নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৩০ এএম, ০১ মার্চ, ২০১৮
বেগম জিয়া অর্থ আত্মসাৎ করেননি, তবে সরকার অর্থব্যবস্থাপনার অনিয়ম করেছেন এমনটাই মনে করেন ড. কামাল হোসেন। রায়ের কপি নিয়ে গত বুধবার ড. কামাল তাঁর চেম্বারের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে এই মনোভাব জানান। তবে, এই মামলায় তিনি বা তাঁর চেম্বার জড়িত হবেন না বলে স্পষ্ট মনোভাব ব্যক্ত করেছেন, ড. কামাল হোসেন।
গত সোমবার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাঁকে বেগম জিয়ার পক্ষে হাইকোর্টে লড়ার জন্য অনুরোধ করেন। ড. কামাল ক্রিমিনাল প্র্যাকটিস করেন না, এই যুক্তিতে মামলা গ্রহণ করেননি। তবে বিএনপি মহাসচিবের অনুরোধে ড. কামাল অধ:স্তন আদালতের রায়ের কপি গ্রহণ করেন।
ড. কামাল হোসেনের চেম্বারের সূত্রে জানা গেছে, তাঁর দুই আইনজীবী রায় তাঁকে পড়ে শুনিয়েছে। ড. কামাল নিজেও রায়ের বিভিন্ন অংশ পড়েছেন। এরপর তিনি তাঁর সহকারী আইনজীবীদের সঙ্গে এনিয়ে আলোচনাও করেন। সূত্র মতে, ড. কামাল তার জুনিয়রদের বলেছেন, টাকাটা যে সরকারি টাকা এতে কোনো সন্দেহ নেই। সরকারি টাকা যে কেউ তাঁর ইচ্ছা মতো এক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করতে পারে না। এটা অন্যায় এবং অনিয়ম। আলোচ্য মামলায় সরকারি টাকা বেআইনি ভাবে বিভিন্ন হাত ঘুরেছে। তবে ড. কামাল মনে করেন, বেগম জিয়া টাকা আত্মসাৎ করেননি। বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট ঘুরে টাকা আবার ফান্ডের অ্যাকাউন্টেই এসেছে।
সূত্র মতে, কামাল হোসেন মনে করছেন, হাইকোর্টে ভালো আর্গুমেন্ট করলে বেগম জিয়ার শাস্তি কমবে। এমনকি শুধু অর্থদণ্ডেই শাস্তি সীমাবদ্ধ হতে পারে। তবে এব্যাপারে তিনি বিএনপির আইনজীবীদের কোনো আইনি সহায়তা দেবেন কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়।
যোগাযোগ করা হলে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘মামলার রায়ের প্রথম রিডিং হয়েছে। কিছু পয়েন্ট নোট করেছি। এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।’ বেগম জিয়ার পক্ষে মামলা লড়বেন কিনা, জানতে চাওয়া হলে ড. কামাল বলেন ‘না, তবে দেখি তাদের কিছু পরামর্শ দিতে পারি কিনা।’
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সরকারি চাকরি জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন
মন্তব্য করুন
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রধানমন্ত্রী নসরুল হামিদ
মন্তব্য করুন
চাকরির বয়সসীমা শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জনপ্রশাসন মন্ত্রী
মন্তব্য করুন
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী গত ১৭ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রীকে দেওয়া এক ডিও লেটারে উল্লেখ করেছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। সরকার বিষয়টি উপলব্ধি করে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইস্তেহারে ৩৩ নং পৃষ্ঠায় শিক্ষা, দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি অনুচ্ছেদে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়। আর এ রকম একটি ডিও লেটারে শিক্ষামন্ত্রী বিভিন্ন দেশে চাকরির বয়সসীমা উল্লেখ করেছেন।