ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন। সেখানে তাকে বিরল সম্মান জানানো হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে তিনি ভাষণ দেবেন। এ ধরনের ভাষণ দেওয়ার সৌভাগ্য বিশ্বের খুব কম নেতারই হয়েছে। নরেদ্র মোদিকে সেই সন্মানে ভূষিত করা হবে। বিশ্ব রাজনীতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন বেশ খানিকটা কোণঠাসা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বিশ্ব যখন আবার বিভক্ত হয়ে পড়েছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃত্ব যখন চ্যালেঞ্জের মুখে- সেই সময়ে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা অধ্যুষিত গণতান্ত্রিক দেশটির সরকার প্রধানকে আমন্ত্রণ জানিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার বিশ্ব কর্তৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চাইছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভালো করেই জানে, বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য অব্যাহত রাখতে গেলে ভারতকে তার প্রয়োজন। আর এ কারণেই নরেদ্র মোদিকে এতো সম্মান দেখানো হচ্ছে। শুধু যে রাজনৈতিক আধিপত্য এমনটি নয়, অর্থনৈতিক সঙ্কটে ধুকতে থাকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ভারত একটা বিশাল বাজার। আর এই বাজারে যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আরও বড় নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে, তাহলে তারা অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারে। তাছাড়া অভিবাসীদের দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা এখন অনেক ভালো ভালো অবস্থানে রয়েছেন। এমনকি দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট নিজেই এখন ভারতীয় বংশোদ্ভূত।
এরকম পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নানা কৌশলগতভাবে ভারতের উপর আনেক বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। আর এই নির্ভরশীলতার জন্যই ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ডেকে সম্মান জানানো হচ্ছে। যদিও ভারতের গণতন্ত্র, সুশাসন, ভিন্নমত দমন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রকম বক্তব্য রয়েছে। কিন্তু এ সমস্ত বক্তব্যগুলো বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর ক্ষেত্রে যেমন তারা উচ্চস্বরে উচ্চারণ করে, ভারতের ক্ষেত্রে তেমনটি করছে না। বরং ভারতের গণতন্ত্রের স্বতঃস্ফূর্ত ধারাকে মার্কিন নীতি-নির্ধারকরা প্রশংসাই করছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে বিশ্ব ব্যবস্থা নিয়ে যেমন আলোচনা হবে, তেমনি আলোচনা হবে উপমহাদেশের প্রসঙ্গ নিয়ে।
সম্প্রতি আনন্দবাজারে একটি খবর বেড়িয়েছে। যে খবরে বলা হয়েছে নরেদ্র মোদি তার সফরে বাংলাদেশ প্রসঙ্গটি উত্থাপন করবেন। নরেদ্র মোদির এই সফরে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ কিভাবে, কতটা গুরুত্ব দিয়ে উপস্থাপিত হবে- তা নিয়ে অবশ্য অনেকের সংশয় রয়েছে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রেই নানা রকম বিষয়গুলো রয়েছে। তাছাড়া এরকম দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কগুলোর ক্ষেত্রে তৃতীয় রাষ্ট্র নিয়ে আলোচনা কতটুকু শোভন এবং কূটনৈতিক শিষ্টাচার সম্পন্ন হবে- তা নিয়েও কারো কারো মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তবে বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, উপমহাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গত এক দশক থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উপমহাদেশের ইস্যু নিয়ে ভারতের উপর নির্ভরশীল। ভারত এই উপমহাদেশের রাজনৈতিক কৌশলের যে নীতি নির্ধারণ করে, সে নীতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এতোদিন অনুসরন করে আসছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান খানিকটা হলেও ভিন্ন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে পাশ কাটিয়েই বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন, গণতন্ত্র নিয়ে নানা রকম প্রশ্ন উত্থাপন করছে এবং নানা রকম সুপারিশ, পরামর্শ এবং নির্দেশনা দিচ্ছে।
এর ফলে বাংলাদেশ এক ধরনের চাপে পড়েছে। আগামী নির্বাচন নিয়েও এক ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। যদিও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়সঙ্কর সম্প্রতি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, অন্য দেশের হস্তক্ষেপ বাংলাদেশের নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না। আর এই বার্তাটি কি নরেদ্র মোদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে দিবেন? এই বার্তার মাধ্যমে কি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ভারত জানিয়ে দেবে যে, বাংলাদেশের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি এই উপমহাদেশের শান্তি, অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অবস্থানকে ক্ষুন্ন করতে পারে। আর এই বার্তাটিই যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মেনে নেয়, তাহলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ এবং মার্কিন প্রভাব অনেকটাই কমে যাবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
মোদি যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ ভারত
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হচ্ছে আজ। বৃহস্পতিবার
(১ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় অধিবেশন শুরু হবে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে
গত ১৫ এপ্রিল এই অধিবেশন আহ্বান করেন।
অধিবেশন শুরুর আগে সংসদ ভবনে সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠক
হবে।
বর্তমান সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটির এটিই হবে প্রথম বৈঠক। বৈঠকে
আসন্ন অধিবেশনের মেয়াদ নির্ধারণ ছাড়াও আলোচ্যসূচি ও কার্যবিবরণী নিয়ে আলোচনা হবে।
অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিমণ্ডলী
মনোনয়ন দেবেন। এরপর শোক প্রস্তাব উত্থাপিত হবে।
ঝিনাইদহ-১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আবদুল হাই মৃত্যুবরণ
করায় রেওয়াজ অনুযায়ী তার ওপর আনা শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হবে। শোক প্রস্তাব গৃহীত
হওয়ার পর অধিবেশন মুলতবি করা হবে। চলমান সংসদের কোনো সদস্যের মৃত্যুতে সংসদে শোক প্রস্তাবের
ওপর আলোচনা শেষে তার সম্মানে অধিবেশন মুলতবি করার রেওয়াজ রয়েছে।
সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, জুনে বর্তমান সরকার ও দ্বাদশ সংসদের
প্রথম বাজেট অধিবেশনের আগে অনুষ্ঠেয় এই দ্বিতীয় অধিবেশন তেমন দীর্ঘ হবে না।
মন্তব্য করুন
চলতি মাসে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) মূল্য বাড়ছে নাকি
কমছে, তা জানা যাবে আজ বৃহস্পতিবার (০২ মে)। এদিন এক মাসের জন্য এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা
করা হবে।
গত মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি)
সচিব ব্যারিস্টার মো. খলিলুর রহমান খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সৌদি আরামকো ঘোষিত মে (২০২৪) মাসের সৌদি সিপি
অনুযায়ী এই মাসের জন্য ভোক্তা পর্যায়ে বেসরকারি এলপিজির মূল্য সমন্বয় সম্পর্কে বাংলাদেশ
এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের নির্দেশনা বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় ঘোষণা করা হবে।
এর আগে, টানা ৮ মাস বাড়ার পর গত ৩ এপ্রিল ভোক্তা পর্যায়ে কমানো
হয় এলপিজির দাম। মার্চ মাসের তুলনায় এপ্রিল মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪০ টাকা কমিয়ে
১ হাজার ৪৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া গত মার্চ মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৮
টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৮২ টাকা, ফেব্রুয়ারিতে ৪১ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৭৪ টাকা ও জানুয়ারিতে
২৯ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
একইসঙ্গে এপ্রিল মাসে অটোগ্যাসের দামও কমিয়েছিল বিইআরসি। এপ্রিল
মাসে ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি লিটার ৬৬ টাকা ২১ পয়সা নির্ধারণ
করা করেছিল সংস্থাটি। আর মার্চ মাসে ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি লিটার
৬৮ টাকা ৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। আর গত ফেব্রুয়ারি ও জানুয়ারি মাসে যা মূসকসহ নির্ধারণ
করা হয়েছিল যথাক্রমে ৬৭ টাকা ৬৮ পয়সা ও ৬৫ টাকা ৬৭ পয়সা।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ৫ দফা কমেছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম, আর বেড়েছে ৭ দফা। গত বছরের জানুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল, জুন ও জুলাই মাসে কমেছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম। আর দাম বেড়েছিল ফেব্রুয়ারি, মে, আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে।
মন্তব্য করুন
রাজবাড়ীতে একটি মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল সাড়ে ৭টায় ২নং রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এতে মেইন লাইন ব্লক হয়ে যাওয়ায় আপাতত রাজবাড়ীর সঙ্গে ঢাকা, রাজবাড়ী-দৌলতদিয়া
ও রাজবাড়ী-খুলনা রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার তন্ময়
কুমার দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা মালবাহী ট্রেনটি সকালে রাজবাড়ীর
২নং রেলগেট এলাকার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ডিপোতে ঢোকার সময় লাইনচ্যুত হয়। আপাতত এই
রুটে সব রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। পোড়াদহগামী লোকাল সাটল ট্রেন পাচুরিয়া রেলস্টেশনে
দাঁড়িয়ে আছে। রাজবাড়ীতেই উদ্ধারকারী রিজার্ভ ট্রেন রয়েছে। আশা করছি খুব শিগগিরই লাইনচ্যুত
ট্রেনটি উদ্ধার করা যাবে।
মন্তব্য করুন
নিজের বাবাকে পেটানোর পর এলাকা থেকে বিতাড়িত হয়ে ঢাকায় চলে আসেন
‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান বহুল আলোচিত মিল্টন সমাদ্দার।
ঢাকায় এসে তিনি একটি ফার্মেসিতে চাকরি শুরু করেন। তবে ফার্মেসি থেকে ওষুধ চুরি করায়
তাকে সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়।
বুধবার (০১ মে) তাকে গ্রেপ্তারের পর এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য
জানায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন
অর রশীদ।
সংবাদ সম্মেলনে ডিবি প্রধান বলেন, মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করা হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে অনেকগুলো অভিযোগ। তার বাড়ি বরিশালের উজিরপুরে। বাবাকে পিটানোয় এলাকাবাসী
ধরে তাকে এলাকা থেকে বের করে দেয়। পরে ঢাকায় এসে তিনি একটি ফার্মেসিতে কাজ শুরু করেন।
ওষুধ চুরি করায় সেখান থেকে তাকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর তিনি কিছু পড়াশোনা করেন। পরে
মিঠু হালদার নামে এক নার্সকে বিয়ে করেন।
ডিবি প্রধান আরও বলেন, এরপর তার চিন্তায় আসল তিনি একটা ওল্ড এজ
কেয়ার চালু করবেন। পরে তার স্ত্রীকে নিয়ে মিরপুরে চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার নামে
একটা প্রতিষ্ঠান চালু করেন। সেখানে বাচ্চা ও বৃদ্ধদের নিয়ে আসেন। আপনারা দেখেছেন ভিডিও
ভাইরাল হয়েছে সেখানে অপারেশন থিয়েটার আছে। মানুষ সেখানে বিভিন্ন সেবা নেয়। কিন্তু অপারেশন
থিয়েটার থাকতে হলে লাইসেন্স প্রয়োজন, যা তার নেই। এছাড়া তিনি মরদেহ রাতে দাফন করেন
এবং চিকিৎসকের স্বাক্ষর জাল করে নিজেই ডেড সার্টিফিকেট দেন, যা তিনি স্বীকার করেছেন।
তিনি আরও বলেন, তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ
করব। লাশগুলো রাতে দাফন করেছেন কেন, ডেড সার্টিফিকেট নিজে কেন তৈরি করেন। এছাড়া তার
প্রতিষ্ঠানে থাকা ব্যক্তিদের স্বজনদের তিনি টর্চারসেলে নিয়ে পিটিয়েছেন। এগুলো জিজ্ঞাসাবাদ
করা হবে।
মন্তব্য করুন
কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ ছাত্রী নিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির
ভিডিও ধারণ করার অভিযোগে এক যুবককে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় দাঁড়িয়ে
মেয়েদের উদ্দেশ্যে ইশারা ইঙ্গিত ও অশ্লীল অঙ্গ ভঙ্গি করার দায়ে মো. জাকির হোসেন (২৭)
নামে এক যুবককে ১ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
বুধবার (১ মে) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম সদর ইউএনও
মুশফিকুল আলম হালিম।
জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত জাকির হোসেন জেলার উলিপুর উপজেলার দূর্গাপুর
ইউনিয়নের আনন্দ বাজার এলাকার নুর ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় জিয়া পুকুর বিনোদন কেন্দ্রের
পাহারাদার।
এর আগে, বুধবার বিকেলে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ ছাত্রী নিবাসের সামনে
ভ্রাম্যমান আদালতটি পরিচালনা করেন কুড়িগ্রাম ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুশফিকুল
হালিম।
ভ্রাম্যমান আদালত সুত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ ছাত্রী
নিবাসে থাকা ছাত্রীদের দীর্ঘ দিন ধরে নানানভাবে উত্ত্যাক্ত করে আসছিলেন জাকির। পরে
ছাত্রীরা বিষয়টি কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানালে কর্তৃপক্ষ পুলিশ প্রশাসনকে অভিহিত করেন। পরে
পুলিশ এসে বুধবার বিকেলে জাকির হোসেনকে হাতে নাতে ধরে ভ্রাম্যমান আদালতে সোপর্দ করে।
জাকির হোসেন দায় স্বীকার করায় ভ্রাম্যমান আদালত এক মাসের কারাদণ্ড ও ১ হাজার টাকা জরিমানা
অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের কারাদণ্ডা দেন। তৎক্ষনাৎ জাকির হোসেন ১ হাজার টাকা পরিশোধ করলে
আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের উপধ্যাক্ষ মো. আতাউল খান বলেন, আমাদের
কলেজের ছাত্রীনিবাসের এক ছাত্রী ওই যুবকের অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ করেন। সেটি
প্রমাণ হিসেবে ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থাপন করা হয়। ওই যুবক এর আগেও ছাত্রীনিবাসের সামনে
গিয়ে শিক্ষার্থীদের বিরক্ত করেছে বলে অভিযোগ ছিল। এজন্য বিষয়টি প্রশাসনকে জানালে প্রশাসন
আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে।
ছাত্রীনিবাস অশ্লীল ভিডিও কারাদণ্ড
মন্তব্য করুন