ইনসাইড বাংলাদেশ

বসন্ত-ভালোবাসায় জমেছে বইমেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:০৩ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮


Thumbnail

অমর একুশে গ্রণ্থমেলা সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের মিলন মেলা। আর এই মিলনমেলা আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে বসন্তের প্রথম দিনে। মেলা প্রাঙ্গনে আবেগ, উদ্দীপনা আর উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভাঙা জোয়ারের দেখা মেলে সেদিন। পরদিনই ভালোবাসা দিবস। আগের বছরগুলোর অভিজ্ঞতার আলোকে এদিনও বিপুল সংখ্যক দর্শণার্থী আশা করছেন বইমেলার বিক্রেতারা।

মঙ্গলবার পড়ন্ত বিকেলে বইমেলায় প্রবেশ করতেই চোখ জুড়িয়ে যায় বাসন্তি রংয়ের বাহারে। পুরো মেলাজুড়ে বসন্তের আবহ। এমনকি বিভিন্ন স্টলের বিক্রয়কর্মীরাও পরেছে হলুদ রংয়ের টি-শার্ট। শুধুই কি বইমেলা? সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, বাংলা একাডেমি, টিএসসি, শাহবাগ, চারুকলা, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ আশেপাশের এলাকা পরিণত হয় বিশাল জনসমুদ্রের বসন্ত মিছিলে। মিছিলের এক প্রান্ত গিয়ে মেশে বইমেলায়।

গতদিন বই মেলায় ঘুরতে ঘুরতেই সবাই কিনেছেন বই। অনেকে আবার প্রিয়জনকে বই উপহার দিয়েছেন। সেই সঙ্গে ছিল সেলফি তোলার হিড়িক। সেই সেলফি আবার সঙ্গে সঙ্গে ছড়িয়ে যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অনেককে উদ্বুদ্ধ করে বই মেলায় আসতে।

মেলায় জনস্রোত দেখে খুশি প্রকাশক ও বিক্রয় কর্মীরা। বেচাকেনাও জমে উঠেছে ভালোই। বসন্ত উৎসবের এই পরিপূর্ণ আনন্দকে উপভোগ করেছে মেলায় উপস্থিত পাঠক, দর্শক, বিক্রয় কর্মীসহ সকলেই। আজ ভালোবাসা দিবসেও একই রকম উপভোগ্য হবে বলে আশাবাদী সবাই।

ভালবাসা দিবসে প্রিয় মানুষটির হাতে হাত রেখে বইমেলায় যুগলদের পদচারণায় মুখরিত থাকবে মেলা প্রাঙ্গণ। ভালবাসা দিবসে লাল শাড়ি ও লাল পাঞ্জাবি পরা তরুণ-তরুণীরা আলোকিত করে রাখবে সমগ্র বইমেলা। বিশেষ এ দিনে বই মেলায় যুগলদের ভিড় থাকবে প্রিয়জনের হাতে বই তুলে দিতে।

একাধিক স্টলের বিক্রয়কর্মী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিবছর বইমেলা মধ্য ফেব্রুয়ারি থেকে বসন্ত আর ভালবাসা দিবসকে ঘিরে জমজমাট হয়ে ওঠে। এবারও তেমনটাই দেখা যাচ্ছে। দুই উৎসবের জোয়ার কাটতে না কাটতে আসবে একুশে ফেব্রুয়ারি। আর পরবর্তী দিনগুলোতে তো বিদায়ের সুর। তাই বই মেলার বাকি সময়টা জমজমাট থাকবে বলেই আশাবাদী তারা।


বাংলা ইনসাইডার/আরকে/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রতিদ্বন্দ্বীর এজেন্টদের হুমকি, আওয়ামী লীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১০:১১ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এজেন্ট কেন্দ্রে ঢুকলে হাত-দাঁত ও চাপার হাড্ডি ভেঙে যমুনা নদীতে ফেলে দেওয়ার হুমকি দাতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এবং সুজাত আলী কলেজের অধ্যক্ষ সাইদুল হাসান সাইদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার মোতাহার হোসেন জয়।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার জানান, চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে দুজন কর্মী যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটি উস্কানিমূলক ও হুমকিস্বরূপ। যা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।

একই সঙ্গে হুমকিদাতা দুজনের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন সরিষাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন। শনিবার দুপুরে পুলিশ সাইদুল হাসান সাইদ ও খন্দকার মোতাহার হোসেন জয়কে গ্রেফতার করে।


এজেন্ট   হুমকি   আওয়ামী লীগ   গ্রেপ্তার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশসহ ৬ দেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিল ভারত

প্রকাশ: ১০:০৫ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশসহ মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার ছয়টি দেশে ৯৯ হাজার ১৫০ টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে ভারতের সরকার। যেসব দেশে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে, সেসব দেশ হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভুটান, বাহরাইন, মরিশাস এবং শ্রীলঙ্কা। তবে কোন দেশে কী পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানি করা হবে, সেই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দেশটির ভোক্তা, খাদ্য ও জন বিতরণ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

ভারতের ইংরেজি দৈনিক দ্য ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগের বছর তুলনায় চলতি ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে দেশটিতে খরিপ ও রবিশস্যের উৎপাদন কম হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরপর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দেশটির সরকার বন্ধুত্বপূর্ণ কিছু দেশে নির্দিষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। দেশগুলোর অনুরোধের ভিত্তিতে ভারতের সরকার নির্দিষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানির এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।  

দেশটির এই সংবাদমাধ্যম বলছে, রপ্তানির জন্য দেশীয় উৎপাদকদের কাছ থেকে পেঁয়াজ সংগ্রহ করা হবে। ভারতের বৃহত্তম পেঁয়াজ উৎপাদন ও রপ্তানির প্রধান সরবরাহকারী মহারাষ্ট্র প্রদেশ। বিগত বছরের তুলনায় এ বছর ভারতেও পেঁয়াজের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।

এর আগে, গত ১ মার্চ বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেয় ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেডের (এনসিইএল) মাধ্যমে এই পেঁয়াজ বাংলাদেশে রপ্তানি করার কথা জানানো হয়।

ওই সময় ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মহাপরিচালকের দপ্তরের (ডিজিএফটি) (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভোক্তা বিষয়কবিভাগের সাথে পরামর্শ করে পেঁয়াজ রপ্তানির রূপরেখা তৈরি করবে এনসিইএল।

বিশ্ব বাজারের দ্বিতীয় বৃহত্তম পেঁয়াজ রপ্তানিকারক ভারত। গত বছরের ডিসেম্বরে স্থানীয় বাজার স্থিতিশীল রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশটির সরকার। জাতীয় নির্বাচনের আগে ভারতের বাজারে ক্রমবর্ধমান মূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ ও পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে দ্বিতীয় দফায় ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ায় দেশটি।

রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে দেশটির সরকার প্রথমে পেঁয়াজের ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। ওই সময় দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘‘দেশের বাজারে সরবরাহ বৃৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে।’’

তারপরও আশানুরূপ ফল না মেলায় পেঁয়াজের রপ্তানি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে ভারত। সেসময় বলা হয়, পেঁয়াজ রপ্তানির এই নিষেধাজ্ঞা ৩১ মার্চ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। দেশটির সরকার গত বছরের অক্টোবরে ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে খুচরা বাজারে ভর্তুকি দিয়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২৫ রূপিতে বিক্রির লক্ষ্যে মজুত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ভারতের সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। গত বছরের ২৮ অক্টোবর দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি টন পে*য়াজের সর্বনিম্ন মূল্য ৮০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে দেয়। সেই সময় নতুন এই মূল্যসীমা ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়।

গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে ৪ আগস্টের মাঝে দেশটি থেকে ৭৫ লাখ ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানি করা হয়। বিশ্বে ভারতের পেঁয়াজের শীর্ষ তিন রপ্তানি গন্তব্য বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।


বাংলাদেশ   পেঁয়াজ রপ্তানি   ভারত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কিশোর গ্যাং নেতাকে হত্যা করল আরেক গ্যাংয়ের সদস্যরা

প্রকাশ: ০৯:২২ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চট্টগ্রামের পটিয়ায় রাজু হোসেন নামে এক কিশোর গ্যাং নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে আরেক কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় উপজেলার সুচক্রদন্ডী পল্লী মঙ্গল সমিতির কার্যালয়ের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত কিশোর গ্যাং নেতা রাজু হোসেন রাসেল পটিয়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পটিয়া থানার ওসি জসীম উদ্দীন

স্থানীয়রা জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাং নেতা জুয়েল চৌধুরী জুলু ও তার সঙ্গীরা ডেকে নিয়ে অপর কিশোর গ্যাং নেতা রাজুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে।

ওসি জসীম উদ্দীন বলেন, হত্যাকারী জুয়েল চৌধুরী জুলুর বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মাদকের মামলা রয়েছে। আর নিহত রাজু এর আগে র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে গুলিবিদ্ধ হয়। সেই থেকে তাকে গুলি রাজু বলেই সবাই চিনে।

পৌরসভার কাউন্সিলর প্রকৌশলী রূপক সেন বলেন, এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাতের বিষয়ে আমি স্থানীয় প্রশাসনকে একাধিকবার ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। কিন্তু দুয়েকটি অভিযান হলেও তাদের দাপট কমেনি। ফলে এলাকার মানুষ নিরাপত্তাহীন ছিল।


কিশোর গ্যাং  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মৌলভীবাজারে কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টির তাণ্ডবে বিধ্বস্ত বাড়িঘর

প্রকাশ: ০৮:২০ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া গাছপালা উপড়ে গেছে, বিভিন্ন স্থানে ভেঙেছে বিদ্যুতের খুঁটি।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাত ৩টার দিকে এই ঝড় বয়ে যায়। এতে উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়ে।

উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সরেজমিনে দেখা গেছে, কালবৈশাখী ঝড়ে অনেকের বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। গাছ-বাঁশ ঘরের ওপরে পড়েছে। বিশেষ করে উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নে অর্ধশতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। এ ছাড়া উপজেলার অপর ইউনিয়নেও বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।

পতনঊষার ইউনিয়নের ময়নুল মিয়া, কুশবা বেগম, লিপি বেগম, রহমান মিয়া, সুফিয়ান মিয়া, কালাম মিয়া, আনু মিয়া, ফখরুল মিয়াসহ উপজেলার অর্ধশতাধিক ব্যক্তির ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্তরা বলেন, রাত ৩টার দিকে কালবৈশাখীর সঙ্গে প্রচণ্ড শিলাবৃষ্টি হয়। মুহূর্তের মধ্যে বিভিন্ন ঘর একেবারে উড়িয়ে নিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তরা খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন।

পতনঊষার ইউপি চেয়ারম্যান অলি আহমদ খান বলেন, ‘রাতে কালবৈশাখীতে আমার ইউনিয়নে অর্ধশতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। অনেক পরিবার খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে।’

শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ের বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানদের বলা হয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে দেওয়ার জন্য। দ্রুত সময়ে তাদের সহযোগিতা করা হবে।’

মৌলভীবাজার পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক গোলাম ফারুক মীর বলেন, ‘ঝড়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কয়েকটি খুঁটি ভেঙে গেছে এবং তার ছিঁড়ে গেছে। বিদ্যুতের সরবরাহ আংশিক চালু রাখা হয়েছে। পুরোপুরি স্বাভাবিক করার জন্য কাজ চলছে।’


কালবৈশাখী   শিলাবৃষ্টি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চট্টগ্রামে পাল্টাপাল্টি অবস্থানে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট

প্রকাশ: ০৭:৪৫ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চট্টগ্রামে এবার পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থী ও পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুড়িয়ে দেওয়া যানবাহনের ক্ষতিপূরণ দাবিসহ নানা দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।

অন্যদিকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীরাও তাদের অবস্থানে অনড়। চুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উতপ্ত হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম। টানা পাঁচ দিন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই মহাসড়কে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) পরিবহন সংগঠনের কার্যালয়ে জরুরি সভা শেষে ৪৮ ঘণ্টা ধর্মঘটের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পূর্বাঞ্চলীয় সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মৃণাল চৌধুরী।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গত রোববার (২৮ এপ্রিল) ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ভোর ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর, কক্সবাজার এবং তিন পার্বত্য জেলায় বাস, মিনিবাস, হিউম্যান হলার, অটোরিকশা ও অটোটেম্পু চলাচল বন্ধ থাকবে। দূরপাল্লার কোনো বাস এসব জেলা ও মহানগর থেকে ছাড়বে না এবং ঢুকতেও পারবে না।

এ ছাড়া গণপরিবহন মালিক-শ্রমিকদের দাবিগুলো হলো- চুয়েটে দুই শিক্ষার্থী নিহতের জেরে ৪-৫টি গাড়ি ভাঙচুর ও ৩টি বাস জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় মামলা গ্রহণ, ক্ষতিপূরণ দেওয়া, ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার এবং চুয়েটের তিন শিক্ষার্থীকে বহনকারী মোটরসাইকেলটির নিবন্ধন, চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স, তিনজন একসঙ্গে মোটরসাইকেলে ওঠার নিয়ম ও তারা মাদকাসক্ত ছিল কি না এসব বিষয় তদন্ত কমিটি গঠন করা।

পূর্বাঞ্চলীয় সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মৃণাল চৌধুরী বলেন, আমাদের দাবি হচ্ছে, বাসের যেভাবে তদন্ত হচ্ছে, একইভাবে মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রেও তদন্ত করতে হবে। এ ছাড়া দুই শিক্ষার্থীর পরিবারকে পাঁচ লাখ করে ১০ লাখ টাকা এবং আহত শিক্ষার্থীকে তিন লাখ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বাস মালিক সমিতি।

তিনি বলেন, এরপরও চুয়েটের শিক্ষার্থীরা চারদিন ধরে সড়ক অবরোধ করে গাড়ি চলাচল করতে দেয়নি। ৪/৫টি গাড়ি ভাঙচুর করেছে তারা। এ ছাড়া ৩টি গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের এসব কর্মকাণ্ড তো আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ মামলা করতে গেলেও থানা সেটা গ্রহণ করেনি। এ অবস্থায় ঐক্য পরিষদ বাধ্য হয়ে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট আহ্বান করেছে।

এ পরিস্থতিতে রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে ৯ মে পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে চুয়েট কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাতে জরুরি সিন্ডিকেট সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চুয়েট কর্তৃপক্ষের ঘোষণার পরও নিরাপদ সড়কের দাবিতে নিজেদের অনড় অবস্থানের কথা জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) নিরাপদ সড়কের দাবিতে ফের ক্যাম্পাস জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীদের পক্ষে সাধারণ শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম তামিম কালবেলাকে বলেন, আমাদের আন্দোলনটি মূলত নিরাপদ সড়কে আন্দোলন। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা আলোচনায় করেছিলাম। কোনো সুরাহা হয়নি। পরে ৯ মে পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এ অবস্থায় আমাদের দাবি আদায়ের ব্যাপার থেকে আমরা সরে আসিনি।

তিনি বলেন, শাহ আমানত বাসসহ আরও একটি কোম্পানির বাস চট্টগ্রাম-কাপ্তাই মহাসড়কে বেশ বেপোরোয়া গতিতে চলে। এর আগে এ দুই পরিবহন বাসের কারণে আমাদের অনেক সহপাঠী আহত হয়েছেন। এখন দুজনকে হারিয়েছি আমরা, আরও একজন হাসপাতালে ভর্তি। সড়ক অবরোধের মতো কঠিন কর্মসূচি দিলে মানুষের ভোগান্তি হতে পারে। তাই অবরোধ কর্মসূচি থেকে সরে আসা হয়েছে। আমাদের দাবিগুলো মানা না হলে নির্দিষ্ট সময়ের পর আমরা আবারও কর্মসূচি ঘোষণা করব।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- পলাতক চালক ও সহযোগীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা, ক্যাম্পাসে আধুনিক চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন, আধুনিক অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা দেওয়া, রাস্তার মাথা এলাকা থেকে কাপ্তাই পর্যন্ত চার লেন মহাসড়ক করা, প্রতিটি বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার কাগজপত্র ও চালকদের লাইসেন্স নিয়মিত যাচাই করা, ছাত্রকল্যাণ পরিষদকে জবাবদিহির আওতায় আনা এবং ছাত্র প্রতিনিধিদল গঠন করা, নিহত ও আহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া।

এর আগে সোমবার (২২ এপ্রিল) চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী চুয়েট শিক্ষার্থী শান্ত সাহা এবং তাওফিক হোসাইন নিহত হন। সহপাঠী মৃত্যুর ঘটনায় টানা চারদিন আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় অবরুদ্ধ ছিল চট্টগ্রাম-কাপ্তাই আঞ্চলিক মহাসড়ক।


পরিবহন ধর্মঘট   চুয়েট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন