গত ১১ ও ১২ই
ফেব্রুয়ারি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ
হাসিনা হলের গণরুমে এক
নবীন ছাত্রীকে রাতভর শারীরিকভাবে নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে
ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ
উঠে।
ভুক্তভোগী
ফুলপরী খাতুন ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী।
নির্যাতনের পরদিন ১৩ই ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাস
ছেড়ে বাসায় চলে যান ভুক্তভোগী।
তবে ১৪ ফেব্রুয়ারি তিনি
পুনরায় ক্যাম্পাসে ফিরে আসেন। ওইদিনই
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টার
কাছে নির্যাতনকারীদের বিচার ও নিজের নিরাপত্তার
জন্য লিখিত অভিযোগ দেন। পরে তিনি
সাহসিকতার সহিত গণমাধ্যমের কাছে
সেদিন রাতের নির্যাতনের বর্ণনা দেন। এরপর এই
ঘটনা নিয়ে সারাদেশব্যাপী তোলপাড়
শুরু হয়। বিভিন্ন মহলে
চলে আলোচনা-সমালোচনা। এমন ঘটনায় ফুলপরীর
সাহসী ভূমিকা প্রসংশিত হয়েছে সবমহলে।
ছাত্রলীগের
কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেনও ফুলপরীর সাহসিকতার প্রশংসা করে তাকে ‘বেগম
রোকেয়া ও সুফিয়া কামালের
উত্তরসূরি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। এর আগেও ক্যাম্পাসগুলোতে
এমন অনেক র্যাগিংয়ের
ঘটনা ঘটেছে। তবে তাদের মধ্যে
অনেকেই ক্যাম্পাস ছেড়েছেন, আবার কেউ লোকলজ্জা,
আত্মসম্মান ও প্রভাবশালীদের ভয়ে
চুপ করে সবকিছু সহ্য
করেছেন। তবে ফুলপরী ছিল
অন্য সবার থেকে আলাদা।
নির্যাতনের শিকার হয়ে ক্যাম্পাস ছাড়লেও
ফের প্রতিবাদী হয়ে তিনি আবারও
ক্যাম্পাসে ফিরেন। বর্তমানে ফুলপরী থাকছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব
হলে। হাইকোর্টের নির্দেশনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফুলপরীর জন্য এই হলেই
সিট বরাদ্দ দিয়েছেন। সেই প্রতিবাদী ফুলপরী
বর্তমান ক্যাম্পাসে থেকে নিয়মিত ক্লাসে
অংশ নিচ্ছেন।
দীর্ঘদিন
বাড়িতে থাকায় ক্লাসে অংশ নিতে পারেননি
ফুলপরী। তাই এখন বেশিরভাগ
সময় পড়াশোনা করেই পার করছেন
তিনি। ফুলপরী জানিয়েছেন, আমি একাডেমিক পড়াশোনায়
একটু পিছিয়ে থাকার কারণে এখন বেশিরভাগ সময়
পড়াশোনা করেই পার করছি।
আমার শিক্ষকরা নিয়মিত খোঁজ খবর রাখছেন।
আমি পড়াশোনায় পিছিয়ে থাকায় সহপাঠীরাও আমাকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছেন।
নতুন
হলে উঠে পর সবার
সঙ্গে ভালোভাবে মিশে গেছেন ফুলপরী।
তিনি জানিয়েছেন, সম্প্রতি নতুন হলে উঠেছি।
হলে উঠার পর আশপাশের
সবার সঙ্গে ভালোভাবে মিশে গেছি। হলের
সবাই আমার সঙ্গে খুব
ভালো ব্যবহার করছে। সবার সঙ্গে কথা
হচ্ছে, গল্প হচ্ছে। হলের
বড় আপুদের কাছ থেকেও সবধরনের
সাহায্য পাচ্ছি। সবার সঙ্গে মিলেমিশে
খুব ভালো সময় কাটছে।
সেদিন
রাতের নির্যাতনের ভয়াবহতা এখনও পীড়া দিচ্ছে
ফুলপরীকে। ফুলপরী বলেন, সেই রাতের ভয়াবহতা
এখনো আমাকে পীড়া দেয়। যখন
একাকী বসে থাকি তখন
বেশি মনে পড়ে। ওই
ঘটনা মনে পড়লে খুব
কষ্ট হয়। আমি চাই,
কারো জীবনে যেন কখনো এমন
পরিস্থিরি মুখোমুখি না হতে হয়।
আমার সঙ্গে যারা এমন ন্যাক্ক্যারজনক
ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের স্থায়ী বহিষ্কার চাই। তা না
হলে তারা আবার ক্যাম্পাসে
ফিরে এমন ঘটনা ঘটাবে।
ছোট
বেলা থেকেই অন্যায়ের প্রতিবাদ করে বড় হয়েছেন
ফুলপরী। তার প্রতিবাদী হয়ে
উঠার পেছনে তার বাবা-মা
সর্বদা অনুপ্রেরণা ও সাহস জুগিয়েছেন।
পরিবারের স্বপ্ন পুরণে শত-বাঁধা উপক্ষে
করেও সামনে এগিয়ে যেতে চান ফুলপরী।
তিনি বলেন, অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করাই আমার অভ্যাস।
ছোটবেলা থেকে কখনো অন্যায়কে
প্রশ্রয় দেইনি। আমার বাবা-মা
আমাকে এমনভাবেই বড় করেছেন। তবে
মূল অনুপ্রেরণা আমার বাবা। শত
প্রতিবন্ধকতা আসলেও পরিবারের স্বপ্ন পূরন করতে চাই।
সবাইকে
সাহসিকতার সঙ্গে অন্যায়ের প্রতিবাদ করা উচিত বলে
জানিয়েছেন ফুলপরী। তিনি বলেন, আমার
মনে হয় প্রত্যেকের অন্যায়ের
প্রতিবাদ করা উচিৎ। হোক
সে অন্যায় ছোট কিংবা বড়।
আমারা প্রতিবাদ করলে অন্যায় থেমে
যাবে। আমি প্রতিবাদ না
করলে এমন ঘটনা আরো
চলতো। এমনকি আমাকে আগামী পাঁচটি বছরও তাদের বিভিন্ন
নির্যাতন সহ্য করে চলতে
হতো। আমার প্রতিবাদের মধ্যদিয়ে
এ ক্যাম্পাসে আর কোন র্যাগিং বা নির্যাতন হবে
না বলে মনে করি।
প্রসঙ্গত,
নির্যাতনের শিকার ফুলপরী খাতুনের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৫ই ফেব্রুয়ারি পৃথকভাবে
তিনটি তদন্ত কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন,
সংশ্লিষ্ট হল কর্তৃপক্ষ ও
শাখা ছাত্রলীগ। এছাড়া হাইকোর্টের নির্দেশেও একটি তদন্ত কমিটি
করে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন। তদন্ত
প্রতিবেদনে নির্যাতনের সত্যতার প্রমাণ পান হাইকোর্টও।
ফলে ১লা মার্চ জড়িত
পাঁচ ছাত্রীকে বহিষ্কার, ভুক্তভোগীকে তার পছন্দমতো সিট
বরাদ্দ দেয়া, দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট হল প্রভোস্টকে প্রত্যাহার
ও ভিডিও ধারণকারী মোবাইল উদ্ধারসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। পরে
ছাত্রী নির্যাতনে জড়িত পাঁচ ছাত্রীকে
গত ৪ঠা মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়
থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ। বহিষ্কৃতরা
হলেন, শাখা ছাত্রলীগ সহসভাপতি
ও পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের
সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স এ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম, আইন বিভাগের ইসরাত
জাহান মিম, চারুকলা বিভাগের
হালিমা আক্তার ঊর্মি ও ফিন্যান্স বিভাগের
মুয়াবিয়া জাহান। অন্তরা বাদে সকলেই ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী।
তারা সকলেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এই ঘটনায় গত
১লা মার্চ পাঁচজনকেই সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এছাড়া তাদের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল
থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নওগাঁর নিয়ামতপুরে ৪ চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন। প্রতীক বরাদ্দের পরও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে ফেসবুক লাইভে এসে উপজেলা চেয়ারম্যান ওই চার জন পদপ্রার্থী নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। সোমবার (০৬ মে) সকালে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে জাহিদ হাসান বিপ্লব ও আবেদ হাসান মিলন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা নিশ্চিত করেন।
নির্বাচন বর্জনকারী প্রার্থীরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র সহ- সভাপতি শ্রী ঈশ্বর চন্দ্র বর্মন, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান বিপ্লব এবং নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আবেদ হোসেন মিলন।
এদিকে গত ২ মে প্রতীক বরাদ্দের পর আবুল কালাম আজাদ (কাপ পিরিচ), শ্রী ঈশ্বর চন্দ্র বর্মন (ঘোড়া), জাহিদ হাসান বিপ্লব (হেলিকপ্টার) ও আবেদ হাসান মিলন (আনারস) প্রতীক পেয়েছিলিন। প্রতীক বরাদ্দের পর তারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগও চালিয়েছেন।
অভিযোগ কারীরা জানান, ‘উপজেলায় সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন করতে আমরা ইতিমধ্যে সব প্রস্ততি সম্পন্ন শেষ করেছি। সরকার ও আওয়ামী লীগ দলের নির্দেশে এবং খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপির ভাবমূর্তি ও সম্মান রক্ষা করার জন্য সবসময় তাকে নিরপেক্ষ রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তার কর্মী সমর্থকরা আইন ও নির্দেশ অমান্য করে খাদ্যমন্ত্রী ও তার পরিবারের নাম ব্যবহার করছে। আমাদের বিভিন্ন ভাবে ভয় ভীতি দেখিয়ে তারা নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় অধিকাংশ নেতাকর্মীরা ইচ্ছার বিরুদ্ধে ওই প্রতিদ্বন্দ্বির পক্ষে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। এমনকি ইউপি চেয়ারম্যানগণকে বাধ্য করা হচ্ছে ওই পক্ষের হয়ে কাজ করতে। এমত অবস্থায় নিয়ামতপুর উপজেলার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা এবং দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে হানাহানি ও দ্বন্দ্ব ইত্যাদি রক্ষায় আমরা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলাম।’
উল্লেখ্য, নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছিলেন। মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই শেষে ছয় জন প্রার্থীই প্রতীক পেয়েছিল। এখন নির্বাচনী মাঠে রইলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহরাব হোসেন।
উপজেলা নির্বাচন চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্জন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন (আনারস) ও রাশেদ ইউসুফ জুয়েলকে (দোয়াত কলম) শোকজ করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা।
সোমবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটানিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আনারস প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিনকে ১২ ঘণ্টা এবং দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী রাশেদ ইউসুফ জুয়েলকে ২৪ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে শোকজের লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।
শোকজ নোটিশে বলা হয়েছে, রাশেদ ইউসুফ জুয়েল (দোয়াত কলম) আচরণবিধি লঙ্ঘন করে কর্মী-সমর্থক দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন মর্মে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ৩ ও বিধি ৩১ এর পরিপন্থি।
এ অবস্থায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে রাশেদ ইউসুফ জুয়েলের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে গতকাল রোববার নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় উপজেলা পরিষদ বিধিমালা ২০১৩ ও উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
রিয়াজ উদ্দিনের নোটিশে বলা হয়েছে, রোববার (৫ মে) রাতে সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের কাদাই গার্ডেন প্যালেস রিসোর্টে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করে অর্থ লেনদেনের চেষ্টা করেছেন মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া প্রার্থী মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিনের সমর্থক রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফজলুর রহমান ফজলু আনারস প্রতিকের টি-শার্ট পরে শহরের মাহমুদপুর এলাকায় ভোটারদের মধ্যে টাকা বিতরণ করেছেন মর্মে লিখিত অভিযোগ করেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রাশেদ ইউসুফ জুয়েল। এমন কর্মকান্ড উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ১৭ এর পরিপন্থি।
এ অবস্থায় আচরণ বিধি লঙ্ঘনের কারণে মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত ও মৌখিকভাবে জবাব দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় উপজেলা পরিষদ বিধিমালা ২০১৩ ও উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে মোট পাঁচজন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
উপজেলা নির্বাচন চেয়ারম্যান প্রার্থী শোকজ
মন্তব্য করুন
দীর্ঘ তীব্র তাপপ্রবাহের শেষে অবশেষে পটুয়াখালীতে দেখা মিলেছে স্বস্তির বৃষ্টির। সোমবার (৬ মে) বিকেল ৪ টার দিকে আকাশে মেঘ করে শীতল হাওয়া বইতে শুরু করে তারপর সাড়ে ৪ টার দিকে হালকা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। মুষলধারে বৃষ্টি না হলেও তীব্র গরমে হাঁপিয়ে ওঠা জনজীবন একটু হলেও স্বস্তির নিশ্বাস নিচ্ছে।
মানুষ বৃষ্টি দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েছেন। অনেকে মৌসুমের প্রথম বৃষ্টিতে গা ভিজিয়ে নিচ্ছেন মনের আনন্দে। অনেকে আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে জানান দেন স্বস্তির বৃষ্টি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কেউ কেউ সৃষ্টিকর্তার নিকট কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছেন।
উল্লেখ্য, এবার এপ্রিলে দীর্ঘতম তাপদাহ বয়ে গেছে দেশজুড়ে। ১৯৮১ সালের পর এবারের এপ্রিল ছিল শুষ্কতম মাস। শুধু উষ্ণতম নয়, এই এপ্রিল ছিল গত ৪৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শুষ্কতম। দেশের গড় বৃষ্টিপাত ছিল এক মিলিমিটার।
মন্তব্য করুন
নওগাঁর নিয়ামতপুরে ৪ চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন। প্রতীক বরাদ্দের পরও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে ফেসবুক লাইভে এসে উপজেলা চেয়ারম্যান ওই চার জন পদপ্রার্থী নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। সোমবার (০৬ মে) সকালে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে জাহিদ হাসান বিপ্লব ও আবেদ হাসান মিলন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা নিশ্চিত করেন।