পরিপ্রেক্ষিত এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর বলেছেন, সংবিধান স্বীকৃত জাতির পিতার স্বাস্থ্য ভাবনার পূর্নাঙ্গ বাস্তবায়নই আসলে স্মার্ট স্বাস্থ্য সেবা। এ লক্ষ্যে জাতির পিতা সবার জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে ত্রিমাত্রিক কৌশল গ্রহণ করেছিলেন। আর স্বাস্থ্য সেবার এই ত্রিমাত্রিক কৌশলকে পূর্ণতা দিচ্ছেন দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা।
রোববার (১২ মার্চ) বেলা ১১টায় রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলে (বিএমআরসি) আয়োজিত "জাতির পিতার স্বাস্থ্য ভাবনা এবং দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার কমিউনিটি ক্লিনিক স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবা, স্মার্ট কমিউনিটি ক্লিনিক" শীর্ষক গোল টেবিল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সভাপতি তার নির্বাচনী ইশতেহারে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ২০২৩ সালে তিনি স্মার্ট বাংলাদেশের ঘোষণা দেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা যখন হয়েছিল, তখন অনেকে প্রকাশ্যেই এনিয়ে রঙ্গ-তামাশা করেছেন। একে অবাস্তব একটি পরিকল্পনা বলেই সমালোচনা মনে করতেন। কিন্তু ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তবতা। এবার স্মার্ট বাংলাদেশ নিয়েও কেউ কেউ নানা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।
সৈয়দ বোরহান কবীর বলেন, কোন রাষ্ট্রই আধুনিক স্বনির্ভর এবং স্মার্ট হতে পারবে না যদি না স্বাস্থ্য সেবা স্মার্ট না হয়। স্মার্ট স্বাস্থ্য সেবা আমরা কাকে বলবো? স্মার্ট স্বাস্থ্য সেবা হলো, সব মানুষের জন্য আধুনিক নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী মূল্যে স্বাস্থ্য সেবা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা। হয়রানি মুক্ত জবাবদিহিতা মূলক স্বাস্থ্য সেবা প্রাপ্তি। উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নির্ভরতা হ্রাস এবং বন্ধ। স্বাস্থ্য সেবার প্রতি জন আস্থা এবং অপচিকিৎসা মুক্ত একটি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নামই স্মার্ট স্বাস্থ্য সেবা।
তিনি বলেন, সংবিধান স্বীকৃত জাতির পিতার স্বাস্থ্য ভাবনার পূর্নাঙ্গ বাস্তবায়নই আসলে স্মার্ট স্বাস্থ্য সেবা। এ লক্ষ্যে জাতির পিতা সবার জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে ত্রিমাত্রিক কৌশল গ্রহণ করেছিলেন। প্রথমত: জাতির পিতা তৃণমূল পর্যন্ত নাগরিকদের জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা এবং পুষ্টি নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন। এখান থেকেই আসলে কমিউনিটি ক্লিনিক ধারণা সূচনা। দ্বিতীয়ত, তিনি চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সৃষ্টিতে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। এবং তৃতীয়ত তিনি চিকিৎসা গবেষণার ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। এসব বাস্তবায়নের জন্য জাতির পিতার পিতা আইপিজিএমআর, নিপসম, বি এম ডি সি, বি এম পিস, বি এম আর সি’র মতো প্রতিষ্ঠান গুলো গড়ে তুলেছিলেন। স্বাস্থ্য সেবার এই ত্রিমাত্রিক কৌশলকেই পূর্ণতা দিচ্ছেন দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। একদিকে তিনি যেমন কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ে তৃণমূলের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করেছেন। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক মানের বিশেষায়িত বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে, বাংলাদেশে বিশ্বমানের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। শেখ হাসিনা বার্ণ এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারী ইনিস্টিটিউট, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনিস্টিটিউট, শেখ রাসেল গ্যাষ্টোলিভার ইনিস্টিটিউট, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সুপার স্পেশালইজড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা সহ বিভিন্ন উদ্যোগ বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবাকে আজ বিশ্বমানের করেছে।
তিনি আরও বলেন, বিএমআরসির মতো চিকিৎসা গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী এবং কার্যকর করা হয়েছে গত ১৪ বছরে। তৃণমূল পর্যন্ত চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেয়া, উন্নত এবং বিশ্বমানের বিশেষায়িত চিকিৎসা সেবার পর আমাদের স্বাস্থ্য সেবায় এখনও নানা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। রয়েছে ব্যবস্থাপনার সমস্যা। একারণেই দরকার স্মার্ট স্বাস্থ্য সেবা। যেখানে স্বাস্থ্য সেবা প্রাপ্তিতে ভোগান্তি দূর হবে। চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান গুলো হবে জনবান্ধব। স্বাস্থ্য সেবা প্রাপ্তি হবে ঝামেলাহীন এবং নিশ্চিত থাকবে জবাব দিহিতা। এখানেই কমিউনিটি ক্লিনিক অনেক এগিয়ে। আমরা যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই। যে স্মার্ট স্বাস্থ্য সেবার স্বপ্ন দেখি, তার একটি ক্ষুদ্র রূপ হলো দেশের ১৪ হাজারের বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক। কমিউনিটি ক্লিনিকই হলো স্মার্ট বাংলাদেশ এবং স্মার্ট স্বাস্থ্য সেবার এক ক্ষুদ্র প্রতিরূপ। কমিউনিটি ক্লিনিকে জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের মালিক জনগণ। কমিউনিটি গ্রুপের মাধ্যমে এখানকার কর্মীদের জবাবদিহীতা নিশ্চিত করা হয়েছে। ডিজিটাল ব্যবস্থার মাধ্যমে এখানে সেবা লাভ হয়েছে ঝামেলাহীন, স্মার্ট। স্মার্ট বাংলাদেশের আকাক্সক্ষার গুলোকেই যেন ধারণ করে প্রান্তিক পর্যায়ে দাঁড়িয়ে আছে একেকটি কমিউনিটি ক্লিনিক।
সৈয়দ বোরহান কবীর স্মার্ট স্বাস্থ্য সেবা কমিউনিটি ক্লিনিক
মন্তব্য করুন
সুবর্ণচর আওয়ামী লীগ সাবাব চৌধুরী নোয়াখালী
মন্তব্য করুন
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান বাকিবিল্লাহ। পাবনা-৩ আসনের এমপি মকবুল হোসেন তার ছেলে
চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম হাসনাইন রাসেলের পক্ষে প্রভাব বিস্তার করছেন এবং এতে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয় বলে অভিযোগ করেন
তিনি। এতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি।
রোববার (১২ মে) দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাবের ভিআইপি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বাকিবিল্লাহ। তিনি জেলা আওয়ামী
লীগের সদস্য।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে পাবনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেনের ছেলে গোলাম হাসনাইন রাসেল উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে আমার কর্মী-সমর্থকদের উপর বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার নির্যাতন ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে আসছেন। যে কারণে নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। আমার কর্মী সমর্থকরা ঘর থেকে বের হতে পারছে না।’
বাকিবিল্লাহ বলেন, ‘এমপিপুত্র রাসেল ভাঙ্গুড়া পৌরসভার মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। বাবা এমপি আর ছেলে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হলে আমাদের মত দীর্ঘ
দিনের বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পরিক্ষিত ব্যক্তির জন্য জায়গা কোথায়? তাদের লক্ষ্য বর্তমান এমপি মকবুল আগামীতে নির্বাচন করতে পারবেন না। তাই নিজের ছেলেকে আগামী নির্বাচনে এমপি প্রার্থী করতে এবার উপজেলা চেয়ারম্যান বানানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চাইতে এগিয়ে গ্রেপ্তার হয়ে জেল খেটেছি, বারবার লাঞ্ছিত হয়েছি, তখন এমপি মকবুল ও তার পুত্র রাসেলের রাজনীতির কি পরিচয় ছিল? মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা দিয়েছেন এমপির স্ত্রী-সন্তানরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবে না, তারপরও সেই ঘোষণা উপেক্ষা করে নির্বাচন করছে এমপির ছেলে রাসেল।’
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে বাকিবিল্লাহ বলেন, ‘গত সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন করায় কিছু আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীর উপরে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়েছে, থানায় এসবের অভিযোগ দিয়েও কোন লাভ হয় নাই। আমার উপজেলা নির্বাচনে আমার কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা মামলার ভয় ভীতি প্রদর্শনের কারণে আমার কর্মীরা হতাশাগ্রস্থ। কোথাও কোনো প্রতিকার মিলছে না। এমন পরিস্থিতিতে আমার নির্বাচন করা মোটেও সম্ভব নয়, তাই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লোকমান হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মোস্তফা, হাসিনুর ইসলাম, নুরুল ইসলাম প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লোকমান হোসেন বলেন, ‘এমপি সাহেব ও তার ছেলে অর্থের দাপটে আমাদের নেতাকর্মীকে ভয় দেখিয়ে, লোভ লালসা দিয়ে, টাকা দিয়ে উপজেলা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও প্রভাবিত করছেন। এমপির ছেলে ঘোষণা করছেন নির্বাচন করতে কত টাকা লাগবে। তাই দেওয়া হবে। এত টাকা কোথায় পাচ্ছেন তা জানি না। ১৫ বছর এমপির দায়িত্বে আছেন মকবুল সাহেব, অথচ তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির সাথে ১৫টি কথাও বলেননি। ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী
লীগে তার কোনো সহযোগিতা পাইনা।’
এসব অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও এমপির ছেলে গোলাম হাসনায়েন রাসেল বলেন, 'নির্বাচনের শেষ সময়ে এসে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ানো অসাংবিধানিক। তিনি (বাকিবিল্লাহ) ইতোমধ্যে কর্মী শূণ্য হয়ে পড়েছেন। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সঠিক নয়। অভিযোগ করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন নির্বাচন কমিশন তথা সংশ্লিষ্ট দপ্তর। তিনি সরেজমিনে এলাকা ঘুরে যাওয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, মিথ্যাচারের কিছু সীমা থাকে, সেটা তিনি অতিক্রম করে গেছেন। গত জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপক্ষে কাজ করে নিজেই দল থেকে ছুটে গেছেন।'
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য পাবনা-৩ আসনের এমপি মকবুল হোসেনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আলহাজ মো. বাকী বিল্লাহ (আনারস), উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আলহাজ গোলাম হাসনাইন রাসেল (মোটরসাইকেল)। তিনি পাবনা-৩ এর সাংসদ আলহাজ্ব মো. মকবুল হোসেনের বড় ছেলে। অপর প্রার্থী হলেন, পাবনা জেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজবাহুর রহমান রোজ (ঘোড়া)।
উপজেলা নির্বাচন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রভাব বিস্তার এমপি
মন্তব্য করুন
চাকরির বয়সসীমা শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জনপ্রশাসন মন্ত্রী
মন্তব্য করুন
বিরোধী দলের নেতাদের মামলায় বিচার দ্রুত করতে নতুন ট্রাইব্যুনাল করা নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের যে অভিযোগ তা অস্বীকার করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, নতুন ট্রাইব্যুনাল গঠনের কোনো চিন্তা বা পরিকল্পনা সরকারের নেই।
আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বা বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের মামলা চিহ্নিত করে বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার যে অভিযোগ তারা (বিএনপি) করছে, তা সঠিক নয়। নতুন ট্রাইব্যুনাল গঠনের কোনো পরিকল্পনা নেই সরকারের।
আনিসুল হক দাবি করেন, ‘পুরোনো মামলায় আইনগত সব প্রক্রিয়া মেনেই বিচারকাজ শেষ হচ্ছে। এখানে রাজনৈতিকভাবে সরকারের প্রভাব খাটানোর বা কাউকে ব্যবহার করার কোনো বিষয় নেই।’
উল্লেখ্য, ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আজ (রোববার) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের পুরোনো সব মামলায় বিচার দ্রুত শেষ করে সাজা দেওয়া হয়। সেই প্রক্রিয়া এখনো চলছে। সে জন্য এখন নতুন ট্রাইব্যুনাল গঠন করছে সরকার।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মির্জা ফখরুল বিএনপি আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
কক্সবাজারের রামু থানাকে পূর্বের অবস্থায় ফিরে পেতে মরিয়া এক শ্রেণির দালাল চক্র। ওসি বদলির জন্যে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মিশনে নেমেছে একটি সিন্ডিকেট। বছর কয়েক আগে রামু থানায় আশংকাজনক হারে বেড়ে গিয়েছিল দালালের উপদ্রব। মাদক, গরু পাচার, খুন ও ডাকাতিসহ নানা ধরনের মামলায় তদবির নিয়ে থানার চারপাশে ঘুরঘুর করতেন দালালের একটি চক্র। এই চক্রের সদস্যরা কোথাও কোন ঘটনা সংঘটিত হলে বা মামলার প্রক্রিয়া চললে রীতিমতো তদবির নিয়ে হাজির হয় থানায় ৷ পক্ষ বিপক্ষ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে পুলিশকে ভুল বুঝিয়ে সাধারণ একটি বিষয়কে জটিল করা যেন ছিল তাদের রুটিন ওয়ার্ক। এসব দালালদের কারণে সাধারণ মানুষ যেমন হয়রানির শিকার হচ্ছেন,তেমনি বদনামের তকমা লাগছে পুলিশের উপরও।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, দালাল চক্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় তারা স্বয়ং রামু থানার ওসির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন। এমনকি রামু থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ানকে বদলির জন্যে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মিশনে নেমেছে দালাল চক্র। থানায় দালালদের প্রাধান্য না দেওয়া, তাদের কথা অনুযায়ী কাজ না করা এবং সুযোগ সুবিধা নিতে না পারায় একটি চক্র ওসির বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও বদলির জন্যে মোটা অংকের মিশন নিয়ে নেমেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রামুর এক সাংবাদিক জানান, একটি সিন্ডিকেট থানায় সুবিধা নিতে না পারায় ওসির বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও বদলির মিশন নিয়ে নেমেছে। আগের ওসির কাছ থেকে নিয়মিত সুযোগ সুবিধা নিতেন যারা, তারাই পরিবেশ ঘোলাটে করার মিশনে নেমেছে।
দালাল সিন্ডিকেট চক্রের এক সদস্য অকপটে স্বীকার করেন, আগের ওসি অনেক ভাল ছিলেন। তার আমলে কোন বিষয় নিয়ে সুপারিশ করলে তা কার্যকর করতেন। বর্তমানে এই ওসি কোন ধরনের কোপারেশন করেন না।’
অফিসেরচর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হালিম জানান, রামু থানায় নতুন ওসি তাহের সাহেব যোগদান করার পর একটি জিডি করতে গিয়েছিলাম, সেখানে ওসির সাথে সরাসরি কথা বলে জিডি করার সুযোগ পাই। এবং জিডি বাবদ কোন ধরনের টাকা নেয়নি পুলিশ। এটা অবাক করা বিষয়। আমি জানতাম থানা মানে টাকা, কিন্তু ওইদিন আমি বিনামূল্যে জিডি করার সুযোগ পেয়েছিলাম।
এবিষয়ে চাকমারকুল ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার জানান, ‘আমার এলাকার লোকজন নানা সময় বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে থানায় গেলে সঠিক পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন ওসি আবু তাহের। অনেকে জিডি এর ক্ষেত্রে কোন ধরনের খরচ ছাড়াই লিপিবদ্ধ করিয়েছিলেন বলে জানা আছে। যা অন্য কোন থানায় সম্ভব নই।ওসির সাথে ফোনে কয়েকবার কথা হয়েছিল আমার, উনাকে আন্তরিক এবং সৎ পুলিশ অফিসার বলে মনে হয়েছে।’
রামু থানার ওসি মো. আবু তাহের দেওয়ান জানান, ‘থানায় পূর্বে কি হয়েছিল সেটি আমার দেখার বিষয় না। দালালদের স্থান থানায় হবেনা। আমি যোগদান করার পর থেকে একটি চক্র কৌশলে নানা ধরনের বিষয় নিয়ে থানায় হাজির হন, তাদের কথা অনুযায়ী কাজ না করলে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়। কয়েকদিন ধরে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও কুৎসা রটাচ্ছে এই চক্র। আমাকে বদলির জন্যে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মিশনে নেমেছে তারা।’
ওসি আরও জানান, ‘আমি যতদিন আছি, সেসময়ে কোন দালাল থানায় এসে সুবিধা নিতে পারবেনা। তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের আগষ্ট মাস থেকে চলতি বছরের ১১ মে পর্যন্ত রামু থানায় মোট মামলা রুজু হয় ৭৮০ টি। এর মধ্যে ৭৭৫ টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন অভিযানে মাদক উদ্ধার হয় ৮৫১০০ পিস ইয়াবা, ৭১০ লিটার চোলাই মদ ও ৪০ বোতল বিদেশি মদ। এর মধ্যে মাদক মামলা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৫ টি। ১০ রাউন্ড গুলিসহ বেশ কয়েকটি দেশি-বিদেশি অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়।
মন্তব্য করুন
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান বাকিবিল্লাহ। পাবনা-৩ আসনের এমপি মকবুল হোসেন তার ছেলে চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম হাসনাইন রাসেলের পক্ষে প্রভাব বিস্তার করছেন এবং এতে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। এতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি।
কক্সবাজারের রামু থানাকে পূর্বের অবস্থায় ফিরে পেতে মরিয়া এক শ্রেণির দালাল চক্র। ওসি বদলির জন্যে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মিশনে নেমেছে একটি সিন্ডিকেট। বছর কয়েক আগে রামু থানায় আশংকাজনক হারে বেড়ে গিয়েছিল দালালের উপদ্রব। মাদক, গরু পাচার, খুন ও ডাকাতিসহ নানা ধরনের মামলায় তদবির নিয়ে থানার চারপাশে ঘুরঘুর করতেন দালালের একটি চক্র। এই চক্রের সদস্যরা কোথাও কোন ঘটনা সংঘটিত হলে বা মামলার প্রক্রিয়া চললে রীতিমতো তদবির নিয়ে হাজির হয় থানায় ৷ পক্ষ বিপক্ষ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে পুলিশকে ভুল বুঝিয়ে সাধারণ একটি বিষয়কে জটিল করা যেন ছিল তাদের রুটিন ওয়ার্ক। এসব দালালদের কারণে সাধারণ মানুষ যেমন হয়রানির শিকার হচ্ছেন,তেমনি বদনামের তকমা লাগছে পুলিশের উপরও।