ইনসাইড বাংলাদেশ

‘রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন, নিয়োগ পান না’

প্রকাশ: ০৩:১১ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

এক সময় দুদকের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় মো. সাহাবুদ্দিনের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হতে কোনো আইনি বাধা নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। 

তিনি বলেন, দুদক আইনের ৯ ধারায় কর্মাবসানের পর দুদকের কমিশনার প্রজাতন্ত্রের লাভজনক পদে নিয়োগ লাভের যোগ্য হবেন না, সেটা বলা আছে। এটার ফলে অনেকে বলতে চেয়েছেন, রাষ্ট্রপতির পদটি একটি লাভজনক পদ। কিন্তু রাষ্ট্রপতিকে কেউ নিয়োগ দান করেন না। তিনি নির্বাচিত হন। কাজেই রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তির পদ নিয়ে যে বিতর্ক সামনে আনা হচ্ছে, সেটা অনাকাঙ্ক্ষিত।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের নির্বাচনী কর্তা হাবিবুল আউয়াল এসব কথা বলেন। 

এবারের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. সাহাবুদ্দিন, যিনি দুদকের একজন সাবেক কমিশনার। ইতোমধ্যে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করে গেজেটও প্রকাশ করা হয়েছে। 

দুদক আইনে বলা আছে, কোনো কমিশনার অবসর নেওয়ার পর প্রজাতন্ত্রের কোনো লাভজনক পদে নিয়োগের যোগ্য হবেন না। এখন মো. সাহাবুদ্দিনের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর দুদক আইনের ওই সূত্র ধরে নতুন করে আলোচনা তৈরি হয়েছে রাষ্ট্রপতি পদটি ‘লাভজনক’ কি না।

রাষ্ট্রপতি পদ লাভজনক কি না, সে বিষয়ে সংবিধানে স্পষ্ট কিছু বলা নেই। তবে এর আগেও এ নিয়ে বিতর্ক হয়েছে এবং ১৯৯৬ সালে হাইকোর্ট এক রিট মামলার রায়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছিল, রাষ্ট্রপতির পদ ‘লাভজনক নয়’।

ওই বছর ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সাবেক প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করেছিল। বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে মামলায় বলা হয়েছিল, প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নিয়ে রাষ্ট্রের কোনো লাভজনক পদে বসা যায় না। শুনানি শেষে আদালত রায় দিয়েছিল, রাষ্ট্রপতির পদ ‘লাভজনক নয়’; সুতরাং সাহাবুদ্দীন আহমদের রাষ্ট্রপতি হতে বাধা নেই।

সেই প্রসঙ্গ ধরে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বুধবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, সংবিধান, আইন, বিধি বিধান ও আদালতের রায় পর্যালোচনা করলে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হতে মো. সাহাবুদ্দিনের কোনো ধরনের ‘অযোগ্যতা নেই’। এই নিয়ে সংবিধানের বিভিন্ন অনুচ্ছেদ এবং ১৯৯৬ সালের সাহাবুদ্দীন আহমদ বনাম আবু বকর সিদ্দিক মামলার রায়টি পড়ে শোনান সিইসি। 

গত মঙ্গলবার (১৪ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীরও এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন। তিনি বলেন “ওই রায়ে স্পষ্ট বলা রয়েছে, রাষ্ট্রপতির পদিটি অফিস অব প্রফিট নয়। এটা কন্সটিটিউশনাল পদ। অতএব বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমেদনের রাষ্ট্রপতি পদ গ্রহণ ছিল সম্পূর্ণভাবে বৈধ। ওই মামলা সম্পূর্ণ খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

“যেহেতু উচ্চ আদালতের রায় আইন হিসেবে বিবেচিত হয়, সেহেতু বর্তমানে যিনি রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন, যদিও তিনি দুদকের কমিশনার ছিলেন, উনার রাষ্ট্রপতি পদ গ্রহণের ক্ষেত্রে আইনগত কোনো বাধা নেই।”

তিনি দাবি করেন, লাভজনক পদ বলতে কী বোঝায়, আইন তা স্পষ্ট করেই বলা হয়েছে, যদিও তালিকা দেওয়া হয়নি। “লাভজনক পদের ক্ষেত্রে বলা আছে, প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত এবং কোনো প্রতিষ্ঠানে যদি সরকারের ৫০ ভাগের অধিক অর্থ থাকে, তাহলে সেই পদে নিয়োগকে বলা হবে লাভজনক পদ।

রাষ্ট্রপতি   সিইসি   মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু   কাজী হাবিবুল আউয়াল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চাকরির বয়সসীমা নিয়ে আমার করা সুপারিশের কার্যকারিতা নেই: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশ: ০৪:৩৫ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

জনপ্রশাসনমন্ত্রী জাতীয় সংসদে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার বিষয়ে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়টি স্পষ্ট করায় সেই সুপারিশের আর কার্যকারিতা নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

রোববার (১২ মে) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রকাশিত ফলের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, কিছু চাকরিপ্রার্থী বিষয়টি নিয়ে অনুরোধ করেছিলেন। আমি কিছু কিছু বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনাকালে মনে হয়েছিল, এ বিষয়ে একটা সুপারিশ করা যেতে পারে।

তিনি বলেন, এরই মধ্যে এ বিষয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রী সংসদে পরিষ্কার করে বলেছেন, সরকারের বা রাষ্ট্রের নীতিগত সিদ্ধান্ত কী। এ বয়সসীমা বৃদ্ধির বিষয়ে এই মুহূর্তে কোনো সিদ্ধান্ত নেই, সেটি তিনি বলে দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, কিন্তু সেই সুপারিশপত্রকে পুঁজি করে একটি পক্ষ সংঘাতমূলক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। সেখানে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। আমি তাদের বলব, তারা একটি খারাপ কাজ করার চেষ্টা করছেন। এখানেই বিষয়টির সমাপ্তি ঘটেছে।

মন্ত্রী বলেন, আমার সুপারিশপত্রের কার্যকারিতা এখন আর নেই। এটি নিয়ে জলঘোলা করে নানা জায়গায় দাঁড়িয়ে আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা কখনোই কাম্য না। আমি আলোচনা করে জানতে পেরেছি, মাত্র এক শতাংশ শিক্ষার্থী ৩০ বছর বয়সে চাকরি পাচ্ছেন। যেখানে এক শতাংশ মাত্র, সেখানে ৩৫ করলে আর কতই-বা বাড়বে? সেটি পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে।

চাকরির বয়সসীমা   শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী   জনপ্রশাসন মন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নতুন ট্রাইব্যুনাল গঠনের পরিকল্পনা নেই সরকারের: আইনমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৪:২৯ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিরোধী দলের নেতাদের মামলায় বিচার দ্রুত করতে নতুন ট্রাইব্যুনাল করা নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের যে অভিযোগ তা অস্বীকার করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, নতুন ট্রাইব্যুনাল গঠনের কোনো চিন্তা বা পরিকল্পনা সরকারের নেই।

আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বা বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের মামলা চিহ্নিত করে বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার যে অভিযোগ তারা (বিএনপি) করছে, তা সঠিক নয়। নতুন ট্রাইব্যুনাল গঠনের কোনো পরিকল্পনা নেই সরকারের।

আনিসুল হক দাবি করেন, ‘পুরোনো মামলায় আইনগত সব প্রক্রিয়া মেনেই বিচারকাজ শেষ হচ্ছে। এখানে রাজনৈতিকভাবে সরকারের প্রভাব খাটানোর বা কাউকে ব্যবহার করার কোনো বিষয় নেই।’

উল্লেখ্য, ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আজ (রোববার) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের পুরোনো সব মামলায় বিচার দ্রুত শেষ করে সাজা দেওয়া হয়। সেই প্রক্রিয়া এখনো চলছে। সে জন্য এখন নতুন ট্রাইব্যুনাল গঠন করছে সরকার।


আইনমন্ত্রী   আনিসুল হক   মির্জা ফখরুল   বিএনপি   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রামু থানার 'ওসি' বদলির মিশনে দালাল সিন্ডিকেট!

প্রকাশ: ০৪:০৩ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

কক্সবাজারের রামু থানাকে পূর্বের অবস্থায় ফিরে পেতে মরিয়া এক শ্রেণির দালাল চক্র। ওসি বদলির জন্যে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মিশনে নেমেছে একটি সিন্ডিকেট।  বছর কয়েক আগে রামু থানায় আশংকাজনক হারে বেড়ে গিয়েছিল দালালের উপদ্রব। মাদক, গরু পাচার, খুন ও ডাকাতিসহ নানা ধরনের মামলায় তদবির নিয়ে থানার চারপাশে ঘুরঘুর করতেন দালালের একটি চক্র। এই চক্রের সদস্যরা কোথাও কোন ঘটনা সংঘটিত হলে বা মামলার প্রক্রিয়া চললে রীতিমতো তদবির নিয়ে হাজির হয় থানায় ৷ পক্ষ বিপক্ষ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে পুলিশকে ভুল বুঝিয়ে সাধারণ একটি বিষয়কে জটিল করা যেন ছিল তাদের রুটিন ওয়ার্ক। এসব দালালদের কারণে সাধারণ মানুষ যেমন হয়রানির শিকার হচ্ছেন,তেমনি বদনামের তকমা লাগছে পুলিশের উপরও। 

 

তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, দালাল চক্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় তারা স্বয়ং রামু থানার ওসির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন। এমনকি রামু থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ানকে বদলির জন্যে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মিশনে নেমেছে দালাল চক্র। থানায় দালালদের প্রাধান্য না দেওয়া, তাদের কথা অনুযায়ী কাজ না করা এবং সুযোগ সুবিধা নিতে না পারায় একটি চক্র ওসির বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও বদলির জন্যে মোটা অংকের মিশন নিয়ে নেমেছে। 

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রামুর এক সাংবাদিক জানান, একটি সিন্ডিকেট থানায় সুবিধা নিতে না পারায় ওসির বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও বদলির মিশন নিয়ে নেমেছে। আগের ওসির কাছ থেকে নিয়মিত সুযোগ সুবিধা নিতেন যারা, তারাই পরিবেশ ঘোলাটে করার মিশনে নেমেছে।

 

দালাল সিন্ডিকেট চক্রের এক সদস্য অকপটে স্বীকার করেন, আগের ওসি অনেক ভাল ছিলেন। তার আমলে কোন বিষয় নিয়ে সুপারিশ করলে তা কার্যকর করতেন। বর্তমানে এই ওসি কোন ধরনের কোপারেশন করেন না।’

 

অফিসেরচর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হালিম জানান, রামু থানায় নতুন ওসি তাহের সাহেব যোগদান করার পর একটি জিডি করতে গিয়েছিলাম, সেখানে ওসির সাথে সরাসরি কথা বলে জিডি করার সুযোগ পাই। এবং জিডি বাবদ কোন ধরনের টাকা নেয়নি পুলিশ। এটা অবাক করা বিষয়। আমি জানতাম থানা মানে টাকা, কিন্তু ওইদিন আমি বিনামূল্যে জিডি করার সুযোগ পেয়েছিলাম। 

 

এবিষয়ে চাকমারকুল ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার জানান, ‘আমার এলাকার লোকজন নানা সময় বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে থানায় গেলে সঠিক পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন ওসি আবু তাহের। অনেকে জিডি এর ক্ষেত্রে কোন ধরনের খরচ ছাড়াই লিপিবদ্ধ করিয়েছিলেন বলে জানা আছে। যা অন্য কোন থানায় সম্ভব নই।ওসির সাথে ফোনে কয়েকবার কথা হয়েছিল আমার, উনাকে আন্তরিক এবং সৎ পুলিশ অফিসার বলে মনে হয়েছে।’ 

 

রামু থানার ওসি মো. আবু তাহের দেওয়ান জানান, ‘থানায় পূর্বে কি হয়েছিল সেটি আমার দেখার বিষয় না। দালালদের স্থান থানায় হবেনা। আমি যোগদান করার পর থেকে একটি চক্র কৌশলে নানা ধরনের বিষয় নিয়ে থানায় হাজির হন, তাদের কথা অনুযায়ী কাজ না করলে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়। কয়েকদিন ধরে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও কুৎসা রটাচ্ছে এই চক্র। আমাকে বদলির জন্যে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মিশনে নেমেছে তারা।’ 

 

ওসি আরও জানান, ‘আমি যতদিন আছি, সেসময়ে কোন দালাল থানায় এসে সুবিধা নিতে পারবেনা। তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’ 

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের আগষ্ট মাস থেকে চলতি বছরের ১১ মে পর্যন্ত রামু থানায় মোট মামলা রুজু হয় ৭৮০ টি। এর মধ্যে ৭৭৫ টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন অভিযানে মাদক উদ্ধার হয় ৮৫১০০ পিস ইয়াবা, ৭১০ লিটার চোলাই মদ ও ৪০ বোতল বিদেশি মদ। এর মধ্যে মাদক মামলা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৫ টি। ১০ রাউন্ড গুলিসহ বেশ কয়েকটি দেশি-বিদেশি অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়। 


ওসি বদলি   থানা   দালাল সিন্ডিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নওগাঁয় পর্নোগ্রাফি ভিডিও সংরক্ষণ ও সরবরাহকারী মূলহোতাসহ আটক ৭

প্রকাশ: ০৩:৪৫ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail নওগাঁয় পর্নোগ্রাফি ভিডিও সংরক্ষণ ও সরবরাহকারী মূলহোতাসহ আটককৃত ৭ জন

নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলা থেকে পর্নোগ্রাফি ভিডিও সংরক্ষণ ও বিক্রয় চক্রের মূলহোতাসহ ৭ সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব-৫ এর জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা। আটকের পর রোববার (১২ মে) দুপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়।


আটককৃতরা হলেন, বদলপুর গ্রামের শ্রী বিরেন চন্দ্র মন্ডল এর ছেলে শ্রী কৃষ্ণ বাবু (২৮), বদলপুর গ্রামের মোঃ জিল্লুর রহমান ছেলে মোঃ মোকছেদুল মমিন (২৫), মধইল গ্রামের ছয়ফুল ইসলাম ছেলে মোঃ করিম (২৩), গুটিন গ্রামের আব্দুল গাফ্ফার ছেলে মোঃ আল আমিন (২১), মানাষী গ্রামের মোঃ সাইদুল ইসলাম ছেলে মোঃ ফরিদুল ইসলাম (২২), বদলপুর গ্রামের শ্রী বন্দীনাথ ছেলে শ্রী মনষা (২৮) ও গুটিন গ্রামের শ্রী জয়রাম উরাও ছেলে শ্রী অনুকুল (২৮), সকলের থানা ও জেলা নওগাঁ।


বিজ্ঞপ্তির দেয়া তথ্য মতে জানা যায়, পত্নীতলার বটতলী বাজার এলাকায় পর্ণগ্রাফি সংরক্ষণ, সরবরাহ ও বিক্রয় চক্রের মূলহোতা কৃষ্ণের নেতৃত্বে তাদের দোকানের নিজস্ব কম্পিউটারের হার্ডডিস্কে অশ্লীল সিনেমা ও ভিডিও ক্লিপ আপলোড ব্যবসার পাশাপাশি পর্নোগ্রাফি সংরক্ষণ করে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন ইলেকট্রিক ডিভাইসের মাধ্যমে স্থানীয় কিশোর ও স্কুল পডুয়া ছাত্রদের কাছে পর্নোগ্রাফি ভিডিও সরবরাহ করত। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দোকানে অভিযান পরিচালনা করে উক্ত পর্নো ব্যবসায়ীদেরকে আটক করতে সমর্থ হয়।


গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নওগাঁ জেলার পত্নীতলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, আটকের পর আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে।


পর্নোগ্রাফি   আটক   র‌্যাব   প্রেস বিজ্ঞপ্তি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অনলাইনে যাত্রীদের পোর্ট ট্যাক্স আদায় কার্যক্রমের উদ্বোধন


Thumbnail

ভারত ভ্রমণে বাংলাদেশী পাসপোর্টধারীদের যাত্রা সহজ ও ভোগান্তি কমাতে অনলাইনে যাত্রীদের পোর্ট ট্যাক্স আদায়ে বাংলাদেশ বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর কার্যক্রম উদ্ভোধন করেছেন। বেনাপোলসহ বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী ও নাকুগাঁও স্থলবন্দরের যাত্রীরা এই সুবিধার আওতায় আসবে বলে তিনি জানান। 

 

আজ রবিবার (১২ মে) বেলা ১২ টার দিকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এই পোর্ট ট্যাক্স পরিশোধের কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। ইস্যুর দিন থেকে পরবর্তী ৭ দিন পর্যন্ত এই পোর্ট ট্যাক্সের মেয়াদ থাকবে।

 

যাত্রীদের পোর্ট ট্যাক্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ঢাকা হেড অফিসে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (ট্রাফিক) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবীর।

 

আগে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে বেনাপোল স্থলবন্দর যাত্রী টার্মিনাল থেকে পাসপোর্টধারীদের পোর্ট ট্যাক্স পরিশোধ করতে হতো। এখন থেকে দেশের যেকোন স্থান থেকে অনলাইনে পোর্ট ট্যাক্স কেটে আসতে পারবেন বলে জানান, বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক পরিচালক রেজাউল করিম।

এ সময় ঢাকায় ভিডিও কনফারেন্সে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোল্লা মিজানুর রহমান (যুগ্ম-সচিব), যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক ও আইসিটি ডিভিশন সভাপতি, জনাব মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবীর (যুগ্ম-সচিব) ও সদস্য (ট্রাফিক), বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং বেনাপোলে উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম, বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আযহারুল ইসলাম, বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টম কর্মকর্তারা  গোয়েন্দা সংস্থা ও স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দরা। 


পোর্ট ট্যাক্স   স্থল বন্দর   সহজ যাত্রা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন