ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের পাঁচ অস্বস্তি

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৭ জুন, ২০২৩


Thumbnail বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের পাঁচ অস্বস্তি।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে যখন বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক চাপে রয়েছে, তখন ভারত বাংলাদেশের প্রধান ভরসা। বিশ্ব রাজনীতিতে ভারত একটি ভারসাম্যের নাম। একদিকে যেমন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে ভারত কোনো পক্ষ না নিয়েও নিজেদের দেশের স্বার্থ রক্ষা করেছে, তেমনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কৌশলগত সুসম্পর্কও বজায় রেখেছে। বিশ্ব রাজনীতিতে ভারতের প্রভাব আগের চেয়েও অনেক বেশি। এ রকম বাস্তবতায় বাংলাদেশের সবচেয়ে কাছের প্রতিবেশী হিসেবে- এই দেশের নির্বাচনে ভারতের অবস্থান এবং ভূমিকা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের অবস্থানের কতটুকু বিরোধীতা করতে পারবে- সেটা নিয়েও সংশয় রয়েছে। শেষ পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচনে যা চায়- সেটি অর্জন করতে গেলে ভারতকে পাশে রাখতেই হবে। 

অন্যদিকে ভারত বাংলাদেশের নির্বাচনের ব্যাপারে মার্কিন অবস্থানের সাথে এখন পর্যন্ত একমত নয়। বরং তারা মনে করে, বাংলাদেশের নির্বাচন বাংলাদেশের মতো করেই হতে হবে। এই নির্বাচন একটি দেশের নিজস্ব ব্যাপার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি- এমনকি তাদের কঠোর অবস্থান ভারতের থিঙ্ক ট্যাঙ্করা যে পছন্দ করছে না- ভারতের গণমাধ্যমে সে সম্পর্কে একাধিক খবর প্রকাশিত হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারতের অবস্থানের মধ্যেও বাংলাদেশ নিয়ে কিছু কিছু বিষয়ে ভারতের অস্বস্তি রয়েছে এবং এই অস্বস্তিগুলো নির্বাচনের আগেই সরকারকে পরিষ্কার করতে হবে। তা না হলে বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভারতের নিরঙ্কুশ সমর্থন পাওয়া নিয়ে কারো কোনো সংশয় রয়েছে। 

বাংলাদেশের যে পাঁচটি বিষয় নিয়ে ভারতের অস্বস্তি রয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে:-

১. চীনের সঙ্গে সম্পর্ক: চীনের সঙ্গে বাড়াবাড়ি রকমের সম্পর্ক ভারতের একটি উদ্বেগের কারণ। ভারত-চীন বিরোধ দীর্ঘ দিনের পুরোনো এবং এই বিরোধের কারণে উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশে চীনের যে বিনিয়োগ, সে বিনিয়োগ ক্রমশ ভারতের একটি মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারত চায়না বাংলাদেশ চীনের সাথে আরও গভীর সম্পর্কে জড়াক। যদিও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, এই সম্পর্কটি কেবল অর্থনৈতিক। কিন্তু এ নিয়ে ভারতের অস্বস্তি কাটেনি। 

২. জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক: ভারতের দ্বিতীয় অস্বস্তি রয়েছে- সরকারের সঙ্গে জামায়াতের রহস্যময় সম্পর্ক। বিশেষ করে সম্প্রতি জামায়াতকে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়ায় নানা রকম প্রশ্ন উপস্থাপিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগের আদর্শগত জোট ১৪ দল থেকেও এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করা হয়েছে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, মার্কিন ভিসা নীতির প্রভাবের কারণেই জামায়াত সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো এই যে, অনেকেই মনে করছেন আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখেই জামায়তকে সুযোগ করে দিচ্ছে। 

৩. সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান: শুধু জামায়াত নয়, বেশ কিছু সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক শক্তির উত্থান ঘটছে এবং বাংলাদেশের যে অসম্প্রদায়িক রাজনৈতিক চেতনা, যেটি মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে লালিত এবং বিকশিত- সেই চেতনায় আঘাত হানছে। ফলে ভারত মনে করে যে, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে গেলে- এখানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠিত করতে গেলে, অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে বিকাশ করতে হবে। আর সাম্প্রদায়িক রাজনীতির উত্থান বাংলাদেশের জন্য যেমন ইতিবাচক হবে না, তেমনি ভারতও এটা পছন্দ করছেনা। 

৪. আওয়ামী লীগের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প: আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে অনেকেই আছেন- যারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি লালন-পালন করছেন এবং সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে পৃষ্ঠপোষকতা দান করছেন। এটি ভারতের অস্বস্তির একটি বড় কারণ বলে মনে করছেন অনেকেই। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা পাকিস্তানপন্থি এবং ভারতবিরোধী- এমন তথ্য ভারতকে পীড়া দেয় বলেও কেউ কেউ মনে করেন। 

৫. রাজনীতিতে চীনপন্থিদের দাপট: বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এখন চীনপন্থি হিসেবে পরিচিত হচ্ছেন এবং চীনের সাথে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের দৃশ্যমান ভূমিকা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এটি ভারতের কাছে একটি বড় ধরনের উদ্বেগের বিষয় রয়েছে বলে বিভিন্ন মহল মনে করেন। কারণ চীন যদি বাংলাদেশের রাজনীতির উপর প্রভাব বিস্তার করে, সেটি ভারতের জন্য উদ্বেগের কারণ হবে বলেই তারা মনে করছেন। 


বাংলাদেশ   ভারত   চীন   নির্বাচন   যুক্তরাষ্ট্র   ভিসা নীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নিজের বাবাকে পিটিয়ে এলাকা থেকে বিতাড়িত হয়েছিল মিল্টন সমাদ্দার

প্রকাশ: ০৮:৪৪ এএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

নিজের বাবাকে পেটানোর পর এলাকা থেকে বিতাড়িত হয়ে ঢাকায় চলে আসেন ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান বহুল আলোচিত মিল্টন সমাদ্দার। ঢাকায় এসে তিনি একটি ফার্মেসিতে চাকরি শুরু করেন। তবে ফার্মেসি থেকে ওষুধ চুরি করায় তাকে সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়।

বুধবার (০১ মে) তাকে গ্রেপ্তারের পর এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

সংবাদ সম্মেলনে ডিবি প্রধান বলেন, মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অনেকগুলো অভিযোগ। তার বাড়ি বরিশালের উজিরপুরে। বাবাকে পিটানোয় এলাকাবাসী ধরে তাকে এলাকা থেকে বের করে দেয়। পরে ঢাকায় এসে তিনি একটি ফার্মেসিতে কাজ শুরু করেন। ওষুধ চুরি করায় সেখান থেকে তাকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর তিনি কিছু পড়াশোনা করেন। পরে মিঠু হালদার নামে এক নার্সকে বিয়ে করেন।

ডিবি প্রধান আরও বলেন, এরপর তার চিন্তায় আসল তিনি একটা ওল্ড এজ কেয়ার চালু করবেন। পরে তার স্ত্রীকে নিয়ে মিরপুরে চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার নামে একটা প্রতিষ্ঠান চালু করেন। সেখানে বাচ্চা ও বৃদ্ধদের নিয়ে আসেন। আপনারা দেখেছেন ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সেখানে অপারেশন থিয়েটার আছে। মানুষ সেখানে বিভিন্ন সেবা নেয়। কিন্তু অপারেশন থিয়েটার থাকতে হলে লাইসেন্স প্রয়োজন, যা তার নেই। এছাড়া তিনি মরদেহ রাতে দাফন করেন এবং চিকিৎসকের স্বাক্ষর জাল করে নিজেই ডেড সার্টিফিকেট দেন, যা তিনি স্বীকার করেছেন।

তিনি আরও বলেন, তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করব। লাশগুলো রাতে দাফন করেছেন কেন, ডেড সার্টিফিকেট নিজে কেন তৈরি করেন। এছাড়া তার প্রতিষ্ঠানে থাকা ব্যক্তিদের স্বজনদের তিনি টর্চারসেলে নিয়ে পিটিয়েছেন। এগুলো জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।


মিল্টন সমাদ্দার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ছাত্রীনিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ, যুবকের কারাদণ্ড

প্রকাশ: ০৮:১৬ এএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ ছাত্রী নিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ করার অভিযোগে এক যুবককে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় দাঁড়িয়ে মেয়েদের উদ্দেশ্যে ইশারা ইঙ্গিত ও অশ্লীল অঙ্গ ভঙ্গি করার দায়ে মো. জাকির হোসেন (২৭) নামে এক যুবককে ১ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।

বুধবার (১ মে) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম সদর ইউএনও মুশফিকুল আলম হালিম।

জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত জাকির হোসেন জেলার উলিপুর উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের আনন্দ বাজার এলাকার নুর ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় জিয়া পুকুর বিনোদন কেন্দ্রের পাহারাদার।

এর আগে, বুধবার বিকেলে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ ছাত্রী নিবাসের সামনে ভ্রাম্যমান আদালতটি পরিচালনা করেন কুড়িগ্রাম ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুশফিকুল হালিম।

ভ্রাম্যমান আদালত সুত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ ছাত্রী নিবাসে থাকা ছাত্রীদের দীর্ঘ দিন ধরে নানানভাবে উত্ত্যাক্ত করে আসছিলেন জাকির। পরে ছাত্রীরা বিষয়টি কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানালে কর্তৃপক্ষ পুলিশ প্রশাসনকে অভিহিত করেন। পরে পুলিশ এসে বুধবার বিকেলে জাকির হোসেনকে হাতে নাতে ধরে ভ্রাম্যমান আদালতে সোপর্দ করে। জাকির হোসেন দায় স্বীকার করায় ভ্রাম্যমান আদালত এক মাসের কারাদণ্ড ও ১ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের কারাদণ্ডা দেন। তৎক্ষনাৎ জাকির হোসেন ১ হাজার টাকা পরিশোধ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের উপধ্যাক্ষ মো. আতাউল খান বলেন, আমাদের কলেজের ছাত্রীনিবাসের এক ছাত্রী ওই যুবকের অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ করেন। সেটি প্রমাণ হিসেবে ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থাপন করা হয়। ওই যুবক এর আগেও ছাত্রীনিবাসের সামনে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বিরক্ত করেছে বলে অভিযোগ ছিল। এজন্য বিষয়টি প্রশাসনকে জানালে প্রশাসন আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে।


ছাত্রীনিবাস   অশ্লীল ভিডিও   কারাদণ্ড  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দাবদাহ মোকাবিলায় সরকার, জনসচেতনতা কোথায়?

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র দাবদাহে অসহনীয় গরমে পুড়ছে পুরো দেশ। কখনও তীব্র আবার কখনো অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে। এই গরমে হাঁসফাঁস জনজীবন পার করছে জনগণ। নাভিশ্বাস হয়ে পড়েছে জীবনব্যবস্থা। এপ্রিলের পুরো মাস জুড়েই ছিল তীব্র তাপপ্রবাহ, যা ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। এবংকি চলতি মে মাসেও দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় সর্বকালের রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অফিস।

দেশের তাপমাত্রায় যখন এমন দূর্বিসহ দিন যাচ্ছে তখন বসে নেই সরকার। জনগণকে এই তীব্র গরম থেকে স্বস্তি দিতে সরকার নিচ্ছে একের পর এক পদক্ষেপ, করছে কার্যকর। শুধু সরকারের পদক্ষেপেই কি মিলবে স্বস্তি নাকি দেশের জনগণকে নিজেদেরে সচেতন হয়ে দাবদাহ মোকাবিলা নিতে হবে নানান ব্যবস্থা। দেশপ্রেমের স্থান থেকেও সরকারকে সহযোগিতা করে তীব্রগরমেও আনতে হবে স্বস্তি।

সম্প্রতি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। পানি ছিটানো হচ্ছে ফুটপাত ও সড়ক বিভাজকে থাকা গাছপালাতেও। তপ্ত গরমের মধ্যেও যারা জীবিকার তাগিদে ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন তাদের কিছুটা স্বস্তি দিতে সরকারের পক্ষ থেকে এ উদ্যেগ নেওয়া হয়ে।

বসে নেই আবহওয়া অধদপ্তরও। স্বস্তিবোধের খবর দিতে কাজ করে যাচ্ছে অনায়েসে। ক্রমাগত ভাবে আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ বুলেটিন অনুসারে খবর দিয়ে যাচ্ছে দেশবাসিকে। দফায় দফায় হিট অ্যালার্ট জারি করে জনগণকে সচেতন করছে সংস্থাটি।

অন্যদিকে শিক্ষামন্ত্রনালয় তৎপরতার সহিত তীব্র তাপদাহের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আবারও বন্ধের বিষয়ে আলোচনা করছে। শিক্ষার্থীদের কল্যানে যাতে করে এই তাপপ্রবাহ শিক্ষাখাতে কোন প্রভাব না আনতে পারে সে জন্য নিচ্ছেন নানান ব্যবস্থা।

তবে কি শুধু সরকার এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করলেই মিলবে গরমের স্বস্তি? নাকি জনগেণেরও নিজেরা উদ্যেগ গ্রহন করে সামাজি ও পারিবারিকভাবে সচেতন হওয়া উচিৎ?

বসতবাড়িতে তীব্র তাপপ্রবাহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যক্তিগত এয়ার কন্ডিশনার, ফ্যান, বা অন্যান্য কুলিং সরঞ্জাম ব্যবহার করতে পারেন। ঘরের নকশা যত্ন যাথে করে তাপমাত্রা কমানো যায়। যা কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে। অতিরিক্ত গরমে দেহ থেকে পানি হারিয়ে যায়। তাপমাত্রা কমানোর জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ। এতে করে পানিশূণ্যতাযনিত রোগ থেকে যেমন মুক্তি পাওয়া যাবে তেমনি গরমে কিছুটা স্বস্তি পেতে পারে। শুধু পানি পান করা নয় , তীব্র গরমে জীবন চলার পথে উষ্ণতাও বন্ধ করা উচিত। অতিরিক্ত গরমে সারি, জামা, ও অন্যান্য সংগ্রহশালা এবং কুলিং বাস্ত্র পরিহার করা উচিত যাতে দেহ ঠাণ্ডা রাখা জরুরী।

আর এতে করে মিলতে পারে ব্যক্তিগত স্বস্তি। যা নিজের অবস্থান সুস্থ্যতাকে ভালো ফলশ্রুত দিতে পারে। দাবদাহে চলার পথে শুষ্ক এবং শীতল স্থানে সময় ব্যয় করা উচিত। যেমন বাড়ির ভিতর থাকা, জলস্থল বা বারি পর্যবেক্ষণ করা। গাছের ছায়ার নিচে থাকা। এক কথায় শরীরের জন্য যত্ন নেওয়া জরুরি যেন হার্মনিক হয়। এটি উষ্ণতা রেগুলেশন, উষ্ণতা ব্যবহার এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা করে। সরকারের নির্দেশনা মানতে হবে। চলমান দাবদাহে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জণগনের কল্যানে বিভিন্নভাবে সতর্ক করছে। এমনকি স্বাস্থ্য মন্ত্রী নিজেই গ্রামীন পরিবেশে গিয়ে জণগনের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কাজ করছে।

এই তীব্র গরমের মধ্যেও বিভিন্ন গ্রামে তৃণমূল গ্রামে ঘুরে হাসপাতালগুলোর সার্বিক অবস্থা ও জণগনের স্বাস্থ সংক্রান্ত বিষয়ে খবর নিচ্ছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেছেনে, ‘আমরা স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন করতেছি। গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে আমি গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছি। স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন করে দেশের সব প্রাইভেট হাসপাতালে রোগনির্ণয় পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করা হবে’।

এছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদপ্ত দিয়েছে ৪ নির্দেশনা..

১। তীব্র গরম থেকে দূরে থাকুন, মাঝে মাঝে ছায়ায় বিশ্রাম নিন।

২। প্রচুর পরিমাণে নিরাপদ পানি পান করুন। হেপাটাইটিস এ, ই, ডায়রিয়াসহ প্রাণঘাতি পানিবাহিত রোগ থেকে বাঁচতে রাস্তায় তৈরি পানীয় ও খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে একাধিকবার গোসল করুন।

৩। গরম আবহাওয়ায় ঢিলেঢালা পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরুন, সম্ভব হলে গাঢ় রঙিন পোশাক এড়িয়ে চলুন।

৪। গরম আবহাওয়ায় যদি ঘাম বন্ধ হয়ে যায়, বমি বমি ভাব দেখা দেয়, তীব্র মাথাব্যথা হয়, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, প্রস্রাব কমে যায়, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়, খিঁচুনি ও অজ্ঞান হওয়ার মতো কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে হাসপাতালে যান এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

স্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শের জন্য প্রয়োজনে ‘স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

এছাড়াও, সরকারের সকল নির্দেশ মেনে চলা এবং নির্দেশাবলী মানতে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব স্থান থেকে একে অপরে পাশে থেকে সহযোগিতা করা উচিৎ। কেননা প্রতিটি সামাজ দেশ ও জাতির প্রতিটি মানুষই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রতিটি জনগণকে সচেতন হয়ে দাবদাহ মোকাবিলা করতে হবে।


তীব্র তাপপ্রবাহ   ডিএনসিসি   জনসচেতনতা   আবহাওয়া অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আদালতে মিল্টনের রিমান্ড চাওয়া হবে: ডিবি

প্রকাশ: ১০:০১ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অজস্র অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার নামে মামলা প্রক্রিয়াধীন। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডে চাইবে পুলিশ। 

বুধবার (১ মে) রাত ৯টার দিকে ডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন,’মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে মানবপাচার ও নির্যাতনসহ প্রতারণার মামলার করা হবে। মিডিয়ায় যতো অভিযোগ এসেছে সব বিষয়েই তদন্ত করা হবে। এছাড়া রাতে কেনো লাশ দাফন করতেন এই বিষয়ে মিল্টন জানান, মানুষ তাকে প্রশ্ন করে তাই রাতে তিনি লাশ দাফন করতেন। তার বক্তব্য অনুযায়ী ৯০০ দাফন করলেও ৮৩৫টি লাশের দাফনের কাগজপত্র দেখাতে পারেনি তিনি।’

এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। 

উল্লেখ্য, গত ২৫ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে মানবতার ফেরিওয়ালার মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর সব প্রতারণার খবর প্রকাশ পায়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, মিল্টন সমাদ্দার নামক এক ব্যক্তি ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’নামের বৃদ্ধাশ্রম গড়ে রাস্তা থেকে অসুস্থ কিংবা ভবঘুরেদের কুড়িয়ে সেখানে আশ্রয় দেন। সেসব নারী, পুরুষ ও শিশুকে নিয়ে ভিডিও তৈরি করে প্রায়ই তাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করতে দেখা যায়।

মিল্টন সমাদ্দার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে পাঁচ শঙ্কা

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।

উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তারা ভোট বর্জনের ডাক দিয়েছে এবং যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে তাদেরকে ঢালাওভাবে বহিষ্কার করা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে ৭৩ জন, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৬৩ জনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। কিন্তু এই সব বহিষ্কার সত্ত্বেও বিএনপির নেতাকর্মীরা উপজেলা নির্বাচনে তাদের আগ্রহ হারায়নি। বরং যারা উপজেলা নির্বাচনে আগ্রহী, তারা দলের নির্দেশ অমান্য করেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে।

জাতীয় পার্টিকে উপজেলা নির্বাচনে তেমন সরব দেখা যাচ্ছে না। সারা দেশে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তি এবং হতাশার ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হবে কিনা সেটি নিয়ে অনেকের মধ্যেই সংশয় রয়েছে।

উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে পাঁচটি শঙ্কা ক্রমশ দানা বেঁধে উঠছে। 

১. ভোটার উপস্থিতি: উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল ভোটার উপস্থিতি। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নেতাকর্মীদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। এ কারণেই আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার করছে না। একাধিক প্রার্থী যেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন, দলের ভিতর যেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় এবং নির্বাচনে যেন ভোটার উপস্থিতি পারে সেটাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য। কিন্তু আওয়ামী লীগের এই কৌশল কতটুকু কার্যকর হবে, ভোটাররা ভোটে কতটুকু আগ্রহ দেখাবে- সেটি নিয়েও অনেকের সংশয় রয়েছে।

২. আওয়ামী লীগের বিশৃঙ্খল অবস্থা: উপজেলা নির্বাচনে একটা বড় শঙ্কার জায়গা হল আওয়ামী লীগের বিশৃঙ্খলা এবং এই বিশৃঙ্খলা শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলেই অনেকে মনে করছেন। উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় সে কারণে আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে। কিন্তু দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে বহু এমপি-মন্ত্রীর আত্মীয় স্বজন এবার নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। এই সমস্ত প্রার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের প্রার্থীদের সহিংসতার ঘটনা উপজেলা নির্বাচনকে উত্যক্ত করতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন। বিভিন্ন স্থানে তার আলামতও পাওয়া যাচ্ছে।

৩. প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ: নির্বাচনে প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য একটি বড় বাধা। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগ মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদেরকে নির্বাচনে না যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু সেই পরামর্শ না শুনেই মন্ত্রী-এমপিরা তাদের স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছেন। শুধু প্রার্থী করাই নয়, এলাকায় তারা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টাও করছেন। এই প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা সুষ্ঠু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। প্রতিপক্ষকে ঘাবড়িয়ে দেওয়া, ভোটারদেরকে নিরুৎসাহিত করা ইত্যাদি প্রবণতাগুলো উপজেলা নির্বাচনকে ম্লান করতে পারে বলেই অনেকে মনে করছেন।

৪. প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরপেক্ষতা: প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে উপজেলা নির্বাচনে নিরপেক্ষ থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আর সেই পরামর্শ অনুযায়ী প্রশাসন কতটুকু নিরপেক্ষ থাকবে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। বিশেষ করে প্রভাবশালীরা যখন নির্বাচনের মাঠে হস্তক্ষেপ করবে তখন প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কতটুকু নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে নির্বাচন পরিচালনা করতে পারবে সেটি নিয়ে একটি প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

৫. ভোটারদের অনীহা: উপজেলা নির্বাচনেও ভোটারদের অনীহা রয়েছে। কারণ একাধিক বিকল্প প্রার্থী এবং ভিন্নমতের প্রার্থী না থাকার কারণে উপজেলা নির্বাচন নিয়েও ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনার অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভোটারদের এই অনাগ্রহ উপজেলা নির্বাচনকে একটি সাদামাটা নির্বাচনে পরিণত করতে পারে বলেই অনেকে মনে করেন।

উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন