মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যা ছিল তাই হয়েছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সবগুলোই তাদের অনুগত থাকুক এবং তাদের কথায় সবকিছুর, রাজনীতির গতি-প্রকৃতি নিয়ন্ত্রিত হোক- এটি ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা। গতকাল বাংলাদেশের ব্যাপারে নতুন ভিসানীতি প্রয়োগ করে সেটি অর্জন করতে পেরেছে। দুইটি প্রধান রাজনৈতিক দলই মার্কিন নুতন ভিসানীতিতে খুশি হয়েছে। এটি তাদের পক্ষে বলে তারা মনে করছে এবং দুই পক্ষই এই ভিসানীতিকে স্বাগত জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন এই ভিসানীতির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের যে নাশকতা করেছে- এই নতুন ভিসারনীতির ফলে সেটি ভেস্তে যাবে। এছাড়াও তিনি বলেছেন, আমাদের সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্কীকার এবং অবস্থানকে যাতে কেউ জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনের মাধ্যমে বাধাগ্রস্ত না করতে পারে তার জন্য মার্কিন সরকারের ভিসানীতি আমাদের প্রচেষ্টাকে সাহায্য করতে পারে। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ ভেতরে যাই মনে করুকব না কেন, তারা এটিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তাদের প্রতি সমর্থন হিসেবে মনে করছে এবং এই ভিসানীতির ফলে বিএনপির আন্দোলন ঝুঁকিতে পড়বে বলেও আওয়ামী লীগের বিশ্বাস।
অন্যদিকে দীর্ঘ ১৬ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি মনে করছে, এই ভিসানীতি ফলে সরকারের উপর আরেকটি চাপ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগামী নির্বাচনের আগে সরকারকে বিভিন্ন ধরনের চাপ প্রয়োগ করবে। সেই চাপের একটি দৃশ্যমান রূপ হল এই নুতন ভিসানীতি। সরকারকে শেষ পর্যন্ত দাবি মানতেই হবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা ছাড়া সরকারের সামনে আর কোন পথ নেই- এমনটিই মনে করছেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ। বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহমুদ বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে সবচেয়ে বাঁধা হলো সরকার এবং সরকারের একটি বিভাগ প্রশাসন। কাজেই আগামী নির্বাচন যদি সুষ্ঠু না হয়, তাহলে এই সরকারের উপর নিষেধাজ্ঞা আসবে এবং এই ভিসানীতির মাধ্যমে সরকারকে একটি সতর্কবার্তা দেওয়া হলো। তিনি এটিও বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়ার একমাত্র উপায় হল নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন। এই সরকার ছাড়া নির্বাচন হতে পারে না। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার যদি গঠন না হয়, তাহলে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী, নির্বাচন কমিশনসহ সবার উপরে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আসবে বলে তিনি দাবি করেছেন। অন্যদিকে বিএনপির একজন নেতা বলছেন, এর ফলে সরকারের উপর একটি বাড়তি চাপ তৈরি হবে এবং শেষ পর্যন্ত শেষ পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের পথ সুগম হবে। একটা পর্যায়ে সরকার বাধ্য হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের।
আর এই ভিসানীতি ঘোষণার পর প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের প্রতিক্রিয়া দেখেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অত্যন্ত খুশি। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ভারত বলয়ে ছিল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে অনেকটাই ভারত নির্ভর হয়েছিল। কিন্তু সেই অবস্থান থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে এসেছে। আগামী নির্বাচনের ব্যাপারে গত এক বছর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সুস্পষ্টভাবে কথাবার্তা বলছে এবং এক ধরনের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। এই ভিসানীতির মাধ্যমে মার্কিন প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার ছাতার নিচে আনলো এবং অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া অন্য কিছু হলে তারা যে কোন কিছুই মেনে নেবে না- এই বার্তাটা পরিষ্কার করল। অর্থাৎ এর ফলে ২০০৮ এর পর থেকে যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে মার্কিন হস্তক্ষেপ কমতে শুরু করেছিল- সেটি আর থাকলো না। নতুন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উপর খবরদারি করার সুযোগ পেলো এই নতুন ভিসানীতির মাধ্যমে।
মার্কিন সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগ বিএনপি সন্তুষ্ট
মন্তব্য করুন
হেফাজতে ইসলাম মাওলানা মামুনুল হক
মন্তব্য করুন
উন্মুক্ত কারাগার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য জয়পুরহাট সদর ও পাঁচবিবি উপজেলায় ১১ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৩০ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে এই দুই উপজেলায় প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু হলো।
তফসিল অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করেন নির্বাচনে দায়িত্ব প্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা।
এসময় বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার নুরে আলম (বিপিএম), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিপুল কুমার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফজলুল করিম প্রমুখ।
জানা যায়, সদর উপজেলায় ৫ চেয়ারম্যান, ৭ ভাইস চেয়ারম্যান ও ৪ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং পাঁচবিবি উপজেলায় ৬ চেয়ারম্যান, ৪ ভাইস চেয়ারম্যান ও ৪ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বরাদ্দকৃত প্রতীক বুঝে নেন।
জয়পুরহাট সদরে কে কোন প্রতীক:
চেয়ারম্যান পদে এ ইএম মাসুদ রেজা (আনারস), খাজা শামসুল আল আমিন (দোয়াত কলম), আনোয়ার হোসেন (ঘোড়া), আমিনুল ইসলাম মাসুদ (কাপ পিরিচ), হাসানুজ্জামান মিঠু (মটরসাইকেল) প্রতীক পেয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে অশোক কুমার ঠাকুর (টিউবয়েল প্রতীক), উজ্জ্বল মিনজি (টিয়া পাখি), জাকারিয়া মন্ডল (বৈদ্যুতিক বাল্ব), মুনছুর রহমান (মাইক), শামীম আহম্মেদ (উড়োজাহাজ), সিএম আফরাঈম কাবীর (তালা প্রতীক), আলী আকবর মোঃ ইজাহারুল ইসলাম ডাবলু (চশমা) প্রতীক পেয়েছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফারহানা রহমান বিথী (ফুটবল), আছমা বিবি (হাঁস), নাছিমা আক্তার (বৈদ্যুতিক পাখা), রুমানা পারভীন (কলস) প্রতীক পেয়েছেন।
পাঁচবিবি উপজেলা কে কোন প্রতীক:
চেয়ারম্যান পদে আবু বক্কর সিদ্দিক (আনারস), জাহিদুল আলম (কৈ মাছ), মনিরুল শহীদ মন্ডল (মটর সাইকেল), সোহরাব হোসেন (দোয়াত কলম), সাঈদ জাফর চৌধুরী (টেলিফোন), সাবেকুন নাহার (ঘোড়া) প্রতীক পেয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী (চশমা), আকরাম হোসেন তালুকদার (তালা), খালেকুল ইসলাম (টিউবওয়েল), ফরহাদ আলম (উড়োজাহাজ) প্রতীক পেয়েছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তামান্না বেগম (প্রজাপতি), রাজিনারা টুনি (বৈদ্যুতিক পাখা), রেবেকা সুলতানা (ফুটবল), মৌসুমী আক্তার (ফুলের টব) প্রতীক পেয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপের মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২৭ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২ মে, আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।
উপজেলা নির্বাচন মনোনয়ন চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রতীক বরাদ্দ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ন স্ট্যাটাস দেওয়ায় পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবুল কালাম আজাদকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা ৭ দিনের মধ্যে জানাতে ওই নেতাকে নির্দেশ দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।
খোঁজ
নিয়ে
জানা
গেছে,
গত
মঙ্গলবার (৩০
মে)
দিবাগত
রাতের
পর
কোনো
এক
সময়
আবুল
কালাম
আজাদ
তার
ফেসবুক
একাউন্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ
করে স্ট্যাটাস দেন।
পরদিন
বুধবার
(০১
মে)
সকালে
তার
লেখাটি
সবার
নজড়ে
আসার
পর
ভাইরাল
হয়ে
যায়।
এতে সমালোচনার ঝড়
ওঠে
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মাঝে।
সমালোচনার মুখে
বাধ্য
হয়ে
এক
পর্যায়ে পোস্টটি তার
ফেসবুক
থেকে
ডিলিট
করে
দেন
ওই
নেতা।
বিষয়টি উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের নজড়ে এনে তার শাস্তির দাবি জানান স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। পরে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় বুধবার (১ মে) রাতে এক চিঠিতে সরদার আবুল কালাম আজাদকে তার প্রস্তাবিত পদ থেকে অব্যহতি দেয় জেলা আওয়ামী লীগ।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া?
জেলা
আওয়ামী লীগের দপ্তর
সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান
সুইট
স্বাক্ষরিত ওই
চিঠিতে
বলা
হয়,
'কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশে পাবনা
জেলা
আওয়ামী লীগের জরুরী
সভার
সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা
সম্পর্কে ফেসবুকে অশালীন
ও
কুরুচপিূর্ন মন্তব্য করায়
সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের
কারণে
ভাঙ্গুড়া উপজেলা
আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার
আবুল
কালাম
আজাদকে
তার
সকল পদ
থেকে
অব্যহতি প্রদান
করা
হলো।
সেই সঙ্গে কেন
তাকে
স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা
হবে
না
তা
পত্র
প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে
জবাব
দিতে
নির্দেশ প্রদান
করা
হলো।
যদি
তিনি
সাত দিনের মধ্যে
জবাব
না
দেন
তাহলে
তাকে
স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে
সুপারিশ করা
হবে।'
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে সরদার আবুল কালাম আজাদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
আরও পড়ুন: নির্দেশ অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের সাধারণ ক্ষমা?
পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার এমন স্ট্যাটাস খুবই ন্যাক্কারজনক। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে কথা বলে তাকে সকল পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।’
অব্যহতি আওয়ামী লীগ নেতা স্যাটাস কুরুচীপূর্ণ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ন স্ট্যাটাস দেওয়ায় পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবুল কালাম আজাদকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা ৭ দিনের মধ্যে জানাতে ওই নেতাকে নির্দেশ দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।