ইনসাইড বাংলাদেশ

গ্যাসের গন্ধ ছড়িয়ে পড়া নিয়ে যা বললো জ্বালানি বিভাগ

প্রকাশ: ০৫:১৪ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail

রাজধানীর মতিঝিল, আরামবাগ, মগবাজার, বাড্ডা, বাসাবো, মুগদা নাখালপাড়া, হাজারীবাগসহ আরও বেশ কয়েকটি এলাকায় সোমবার (২৪ এপ্রিল) গ্যাসের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। তা নিয়ে জনসাধারণের মনে আতঙ্ক দেখা দিতে শুরু করে। এক পর্যায়ে এই আতঙ্ক চরমে পৌঁছায়। সংকট সমাধানে চুলা জ্বালানোসহ আগুন জ্বালানো বন্ধ রাখার পরামর্শ দেয় তিতাস কর্তৃপক্ষ।

তবে রাজধানীতে কি কারণে প্রাকৃতিক গ্যাসের গন্ধ ছড়িয়েছে সে বিষয়ে ব্যাখা দিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।

মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য অফিসার মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিনের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একটি ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, সোমবার (২৪ এপ্রিল) রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে ঢাকার রামপুরা, বাড্ডা, বনশ্রী, বেইলি রোডসহ কয়েকটি এলাকায় গ্যাসের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। তাৎক্ষণিকভাবে তিতাস গ্যাসের ১৪টি ইমার্জেন্সি টিম এসব এলাকা পরিদর্শন করে এবং জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ প্রদান করে। একই সঙ্গে যেসব ডিস্ট্রিক্ট রেগুলেটিং স্টেশনের (ডিআরএস) মাধ্যমে ঢাকায় গ্যাস সরবরাহ করা হয়ে থাকে, সেসব ডিআরএস থেকে গ্যাসের চাপ কমিয়ে দেওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে শিল্প-কারখানা বন্ধ থাকাসহ স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় গ্যাসের ব্যবহার কমে যাওয়ায় গ্যাস সরবরাহ লাইনে চাপ কিছুটা বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে গ্যাসের সরবরাহ লাইনে চাপ স্বাভাবিক রয়েছে এবং গ্যাসের সরবরাহ সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে ব্যাখ্যায় জানানো হয়।

জনসাধারণকে আতঙ্কিত না হয়ে নির্বিঘ্নে গ্যাস ও গ্যাসের চুলা ব্যবহারেরও পরামর্শ দিয়েছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।

গ্যাসের গন্ধ   জ্বালানি বিভাগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নাগরিকদের প্রতি যেকোনো ধরনের বৈষম্য আইনের শাসনের পরিপন্থি: রাষ্ট্রপতি

প্রকাশ: ০৬:৫১ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হয় সেদিকে সরকারের পাশাপাশি নাগরিক সমাজকেও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। নাগরিকদের প্রতি যেকোনো ধরনের বৈষম্য আইনের শাসনের পরিপন্থি। কাজেই কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হয়।

শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ৮ম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ হয়ে বেড়ে উঠতে পারে সে লক্ষ্যে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এ লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তির ইস্পাত কঠিন ঐক্যের বিকল্প নেই। ব্যক্তি ও গোষ্ঠী স্বার্থকে উপেক্ষা করে দেশ ও জনগণের স্বার্থে সবাইকে কাজ করতে হবে।’

তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ডিজিটাল মাধ্যমকে ইতিবাচকভাবে ব্যবহার করুন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়ুন, বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও আদর্শ সম্পর্কে জানুন। মননে, বোধে, জীবনাচরণে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে বুকে লালন করে বাঙালির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরুন।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ২১ বছর পর ১৯৯২ সালে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে শুরু হয়ে এই  আন্দোলনের প্রাজ্ঞ নেতৃবৃন্দ প্রায় ৩৩ বছর ধরে নানা চড়াই-উতরাই, ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে এই সংগঠনকে আজকের জায়গায় নিয়ে এসেছেন। কেবল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারই নয়, মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী প্রজন্মের কাছে এই মহাসংগ্রামের প্রকৃত ইতিহাস পৌঁছে দিয়ে তাদের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে দীক্ষিত করার ক্ষেত্রেও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

সাহাবুদ্দিন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সহনশীল ও মানবিক সমাজ এবং রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আগামী দিনগুলোতেও ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও ঘাতক-দালাল চক্র মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনাসহ আমাদের সাফল্যকে ম্লান করে দিতে অবিরাম অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধাপরাধী বা মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ সম্পন্ন হলেও ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির কাজ কখনও শেষ হবে না। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির ভূমিকা অতীতের মতো ভবিষ্যতে উজ্জ্বলভাবে কার্যকর থাকবে।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের চলমান বিচার আজ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও প্রশংসা অর্জন করেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ আর্থ-সামাজিক ও তথ্য-প্রযুক্তির নানা সূচকে বিশ্বের দরবারে উজ্জ্বল দৃষ্টান্তে পরিণত হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে যাত্রা শুরু করেছি আমরা। এই অগ্রযাত্রার পথে সরকারের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল মৌলবাদ ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ। প্রধানমন্ত্রীর সাহসী নেতৃত্ব এবং জঙ্গিবাদের প্রতি সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কারণেই জঙ্গিবাদ দমনে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ৮ম জাতীয় সম্মেলন-২০২৪ এর সভাপতি বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলিম, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক, বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মানবাধিকার নেতা নির্মল রোজারিও, আদিবাসী মুক্তি মোর্চার সভাপতি অধ্যাপক যোগেন্দ্রনাথ সরেন, বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়, ন্যায় অধিকার তৃতীয় লিঙ্গ উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান সমাজকর্মী আনোয়ারা ইসলাম রাণী এবং  ৮ম জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক কাজী মুকুল বক্তব্য রাখেন।


রাষ্ট্রপতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আমরা এদেশের মানুষের কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে চাই: আইজিপি

প্রকাশ: ০৬:৩৮ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা ও প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা আগামী দিনেও এদেশের মানুষের কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে চাই।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে মৌলভীবাজার পুলিশ লাইন্স গেটে নির্মিত বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক টেরাকোটা মৃত্যুঞ্জয়ী ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, সকলের সহযোগিতায় এদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। নতুন প্রজন্ম এই টেরাকোটা থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতার সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে।

সাংবাদিদের এক প্রশ্নের জবাবে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, এই সরকারের সময়ে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে পুলিশ সাফল্যজনক ভূমিকা পালন করেছে। জঙ্গি ও সন্ত্রাস সম্পূর্ণরুপে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এছাড়া সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় লোকবল ও লজিস্টিক সাপোর্ট পুলিশের রয়েছে।

পরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সভাকক্ষে সিলেট রেঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলায় কর্মরত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন আইজিপি।

এ সময় পুলিশের সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার মো. জাকির হোসেন খান, মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমানসহ সিলেট রেঞ্জের বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 


মানুষ   আইজিপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পশুর জন্য প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎপাদন বাড়ান: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৬:১০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

পশুর জন্য নিরাপদ উপায়ে প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎপাদন বাড়নোর তাগাদা দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান। শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার এবং এগ্রিকালচারাল কোওপারেটিভ ডেভেলপমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল/ভলেন্টিয়ারস ইন ওভারসিজ কোওপারেটিভ এসিস্ট্যান্স এর যৌথ উদ্যোগে গৃহীত বাংলাদেশ ক্লাইমেট স্মার্ট লাইভস্টক প্রকল্প কতৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে মন্ত্রী এ তাগাদা দেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর রহমান বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ক্রমবর্ধমান  চাহিদা পূরণে আমাদের প্রাণিজ খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে। তবে এ উৎপাদন বৃদ্ধি হতে হবে পরিবেশসম্মতভাবে। পশু খাদ্যের প্রকৃতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। আধুনিক পদ্ধতিতে পশু খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিকভাবে গো খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানো গেলে গ্রীণ হাউজ গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ কমে আসবে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের সাথে এসব বিষয় নিয়ে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে এসময় উল্লেখ করেন। এক সাথে কাজ করার মাধ্যমে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব হবে বলে তিনি এসময় মন্তব্য করেন।

পশুর খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন আনার জন্য খামারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের গবাদিপশুর শুধু উৎপাদন বাড়ালেই হবে না। বরং পরিবেশসম্মতভাবে তা বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহারযোগ্য ঘাসের উৎপাদন বাড়ানোর উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন এবং ঘাস চাষের উপর জোর দেয়ার জন্য খামারীদের প্রতি তিনি আহবান জানান।

মন্ত্রী বলেন, পশু থেকে যে বর্জ্য বের হয় তা কিভাবে বিজ্ঞানসম্মত ভাবে কাজে লাগানো যায় তা নিয়ে আমাদের গবেষণা করতে হবে। গোবর থেকে যে গ্যাস উৎপন্ন হয় তা সঠিকভাবে কাজে লাগানোর উপায় বের করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি তিনি এসময় আহবান জানান।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, ইউনাইটেড স্টেটস অফ এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) এর এগ্রিকালচারাল অ্যাটাশে সারাহ গিলেস্কি, এসিডিআই/ভোকা এর চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সিলভিয়া জে. মেগ্রেট এসময় উপস্থিত ছিলেন।


প্রাকৃতিক   খাদ্য   মৎস্য   প্রাণিসম্পদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জালভোট পড়লেই কেন্দ্র বন্ধ হবে হুঁশিয়ারি ইসি হাবিবের

প্রকাশ: ০৫:৪৩ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

একটা ভোট জাল পড়লেই কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, ভোটকেন্দ্র দখল তো দূরের কথা, একটা ভোট জাল পড়লেই কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হবে।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে ঝালকাঠি শিল্পকলা একাডেমিতে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

মো. আহসান হাবিব খান বলেন, পেশিশক্তি ও কালো টাকা দিয়ে কেউ প্রভাব বিস্তার কিংবা ঝামেলা করতে চাইলে পুলিশকে ডাকবেন, তারা ব্যর্থ হলে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে সেই সব কেন্দ্রগুলোতে পরে আলাদা করে ভোট নেওয়া হবে। ভোটার উপস্থিতি বাড়তে স্ব স্ব এলাকায় মাইকিং করে ব্যাপক প্রচার চালানো হবে; যাতে করে ভোটাররা নির্ভয়ে কেন্দ্রে এসে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন।

তিনি বলেন, সব প্রার্থীই আমার কাছে সমান। যে কোনো মূল্যে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা হবে। কোনো প্রার্থী আচরণবিধি ভঙ্গ বা নির্বাচনী অপরাধ করলে তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

উপজেলা নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র কেউ পেশিশক্তি ব্যবহার করতে চাইলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুষ্ঠু নির্বাচন। আর স্থানীয় সরকার নির্বাচন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। সারা দেশের মানুষ রাজনৈতিক দলসহ সবার চাওয়া একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। এই দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত।

তিনি আরও বলেন, আমরা জাতিকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে চাই।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগকে নির্দেশ দেন তিনি।

ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুমের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম, পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক জাহিদুর রহমান ও বরিশাল র‌্যাব-৮ এর অধিনায়ক কর্নেল জুবায়ের আলম শুভ প্রমুখ।


ইসি হাবিব   নির্বাচন কমিশন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নয়: প্রশাসনের শীর্ষ দুই পদে কারা আসছে?

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

সরকার আর ঢালাওভাবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিবে না। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। আর এই তথ্যের বাস্তবতা পাওয়া গেছে সাম্প্রতিক সময়ে। দু’জন সচিবের চাকরীর মেয়াদ শেষ হয়েছে তারা চেষ্টা তদবির করেও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিতে পারেননি। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে থাকা বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ শেষ পর্যন্ত অবসরে গেছেন। তার জায়গায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ সেলিমকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের জন্য চেষ্টা করেছিলেন। তার জন্য অনেকে তদবিরও করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাকেও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়নি। সেখানে নতুন সচিব নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, সরকার আপাতত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে। আর এই বাস্তবতার কারণে সামনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফিজুর রহমানেরও নতুন করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নবায়ন হচ্ছে না বলে জানা গেছে। তার স্থলে নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাঙ্গীর আলম দায়িত্ব পেতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।

এছাড়াও আগামী মাসে বেশ কয়েকটি সচিবের পদ শূন্য হচ্ছে। ১২ জুন অবসরে যাচ্ছেন সত্যজিত কর্মকার। যিনি পরিকল্পনা বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও সরকারি কর্ম কমিশনের সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোলের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে ১৫ জুন। তাকেও নতুন করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হবে না বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসনের মধ্যে সবচেয়ে আলোচনা এবং জল্পনা-কল্পনার বিষয় হলো, প্রশাসনের শীর্ষ দুই পদে কারা আসছেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার চাকরীর মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে আগামী ৫ জুলাই। তিনি ইতোমধ্যে চুক্তিতে আছেন। নতুন করে তার চুক্তি যদি নবায়ন না হয় তাহলে এখানে নতুন মুখ দেখা যেতে পারে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, যদি জ্যেষ্ঠতার নীতি অনুসরণ করা হয়, তাহলে নৌ পরিবহন সচিব মোস্তফা কামাল প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেতে পারেন। আর অন্যদিকে দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠ হিসেবে রয়েছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা। তারও এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনের সম্ভাবনা রয়েছে।

আর যদি সরকার জ্যেষ্ঠতার নীতি অনুসরণ না করেন তাহলে ১৩ ব্যাচের কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীর সচিব সালাহ উদ্দিন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কে হবেন এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানামুখী আলাপ আলোচনা চলছে।

চলতি বছর ১০ অক্টোবর শেষ হয়ে হচ্ছে চুক্তিতে থাকা মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেনের চাকরির মেয়াদ। আগামী ১৪ অক্টোবর তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। নতুন করে তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়ার সম্ভাবনা খুব কম বলে মনে করছেন বিভিন্ন হল। এরকম বাস্তবতায় তার স্থলে কে মন্ত্রিপরিষদের মুখ্য সচিব হবেন তা নিয়েও আলাপ আলোচনা চলছে।

আর বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা সিনিয়র সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী পরবর্তী মন্ত্রিপরিষদ সচিব হতে পারেন। কারণ এক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতার নীতি অনুসরণ করা হয়। মেজবাহ উদ্দিন চৌধুররির চাকরির মেয়াদ আছে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সবকিছু ঠিকঠাক তাহলে তারই মন্ত্রিপরিষদ সচিব হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি বলে জানা গেছে।


প্রশাসন   সচিব   মন্ত্রণালয়   মন্ত্রিপরিষদ   বাংলাদেশ কর্ম কমিশন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন