ইনসাইড বাংলাদেশ

সাইবার সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনী বাধা কোথায়?


Thumbnail সাইবার সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনী বাঁধা কোথায়?

বিদেশে বসে থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট, কল্পনানির্ভর গল্প-গুজব নির্মাণ করে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে কিছু সাইবার সন্ত্রাসী। রাষ্ট্র, সরকার, সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অপপ্রচার চালালেও  ধরা-ছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে এসব সাইবার সন্ত্রাসীরা। বাংলাদেশের আইসিটি বিভাগ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে দক্ষ এবং পর্যাপ্ত জনশক্তি থাকার পরও এসব সাইবার সন্ত্রাসীদের ঠেকাতে ব্যর্থতার কারণ হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নির্লিপ্ততা, উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র।     

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি ব্রিটেনের টেলিভিশনে বিবিসি নির্মিত ‘ইন্ডিয়া : দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ নামে একটি তথ্যচিত্রের প্রথম পর্ব প্রচার করা হয়। এর দ্বিতীয় পর্বটি প্রচারিত হওয়ার কথা ছিল মঙ্গলবার ২৪ জানুয়ারি রাতে। এই তথ্যচিত্রে গুজরাটে একুশ বছর আগেকার ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় তখনকার মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা কী ছিল, তার বিশ্লেষণ করা হয়েছিল।  কিন্তু সমগ্র ভারতের কোথাও সেই ডকুমেন্টারি প্রচার করতে দেয়া হয়নি। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশেষ করে ইউটিউব এবং ফেইসবুকে ওই তথ্যচিত্র প্রকাশিত হওয়ার পর সেই লিঙ্কটিও সরিয়ে ফেলে ভারত সরকার।   

সূত্র জানায়, সেই সময়ে ভারতে তিনশোরও বেশি সাবেক বিচারপতি, আমলা এবং সুপরিচিত নাগরিক একটি খোলা চিঠি লিখে এই তথ্যচিত্রটি বানানোর জন্য বিবিসির তীব্র সমালোচনা করেন এবং ভারতে হিন্দু-মুসলিম সংঘাত উসকে দেওয়ার জন্য তাদেরকে দায়ী করেন। ফলে ওই তথ্যচিত্রটি ভারতে প্রচার নিষিদ্ধ হয়ে যায়। এছাড়াও, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক এবং ইউটিউব থেকে এই তথ্যচিত্রটিসহ এর লিঙ্ক সরিয়ে ফেরার জন্য আবেদন এবং চাপ প্রয়োগ করা হয়েছিল। 

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশ বিরোধী, বাংলাদেশের সরকার বিরোধী, সরকারের বিভিন্ন ব্যক্তি বিরোধী, এমনকি সরকার প্রধান বিরোধী এ ধরনের অপপ্রচার হরহামেশাই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু এ ধরনের অপপ্রচার রোধে আইসিটি বিভাগ, ডাক ও টেলিযোগায়োগ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বিটিআরসি- তাদের এক ধরনের নির্লিপ্ততা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এসব অপপ্রচার রোধে তাদের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। তারা এসব সোশ্যাল মিডিয়ার প্রধান কার্যালয়ে কোনো ধরনের অভিযোগ বা আবেদন কিংবা তার জন্য চাপ প্রয়োগ করছে বলেও দেখা যায় না। যার ফলে এসব সাইবার সন্ত্রাসীরা অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেছে। 

লক্ষ্য করলে দেখা যায়, বাংলাদেশের মূলধারার যত মিডিয়া এই দেশে রয়েছে, এসব কোনো মিডিয়া সরকার বিরোধী কোনো ধরনের অপপ্রচার করছে না। এসব অপপ্রচারের সবকিছু হচ্ছে শুধুমাত্র এইসব সাইবার সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে। এসব কর্মকান্ডগুলো যারা চালিয়ে যাচ্ছে, তাদেরকে এখনই আইনের আওতায় আনা দরকার। 

সূত্র বলছে, ভারতের গুজরাট দাঙ্গার যে ভিডিও ডকুমেন্টারি বিবিসি বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করেছিল, এই ভিডিও গুগল বা ইউটিউব এবং ফেইসবুক ২৪ ঘন্টার মধ্যে নামিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছিল। অথচ বাংলাদেশের সরকার প্রধানকে নিয়ে সাইবার সন্ত্রাসীরা অশ্লীল, অসংলগ্ন কর্তাবার্তা বলে কন্টেন্ট বানিয়ে- তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিলেও কোনো ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ভারত যদি এটা করতে পারে, তাহলে আমরা করতে পারি না কেন? 

সূত্র জানায়, পৃথিবীর সব দেশেই, বিশেষ করে ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা- এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও ফেইসবুক, ইউটিউব, টুইটার- এসব সোশ্যাল প্লাটফর্মগুলোকে মনিটরিং করা হয়। তাদের দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো পোস্ট থাকলে- তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হয়। এসব দেশগুলোতে জবাবদিহিতার একটি ব্যবস্থা রয়েছে। জবাবদিহিতার মূল ব্যবস্থা হচ্ছে, এসব সোশ্যাল মিডিয়ার নিজস্ব একটি অফিস থাকা। আমাদের বাংলাদেশে প্রায় ৫ কোটি ফেইসবুক ব্যবহারকারী রয়েছে। অথচ এখানে ফেইসবুকের কোনো অফিস নেই। ইউটিউব হাজার হাজার কোটি টাকা বিজ্ঞাপনসহ নানাভাবে বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যাচ্ছে। ফলে সরকার শত শত কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই যে সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে, তাতে কি ডাক ও  টলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কোনো দায়িত্ব নেই?

সূত্র আরও বলছে, গুগল, ইউটিউব, ফেইসবুকের এটা একটা ব্যবসা। এই ব্যবসার জন্য বাংলাদেশ তাদের একটি বৃহৎ বাজার। অন্য কোনো দেশে এই রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে, সরকারবিরোধী কন্টেন্ট প্রচার করে- এ ধরনের ব্যবসা করার কোনো সুযোগ নেই। অথচ বাংলাদেশে এসব হচ্ছে। বাংলাদেশ কঠোর হলে তাদেরকে এই দেশে অফিস করানো সম্ভব। আর এই দেশে অফিস করা হলে তখনই তাদেরকে আইনের আওতায় আনা যাবে, জবাবদিহিতার আওতায় আনা যাবে। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত অফিস নেই, তারা কেউ আমেরিকাতে বসে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে অসংলগ্ন কথা-বার্তা বলছে কিংবা লন্ডনে বসে একজন প্রধানমন্ত্রীকে গালিগালাজ করে অশ্লীল, নোংরা কথা-বার্তা বলছে- তাদেরকে আইনের আওতায়, জবাবদিহিতার আওতায় আনা যাচ্ছে না। ফলে এই সাইবার সন্ত্রাসীরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে।  

এছাড়াও, দেশের সুশৃঙ্খল বাহিনী বিরুদ্ধে বিদ্রোহের উস্কানি দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যেভাবে বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে, এদেরকে যদি অতি শীঘ্রই আইনের আওতায় না আনা যায়, গুগল, ফেইসবুকসহ এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যদি বাংলাদেশে অফিস না করা যায়, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অসামাজিকতার বিস্ফোরণ ঘটবে। এসব কর্মকাণ্ডের এখনই যদি লাগাম টেনে ধরা না হয়, তাহলে সামনের দিনগুলোতে আরও কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হবে।


সাইবার সন্ত্রাসী   আইন   আইসিটি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে বৃহস্পতিবার

প্রকাশ: ০৮:৪৭ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলমান দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হচ্ছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেল ৫টায়। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে গত ১৫ এপ্রিল এ অধিবেশন আহ্বান করেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেল ৫টায় এ অধিবেশন শুরু হবে। 

অধিবেশন শুরুর আগে সংসদ ভবনে সংসদের কার্য-উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক হবে। বৈঠকে সংসদ অধিবেশনের মেয়াদ নির্ধারণ ছাড়াও আলোচ্যসূচি ও কার্যবিবরণী নিয়ে আলোচনা হবে।

সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, জুনে দ্বাদশ সংসদের প্রথম বাজেট অধিবেশনের আগে অনুষ্ঠেয় এই দ্বিতীয় অধিবেশন তেমন দীর্ঘ হবে না।

এর আগে ৩০ জানুয়ারি সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়ে ৫ মার্চ শেষ হয়।

দ্বাদশ সংসদ অধিবেশন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আলোচিত সেই মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৮:০৭ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

মানবতার ফেরিওয়ালার মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর সব প্রতারণার অভিযোগ ওঠা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিচিত মুখ ও ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল ঢাকার মিরপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

এর আগে গত ২৫ এপ্রিল কালবেলার প্রিন্ট ভার্সনে ‘মানবিক মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর মিল্টন সমাদ্দার’ শিরনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

মিল্টন সমাদ্দার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরের তেওয়ারীগঞ্জে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ, স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ


Thumbnail

লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে। 

প্রায় সাড়ে আট বছর পর ওই ইউনিয়নে নির্বাচনকে ঘিরে মানুষের মাঝে ছিলো ব্যাপক আমেজ। আটজন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধীতা করে। এর মধ্যে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও অটোরিক্সা প্রতীকের প্রার্থী আক্তার হোসেন বোরহান চৌধুরী ও জেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক ইবনে হোসাইন আনারস প্রতীকের প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্ধীতা হয় ব্যাপক। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা থেকে শুরু করে ভোটের দিন সকাল পর্যন্ত ছিলো সেই আমেজ। তবে ভোট গ্রহণ শুরু হলে নারী-পুরুষের ব্যাপক উপস্থিতি নজর কাড়ে সবার। 

অটোরিক্সা প্রতীকের প্রার্থী, সমর্থক, এজেন্ট ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানালেন, ভোটের আগের দিন থেকে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী ভুলু কালো টাকা দিয়ে প্রভাব বিস্তার করে। কেন্দ্রের ভেতর ও বাহিরে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত ও ভোটারদের নানাভাবে প্রভাবিত করে। এতে করে কয়েকটি কেন্দ্রের বাহির থেকেই নারী ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ না করেই বাড়ি ফিরেন। কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বের করে দেয়ার অভিযোগও করেন কেউ কেউ। 

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আনারস প্রতীকের প্রার্থী জানালেন, তিনি শান্তি চান। তিনি হয়রানি হতেও চান না কাউকে করতেও চান না। সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে, যদি কেউ মনে করে আবারো নির্বাচন করা দরকার তবে তিনি প্রতিদ্বন্ধিতা করতে প্রস্তুত। 

পুলিশ সুপার তরেক বিন রশিদ বলেন, নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার সময় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এসময় পুলিশের গাড়ির ওপর তারা হামলা করে। এঘটনায় দুই প্রার্থীকেই পুলিশ আটক করে।

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ মুছলেন র‌্যাব কর্মকর্তা

প্রকাশ: ০৪:৫৭ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার শিশু তানজিম সুলতানা ঝুমুরকে (৯) ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। 

বুধবার (১ মে) র‌্যাব-১১ কুমিল্লা কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানানো হয়। এসময় র‌্যাব-১১ পরিচালক তানভীর মাহমুদ পাশা ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন, চোখ মোছেন। পরে ধরা গলায় ঘটনার বর্ণনা দেন। এসময় উপস্থিত অনেক সাংবাদিককেও আবেগাপ্লুত হতে দেখা যায়।

ধর্ষণের পর হত্যার শিকার শিশু কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা উত্তর ইউনিয়নের খিলপাড়া গ্রামের জাকির হোসেনের একমাত্র মেয়ে। সে স্থানীয় সোনালী শিশু বিদ্যানিকেতনের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

এঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি থানাধীন ফেরুয়া বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি সদর দক্ষিণ উপজেলার খিলপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে মফিজুল ইসলাম প্রকাশ মফু (৩৮)। 

র‌্যাব-১১ পরিচালক তানভীর মাহমুদ পাশা জানান, ঘটনার দিন ২৯ এপ্রিল সকালে ঝুমুর স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়। কিন্তু ১১টা পর্যন্ত সে বাড়ি না ফিরলে মা স্কুলে যান। কোনো হদিস না পেয়ে মা স্কুল থেকে ফেরার পথে ঝুমুরের সহপাঠীর কাছে জানতে পারে সে স্কুল শেষে বাড়ি চলে গেছেন। বিকেলে বাড়ির অদূরে একটি ধান খেতে একটি লাশ পড়ে আছে বলে তিনি জানতে পারেন। সেখানে গিয়ে তার মেয়ের লাশ শনাক্ত করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েকজন জানান, গ্রেপ্তার মফিজুল ইসলাম মফুকে ঘটনাস্থলের পাশে থাকা বাঁশঝাড়ের ভিতর থেকে দ্রুত রাস্তায় উঠে আসতে দেখেছেন।

গ্রেপ্তার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, নিহত ঝুমুরকে সে চিনতো। এই সুযোগে ২৯ এপ্রিল সকালে ঘটনাস্থলের পাশের রাস্তায় ওৎ পেতে থাকে। ঝুমুর ঘটনাস্থলের কাছাকাছি পৌঁছালে মফু ঝুমুরকে রাস্তার পাশের ধানী জমিতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ঝুমুর চিৎকার করার চেষ্টা করলে মফু তার মুখ ও গলা চেপে ধরে। এতে সে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যায়। কোনো নড়াচড়া দেখতে না পেয়ে ভিকটিমের কানে থাকা দুল ছিড়ে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। মামলা দায়ের করলে মফু চাঁদপুরে পালিয়ে যায়। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মফু মাদকাসক্ত ও তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য গাঁজা সেবনের বিষয়েও তথ্য পাওয়া যায়। 

ধর্ষণ   কুমিল্লা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফরিদপুরে স্বাচিপের সম্মেলন শুরু

প্রকাশ: ০৪:৪৮ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর ফরিদপুর, রাজবাড়ী ও শরীয়তপুর জেলা শাখার সম্মেলন শুরু হয়েছে।

বুধবার (১ মে) ফরিদপুরে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান।

প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত আছেন স্বাচিপের সভাপতি ডা. মোঃ জামাল উদ্দিন চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন স্বাচিপের মহাসচিব ডাঃ মোঃ কামরুল হাসান মিলন।

অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন ফরিদপুরের সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য ঝর্ণা হাসান, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক ও সাধারণ সম্পাদক শাহ মো ইশতিয়াক আরিফ। এছাড়া বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত চিকিৎসকবৃন্দ এবং বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।

ফরিদপুর   স্বাচিপ সম্মেলন   স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন