নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:১৫ এএম, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
‘একুশ মানে মাথা নত না করা’- চিরকালের এ স্লোগান আর বুকে শোকের প্রতীক কালো ব্যাজ ধারণ করে শহীদ বেদিতে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তাদের শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে নেমেছে জনতার ঢল।
হাজারো জনতার ঢল সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। রাস্তার মোড়ে মোড়ে বসানো ব্যারিকেড দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে মানুষের স্রোত।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শহীদ মিনার এলাকা ত্যাগ করলে সেখানে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে।
শিক্ষক-ছাত্র, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবি, গৃহিনীসহ নানা পেশাজীবীসহ সর্বস্তরের মানুষ লাইন ধরে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে। তাদের কারও হাতে জাতীয় পতাকা, কারও শরীরে শোকের পোষাক, কারও মাথায় কালো কাপড়। সবার উদ্দেশ্য একটাই, শহীদ মিনারের বেদীতে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো। জাতির সূর্য সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে ছোট ছোট শিশুরাও এসেছে। শুধু রাজধানীর ঢাকার জনসাধারণই নয়, দেশের দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে এসেছে লোকজন।
সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউরের মতো অসংখ্য প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত মায়ের ভাষা, বাংলা ভাষা। শুধু বাংলাদেশই নয়, ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ছুটে এসেছেন আমেরিকা ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশের লোকজন। ভারত থেকে বেশ কয়েকটি প্রতিনিধিদলও ভাষার টানে ছুটে এসেছেন শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে।
এদিকে ভাষা শহীদের শ্রদ্ধা জানাতে আসা সর্বস্তরের মানুষের জন্য কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএ/জেডএ
মন্তব্য করুন
জনপ্রশাসন মন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী সরকারি চাকরি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বজ্রপাতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ অবস্থায় বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার কৌশল জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন।
রোববার(৫ মে) আবহাওয়ার সব শেষ খবর জানাতে আগারগাঁওয়ে ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
বজ্রপাতে প্রাণহানির বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মনোয়ার হোসেন জানান, সারা দেশে বজ্রপাত অনেক বেড়ে গেছে। বজ্রপাত এখন যে অবস্থায় গেছে। সে জন্য সরকার একে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই বজ্রপাতে শুধু মানুষ নয়, অনেক পশুপাখিও প্রাণ হারাচ্ছে। এ মৌসুমে বৃষ্টিপাত ও বজ্রঝড় হয়। সেই সঙ্গে বজ্রপাতের খুবই আশঙ্কা রযেছে। নানা কারণে বজ্রপাত বেড়ে গেছে। সেটা হচ্ছে ক্লাইমেট চেঞ্জ হওয়ার কারণে হতে পারে, ওজন স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণেও হতে পারে। আবার বৃক্ষ, পাহাড় ও পরিবেশ বিভিন্ন কারণে বিনষ্ট হওয়ার কারণেও হতে পারে।
বজ্রপাত থেকে বাঁচার কৌশল উল্লেখ করে তিনি বলেন, পৃথিবীব্যাপীই এই কৌশল অনুসরণ করা হয়। সেটা হলো বিদ্যুৎ চমকাতে দেখার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে যদি বজ্রপাতের শব্দ শুনতে পান তাহলে বুঝবেন সেটা আপনার দিকে আসছে বা সেটার দ্বারা আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। আর যদি দেখেন বিদ্যুৎ চমকানোর ৩০ সেকেন্ড পর শব্দটা পেয়েছেন তাহলে বুঝবেন সেটা আপনার থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। সে সময় যদি নিরাপদ আশ্রয়ে না থাকেন তাহলে এক আঙুলের ওপর ভর করে বসে পড়তে হবে। এবং সেটা দ্বারা অনেক ক্ষয়ক্ষতি কমতে পারে। মানুষকে এটা বেশি বেশি করে জানাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বজ্রপাতের সময় যেন মানুষ ঘর থেকে বের না হয়। যদি বাইরে থাকে তবে গাছ বা বিদ্যুতের খুঁটির কাছে যেন না থাকে।
চলমান দাবদাহের বিষয়ে মনোয়ার হোসেন বলেন, সোমবার রাজশাহী ও খুলনায় দাবদাহ চলমান থাকার আশঙ্কা রয়েছে। তবে রাজধানীসহ অন্যান্য বিভাগীয় অঞ্চলে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। ঢাকার তাপপ্রবাহ মৃদু থেকে মৃদু হয়ে সোমবার থেকে দাবদাহ পুরোপুরি কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মে মাসের মাঝামাঝি সময়ের পর ফের বাড়তে পারে তাপমাত্রা, তবে তা দীর্ঘ সময়ের জন্য বা বিস্তর এলাকার জন্য হবে না।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী
মন্তব্য করুন
বজ্রপাতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ অবস্থায় বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার কৌশল জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন। রোববার(৫ মে) আবহাওয়ার সব শেষ খবর জানাতে আগারগাঁওয়ে ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। বজ্রপাতে প্রাণহানির বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মনোয়ার হোসেন জানান, সারা দেশে বজ্রপাত অনেক বেড়ে গেছে। বজ্রপাত এখন যে অবস্থায় গেছে। সে জন্য সরকার একে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই বজ্রপাতে শুধু মানুষ নয়, অনেক পশুপাখিও প্রাণ হারাচ্ছে।