ইনসাইড বাংলাদেশ

বিএনপির দুর্নীতির ফল বিস্ফোরণ, ২০ বছর পর ভোগ করছে রাজধানীবাসী


Thumbnail

রাজধানীতে পর পর দুটি বিষ্ফোরণের ঘটনায় মানুষের মনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কেউ কেউ বলছেন, আমরা কেউই নিরাপদ নয়। যে কোনো সময়ে যে কোনো ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন রাজধানীবাসী। অন্যদিকে এসব ঘটনা শুধুই দুর্ঘটনা নয় বলেও মনে করছেন কেউ কেউ। কেউ কেউ মনে করছেন এসব ঘটনা পরিকল্পিত এবং নাশকতামূলক ঘটনা। অন্যদিকে প্রকৌশলীরা বলছেন, ভবন নির্মাণে ত্রুটি থাকার কারণে এসব দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে। ভবনগুলো নির্মাণের সময় নকশা বা নির্মাণ কাজ পরিদর্শন না করেই ভবনগুলোর বাণিজ্যিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।

ভবনগুলো নির্মাণের সময়ে সরকার ক্ষমতায় ছিল বিএনপি। তৎকালীন বিএনপি সরকার দুর্নীতি করে এই ভবনগুলোর নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছিল বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। সূত্রগুলো বলছে, ভবনগুলো বেশ পুরোনো। ৪০ থেকে ৪৫ বছর আগের ভবন এগুলো। এ ভবনগুলো অনুমোদনের সময় সরকারের ক্ষমতায় ছিল বিএনপি। পরে ২০০১ সালের দিকে ক্ষমতায় এসে বিএনপি রাজউকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেন প্রকৌশলী মো. নুরুল হুদাকে। সে সময়ে সরকারের গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ছিলেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মির্জা আব্বাস। সে সময়ে ভবনগুলোর বাণিজ্যিক করার নকশা অনুমোদন এবং পর্যবেক্ষণ যথাযথ হয়নি। ফলে ২০ বছর পরে বিএনপির এই দুর্নীতির ফল ভোগ করছে রাজধানীবাসী।            

গতকাল মঙ্গলবার (৭ মার্চ) গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে একটি ভবনে বিস্ফোরণে ঘটনা গঠেছে। এ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৮ জনের নিহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া ২০০ জনের বেশি মানুষ চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে ১০০ জনের বেশি মানুষকে হাসপাতালে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ২০ জন এখনও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বেজমেন্টে জমে থাকা গ্যাস থেকে মঙ্গলবার (৭ মার্চ) গুলিস্তানের ভবনটিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছে র‍্যাব। বুধবার (৮ মার্চ) র‍্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের ডেপুটি ডিরেক্টর মেজর মশিউর রহমান এ কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা জেনেছি ভবনের বেজমেন্ট থেকে বিস্ফোরণের সূত্রপাত। এটা কোনো সাধারণ বিস্ফোরণ নয়। এটা বেজমেন্টে জমে থাকা গ্যাস থেকে হতে পারে। আমরা মোটামুটি নিশ্চিত যে বিস্ফোরণ এসি থেকে হয়নি।

এছাড়াও এদিন বুধবার (৮মার্চ) সিদ্দিকবাজারের ওই ভবনের নকশার মধ্যে অনেককিছু সঠিকভাবে করা হয়নি বলে মন্তব্য করেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের প্রধান মেজর মশিউর রহমান। মেজর মশিউর রহমান বলেন, ‘মেটারিয়াল অনেক কিছুই সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়নি। গ্যাসের লাইন বৈধ ছিল কি না, এ ব্যাপারে সংশয় রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে আমরা মন্তব্য করতে চাই না।’

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ভবনের ভেতর ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে তিতাস গ্যাসের সহায়তায় পরীক্ষা করে ঘটনাস্থলে আমরা গ্যাসের উপস্থিতি পাইনি। ভবনে গ্যাসের সংযোগ আছে। কিন্তু কোনো লিকেজ বের করতে আমরা পারিনি। এক্সপ্লোশন বেজমেন্টে হয়েছে, উপরের কোনো ফ্লোর থেকে হয়নি। এসি কিংবা ইলেক্ট্রনিকস ডিভাইস থেকেও এ বিস্ফোরণ হয়নি। বেজমেন্ট ও গ্রাউন্ড ফ্লোর অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভবনের বিম ও কলাম অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা ধারণা করছি, গ্যাস লাইনের এক্সপ্লোশন থেকে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। আবার অন্য কোনো এক্সক্লুসিভ মেটারিয়াল থেকেও হয়ে থাকতে পারে। আমরা কিছু স্যাম্পল পেয়েছি, যা পরীক্ষা করছি।’

তিনি বলেন, ‘ভবনটিতে গ্যাসের সংযোগ আছে। কিন্তু কোনো লিকেজ বের করতে পারিনি। যেখান থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে, ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সে পর্যন্ত আমরা যেতে পারিনি। আমরা আরও চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

এর আগে রোববার (৬ মার্চ) রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় একটি বাণিজ্যিক ভবন শিরিন ম্যানশনের ৩য় তলায়  বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৪ জন। সায়েন্সল্যাবে বিস্ফোরণের ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ওই দিন বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে আসে সেনাবাহিনীর কেমিক্যাল ডিজাস্টার রেসপন্স টিম (সিডিআরটি) ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের দুটি পৃথক দল। তবে সেখানে বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহারের আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানায় সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ দল। রোববার (৫ মার্চ) বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান কমান্ডিং অফিসার মেজর মো. কায়সার বারী।

ওই দিন মেজর কায়সার বারী বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে বিস্ফোরক শনাক্তকরণ যন্ত্র দিয়ে ঘটনাস্থলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছি। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পর আমরা মনে করছি, এ বিস্ফোরণ বিস্ফোরক দ্রব্যের মাধ্যমে সংঘটিত হয়নি।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং ডিজাস্টার রেসপন্স টিমের ভাষ্যমতে, দুটি ভবনের কোনটিতেই নাশকতামূলক কোনো কর্মকাণ্ড ঘটেনি। মূলত ভবনগুলোতে জমে থাকা গ্যাসের কারণে এ বিস্ফোরণগুলো হতে পারে। এছাড়াও ভবনগুলো ত্রুটিপূর্ণ ছিল বলেও মন্তব্য করেছেন দুর্ঘটনা পরদির্শনে আসা বিভিন্ন বাহিনী। স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠেছে, ভবনগুলোতে গ্যাস জমলো কিভাবে? কিভাবে এই বিস্ফোরণগুলো হলো? ভবন নির্মাণের নকশা মেনে যদি ভবন নির্মাণ করা হয়ে থাকে, তবে সেখানে বিস্ফোণের ঘটনা ঘটার কথা নয়।       

সূত্র জানায়, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসে। তখন ক্ষমতাসীন বিএনপি সরকারের গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ছিলেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মির্জা আব্বাস। সে সময়ে রাজউকের চেয়ারম্যান ছিলেন প্রকৌশলী মো.নুরুল হুদা। বিভিন্ন কারণে প্রকৌশলী মো. নুরুল হুদা সে সময় বিতর্কিত হয়েছেন। রাজধানীতে ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে রাজউকের বাণিজ্যিক ভবনের নকশা মানা হয়নি। এর আগে বিএনপি সরকারের সময়ে ভবনগুলো নির্মাণের নিয়মনীতিও মানা হয়নি। ২০০১ সালের পরে মির্জা আব্বাস ও প্রকোশলী নুরুল হুদার সময়ে কোনো রকম ভবন নির্মাণ বিধিমালা এবং নকশা না মেনে ঢালাওভাবে বেশ কিছু ভবন নির্মাণ ও ভবন বাণিজ্যিক করনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। বর্তমান সময়ে ২০ বছর পর এই ত্রুটিপূর্ণ ভবনগুলোতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। এবং জীবন বিসর্জন দিয়ে সে ফল ভোগ করছে রাজধানীবাসী। এ হচ্ছে বিএনপির দীর্ঘমেয়াদি দুর্নীতির ফল। বিএনপির সময়ে এ ভবনগুলোর নকশা পর্যবেক্ষণ না করেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল এবং পরে বানিজ্যিক ভবন হিসেবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। যার ফলশ্রুতিতে এখন দুর্ঘটনার পর বোঝা যাচ্ছে, ভবনগুলো ত্রুটিপূর্ণ ছিল।      

রাজধানীর সিদ্দিকবাজার  ও সায়েন্সরল্যাবের বিস্ফোরণের ঘটনা দুটির বিষয় নিয়ে প্রকৌশলীরা বলছেন, প্রতিটি দুর্ঘটনার ব্যাপ্তি আলাদা হলেও ঢাকার সায়েন্স ল্যাবের ভবন, সিদ্দিক বাজারের ভবন ও ২০২১ সালে মগবাজারের দুর্ঘটনাগুলো একই প্রকৃতির। যেখানে জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ধরনের ঘটনাকে বলা হয় কনফাইন্ড স্পেস এক্সপ্লোশন। বদ্ধ জায়গায় গ্যাস জমে বাতাসের সঙ্গে এক্সপ্লোসিভ মিক্সচার তৈরি করলে এ ধরনের বিস্ফোরণ হতে পারে। তবে ঢাকার সায়েন্স ল্যাবের কাছের ভবনে বিস্ফোরণ হয়েছিল ভবনের তিনতলায়। ফলে চাপে দেয়াল ভেঙে সহজে প্রশমিত হয়েছে। সিদ্দিক বাজারের বিস্ফোরণের কেন্দ্রস্থল ভবনের বেজমেন্টে হওয়ায় নিচে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি হয়েছে, যাতে ভবনের সিঁড়িঘর, বেজমেন্ট ছাদ ভেঙে ওপরে এসে পাশের দেয়াল ও ওপর তলা কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ভবনের কলামগুলো বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ধরনের ক্ষেত্রে পুরো ভবন ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

প্রকৌশলীরা আরও বলছেন, বর্তমানে ভবনে যেহেতু গ্যাসের লাইন, সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহৃত হয়, তাই এগুলোর ছিদ্র থেকে বিস্ফোরণ হতে পারে। এ ছাড়া বাসাবাড়ি অন্য যেসব ইউটিলিটি লাইন, অব্যবহৃত পাইপলাইন, স্যুয়ারেজ লাইন থাকে, এগুলোর মাধ্যমে দাহ্য গ্যাস ভবনের বদ্ধ স্থানগুলোতে জমা হয়ে এ ধরনের দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। তবে ভবন নির্মাণের সময়ে এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে নকশা প্রণয়ন করা হয়ে থাকে। যদি ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত নকশা মেনে ভবনগুলো নির্মাণ করা হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে এ ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা কম থাকে।   


বিএনপি   দুর্নীতি   ফল   বিস্ফোরণ   ভোগ   রাজধানীবাসী   রাজউক   নুরুল হুদা   মির্জা আব্বাস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জয়পুরহাটে দুই উপজেলায় ৩০ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ

প্রকাশ: ০৬:২৪ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য জয়পুরহাট সদর ও পাঁচবিবি উপজেলায় ১১ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৩০ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে এই দুই উপজেলায় প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু হলো।

 

তফসিল অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করেন নির্বাচনে দায়িত্ব প্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা।

 

এসময় বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার নুরে আলম (বিপিএম), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিপুল কুমার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফজলুল করিম প্রমুখ।

 

জানা যায়, সদর উপজেলায় ৫ চেয়ারম্যান, ৭ ভাইস চেয়ারম্যান ও ৪ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং পাঁচবিবি উপজেলায় ৬ চেয়ারম্যান, ৪ ভাইস চেয়ারম্যান ও ৪ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বরাদ্দকৃত প্রতীক বুঝে নেন।

 

জয়পুরহাট সদরে কে কোন প্রতীক:

চেয়ারম্যান পদে এ ইএম মাসুদ রেজা (আনারস), খাজা শামসুল আল আমিন (দোয়াত কলম), আনোয়ার হোসেন (ঘোড়া), আমিনুল ইসলাম মাসুদ (কাপ পিরিচ), হাসানুজ্জামান মিঠু (মটরসাইকেল) প্রতীক পেয়েছেন।

 

ভাইস চেয়ারম্যান পদে অশোক কুমার ঠাকুর (টিউবয়েল প্রতীক), উজ্জ্বল মিনজি (টিয়া পাখি), জাকারিয়া মন্ডল (বৈদ্যুতিক বাল্ব), মুনছুর রহমান (মাইক), শামীম আহম্মেদ (উড়োজাহাজ), সিএম আফরাঈম কাবীর (তালা প্রতীক), আলী আকবর মোঃ ইজাহারুল ইসলাম ডাবলু (চশমা) প্রতীক পেয়েছেন।

 

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফারহানা রহমান বিথী (ফুটবল), আছমা বিবি (হাঁস), নাছিমা আক্তার (বৈদ্যুতিক পাখা), রুমানা পারভীন (কলস) প্রতীক পেয়েছেন।

 

পাঁচবিবি উপজেলা কে কোন প্রতীক:

চেয়ারম্যান পদে আবু বক্কর সিদ্দিক (আনারস), জাহিদুল আলম (কৈ মাছ), মনিরুল শহীদ মন্ডল (মটর সাইকেল), সোহরাব হোসেন (দোয়াত কলম), সাঈদ জাফর চৌধুরী (টেলিফোন), সাবেকুন নাহার (ঘোড়া) প্রতীক পেয়েছেন।

 

ভাইস চেয়ারম্যান পদে ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী (চশমা), আকরাম হোসেন তালুকদার (তালা), খালেকুল ইসলাম (টিউবওয়েল), ফরহাদ আলম (উড়োজাহাজ) প্রতীক পেয়েছেন।

 

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তামান্না বেগম (প্রজাপতি), রাজিনারা টুনি (বৈদ্যুতিক পাখা), রেবেকা সুলতানা (ফুটবল), মৌসুমী আক্তার (ফুলের টব) প্রতীক পেয়েছেন।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপের মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২৭ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২ মে, আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।


উপজেলা নির্বাচন   মনোনয়ন   চেয়ারম্যান   ভাইস চেয়ারম্যান   মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান   প্রতীক বরাদ্দ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শেখ হাসিনাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস, আ.লীগ নেতাকে অব্যহতি

প্রকাশ: ০৬:০৭ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail অভিযুক্ত আ.লীগ নেতা সরদার আবুল কালাম আজাদ

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ন স্ট্যাটাস দেওয়ায় পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবুল কালাম আজাদকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা ৭ দিনের মধ্যে জানাতে ওই নেতাকে নির্দেশ দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (৩০ মে) দিবাগত রাতের পর কোনো এক সময় আবুল কালাম আজাদ তার ফেসবুক একাউন্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করে স্ট্যাটাস দেন।

 

পরদিন বুধবার (০১ মে) সকালে তার লেখাটি সবার নজড়ে আসার পর ভাইরাল হয়ে যায়। এতে সমালোচনার ঝড় ওঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মাঝে। সমালোচনার মুখে বাধ্য হয়ে এক পর্যায়ে পোস্টটি তার ফেসবুক থেকে ডিলিট করে দেন ওই নেতা।

 

বিষয়টি উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের নজড়ে এনে তার শাস্তির দাবি জানান স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। পরে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় বুধবার (১ মে) রাতে এক চিঠিতে সরদার আবুল কালাম আজাদকে তার প্রস্তাবিত পদ থেকে অব্যহতি দেয় জেলা আওয়ামী লীগ।


আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া?

 

জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সুইট স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, 'কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের জরুরী সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে ফেসবুকে অশালীন ও কুরুচপিূর্ন মন্তব্য করায় সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবুল কালাম আজাদকে তার সকল পদ থেকে অব্যহতি প্রদান করা হলো। সেই সঙ্গে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা পত্র প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে নির্দেশ প্রদান করা হলো। যদি তিনি সাত দিনের মধ্যে জবাব না দেন তাহলে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে সুপারিশ করা হবে।'

 

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে সরদার আবুল কালাম আজাদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।


আরও পড়ুন: নির্দেশ অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের সাধারণ ক্ষমা?

 

পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার এমন স্ট্যাটাস খুবই ন্যাক্কারজনক। বিষয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে কথা বলে তাকে সকল পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।


অব্যহতি   আওয়ামী লীগ নেতা   স্যাটাস   কুরুচীপূর্ণ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু

প্রকাশ: ০৫:৩৫ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে গত ১৫ এপ্রিল এ অধিবেশন আহ্বান করেন।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেল ৫টায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে এ অধিবেশন শুরু হয়।

অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার সভাপতিমণ্ডলী এম এ মান্নান, আসাদুজ্জামান নুর, শফিকুল ইসলাম শিমুল, গোলাম কিবরিয়া টিপু ও ফজিলাতুন্নেছার নাম ঘোষণা করেন।

স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতি নামের অগ্রবর্তিতা অনুযায়ী সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা অধিবেশনে সভাপতিত্ব করবেন।

এর পর অধিবেশনে গত ১৬ মার্চ ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব আনা হয়। এ ছাড়া সাবেক সংসদ সদস্য শামছুল হক ভূঁইয়া, আবুল হাসেম খান, পিনু খান, নজির হোসেন ও মোখলেছুর রহমান এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা সৈনিক, একুশে পদকপ্রাপ্ত ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু, একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ সাংবাদিক ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ড. প্রণব কুমার বড়ুয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয়।

এরপর সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা শুরু হয়।

জাতীয় সংসদ   রাষ্ট্রপতি   মো. সাহাবুদ্দিন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সহকারী সচিব হলেন ক্যাডার বহির্ভূত ৭ কর্মকর্তা

প্রকাশ: ০৫:২৩ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ক্যাডার বহির্ভূত ৭ কর্মকর্তাকে সহকারী সচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (২ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৭ কর্মকর্তাকে সহকারী সচিব (ক্যাডার বহির্ভূত) পদে পদোন্নতি দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পদে নিয়োগ করা হলো। নিয়মানুযায়ী পরবর্তীতে তাদের পদায়ন করা হবে।
 
জাতীয় বেতনস্কেল, ২০১৫ অনুযায়ী তারা ৯ম গ্রেডে বেতন-ভাতা পাবেন বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।

সহকারী সচিব   জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: রাশেদা সুলতানা

প্রকাশ: ০৪:৩৭ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। বৃহস্পতিবার দুপুরে পাবনা জেলা শিল্পকলা একাডমেীতে

নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, ‘নির্বাচনী আইন যারা মানবেন না, তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আইনী ব্যবস্থা নেবে। প্রভাবশালীরা নির্বাচনে কোনোরেকম প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে তাদেরও ছাড় দেওয়া না। তিনি এমপি মন্ত্রী যেই হোক। নির্বাচন কমিশন কিন্তু এতো দুর্বল নয়।

বৃহস্পতিবার (০২ মে) দুপুরে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন নিয়ে পাবনা জেলার সকল উপজেলার প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন রাশেদা সুলতানা।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনকে সাধারন মানুষের কাছে হেনস্তা করবেনির্বাচনকে কলুষিত করবে, দেশের ভাবমূর্তি যে নষ্ট করে তার বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাংবাদিকদের কোনো কাজে বাধা দেওয়া যাবে না। দিলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

রাশেদা সুলতানা বলেন, 'দেশের নিদারুণ বাস্তবতা হলো ভোটারদের সাথে প্রার্থীদের সম্পর্ক ভাল নেই। ভোটার ছাড়া ভোট হয়ে যাবে ওইদিন চলে গেছে। তাই প্রার্থী যারা আছেন তারা ভোটারদের কাছে যান, তাদের সাথে সম্পর্ক ভাল করেন। তাদের কাছে টেনে নেন। তাদের ভোটেরই আপনাকে নির্বাচিত হতে হবে। নির্বাচনী আইন মেনে প্রচারণা করেন। নির্বাচন কমিশন যেকোনো মুল্যে ভাল ভোট করবে।'

রাজশাহী বিভাগীয় স্থানীয় সরকারের পরিচালক পারভেজ রায়হানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিজিবির সিইও গোলাম কিবরিয়াজেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামান পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী।

পাবনা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে অনুষ্ঠিত মতবনিমিয় সভায় পাবনা জেলার নয়টি উপজেলার চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় প্রার্থীরা তাদের নানা অভিযোগের কথা তুলে ধরে সমাধান দাবি জানান। এসময় সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল ওহাব অভিযোগ করেন, 'সুজানগর পৌরসভার বর্তমান মেয়র একটি সভায় বলেছেন ভোট দিতে হবে, না হলে গাছের সাথে বেঁধে রাখা হবে। তার এমন বক্তব্যের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। আমার নির্বাচনী অফিসে হামলা হয়েছে। মোবাইলে ভোটারদের প্রতিনিয়ত হুমকি দেয়া হচ্ছে। এসব অভিযোগ তথ্য প্রমাণসহ লিখিতভাবে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।'

চাটমোহর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাইদুল ইসলাম চৌধুরী অভিযোগ করেন, 'সাধারণ মানুষের কাছে প্রচার করা হচ্ছে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দুলাল মির্জা এমপির লোক, এমপির প্রার্থী। আপনি ভোট পাবেন কিভাবে। ভোট তো ওরা সব নিয়ে নেবে। প্রার্থীকে এমপির লোক বলে প্রচারণা চালানো বন্ধের দাবি জানান তিনি।'

ঈশ্বরদী উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ মিন্টু অভিযোগ করেন, '২ জন শিক্ষককে বিশেষ লোকের নাম বলে দু'টি মোটরসাইকেল পাঠিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে একজন প্রার্থীর সভায় যেতে বাধ্য করা হয়েছে। নির্বাচন শুরুর আগেই তো প্রভাবশালীদের প্রভাব বিস্তার চলছে। কিন্তু দেখার কেউ নেই।'


নির্বাচন   প্রভাব বিস্তার   নির্বাচন কমিশন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন