গ্রীষ্মের এই দিনে লক্ষ্মীপুর জেলায় তালের শাঁস খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার। তাই সবার হাতে পোঁছে যায় কঁচি তালের শাঁস। সদর উপজেলার পোদ্দারহাট, পাটওয়ারি হাট, মান্দারী বাজার, জকসিন বাজার, চন্দ্রগঞ্জ বাজার, দাশেরহাট, দিগুলি বাজার, চর লরেন্স বাজার, চর আলেকজান্ডার বাজার, তোরাবগঞ্জ বাজার, মীরগঞ্জ বাজার, কালিবাজার, পালেরহাট, চরবংশী বাজার, রায়পুর পৌরসভা বাজারেও লক্ষ্মীপুর পৌরসভা বাজার গিয়ে দেখা যায়, তালের শাঁস বর্তমানে এর চাহিদা অনেক বেড়েছে। বিক্রেতা শাঁস কেটে সারতে পারছে না, ক্রেতারা দাড়িয়ে রয়েছে শাঁস নিতে।
লক্ষ্য
করা গেছে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি ও রায়পুর উপজেলার
গৃহস্তদের গাছের তালের শাঁস যাচ্ছে পার্শ্ববর্তী
জেলাসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। শিশু সহ সকল
বয়সী লোকের মধ্যে এই তালের শাঁসের
কদর দিন দিন বেড়েই
চলেছে। উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামেই তাল গাছ রয়েছে।
লক্ষ্মীপুর
সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়ন চৌধুরী কাছারি বাজারের তাল শাঁস বিক্রেতা
খোকন মেম্বার পোল্ট্রি ব্যবসায়ী খোরশেদ আলম ও শ্যামল মজুমদার বাংলা ইনসাইডারকে জানান, প্রতি বছরই এ সময়ে
তালের শাঁস বিক্রি করে
সংসার চালান। গ্রাম অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে তাল
ক্রয় করে গাছ থেকে
পেরে এনে শাঁস বিক্রি
করেন। তবে গাছ ওঠে,
বাঁধা ধরে পাড়া সবচেয়ে
কষ্টকর। বৈশাখ থেকে জৈষ্ঠ্যের অর্ধেক
পর্যন্ত এ দেড় মাস
চলবে তালের শাঁস বিক্রির কাজ।
প্রতিদিন প্রায় ৩শ থেকে ৪শ
শাঁস বিক্রি করা যায়।
অনেকেই
জানান, তালের শাঁস একটি সুস্বাদু
ফল। গরম থেকে এসে
তালের শাঁস খেতে ভালই
লাগে মনটা জুরে যাই।
ফলে এর চাহিদা দিন
দিন বেড়েই চলছে। তবে তাল গাছ
এক পায়ে দাড়িয়ে, সব
গাছ ছাড়িয়ে উকি মারে আকাশে,
কবির সে কবিতার মতো
সারি সারি তাল গাছ
রাস্তার দু'ধারে এমন
দৃশ্য খুব একটা বেশি
চোখে পড়েনা। কালের বিবর্তনে লক্ষ্মীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকার তাল গাছ দিন
দিন হারিয়ে যাচ্ছে। এক সময় মানুষ
সখ করে বাড়ির পাশে
কিংবা রাস্তার ধারে তালের বীজ
বপন করতো। কিন্তু এখন আর তা
চোখে তেমন পড়ে না।
প্রচন্ড
গরমে স্বস্তি পেতে কাঁচা তালের
কোন জুড়ি নেই ।
তালের শাঁস খাওয়ার জন্য
ছোট-বড় সব বয়সের
মানুষ তালের দোকানে ভিড় জমাচ্ছে। ফলে
তীব্র গরমে প্রতিনিয়ত গ্রামে
বা শহরে সব জায়গায়
কাঁচা তালের শাঁস চাহিদা বাড়ছে
। বাজারে প্রতি পিচ শাঁস বিক্রি
হচ্ছে ১৫ টাকা থেকে
২০ টাকায়।
সরেজমিনে গিয়ে
দেখা যায় লক্ষ্মীপুর সদর
উপজেলার রায়পুর, রামগঞ্জ, রামগতি কমলনগর, উপজেলার
বিভিন্ন হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ ও রাস্তার
মোড়ে কাঁচা তালের শাঁস বিক্রি করতে
দেখা গেছে । লক্ষ্মীপুর
সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের পাটোয়ারী হাট তালের
লেপা বিক্রেতা দফেদার রুবেল বলেন , বর্তমান
কাঁচা তাল বিক্রির মৌসুম
চলছে । রামগতি, কমলনগর,
রায়পুর রামগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন
গ্রাম থেকে কাঁচা
তাল কিনে গ্রামের হাট-
বাজারে , শহরের অলি-গলিতে বিক্রি
করি। তবে বেশি ভাগ
কাঁচা তালের শাঁস কিনতে দেখা
গেছে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের এখন চলছে মধু
মাস। আর এই মধু
মাসের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে হরেক রকমের সুস্বাদু
ফল। এই ফলের তালিকায়
রয়েছে আম, জাম, কাঁঠাল,
লিচু ছাড়াও অন্যতম আরেকটি ভিন্নধর্মী ফল তালের শাঁস।
তাল ফলের নরম অংশটি
খুবই সুস্বাদু। গ্রাম্য ভাষায় এটি “তালের লেপা নামে
বেশি পরিচিত। প্রচন্ড গরমে তালের এই
শাঁসটি শহর কিংবা গ্রামের
মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয়।
বর্তমান
সময়ে শহর থেকে শুরু
করে গ্রামের বিভিন্ন অলি-গলি, পাড়া-মহল্লাতে এই মৌসুমী ফল
তালের লেপা বিক্রি বেড়ে
গেছে। অনেক মৌসুমী ব্যবসায়ীরা
তাল গাছ থেকে অপরিপক্ত
তাল ফল পাইকারী কিনে
এনে কেটে কেটে বিভিন্ন
দামে বিক্রয় করে থাকে। তবে
নরম অবস্থায় তাল শাঁসের দাম
অনেক বেশি। কিন্তু, দিন যতই যেতে
থাকে এই তাল শাঁস
ততই শক্ত হতে থাকে।
তখন শাঁসের দাম কমতে থাকে
এবং এক সময় তাল
পরিপক্ত হয়ে গেলে তখন
আর এই শাঁস খাওয়া
সম্ভব হয় না।
লক্ষ্মীপুর
জেলার, লক্ষ্মীপুর, রায়পুর, রামগঞ্জ, রামগতি, কমলনগর, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ তালের শাঁস বিক্রি বেড়ে
গেছে। মধু মাসের এ
ফলকে কেউ বলে তালের
শাঁস, কেউ বলে তালের
বিচি কেউ
বলে তালের আটি আবার কেউ
বলে তালের লেপা । গরমের
মধ্যে তৈলাক্ত খাবারের চেয়ে তালের শাঁস
অনেক উপকারী। এর মধ্যে রয়েছে
অনেক গুণাগুণ। তাই জৈষ্ঠ্যের এ
মধু মাসে বাজারে নানা
ফল উঠলেও লক্ষ্মীপুরে
জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তালের
শাঁস।
তালের
ফল এবং বীজ দুইই
বাঙালি খাদ্য। কাঁচা তালের শাঁস খুবই জনপ্রিয়
একটি খাবার। লক্ষ্মীপুর জেলায় তালের
ব্যাপক চাষ হলেও ফলটির
আদি নিবাস আফ্রিকা।
তাল
উদ্ভিদ প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা থেকে গাছকে রক্ষা
ও ভূমির ক্ষয় রোধ করে।
বহুকাল আগে এই দেশে
তার আগমন। তাল গাছ খুবই
ধীরে বাড়ে। দীর্ঘ হয়ে ফল দিতে
সময় নেয় অন্তত আঁট
থেকে দশ বছর। বসন্তের
শেষে ফুল ধরে ফল
হয়। তালের যে বীজও খাওয়া
হয় তা তালশাঁস নামে
বেশি পরিচিত। প্রতিটি তালে দুই থেকে
তিনটি শাঁস হয়। গ্রীষ্মের
সময় কচি অবস্থায় তালের
শাঁস ব্যাপক চাহিদা থাকে গ্রাম থেকে
শহর পর্যন্ত।
গরমে
তালের শাঁস খেলে বিভিন্ন
রোগ থেকে মুক্তি মিলবে।
সেই সঙ্গে বাড়বে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
শুধু গ্রীষ্মকালেই বাজারে কচি তাল দেখতে
পাওয়া যায়। এর নরম
কচি শাঁস খেতে ছোট
বড় সবাই পছন্দ করে।
তালের
শাঁসকে নারিকেলের মতই পুষ্টিকর বলে
বিবেচনা করা হয়। এটি
খেতে খুবই সুস্বাদু। এতে
প্রচুর পরিমাণ পানিও থাকে। যা অনেকটা ডাবের
পানির মতো। এতে প্রচুর
পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, ফাইবার এবং খনিজ উপাদান
থাকে।তাই আমাদের সকলকে এই তালের চারা
রোপণের উৎসাহিত করতে হবে। পরিবেশ
বান্ধব এই গাছটি পরিবেশের
জন্য অতি প্রয়োজন সংশ্লিষ্টরা
মনে করেন।
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কালো টাকা ব্যবহার ও ভোটারদের নির্ভয়ে ভোট প্রদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছে দোয়াত কলম মার্কার প্রার্থী আমিনুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেন, মোটরসাইকেল প্রতীকের বদিউজ্জামান ফকিরের সন্ত্রাসী বাহিনীর দ্বারা ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের প্রতীকের বাইরে ভোট দিলে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। এছাড়াও বদিউজ্জামান ফকির নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘণ করে নির্বাচনে কালো টাকায় ছয়লাভ করছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
রবিবার (৫ মে) দুপুরে বেলকুচি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন এসকল অভিযোগ করেন দোয়াত কলম মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুল ইসলাম সরকার।
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণায় বদি ফকিরের সন্ত্রাসীরা আমাদের কর্মীদেরকে ভয় ভীতি দেখাচ্ছে। গতকাল রাতে প্রায় এক ট্রাক ভর্তি টাকা তারা বেলকুচিতে নিয়ে এসেছে। ভোট কিনতে ও নানা প্রলভোন দিয়ে তারা ভোটাদের বিভ্রান্ত করছেন। এছাড়াও বিভিন্ন নির্বাচনী প্রচরানা অনুষ্ঠানে তারা নির্বাচন কমিশনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে এক ভোট পেলেও নির্বাচিত হবে এমন বক্তব্য দিয়ে গুজব ছড়াচ্ছেন। এছাড়াও দোয়াত কলম প্রতীকের প্রচারনায় আমাদের কর্মীদের সরে যাবার জন্য হুমকি দিয়ে আসছেন তারা। এ সকল বিষয়ে এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশন কে লিখিত ও মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।'
উপজেলা নির্বাচন কালো টাকা প্রভাব বিস্তার
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান
মন্তব্য করুন
মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী অনুপ্রবেশ
মন্তব্য করুন
গত মাসে তীব্র তাপপ্রাহে পুড়েছে পুরো দেশ। দফায় দফায় হিট এ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এমনকি গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য তাপপ্রবাহের সতর্কতা দেয় সংস্থাটি। এদিকে তীব্র দাবদাহ যখন স্বাভাবিক হয়ে আসছে তখন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হয়েছে বজ্রসহ ভারি বৃষ্টিপাত। ইতোমধ্যে কালবৈশাখী ঝড়ে দেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে মারা গেছেন নারী ও শিশুসহ অনেকেই।
আবহাওয়া অফিস সতর্কবার্তা দিয়ে বলছে- রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে চলমান মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। একইসঙ্গে জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিও অব্যাহত থাকতে পারে। আর চলতি মে মাসে তিন থেকে পাঁচদিন হালকা ধরনের কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। আর দুই থেকে তিন দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি ও তীব্র কালবৈশাখী হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে।
এপ্রিলের পুরো মাসজুড়েই ছিল তীব্র তাপপ্রবাহ, যা ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। গত মাসের এই তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে জনজীবন হয়েছে নাভিশ্বাস। তপ্ত গরম থেকে স্বস্তির দিতে সরকার যেমন নানান পদক্ষেপের মাধ্যমে মোকাবিলা করেছে তেমনি জনগণও তাদের স্বস্তির জন্য তপ্ত গরমেও সতর্ক ভাবেই করেছে মোকাবিলা। কিন্তু দেশেরে মানুষ তাপপ্রবাহ মোকাবিলা করতে পারলেও পারছে না ঝড়-বৃষ্টির মোকাবিলা করতে!
গণমাধ্যমের তথ্যমতে, গতকাল শনিবার (৪ মে) কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরের নিচে চাপা পড়ে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মা ও তার ৫ বছর বয়সী ছেলের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (০৫ মে) খাগড়াছড়ির রামগড়ে বজ্রসহ ঝড়বৃষ্টির সময় বাড়ির উঠানে দুটি গরুসহ গনজ মারমা (৫০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শুধু চলতি মাসেই নয়, এপ্রিলের কিছু কিছু অঞ্চলেও কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাত হয়। সেই ঝড়ে ছয় জেলায় অন্তত ১১ জন নিহত ও দুজন নিখোঁজ হয়েছেন।
যেখানে গেল মাসের দাবদাহ মোকাবিলায় যেমন মানুষ নিজেদের সুরক্ষার্থে সর্তক হয়ে স্বস্তির খোঁজে বিভিন্ন পদক্ষেপ ও ব্যবস্থা গ্রহণ করে তা কার্যকর করেছে ঠিক, সেখানে ঝড়ো বৃষ্টিতে কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সময় নিজেরা সচেতন হয়ে তা মোকবিলা করতে পারছে না। তবে কি সাধারণ মানুষ নিজেদেরে সুরক্ষার্থে সচেতন হতে পারে না। শুধু সাধারণ মানুষ নয় সরকারের উপরও কিছু দায়িত্ব থেকে যায়। যাতে করে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠেী থেকে সকলেই সতর্ক হয়ে তা মোকাবিলা করে নিজেদের এবং পরিবারের সুরক্ষা নিতে পারে।
বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের মোকবিলায় জনগণের প্রতি দিকনির্দেশনা
সাধারণত কালবৈশাখী ঝড়ের সময়ে দেশকে জনস্বার্থে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কালবৈশাখী ঝড়ের আগেই মেটারোলজি বিভাগ এবং অঞ্চলের নিকটস্থ সংস্থার পূর্বাভাস করে বিপদগ্রস্ত হলে পূর্বেই পর্যবেক্ষণ করা উচিত। সরকার সংগঠন বা প্রশাসনিক সংস্থাগুলো আগাম বিপদ জনস্বার্থে জনগণকে সাবধানতা প্রকাশ করতে পারে। প্রয়োজনে সরকারী অথবা অন্য সংস্থা গুলি মানুষদের নিরাপত্তার জন্য তথ্য দিতে পারে। এবংকি সকল প্রয়োজনীয় সাহায্য ও সহযোগিতার ব্যবস্থা করা উচিত যার মধ্যে খাবার, পানি, ও প্রাথমিক চিকিৎসা। বিশেষ করে বিভিন্ন সরকারী অথবা অর্গানাইজেশ সংস্থা সহযোগিতা করে সাহায্যের অভিযান চালাতে পারে। সময়ে ও সঠিকভাবে বাস্তবায়নের পর্যায়ে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। শুধু তাই নয় বাস্তবায়নের পর্যায়ে মানুষদের সঠিক তথ্য প্রদান করলেও জনগণ কালবৈশাখী ঝড়ের বিপদ থেকে নিজেদের সুরক্ষা করার জন্য সহায়তা হবে।
মানুষকে সচেতন হওয়া উচিত
জলবায়ুর প্রভাবে দেশের ঝড়ো বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টির একটি প্রবল আবহাওয়া ঘটনা যা ধারাবাহিকভাবে দেশের বিভিন্ন অংশে প্রভাব ফেলতে পারে। এই সময়ে মানুষকে সাবধান থাকা অতিব জরুরী। পূর্বানুমানিক নিরাপদ অঞ্চলে থাকা। আকাশের দিকে লক্ষ্য রাখা ও আবহাওয়া অফিসের দিক নির্দেশনা মেনে মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কালবৈশাখী ঝড়ের সময় নিজ কাজেস্থলে বা কর্মক্ষেত্রে বা প্রয়োজনে নিরাপ স্থান থেকে বের হওয়া যাবে না। আবার, কৃষি কাজের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক মানুষ বাসা থেকে বের হতে পারেন। সুতরাং, সাবধানে থাকা জরুরি। প্রয়োজনে কালবৈশাখী ঝড়ের সময় আশ্রয় নিতে হবে। এটি আপনাকে সুরক্ষিত করতে সাহায্য করতে পারে। বিদ্যুৎ, পানি, ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সেবাগুলো বন্ধ না হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময়েরি মধ্যে যত্ন নেওয়া উচিত। এবংকি আপনার পোষা প্রাণী থাকলে তার যত্ন নিন। প্রাণীর জন্য যত্ন নেওয়া উচিত, যেমন পাখি, বিড়াল, ও গরুর জন্য আবাস পরিষ্কার করা, অবশ্যই খাদ্য ও পানি খাওয়ানো ও সংরক্ষিত করা উচিত। কেননা, কালবৈশাখী ঝড়ের সময়টাতে নিজেদের সুরক্ষাটা যেমন জরুরী তেমনি বিপরীতে প্রাণীর সুরক্ষাটাও জরুরী।
এছাড়া সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। দেশের আবহাওয়ায় যখন এমন দূর্বিসহ যাচ্ছে তখন সরকার থেকে সাধারণ মানুষ সকলের পদক্ষেপেই মিলতে পারে স্বস্তি। দেশের জনগণকে নিজেদেরে সচেতন হয়ে তাপপ্রবাহ, বজ্র, বৃষ্টি, কালবৈশাখী ঝড় মোকাবিলা নিতে হবে। বিশেষ করে দেশপ্রেমের ভাবনা থেকেও সাধারন মানুষ সরকারের দিক নির্দেশনা মেনে সহযোগিতা করতে হবে। এতে করে কমবে কালবৈশাখী ও বজ্রে নিহতের সংখ্যা, মারা যাবে না আর হিট স্ট্রোকে মানুষ। বাড়বে জনসচেতনতা। স্বস্তিতে থাকবে পুরো দেশের জনগণ।
ঝড় বজ্রসহ বৃষ্টি আবহাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহ
মন্তব্য করুন
মিল্টন সমাদ্দার ডিবি চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কালো টাকা ব্যবহার ও ভোটারদের নির্ভয়ে ভোট প্রদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছে দোয়াত কলম মার্কার প্রার্থী আমিনুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেন, মোটরসাইকেল প্রতীকের বদিউজ্জামান ফকিরের সন্ত্রাসী বাহিনীর দ্বারা ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের প্রতীকের বাইরে ভোট দিলে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। এছাড়াও বদিউজ্জামান ফকির নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘণ করে নির্বাচনে কালো টাকায় ছয়লাভ করছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
গত মাসে তীব্র তাপপ্রাহে পুড়েছে পুরো দেশ। দফায় দফায় হিট এ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এমনকি গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য তাপপ্রবাহের সতর্কতা দেয় সংস্থাটি। এদিকে তীব্র দাবদাহ যখন স্বাভাবিক হয়ে আসছে তখন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হয়েছে বজ্রসহ ভারি বৃষ্টিপাত। ইতোমধ্যে কালবৈশাখী ঝড়ে দেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে মারা গেছেন নারী ও শিশুসহ অনেকেই।