নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
বেগম জিয়ার কারাজীবনের এক সপ্তাহ পূর্ণ হলো। চটজলদি তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন কিনা এনিয়ে সংশয় রয়েছে খোদ বিএনপির নেতৃবৃন্দের। কিন্তু তারপরও বিএনপি নেতৃবৃন্দ মনে করছেন, সময় লাগলেও বেগম খালেদা জিয়া আইনি লড়াইয়ে মুক্তি পাবেন এবং তার ‘মুক্তি’ই হবে রাজনীতির টার্নিং পয়েন্ট। টুক টাক কিছু গা গরমের কর্মসূচি রাখলেও বিএনপি নেতারা এখনই চূড়ান্ত আন্দোলনে অনাগ্রহী। অনেক বিএনপি নেতার সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে, বেগম জিয়ার কারাবরণে তাঁরা প্রকারন্তরে খুশি।
বিএনপির খুশি হবার কারণ একাধিক। বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন প্রভাবশালী সদস্য মনে করেন, ‘বেগম জিয়া গ্রেপ্তার হওয়ায় তাঁর জনপ্রিয়তা বহুগুণ বেড়েছে। মানুষের সহানুভূতি তাঁর প্রতি বেড়েছ।’ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ দাবি করেছেন, ‘যতই বিএনপির চেয়ারপারসনের উপর নির্যাতন করা হচ্ছে; ততই তিনি জনপ্রিয়তার সর্বোচ্চ চূড়া স্পর্শ করছেন।’ বিএনপি মনে করছে, বেগম জিয়ার এই ‘জনপ্রিয়তা’ আগামী নির্বাচনে বিএনপির জন্য আর্শীবাদ হবে।
বিএনপির খুশির দ্বিতীয় কারণ হলো সাংগঠনিক। ২০১৪ থেকে বিএনপির কর্মসূচি ছিল প্রেসক্লাব আর টকশোতে বন্দী। মাঝে মধ্যে জিয়ার কবর জিয়ারত ছিল তাদের একমাত্র আউটডোর কর্মসূচি। বেগম জিয়া গ্রেপ্তারের পর ছোট পরিসরে হলেও বিএনপি রাস্তায় কর্মসূচি করতে পারছে। বিএনপির নেতারা মনে করছেন, এর ফলে নেতা-কর্মীরা সংগঠিত হচ্ছে। বিএনপির নেতা নজরুল ইসলাম খান মনে করেন, ‘রাজনৈতিক কর্মসূচি একটি সংগঠনের প্রাণ। কর্মসূচির মধ্যে দিয়েই একটি দল শক্তিশালী হয়।’ ওই নেতা মনে করেন, ‘বেগম জিয়ার মুক্তির আন্দোলন বিএনপিকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করছে।’ বিএনপির একাধিক নেতাই মনে করছেন। বিএনপির কর্মীরা এখন উজ্জীবিত। এটা আন্দোলন বা নির্বাচন উভয় ক্ষেত্রেই ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
বিএনপির খুশির তৃতীয় কারণ হলো সংগঠন হিসেবে তাদের ইতিবাচক ভাবমূর্তি। অনেকেই ভেবেছিল বেগম জিয়া গ্রেপ্তারের সঙ্গে সঙ্গেই বিএনপি সন্ত্রাস, ভাঙচুর, জ্বালাও-পোঁড়াও শুরু করবে। জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হবে। কিন্তু বাস্তবে বিএনপি যথেষ্ট সংযমের পরিচয় দিয়েছে। সহিংস রাজনীতির বদলে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পথ বেছে নেয় দলটি। বিএনপি নেতারা মনে করছেন এর ফলে ‘বিএনপির ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। বিশেষ করে ২০১৪ এবং ২০১৫ তে সহিংস রাজনীতির যে কালিমা দলটির গায়ে লেগে ছিল, তা এবার ধুয়ে মুছে গেল। বিএনপির একজন নেতা বলেছেন, ‘আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি যে আমরা সন্ত্রাস ও সহিংসতায় বিশ্বাস করি না।’
বিএনপির খুশির চতুর্থ কারণ হলো আওয়ামী লীগ। বেগম জিয়ার কারাদণ্ডের পর উল্লসিত আওয়ামী লীগ ‘নির্ভার’। আবার ২০১৪ সালের মতো নির্বাচন হবে মনে করে অনেক আওয়ামী লীগ নেতাই নির্বাচনী মাঠ ছেড়ে এসেছে। দলীয় কোন্দলও বেড়েছে। এর ফলে নির্বাচনী এলাকাগুলোতে আওয়ামী লীগ দ্রুত জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে বলেও বিএনপি মনে করে। আওয়ামী লীগের এই উদাসীনতা বিএনপির জন্য ইতিবাচক বলে মনে করছেন দলটির নেতারা।
তাই, বেগম জিয়ার জন্য রাস্তায় আর্তনাদ করলে ভেতরের চাপা উল্লাস মাঝে মধ্যেই বেরিয়ে আসছে বিএনপি নেতাদের।
Read In English: http://bit.ly/2Eolz6w
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
একটা সময় ছিল সমাজে শৃঙ্খলা রক্ষায়
পরিবার ও স্থানীয় বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিদের ভূমিকা থাকতো। সেই সময় এসব সচেতন মানুষ কিশোরদের
উচ্ছৃঙ্খল আচরণে প্রশ্রয় দিতেন না। বিংশ শতাব্দীর চল্লিশের দশক থেকেই তৎকালীন পূর্ববঙ্গে
কিশোর অপরাধ সংঘটিত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেলেও নব্বইয়ের দশক থেকে শিল্পায়ন ও নগরায়নের
গতি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে দেশে কিশোর অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে। দিন দিন ভয়াবহ মাত্রায় বৃদ্ধি
পাচ্ছে কিশোর গ্যাং তৈরির প্রবণতা। বিভিন্ন নামে এলাকাভিত্তিক নতুন নতুন সন্ত্রাসী
গ্রুপ গড়ে তুলছে কিশোর গ্যাং।
ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে
কিশোর-কিশোরীদের সংখ্যা ৩ কোটি ৬০ লাখ, যা দেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ। আর বাংলাদেশ
পুলিশের সাম্প্রতিক তথ্যা অনুযায়ী ঢাকা শহরে যারা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে তাদের ৪০
শতাংশই কিশোর।
জাতীয় দৈনিকের তথ্য মতে, বর্তমানে দেশের
৬৪ জেলা, উপজেলা ও মহানগর এলাকায় অন্তত ৫ শতাধিক কিশোর গ্যাং সক্রিয়। শুধু রাজধানী
ঢাকাতেই সক্রিয় ৭০টিরও বেশি কিশোর গ্যাং। র্যাবের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকার বিভিন্ন
এলাকায় ৭০টি কিশোর গ্যাং সক্রিয়।
এই কিশোররাই বিভিন্ন জায়গায় গড়ে তুলছে
গ্যাং। একটা সময় ছিল, কিশোররা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মারামারিতে লিপ্ত হতো,
কিন্তু পর্যালোচনা করলে দেখা যাচ্ছে বর্তমানে তারা ধর্ষণ, খুন, ছিনতাই, মাদকবাণিজ্য,
চাঁদাবাজির মতো ভয়াবহ অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এতে করে পরবর্তি প্রজন্ম পড়ছে মারাত্মক হুমকিতে।
আজকের কিশোররাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আগামীতে নেতৃত্ব দিবে আজকের প্রজন্ম। তাহলে সেই
প্রজন্ম অপরাধ জগতের গ্যাং, কিশোর গ্যাংয়ে যদি পরিণত হয়, তবে জাতির ভবিষ্যৎ ও সুশিল
সমাজ গঠণ এবং উন্নত জাতি পরিণত করা হতে পারে দূর্বিসহ।
সমাজবিজ্ঞানীরা বলছে, আপনার সন্তান
কী করছে? কার সঙ্গে মিশছে, তা জানা যেমন জরুরি, তেমনি সন্তানকে সময় দেওয়াও জরুরি।
তার সঙ্গে গল্প করা, তার মনের অবস্থা বোঝা, তার কাছে বাবা-মার অবস্থান তুলে ধরা। সহজ
করে বললে অভিভাবকদের সঙ্গে সন্তানদের বন্ধন খুবই জরুরি। এই বন্ধন যত শিথিল হয়, সন্তান
তত বাইরের জগতে ছুটবে, তখন তাকে ফেরানোর কোনো রাস্তা থাকবে না।
যেকোনো সামাজিক সমস্যায় পরিবার, সমাজ
ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব আছে। এখন তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ প্রবাহের যুগ। এই সময়ে শিশু-কিশোরাও
অনলাইনে অনেক কিছু দেখে, যার ভেতর নেতিবাচকতা বেশি এবং তারা সহজেই সংগঠিত হয়। শহরগুলোতে
পর্যাপ্ত খেলার মাঠ নেই, সুস্থ বিনোদনের ব্যবস্থা নেই। শরীরচর্চা, খেলাধুলার সঙ্গে
সংস্কৃতিচর্চা থাকলে কিশোর-তরুণরা অপরাধ ও মাদক থেকে দূরে থাকে। সেই ব্যবস্থা নেওয়াটা
জরুরি। শিক্ষাব্যবস্থায় এ ধরনের বিষয়গুলোর প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন। পথশিশু
ও অভিভাবকহীনদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় এনে সুশিক্ষিত করতে প্রয়োজনী পদক্ষেপ নিলে সুফল
মিলবে। কারণ ভালো নাগরিক হতে তাদের শিক্ষা ও ভালো পরিবেশ দরকার।
মন্তব্য করুন
'স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ' এই প্রতিপাদ্য নিয়ে পাবনায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
রবিবার
(২৮
এপ্রিল)
সকাল
সাড়ে
৮ টায়
একটি
বর্ণাঢ্য র্যালি জেলা
জজ
আদালত
চত্বর
থেকে
বের
হয়ে
শহরের
প্রধান
সড়ক
প্রদক্ষিণ করে।
র্যালি শেষে
জেলা
জজ
আদালত
প্রাঙ্গণে উদ্বোধন করা
হয়
লিগ্যাল এইড
মেলা।
এরপর
সিনিয়র
জেলা
ও
দায়রা
জজ
এবং
জেলা
লিগ্যাল এইড
কমিটির
চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওয়ালিউল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা
সভা
অনুষ্ঠিত হয়।
এতে
বক্তব্য দেন,
সিনিয়র
জেলা
জজ
আহসান
তারেক,
জেলা
জজ
মিজানুর রহমান,
জেলা
প্রশাসক মু.
আসাদুজ্জামান, পুলিশ
সুপার
আকবর
আলী
মুনসী,
সিভিল
সার্জন
ডা.
শহীদুল্লাহ দেওয়ান,
চীফ
জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামাল
হোসেন,
জেলা
আইনজীবী সমিতির
সভাপতি
দেওয়ান
মজনুল
হক,
সাধারণ
সম্পাদক আব্দুল
আহাদ
বাবু,
সরকারি
কৌঁসুলি হোসেন
শহিদ
সোহরাওয়ার্দী এবং
পাবলিক
প্রসিকিউটর আব্দুস
সামাদ
খান
রতন।
সিনিয়র
জেলা
ও
দায়রা
জজ
মোহাম্মদ ওয়ালিউল ইসলাম
তাঁর
বক্তব্যে বলেন,
‘অসচ্ছল,
অসহায়
ও
সুবিধা বঞ্চিত জনগণের
সমান
আইনি
সুরক্ষা নিশ্চিত করার
জন্য
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, নির্বাহী ও
পুলিশ
প্রশাসন, সুশীল
সমাজের
ব্যক্তিবর্গ, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং
সর্বোপরি আদালতের বিচারক
ও
আইনজীবীদের আন্তরিক সহযোগিতা একান্ত
প্রয়োজন। যার
মাধ্যমে একটি
ন্যায় ভিত্তিক ও
কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা
সম্ভব
হবে।
এ
লক্ষ্যে পাবনা
জেলা
লিগ্যাল এইড
কমিটি
এবং
জেলা
লিগ্যাল এইড
অফিস
নিরলসভাবে কাজ
করে
যাচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে সরকারি
খরচে
বিনামূল্যে আইনি
সহায়তা
কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন
জেলা
লিগ্যাল এইড
অফিসার
সিনিয়র
সহকারি
জজ
বেগম
পারুল
আকতার।
সভায়
জানানো
হয়,
পাবনা
জেলা
লিগ্যাল এইড
কমিটির
মাধ্যমে গত
২০২৩
থেকে
২০২৪
সাল
পর্যন্ত এক
বছরে
৩৩০
জন
নারী,
২৪৭
জন
পুরুষ,
৩
জন
শিশুর
মামলা
পরিচালনার ব্যয়
সরকার
কর্তৃক
বহন
করা
হয়েছে।
সেই সঙ্গে ৫৪৫টি
বিরোধের মধ্যে
১১৪
বিরোধ
বিকল্প
বিরোধ
পদ্ধতিতে নিষ্পত্তি করা
হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেছেন, ‘কোরবানির ঈদ উপলক্ষে
গবাদি পশু আমদানির কোনো প্রয়োজন নাই। দেশি গবাদি পশু দিয়েই কোরবানির চাহিদা মেটানো
সম্ভব। গবাদি পশুর বাজার কেউ যেন অস্থিতিশীল করতে না পারে সরকার এ বিষয়ে সতর্ক আছে।’
রবিবার (২৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে ফরিদপুরের মধুখালীর মন্দিরে অগ্নিসংযোগ
বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদমন্ত্রী এসব কথা।
এক প্রশ্নের জবাবে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী আব্দুর
রহমান বলেন, ‘ফরিদপুরে মধুখালীর মন্দিরে অগ্নিসংযোগ এবং দুজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায়
ইতিমধ্যে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৩১ জন আসামির বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করা হয়েছে।
পলাতকদের খুঁজে বের করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান প্রতিনিয়ত চলছে। আশা
করি, দ্রুত সময়ে অপরাধীদের আটক করা সম্ভব হবে।’
কোরবানি পশুর প্রস্তুতি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ বছর এক কোটি ২০ থেকে
৩০ লাখ কোরবানির পশুর প্রয়োজন হতে পারে। সে হিসেবে আরো প্রায় ৩০ লাখ পশু বেশি আছে।
ঘাটে ঘাটে বাজারে যাতে কোথাও চাঁদাবাজি না হয় সে বিষয়ে বিশেষ সতর্ক থাকবে আইন-শৃঙ্খলা
বাহিনী। গত বছরে প্রায় ১৯ লাখ গবাদি পশু অবিকৃত ছিল। এবারও অনেক পশু বেশি আছে তাই আমদানি
করার প্রয়োজন নাই। সরকার দেশীয় খামারিদের ক্ষতিগ্রস্ত করতে চায় না।’
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান
মন্তব্য করুন
২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দেশে আবারও কমেছে স্বর্ণের দাম। ভরিতে ৩১৫ টাকা
কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১২ হাজার ৬১৬ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স
অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।
রোববার (২৮ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস এ তথ্য জানায়। আজ বিকেল
৪টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য
কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া অজ্ঞাত গাড়ি চাপায় বিল্লাল হোসেন (৩০) নামের এক অটো ভ্যান চালকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১০ টার দিকে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে উল্লাপাড়া পৌরসভার কাওয়াক মোড়ে এ দূর্ঘটনা ঘটে।
নিহত বিল্লাল হোসেন উল্লাপাড়ার সেনগাঁতী গ্রামের আব্দুস ছোবাহানের ছেলে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ ওয়াদুদ জানান, ‘অটো ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে শ্যামলীপাড়া বাস স্ট্যান্ডের দিকে যাচ্ছিলেন বিল্লাল হোসেন। কাওয়াক মোড়ে তার গাড়ির এক্সেল ভেঙ্গে গেলে গাড়িটি নিয়ন্ত্রন হারায়। এ সময় দ্রুতগামী অজ্ঞাত একটি গাড়ি অটো ভ্যানকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান বিল্লাল। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।'
সড়ক দুর্ঘটনা গাড়ি চাপা চালকের মৃত্যু
মন্তব্য করুন
একটা সময় ছিল সমাজে শৃঙ্খলা রক্ষায় পরিবার ও স্থানীয় বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিদের ভূমিকা থাকতো। সেই সময় এসব সচেতন মানুষ কিশোরদের উচ্ছৃঙ্খল আচরণে প্রশ্রয় দিতেন না। বিংশ শতাব্দীর চল্লিশের দশক থেকেই তৎকালীন পূর্ববঙ্গে কিশোর অপরাধ সংঘটিত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেলেও নব্বইয়ের দশক থেকে শিল্পায়ন ও নগরায়নের গতি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে দেশে কিশোর অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে। দিন দিন ভয়াবহ মাত্রায় বৃদ্ধি পাচ্ছে কিশোর গ্যাং তৈরির প্রবণতা। বিভিন্ন নামে এলাকাভিত্তিক নতুন নতুন সন্ত্রাসী গ্রুপ গড়ে তুলছে কিশোর গ্যাং।