

মামুনুল হক বলেন, আমাকে যখন গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তখন মামলার আলামত হিসেবে আমার মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়েছিল। সেই মোবাইল ফোনটি নিতে আমি আজ ডিবি কার্যালয়ে এসেছি।

ডিবি কার্যালয়ে মামলা সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাকে ডিবি ডাকেনি এবং মামলা সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি।

মোবাইল ফোনটি তিনি ফেরত পেয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই হেফাজতের এই নেতা গাড়িতে উঠে যান।


মোবাইল   ডিবি   মামুনুল হক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন