ইনসাইড বাংলাদেশ

দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন: কক্সবাজারে হচ্ছে লবণ গবেষণা ইনিস্টিউট


Thumbnail

তীব্র দাবদাহে দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন হয়েছে এবার কক্সবাজারে। চেষ্টা চলছে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে লবণ রপ্তানি করার। এ জন্য

কক্সবাজারে হচ্ছে বঙ্গবন্ধু লবণ গবেষণা ইনিস্টিউট।এই গবেষণা ইনিস্টিউটের মাধ্যমে লবণ উৎপাদনে আসছে   আরো প্রযুক্তি নির্ভর চমকপ্রদ   সু খবর। পলিথিন প্রযুক্তির মাধ্যমে ধবধবে সাদা লবণ উৎপাদনের যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৮ সালে। লবণ শিল্প উন্নয়ন প্রকল্প (বিসিক) কক্সবাজারের সাবেক উপ মহা ব্যবস্থাপক ড. সালাহউদ্দিনের হাত ধরে প্রথম সাদা লবণ করে  সীমিত পরিসরে পরীক্ষামূলক ভাবে চাষীরা ।তিনিই কাঁদা লবণ  থেকে চাষীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে  সাদা লবণ উৎপাদনে ফিরিয়ে আনেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন আগামীতে সরাসরি সমুদ্রের লবনাক্ত  পানি পাইপ লাইনের মাধ্যমে উত্তোলন করে মেশিনের সাহায্যে রি সাইক্লিং করে একদিকে লবণ অন্যদিকে বিশুদ্ধ খাবার পানি বের করা হবে।তখন শুষ্ক মৌসুমে লবণ উৎপাদনের জন্য অপেক্ষা করা যেমন  লাগবেনা তেমনি ভূ গর্ভস্থ মিঠাপানির  জন্য নির্ভর করতে হবেনা উপকূলবাসীদের। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এ প্রযুক্তিতে লবণ উৎপাদন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম লবণ মিল মালিক সমিতির সভাপতি নুরুল কবির।   এদিকে ডিজিটাল আইল্যান্ড মহেশখালী উপজেলার মোহরা কাটার বাসিন্দা লবণ চাষের সাথে সরাসরি জড়িত  এডভোকেট সাহাব উদ্দীন এ প্রতিবেককে জানান, সমুদ্রের পানি উত্তোলন করে রি সাইক্লিং এর মাধ্যমে লবণ উৎপাদনের প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি।  এর কারিগরি দিক নিয়ে ইতিমধ্যে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে।

দেশের চাহিদার সমপরিমাণ লবণ চট্টগ্রামের বাঁশখালীসহ কক্সবাজার উপকূলীয় অঞ্চলে উৎপাদিত হয়ে আসছে। কোন কোন মৌসুমে চাহিদার চেয়ে উৎপাদন কিছুটা ঘাটতি থাকলে ও আমদানি করে সেই চাহিদা পূরণ করা হয়। আবার লবণের মূল্য কম থাকলে ও চাষীরা লবণ উৎপাদনে নিরুৎসাহিত থাকে। ফলে চাহিদার সমপরিমাণ লবণ উৎপাদন হয়না কোন কোন মৌসুমে । এমনকি শুষ্ক মৌসুমে বৈরী আবহাওয়া বা অসময়ে বৃষ্টিপাত হলে ব্যাহত হয় লবণ উৎপাদন। তাই আরো আধুনিকায়ন করে লবণ উৎপাদন প্রক্রিয়া সম্প্রসারণের লক্ষ্যে করা হচ্ছে গবেষণা ইনিস্টিউট।

কক্সবাজার লবণ শিল্প উন্নয়ন প্রকল্পের উপ মহা ব্যবস্থাপক মোঃ জাফর ইকবাল বলেন, লবণকে আরো প্রযুক্তি নির্ভর, উন্নত চাষাবাদ পদ্ধতি উদ্ভাবনের রূপরেখা তৈরি করার জন্য লবণ গবেষণা ইনিস্টিউটের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়ায় এ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।

লবণ উৎপাদনের জন্য দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের খুলনা পটুয়াখালী, সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন এলাকায় সমীক্ষা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন লবণ শিল্প উন্নয়ন প্রকল্পের এই কর্মকর্তা। কক্সবাজার জেলার চৌফলদন্ডীতে ৩০ একর জমির উপর নির্মাণ করা হবে বঙ্গবন্ধু লবণ গবেষণা ইনিস্টিউট।এ প্রকল্পটি একনেকের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

এ দিকে কক্সবাজার উপকূলের লবণচাষিরা এবার লবণ উৎপাদনে ৬২ বছরের রেকর্ড ভেঙ্গেছে ।আজ থেকে ৬২ বছর আগে মাঠ পর্যায়ে সমুদ্রের পানি জমিতে তুলে  সূর্যতাপে শুষ্ক মৌসুমে কাদা লবণ উৎপাদনের যাত্রা শুরু হয়।এর আগে সমুদ্রের লবনাক্ত পানি  বড় বড় পাত্রে দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে কাঠ পুড়িয়ে করা হতো লবণ উৎপাদন। 

সম্প্রতি চলতি মৌসুমের সাড়ে ৪ মাসে জেলার ৬৪ হাজার ৪৬৬ একরের বেশি জমিতে লবণ উৎপাদিত হয়েছে প্রায় সাড়ে ২০ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন। গত বছর এ সময়ে লবণ উৎপাদন হয়েছে সাড়ে ১৭ হাজার মেঃটন। বিসিকের তথ্যমতে, এর আগে সর্বোচ্চ ১৮ লাখ ৩২ হাজার মেট্রিক টন লবণ উৎপাদনের রেকর্ড ছিল ২০২১ সালে। সব ঠিক থাকলে চাহিদার ২৩ লাখ ৯৫ হাজার মেঃটন লবণ উৎপাদন করতে সময় লাগবে ৭/১০ দিন। এটি যদি হয় এই প্রচন্ড দাবদাহে চাহিদার চেয়ে বেশী লবণ উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে

আরেকটি রেকর্ড হওয়ার সম্ভাবনা আছে। লবণের মৌসুম শেষ হতে আরও ১০/১২ দিন আছে। এ সময়ের মধ্যে আরও ৪ থেকে ৫ লাখ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন করা সম্ভব হলে দেশের ১৭ কোটি মানুষের বার্ষিক চাহিদা পূরণ  করে লবণ রপ্তানি করা যেতে পারে বলে জানান লবণ মিল মালিক সমিতির নেতারা। লবণের বার্ষিক চাহিদা ২৩ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন। এ পরিমাণ লবণ উৎপাদন সম্ভব হলে সেটি হবে বাণিজ্যিকভাবে লবণ উৎপাদন শুরুর ৬২ বছরের সর্বোচ্চ।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) তথ্য অনুযায়ী, জেলায় বাণিজ্যিক লবণ উৎপাদন শুরু হয় ১৯৬০ সালে। চলতি মৌসুমে লবণ উৎপাদন বাড়ার কারণের মধ্যে আছে মৌসুমজুড়ে দাবদাহ পরিস্থিতি, কম বৃষ্টিপাত এবং ৬৪ হাজার ৪৬৬ একর জমির শতভাগে আধুনিক পলিথিন প্রযুক্তিতে চাষাবাদ। সনাতন পদ্ধতির তুলনায় পলিথিন প্রযুক্তিতে আড়াই গুণ লবণ বেশি উৎপাদন হয়।

চলতি মৌসুমে (১৫ নভেম্বর থেকে ১৫ মে পর্যন্ত ছয় মাস) কক্সবাজার সদর, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া, চকরিয়া, ঈদগাঁও, ও বাঁশখালী উপজেলার ৬৪ হাজার ৪৬৬ একর জমিতে লবণ উৎপাদন করা হচ্ছে।

বিসিক কর্মকর্তা ও চাষিরা বলেন, চলতি মৌসুমে লবণ উৎপাদনের জন্য আরও ১০/১২ দিন (১৫ থেকে ২০ মে পর্যন্ত) সময় হাতে আছে। তবে এ সময়ের মধ্যে ঝড়-বৃষ্টিসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা আছে। অন্তত সাত থেকে আট দিন সূর্যের তাপ কিংবা রোদ পাওয়া গেলে আরও তিন থেকে চার লাখ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। 

বিসিক লবণ উন্নয়ন প্রকল্পের মাঠ পরিদর্শক মো. ইদ্রিস আলী বলেন, ২০২০ সালে যখন লবণনীতি করা হয়, তখন দেশের লোকসংখ্যা ১৮ কোটি ধরে লবণের বার্ষিক চাহিদা ২৩ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন নির্ধারণ করা হয়। এখন আদমশুমারিতে দেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি। এ ক্ষেত্রে ২০ লাখ মেট্রিক টন লবণ দিয়ে ১৭ কোটি মানুষের বার্ষিক চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।

কয়েকজন চাষির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৩–১৪ দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলে প্রচণ্ড দাবদাহ চলছে। মাঠে জমানো সমুদ্রের লোনাপানি দ্রুত শুকিয়ে লবণ তৈরি হচ্ছে। গত কয়েক দিন মাঝেমধ্যে আকাশে কালো মেঘ দেখা গেলেও বৃষ্টি হয়নি। তবে পুরো মৌসুমজুড়ে ৩ দফার বৃষ্টিতে ১৫–২০ দিন মাঠের লবণ উৎপাদন বন্ধ ছিল।

দাবদাহে এখন ৬৪ হাজার ৪৬৬ একরের বেশি জমিতে দৈনিক উৎপাদিত হচ্ছে ২৫ /৩০ হাজার মেট্রিক টন লবণ।

বিসিকের কর্মকর্তা মো. ইদ্রিস আলী বলেন, বর্তমানে মাঠপর্যায়ে প্রতি মণ লবণ বিক্রি হচ্ছে ৪২০-৪৩০ টাকায়। ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় চাষিরা আর্থিকভাবে লাভবান হয়ে বেশ খুশি।

টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের চাষি আমিন উল্লাহ (৫০) বলেন, প্রচণ্ড দাবদাহ পরিস্থিতিতে লবণের বাম্পার উৎপাদন হচ্ছে। প্রতি মণ লবণ বিক্রি হচ্ছে ৪২০ টাকায়।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, দাবদাহ পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হলেও লবণচাষিদের কপাল খুলে যাচ্ছে। লবণের দামও বেশি পাচ্ছেন। গত মৌসুমে প্রতি মণ লবণ বেচাবিক্রি হয়েছিল ২৮০ টাকায়, এবার ৪২০ টাকার বেশি।

কক্সবাজারের চৌফলদন্ডীর চাষি মনিরুল ইসলাম (৪৭) বলেন, মাঠে লবণের বাম্পার উৎপাদন হলেও মনে আতঙ্ক থেকে গেছে। কারণ, আকাশে মাঝেমধ্যে কালো মেঘ জমছে। যেকোনো মুহূর্তে ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে। তখন লবণ উৎপাদন ব্যাহত হবে।

বাংলাদেশ লবণ উৎপাদন চাষী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোস্তফা কামাল চৌধুরী বলেন, ঝড়–বৃষ্টির শঙ্কা থাকা সত্ত্বেও চাষিরা মাঠ ছাড়ছেন না। ঝুঁকি নিয়ে লবণ উৎপাদন চালিয়ে গেলেও চাষিরা লবণের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। চাষিদের চাওয়া, প্রতি মণ লবণের দাম ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হোক।

বিসিকের তথ্যমতে, প্রায় ৪৩ হাজার প্রান্তিক চাষি, লক্ষাধিক শ্রমিকসহ জেলার অন্তত ১০ লাখ মানুষ লবণ উৎপাদন, বিপণন, পরিবহন ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।

 লবণের মধ্যস্ত্বভোগী কালারমারছড়র শামশুল আলম বলেন,এ বছর লবণের বাম্পার ফলনের পাশাপাশি লবণের দাম ও রয়েছে বেশ চড়া। ফলে চাষীরা যেমন লাভবান হচ্ছে, অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ও রয়েছে চাঙ্গাভাব।বিশেষ করে কক্সবাজারের লবণ মিল মালিকরা লবণের চাষ ও করেন, মিলে লবণ চূর্ণ বিচূর্ণ করে আয়োডিন মিশ্রণ করেন।এসব লবণ প্যাকেটিং করে বাজারজাত করে থাকেন। 

লবণ মিল মালিক সমিতির সভাপতি ফখরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, লবণের উৎপাদন আরো সম্প্রসারণ ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হলে দেশের উৎপাদিত লবণ বিদেশে ও রপ্তানি করা যেতে পারে।এ উদ্দেশ্যে সরকার লবণ শিল্প উন্নয়নে কক্সবাজারে যে বঙ্গবন্ধু লবণ গবেষণা ইনিস্টিউট করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তা অত্যান্ত সময়োপযী পদক্ষেপ। এতে করে লবণ চাষের জমির পরিধি যেমন বাড়বে তেমনি, প্রশিক্ষিত দক্ষ লবণ উৎপাদনকারী শ্রমিকের সংখ্যা ও বাড়বে।ফলে লবণ রপ্তানিকারক খাত হিসেবে প্রতিষ্টালাভ করবে।

দেশের এক তৃতীয়াংশ লবণ উৎপাদনকারী এলাকা মহেশখালী কুতুবদিয়ার সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক বলেন,আমি নিজে ও লবণ চাষী।এই লবণ শিল্পকে আরো গতিশীল করতে দেশের প্রথম বঙ্গবন্ধু লবণ গবেষণা ইনিস্টিউট কক্সবাজারের চৌফলদন্ডীতে হচ্ছে।এটি দেশের লবণ শিল্পের জন্য একটি যুগান্তকারী ঘটনা। আমরা যে জমিতে শুষ্ক মৌসুমে লবণ উৎপাদন করি আর বর্ষা মৌসুমে সেখানে চিংড়ি চাষ করি। তাই আমাদের জীবন জীবিকা রুটি রুজির ঠিকানা এই দুই ফসলী জমি। চিংড়ি রপ্তানি করে জিডিপিতে আমরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছি।পাশাপাশি লবণ রপ্তানি শুরু করতে পারলে দেশ অনেকদূর এগিয়ে যাবে।তিনি আরো বলেন,আওয়ামীলীগ বা শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকলে লবণ ও চিংড়ি চাষীরা উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পেয়ে থাকে।চাষ পদ্ধতিতে আসে আধুনিকতা।এ যাবত কালের সর্বোচ্চ লবণের মূল্য পাচ্ছে চাষীরা।এ জন্য কক্সবাজার উপকূলের মানুষের মূখে এখন হাসির উচ্ছাস।তিনি আরো বলেন,এবার দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন হয়েছে। তাই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবার ১০/২০ লবণ উৎপাদনকারী চাষীকে আনুষ্ঠানিক ভাবে পুরস্কৃত করবেন।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বুলেট থাকতে ব্যালটে কেউ হাত দিতে পারবে না: ফরিদপুর জেলা প্রশাসক

প্রকাশ: ১০:৪৫ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বলেছেন, ‘একটি ব্যালটের বিপরীতে একটি বুলেট ব্যবহার করা হবে। বুলেট থাকতে ব্যালটে কেউ হাত দিতে পারবে না।’

তিনি বলেন, ‘কেউ ভোট কাটতে একটা ব্যালটে হাত দিতে চাইলে তার জন্য একটি বুলেট খরচ করা হবে। তাই যারা এই পরিকল্পনায় আছে তারা ভুলে যান, এবার অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।’

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে সদরপুর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাচন অফিসের আয়োজনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপ উপলক্ষে প্রিসাইডিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ ও মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা (ইউএনও) মো. সৈয়দ মোরাদ আলীর সভাপতিত্বে ওই মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ মোর্শেদ আলম, সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার তারেক আহম্মদ, সদরপুর থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাচন ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ।


জেলা প্রশাসক   কামরুল আহসান তালুকদার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কাঁচা মরিচের কেজি ছাড়াল ২০০ টাকা

প্রকাশ: ১০:০৩ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

কাঁচা মরিচের দাম আরও বেড়েছে। গত ১০ দিনের ব্যবধানে এই পণ্যের দাম দ্বিগুণ হয়ে প্রতি কেজি ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে। কোথাও কোথাও আরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বছরের এই সময়ে বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি থাকে। ফলে আমদানি করে মরিচের প্রয়োজন মেটাতে হয়। তবে এবার দাম বাড়তে থাকলেও সরকারের পক্ষ থেকে দাম নিয়ন্ত্রণে এখনো কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।

এবার কাঁচা মরিচের দাম বাড়ছে ঈদুল আজহার মাসখানেক আগে থেকেই। গত বছর কোরবানির সময়ে ঢাকায় কাঁচা মরিচের কেজি ৭০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। তখন দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দিয়েছিল।

গত পাঁচ বছরের বাজারের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বছরের এই সময়ে উৎপাদন কমে যাওয়ায় কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা বাড়ে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশে বৃষ্টিসহিষ্ণু মরিচের জাত কম। ফলে বৃষ্টি বেশি হলে কাঁচা মরিচের উৎপাদন কমে যায়। তখন আমদানি করে কাঁচা মরিচের চাহিদা মেটানো হয়। সাধারণত ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি করা হয়। তবে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার থেকেও কিছু কাঁচা মরিচ আসে। মিয়ানমারে চলমান যুদ্ধের কারণে কাঁচা মরিচ আমদানিতে ভারতের ওপর নির্ভর করতে হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সঙ্গনিরোধ শাখা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি (আইপি) দেওয়া হয়নি। তবে বাজারে কাঁচা মরিচের দাম ও সরবরাহ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। চাহিদা ও সরবরাহ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।


কাঁচা   মরিচ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জুজুৎসুর নিউটন ভয়ংকর যৌন নিপীড়ক: র‍্যাব

প্রকাশ: ০৯:৫৫ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

নারী ক্রীড়াবিদদের ধর্ষণ ও শারীরিক নিপীড়ন। অপ্রাপ্তবয়স্ক ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে অনৈতিক কার্যকলাপের কারণে গর্ভবতী হলে তাদের গর্ভপাত করানোর মতো ভয়ংকর কাজও করেছেন তিনি। নারী ক্রীড়াবিদকে ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় প্রধান আসামি বাংলাদেশ জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম নিউটনকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জেনেছে র‍্যাব।

তার অনৈতিক এ কাজে আরেক নারী সহযোগী ক্রীড়াবিদকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলায় দ্বিতীয় আসামি ওই নারী ক্রীড়াবিদকে ইতোমধ্যে রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।

র‍্যাব কমান্ডার আরাফাত ইসলাম জানান, ১৮ মে রাজধানীর শাহ আলী ও মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে রফিকুল ইসলাম নিউটন ও তার সহযোগী একজন নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। জুজুৎসু এসোসিয়েশনের একজন নারী ক্রীড়াবিদদের করা নারী শিশু নির্যাতন দমন ও পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

সংবাদ সম্মেলনে  র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ধর্ষণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা স্বীকার করেছেন। রফিকুল ইসলাম নিউটন জুজুৎসু (জাপানি মার্শাল আর্ট) খেলার প্রশিক্ষক। অ্যাসোসিয়েশনের অধিকাংশ প্রশিক্ষণার্থী নারী। যেখানে অভিভাবক হিসেবে কোমলমতি মেয়েদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি কোমলমতি মেয়েদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তার হীন চরিত্র চরিতার্থ করার প্রয়াস চালান।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, রফিকুল ইসলাম নিউটন অ্যাসোসিয়েশনের অপ্রাপ্তবয়স্ক নারী ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে অনৈতিক কার্যকলাপের কারণে কেউ গর্ভবতী হলে তাদের গর্ভপাত করাতেন। এছাড়া অনুশীলনের আগে মেয়েদের পোশাক পরিবর্তনের কক্ষে প্রবেশ করে তাদের জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ ও নগ্ন ছবি তুলে রাখতেন তিনি। পরে ধারণ করা নগ্ন ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ব্ল‍্যাকমেইল করে বারবার ধর্ষণ করতেন।


জুজুৎসু   নিউটন   র‍্যাব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদি অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ


Thumbnail

আগামী ২১ মে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন ২ জন। এর মধ্যে জনগণের ও সরকার দলীয় কর্মীদের পছন্দের প্রার্থী তালিকায় অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ অন্যতম। অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদের আনারস প্রতীকে ভোট দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ভোটাররা।

অপর প্রার্থী আলতাফ হোসেন মোটরসাইকেল প্রতীকে প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। তবে তার বিরুদ্ধে চরের জমি নিয়ে নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, আইন অমান্য করে মাছ শিকারসহ জেলেদেরকে দিয়ে নদী দখল ও বাস্তুচ্যুতদের মহিষ দিয়ে চর দখলে রেখেছেন।

প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভোটারদের মন জয় করতে নানা কুরুচীপূর্ণ বক্তব্য দিতেও সংকোচ বোধ করছেন না অনেকে।

এদিকে নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি  মেনে চলার  আহ্বান জানিয়েছে।


বিজয়   অধ্যক্ষ   মামুনুর রশীদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যে কারণে ডিবি কার্যালয়ে যান মামুনুল হক

প্রকাশ: ০৯:১৬ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেফাজত ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হক প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবস্থান করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে। পরে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে তিনি ডিবির কার্যালয় ত্যাগ করেন।

সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নেওয়ার জন্য তিনি ডিবি কার্যালয়ে এসেছিলেন।

মামুনুল হক বলেন, আমাকে যখন গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তখন মামলার আলামত হিসেবে আমার মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়েছিল। সেই মোবাইল ফোনটি নিতে আমি আজ ডিবি কার্যালয়ে এসেছি।

ডিবি কার্যালয়ে মামলা সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাকে ডিবি ডাকেনি এবং মামলা সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি।

মোবাইল ফোনটি তিনি ফেরত পেয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই হেফাজতের এই নেতা গাড়িতে উঠে যান।


মোবাইল   ডিবি   মামুনুল হক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন