ইনসাইড বাংলাদেশ

নির্বাচনী সমঝোতা: বাতিল ইভিএম প্রকল্প

প্রকাশ: ০৮:১৭ পিএম, ২৩ জানুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সরকারের আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) প্রকল্পটি আপাতত প্রক্রিয়াকরণ না করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। আজ দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, পরিকল্পনা কমিশন আমাদের জানিয়েছে এই মুহূর্তে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে না, তবে বাতিল নয়। 


এদিকে, আজ নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, ১৫০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) নতুন প্রকল্পের প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনের পাঠিয়েছি। কোনো আপডেট আমরা জানি না। অর্থাৎ একটি বিষয় পরিষ্কার যে, আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার হচ্ছে না। উল্লেখ্য যে, গত বছর সেপ্টেম্বরে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সে অনুসারে গত বছর ১৯ অক্টোবর প্রায় দুই লাখ ইভিএম কেনা ও রক্ষণাবেক্ষণসহ আনুষঙ্গিক ব্যয়ের প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠায় ইসি। এখন হঠাৎ সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছুপা হওয়ার বিষয়টিকে সন্দেহের চোখে দেখছেন কোনো কোনো রাজনৈতিক বিশ্লেষক।

তারা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক বিরোধী দল এবং জোটের সঙ্গে সরকারের সমঝোতার বিষয়টি বেশ জোরেশোরে আলোচিত হচ্ছে। এখন সেই সমঝোতার অংশ হিসেবেই সরকার ইভিএম প্রকল্পকে অনুমোদন দিচ্ছে কিনা সেটি বিষয়টি সামনে আসছে। কারণ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের ইভিএম নিয়ে অভিযোগ রয়েছে। তারা ইতোমধ্যে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করার ব্যাপারে নারাজ মতামত দিয়েছে। এখন সমঝোতা সময় সে বিষয়টি আবার সামনে আসছে। এ কারণে সরকার ইচ্ছাকৃত ভাবে প্রকল্পটি ঝুলিয়ে রাখছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে সরকারের সূত্রগুলো বলছে, কোন সমঝোতার অংশ হিসেবে নয়, বৈশ্বিক মন্দার প্রেক্ষাপটে সরকার আপাতত ইভিএম প্রকল্পটি প্রক্রিয়াকরণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সমঝোতার অংশ হিসেবে নাকি বৈশ্বিক মন্দার প্রেক্ষাপটে ইভিএম প্রকল্পটি এগোচ্ছে না সেটি পরিষ্কার হওয়ার জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।

নির্বাচনী সমঝোতা   ইভিএম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রোহিঙ্গা সংকটের কারণে উচ্চ মাত্রার খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকিতে কক্সবাজার


Thumbnail

রোহিঙ্গাদের কারণে চরম খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে কক্সবাজারে। ফলে মানবিক বিপর্যয়ের আশংকা করছেন বিশ্লেষকেরা।

 

কক্সবাজার জেলা ২০১৭ সাল থেকে একটি বড় খাদ্য সংকট হিসেবে জিআরএফসি প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। গত বছর জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর পাশাপাশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং কক্সবাজারের স্থানীয় মানুষের মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ খাদ্য সহায়তা বাড়ানো হয়েছে।  

 

বৈশ্বিক খাদ্যসংকট নিয়ে ফুড সিকিউরিটি ইনফরমেশন নেটওয়ার্কের (এফএসআইএন) প্রকাশিত প্রতিবেদন ২০২৪-এ বলা হয়েছে, গত বছর বাংলাদেশে নিষ্ফলা মৌসুমে প্রায় ১ কোটি ১৯ লাখ মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার উচ্চ মাত্রার ঝুঁকির সম্মুখীন হয়ে থাকতে পারে, যার ৬৫ শতাংশই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। 

 

সংস্থাটির মতে, এসব মানুষের তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় বিশেষভাবে প্রভাব রেখেছে প্রতিকূল আবহাওয়া, বৈশ্বিক যুদ্ধ সংঘাত ও উচ্চ মাত্রায় দেশের অভ্যন্তরীণ খাদ্য মূল্যস্ফীতি।

 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিশ্ব জুড়েই গত বছর খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। ওই বছর ২৮ কোটি ২০ লাখের মতো মানুষ সংঘাত, বিশেষ করে গাজা ও সুদানে লড়াই চলার কারণে তীব্র খাদ্য সংকটের সম্মুখীন হয়।

 

বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে রেকর্ড খাদ্য শস্য উৎপাদন ও ২০২৩ সালে খাদ্যের সহজলভ্যতার উন্নতি হলেও বাংলাদেশে অর্থনৈতিক ধাক্কায় খাদ্য পণ্যের দাম বাড়তিই রয়েছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি পৌঁছায় ৭ দশমিক ৮ শতাংশে। অক্টোবরের শেষ নাগাদ তা এসে দাড়ায় ১২ দশমিক ৬ শতাংশে।

 

রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে জ্বালানি, গমের মতো অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য শস্য, সার ও গবাদিপশুর খাবার আমদানিতে বাংলাদেশের নির্ভরশীলতা মূল্যস্ফীতিতে ভূমিকা রেখেছে। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এসব পণ্যের আমদানি ব্যাহত হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয় টাকার ব্যাপক অবমূল্যায়ন ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া। ফলে একদিকে খাদ্য শস্যের আমদানি কমার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ খাদ্য শস্যের উৎপাদন খরচ বাড়ে।  

 

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, অব্যাহত উচ্চ খাদ্য মূল্যস্ফীতি ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর খাদ্য সুবিধা মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত করেছে। এসব মানুষের আয় ক্রমেই কমেছে ও তাদের খাদ্য পণ্য কেনার খরচ বেড়েছে।  

 

২০২২ সালে ৭০ লাখের বেশি মানুষ অস্বাভাবিক মৌসুমি বন্যার শিকার হন এবং প্রধানত উত্তর-পূর্বাঞ্চলে গৃহহীন হন ২০ লাখের বেশি মানুষ। এতে তাদের সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। এ কারণে ২০২৩ সালের অর্থনৈতিক ধাক্কা মোকাবিলা করার সক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে তাদের। আগস্টে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভারী মৌসুমি বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধস সৃষ্টি হয়। এর শিকার হন ১৩ লাখ মানুষ।  

 

ক্ষতিগ্রস্ত এসব মানুষের মধ্যে ছয় লাখ মানুষের খাবার, সুপেয় পানি, ঔষুধ ও বিদ্যুতের মতো মৌলিক সেবার বিশেষ প্রয়োজন দেখা দেয়। একই সময় রাজশাহীতে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ দেখা দেয় এবং দেশে ঘূর্ণিঝড় ও ভূমিধসের মতো ঘটনা ঘটে। মৌসুমভিত্তিক কর্মসংস্থানের প্রভাব এবং খাদ্যসুবিধা ও প্রাপ্যতার ওপর পুনঃপুনন বিপর্যয় মানুষের মধ্যে বড় ধরনের পুষ্টির ফারাক তৈরি করেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। 

 

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য দুটি রেশন কাট ছাঁট খাদ্য গ্রহণের উপর ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলেছিল। রেশন কাট ছাঁটের কারণে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মাত্র ৩০ শতাংশ রোহিঙ্গা শরণার্থী পরিবারের গ্রহণযোগ্য খাদ্য গ্রহণের স্কোর ছিল, যা ২০২২ সালে ছিল ৫৬ শতাংশ।  


রোহিঙ্গা সংকট   খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকি   এফএসআইএন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বরিশালে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

প্রকাশ: ১০:৪৯ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার বিশারকান্দি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ শামিমের ৫ বছরের শিশু পুত্র ফেরদৌস (৫) বাড়ির পাশে খালের পানিতে ডুবে মারা গেছে । 

 

জানা গেছে, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে ফেরদৌস বাড়ির উঠানে খেলাধুলার একপর্যায়ে পাশের খালে পরে যায়। বাড়ির লোকজন কিছুক্ষণ পরে খাল থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এদিকে পানিতে ডুবে শিশু ফেরদৌসের মৃত্যুতে ওই এলাকায় এবং পরিবারে বইছে শোকের মাতম।


পানিতে ডুবে মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তীব্র গরমে বেঁকে গেল রেল লাইনের পাত

প্রকাশ: ১০:৪১ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail তীব্র গরমে রেল রাইনের পাত বেঁকে যাওয়ায় ট্রেনের গতি কমানোর নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে

শুক্রবার পাবনার ঈশ্বরদীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪২ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর ফলে পাবনার ঈশ্বরদী বাইপাস রেলওয়ে স্টেশনের কাছে একটি রেল লাইনের পাত বেঁকে যায়। ঘটনায় অল্পের জন্য বড় অঘটন থেকে রক্ষা পায় খুলনা থেকে রাজশাহীগামী আন্তঃনগর ট্রেন কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস। আর দুটি আন্তঃনগর ট্রেন ১ ঘণ্টার বেশি দেরিতে গন্তব্যে ছেড়ে যায়।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনের কাছে ঘটনা ঘটে। পরে রেলওয়ে অফিসের লোকজন দুই ঘণ্টা রেললাইনের ওপর পানি ঢেলে বেঁকে যাওয়া রেলপথ স্বাভাবিক করেন।

রেলওয়ের ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনে কর্মরত শ্রমিক শুভ হোসেন জানান, কপোতাক্ষ ট্রেনটি ঈশ্বরদী স্টেশন ছাড়ার পর ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনের কাছে যে লাইনে ট্রেনটি যাচ্ছিল সেই রেল লাইন দূর থেকে দেখে বাঁকা মনে হচ্ছিল। তাৎক্ষণিকভাবে স্টেশন মাস্টার তাওলাদ হোসেন বিষয়টি দেখে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে কর্মকর্তাদের অবহিত করেন।

খবর পেয়ে বিভাগীয় রেলওয়ের পরিবহণ কর্মকর্তা, সহকারী প্রকৌশলীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রেনকে পেছনে এনে অন্য রেললাইন দিয়ে কপোতাক্ষ ট্রেন থ্রো পাস করার ব্যবস্থা নেন।  

ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনের স্টেশন মাস্টার তাওলাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রচণ্ড রোদে দুর থেকে দেখে মনে হচ্ছিল অতি তীব্র তাপপ্রবাহে রেললাইন বেঁকে গেছে। সময় ওই লাইনে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা আন্ত:নগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজশাহী যাচ্ছিল।

তিনি আরো বলেন, পরে রেলওয়ে অফিসের লোকজন রেললাইনের ওপর পানি ঢেলে তাপমাত্রা কমিয়ে আনার পর রেলপথ স্বাভাবিক হয়।

পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন জানান, খবর শুনে তাৎক্ষণিকভাবে বিভাগীয় ঊর্ধ্বতন সহকারী প্রকৌশলী বাকিয়া তুল্লাহ্ সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে অন্য লাইন দিয়ে রাজশাহীতে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন।

তিনি বলেন, রেললাইন বেঁকে যাওয়ার কারণে খুলনা থেকে চিলাহাটিগামী আন্তঃনগর রূপসা এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি ঘণ্টারও বেশি সময় পর গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।


তীব্র গরম   ট্রেন   রেল লাইন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

প্রকাশ: ১০:১২ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৮টায় ঐতিহাসিক শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ফজলুল হকের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় নেতারা। সেখানে তারা এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজীসহ অনেকে।


শেরে বাংলা   মৃত্যুবার্ষিকী   প্রধানমন্ত্রী   শ্রদ্ধা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মায়ের কোলে ফিরুক ছোট্ট মুয়াজ

প্রকাশ: ০৯:৩৯ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আড়াই বছর বয়সের ছোট্ট মুয়াজ। ছোট্ট শিশুর বাবা-মা পরিবার ও স্বজনদের সাথে খেলাধুলা এবং হই হুল্লোড় করার কথা। তবে ভাগ্যর কি নির্মম পরিহাস, এই ছোট্ট প্রাণটাকে এখন দিন যাপন করতে হচ্ছে হাসপাতালের চার দেয়ালের মধ্যে। তবে বিধাতার পরিকল্পনা মুয়াজের বেলায় একটু ভিন্ন। তাইতো মুয়াজ এখন একটু শান্তির ঘুমের জন্য তীব্র ব্যথানাশক ওষুধ মরফিন নিচ্ছে। তবু ব্যথাতো তার কমে না।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়টির খেলাধুলাভিত্তিক সংগঠন স্পোর্টস সাস্টের সাবেক সংগঠক জুলকারনাইন রাদের ছেলে মুয়াজ। সে দুরারোগ্য ব্যধিতে (Sacrococcygeal Teratoma Type II and suspected ERMS(Rhabdomyosarcoma) আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে তীব্র যন্ত্রণায় ছটফট করছে। প্রতি চার ঘণ্টা পর পর তীব্র ব্যথানাশক ওষুধ মরফিন দেয়া হচ্ছে শিশুটিকে।

স্বজনরা জানান, মুয়াজের পায়ুপথের পাশে সম্প্রতি একটি টিউমার শনাক্ত হয়। বর্তমানে এটি বেশ বড় এবং শক্ত থাকায় বায়োপসি করাও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। এ অবস্থায় গত এক মাস ধরে শিশুটি ঢাকার আল মানার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাকে দুটি কেমোথেরাপি দেয়া হয়েছে। তবে এর সুফল মেলেনি। টিউমারটি বর্তমানে বড় হয়ে পায়ুপথ বন্ধ করে ফেলেছে। এ অবস্থায় রমজানের ঈদের পরদিন কলোস্টোমি সার্জারি করা হয় মুয়াজের।

এরইমধ্যে ২০ এপ্রিল কেমোথেরাপির নতুন প্রটোকলে শুরু হয়েছে। চিকিৎসকদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২১ দিন অন্তর অন্তর মোট আট সাইকেলে (এক একটি সাইকেল পাঁচ দিনব্যাপী) সর্বমোট ৪০ দিনের কেমোথেরাপি দেয়া হবে। পাশাপাশি টিউমার সার্জারি করে ফেলে দিতেও বলেছেন চিকিৎসকরা। ইতোমধ্যে পরিবারের পক্ষ থেকে ৮ লাখেরও বেশি টাকা চিকিৎসা বাবদ খরচ করা হয়েছে।

তবে দেশের চিকিৎসকরা শিগগিরই মুয়াজকে দেশের বাইরে নিয়ে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দিয়েছেন। মুয়াজকে ভারতের মুম্বাইয়ে অবস্থিত টাটা মেমোরিয়াল ক্যানসার হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর পরিকল্পনা চলছে। তবে এর জন্য প্রাথমিকভাবে ৫০ লাখেরও বেশি টাকার প্রয়োজন।

সবার সহযোগিতা পেলে ছোট্ট মুয়াজ আবারও হয়তো ঘরময় হেঁটে বেড়াতে পারবে, আধোবোলে সবাইকে করে তুলতে পারবে বেতিব্যস্ত। মুয়াজকে সহায়তা পাঠাতে পারেন তার বাবার ব্যাংক হিসাবে।
 
Dutch Bangla Bank Limited
Account Name: K. M. ZULKERNINE
Account No. 2551580020269
Routing No. 090270424
Swift Code: DBBL BDDH
Branch: Panthapath
 
Islami Bank Bangladesh Limited
Account Name: K M ZULKERNINE
A/C Number: 2050 337 02 00895307
Routing Number: 125272447
Branch: Gandaria
 
অথবা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিকাশ: 01551618574,  01533054254, 01799268610, 01683997324 রকেট:  019171950641 অথবা নগদে: 01917195064 পাঠাতে পারেন ছোট্ট মুয়াজের জন্য স্নেহ ও ভালোবাসার ছোঁয়া।


মায়ের   কোলে   ফিরুক   মুয়াজ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন