ইনসাইড বাংলাদেশ

সুইস ব্যাংক থেকে পাচারের টাকা যাচ্ছে দুবাইয়ে

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৩ জুন, ২০২৩


Thumbnail

সুইস ব্যাংকের অর্থ তুলে নিচ্ছে বাংলাদেশিরা। সুইস ব্যাংক ব্যাংক থেকে বিস্ময়কর গতিতে বাংলাদেশিদের আমানত তুলে নেওয়া হচ্ছে। সুইজারল্যান্ডের কর্তৃপক্ষের হিসেব অনুযায়ী মাত্র এক বছরে সুইস ব্যাংকগুলো থেকে ১০ হাজার পাঁচশ সাইত্রিশ কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন বাংলাদেশিরা। ২০২১ সালে যেখানে বাংলাদেশিদের আমানত ছিল ৮৭ কোটি এক লাখ সুইস ফ্রাঁ, ২০২২ তা কমে দাঁড়িয়েছে টাকা 5 কোটি ৫২ লাখ ফ্রাঁ-তে। সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদনে এই চিত্র পাওয়া যায়। প্রশ্ন উঠেছে যে, এই ১০ হাজার পাঁচশ সাইত্রিশ কোটি টাকা কোথায় গেল। সুইজারল্যান্ড থেকে এই টাকা যদি বাংলাদেশে আসত তাহলে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের এই হাল হতো না। বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও এই দুরবস্থা হতো না। অর্থনীতিবিদরা নিশ্চিত হয়েছেন যে, এই টাকা বাংলাদেশে আসেনি। 

নানা কারণেই সুইজারল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, সিঙ্গাপুর ইত্যাদি দেশগুলো এখন পাচার করা অর্থ রাখার জন্য নিরাপদ জায়গা বলে বিবেচিত হচ্ছে না। কারণ আন্তর্জাতিক অর্থ পাচার তদারকি এবং তদন্ত এখন আগের চেয়ে অনেক জোরদার হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ গুলো একটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অর্থ পাচার রোধ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশ থেকে যারা অর্থ পাচারকারী তাদেরকেও নানাভাবে চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আরেকটি কারণ হলো সামনে নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে অনিশ্চয়তার মধ্যে যদি ক্ষমতার পট পরিবর্তন হয় তাহলে যে সমস্ত দেশগুলোতে পাচারকৃত অর্থের দিকে নজর যাবে তার মধ্যে অন্যতম হলো সুইস ব্যাংকগুলো। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি এবং অন্যান্য পদক্ষেপের কারণে ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকেও পাচারকারীরা অর্থ সরাতে শুরু করেছে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো পাচারকারীরা এসব অর্থ সরিয়ে বাংলাদেশ নিয়ে আসছে না। বাংলাদেশে টাকা আসার পরিমাণ খুবই কম। 

দুমাস আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে বেশকিছু অর্থ আসছিল। কিন্তু এ নিয়ে আলোচনার পর এখন সেটিও বন্ধ হয়ে গেছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, একটু গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলে বা তদন্ত করলে দেখা যাবে যে সুইস ব্যাংকের টাকা গুলো যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে। দুবাই এখন অর্থপাচারের বড় হাব হয়েছে। বিভিন্ন ব্যক্তিরা অর্থ পাচার করে, অর্থ সম্পদ লুট করে দুর্নীতি করে এখন টাকা রাখা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বিবেচনা করছেন দুবাইতে। যে ১০ হাজার পাঁচশ সাইত্রিশ কোটি টাকা সুইস ব্যাংক থেকে এ বছর উত্তোলন করা হয়েছে সেই টাকা যে দুবাই গেছে এ ব্যাপারে অর্থনীতিবিদদের কোন রকম সন্দেহ নেই। তারা মনে করছেন যে, এই টাকাগুলোর গতিপথ পর্যবেক্ষণ করলে পাওয়া যাবে যে অর্থ পাচারকারী কারা। কিন্তু সেটা সরকার করবে কিনা তা নিয়ে কোনো কোনো অর্থনীতিবিদের সংশয় রয়েছে। 

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, গত কয়েক বছর ধরে দুবাইয়ে সম্পদশালীদের অর্থ পাচারের প্রবণতা এবং ঝোঁক বেড়েছে। তারা কথায় কথায় দুবাই যাচ্ছেন এবং দুবাইতে দোকানপাট, শপিং মল, আবাসন খাতে বিপুল পরিমাণ বাংলাদেশিদের বিনিয়োগ হচ্ছে। এই টাকা যে পাচারের টাকায় এ নিয়ে কারো কোনো সন্দেহই নেই। সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছেন, নানা কারণেই সুইস ব্যাংক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডার চেয়ে দুবাইয়ের টাকা রাখা সুবিধাজনক হচ্ছে। পাচারের এই টাকা বেহাত হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। দুবাই পাচারকৃত অর্থ কোন সরকারের অনুরোধে ফেরত দেয় না। দুবাই বা সংযুক্ত আরব আমিরাতে অর্থ পাচারকারীদের তথ্য প্রকাশ করা হয় না। সেখানে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কর দিয়ে যে কেউ যে কোনো পরিমাণ অর্থ রাখতে পারে। সেখানে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ  কর দিয়ে যে কেউ যেকোনো সম্পদের মালিক হতে পারে। দুবাই বা সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধান নীতি হলো সেখানে বসে যদি কেউ কোন অপরাধ না করে তাহলে অন্য দেশের অপরাধের জন্য তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না। আর এর ফলে শুধু বাংলাদেশ নয়, বিভিন্ন দেশের লুণ্ঠনকারী, দুর্নীতিবাজ, দুর্বৃত্তদের অভয়াস্থলে পরিণত হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। 

অনুসন্ধান করে দেখা যাচ্ছে যে, বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে দুবাইয়ের যে পরিমাণ বিনিয়োগ হয়েছে তা বিস্ময়কর। সুইস ব্যাংকগুলো নিরাপদ নয়, সেখানকার গুচ্ছিত অর্থ নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে নানারকম লেখালেখি হয়। আন্তর্জাতিক মুদ্রা পাচার তদারকি সংস্থাগুলো সুইস ব্যাংক বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অর্থপাচার গভীরভাবে মনিটরিং করে। এ কারণেই এখন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো পাচারকারীদের নতুন ঠিকানা হয়েছে। 

সুইস ব্যাংক   অর্থ পাচার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অবশেষে ঢাকায় স্বস্তির বৃষ্টি

প্রকাশ: ০৯:০৯ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

একমাস তাপদাহের পর অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজেছে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা। বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর পুরান ঢাকার সদরঘাট, ইসলামপুর, সূত্রাপুর, রায় সাহেব বাজার, রায়েরবাগসহ একাধিক এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে।

এদিন সন্ধ্যা থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মেঘের দেখা মেলে। অবশেষে রাত ৯টার দিকে সদরঘাট, ইসলামপুর, সূত্রাপুর, রায় সাহেব বাজার, রায়েরবাগসহ একাধিক এলাকায় বিদ্যুতও চমকানোর সঙ্গে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর ক্রমে বাড়তে থাকে বৃষ্টির তীব্রতা। অবশ্য ১৫ মিনিট পর বৃষ্টি অনেকটা থেমেও যায়। কোথাও কোথাও বৃষ্টির সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়া। স্বস্তির বৃষ্টি দেখে অনেকেই উচ্ছ্বাসে ভিজতে নেমে যান। বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া বয়ে যাওয়ায় এসব এলাকায় শীতল অনুভব হচ্ছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পশ্চিত বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

স্বস্তির বৃষ্টি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এবার উপজেলায় ওবায়দুল কাদেরের ভাই-ভাগ্নের মনোনয়ন দাখিল

প্রকাশ: ১০:২৫ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে এবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও ভাগনে। ছোট ভাই শাহদাত হোসেন প্রার্থী হয়েছেন চেয়ারম্যান পদে। আর ভাগনে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু প্রার্থী হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদে।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ৪র্থ ধাপের নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন বৃহস্পতিবার (২ মে) তারা মনোনয়ন দাখিল করেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন।

চেয়রাম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ গোলাম শরীফ চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, আমেরিকা প্রবাসী ওমর আলী। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাগ্নে বসুরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রশীদ মঞ্জু, মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী মামুন হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেন, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী পারভীন আক্তার, ফাতেমা বেগম, রেহানা আক্তার। 

এ উপজেলায় আওয়ামী লীগ ব্যতীত অন্যকোন রাজনৈতিক দলের কেউ প্রার্থী হয়নি।

৪র্থ ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ২ মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৫ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ মে, প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে। ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৯ মে।

উপজেলা নির্বাচন   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মুক্তি পাচ্ছেন মামুনুল হক

প্রকাশ: ১০:১৭ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বৃহস্পতিবার (২ মে) রাতেই মুক্তি পাচ্ছেন।

তিনি কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন এমন খবরে সেখানে হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়েছেন।

এর আগে গত ১১ মার্চ মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন হেফাজত নেতারা। ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন। 

বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান দাবি করেন, ‘মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।’

এদিকে, গত ২৪ এপ্রিল তিন মামলায় জামিন পান মামুনুল হক। এ বিষয়ে মামুনুল হকের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল বলেন, ২০১৩ সালের মতিঝিল থানার এক মামলায় ও ২০২১ সালের পল্টন থানার দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন মামুনুল হক। তার বিরুদ্ধে ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে একাধিক মামলা রয়েছে। ওইসব মামলায় জামিন পেলে তিনি কারামুক্ত হতে পারবেন।

এর আগে গত ৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় জামিন পান মামুনুল হক। এ ছাড়া গত ৫ ফেব্রুয়ারিতে আরও দুই মামলায় জামিন পান তিনি। তার আগে ২০২৩ সালের ৩ মে পাঁচ মামলায় হাইকোর্ট থেকে স্থায়ী জামিন পান মামুনুল হক। গণমাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে সব মিলিয়ে বর্তমানে অন্তত ১১টি মামলায় জামিনে আছে হেফাজতের এ নেতা।

হেফাজতে ইসলাম   মাওলানা মামুনুল হক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশে হচ্ছে উন্মুক্ত কারাগার

প্রকাশ: ০৯:৫৭ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশেও উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের কার্যক্রম শিগগিরই শুরু করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এদিন প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।

নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশে উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। মালয়েশিয়ার কমিউনিটি রিহ্যাবিলিটেশন প্রোগ্রামের (সিআরপি) আদলে এই উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের জন্য কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় ১৬০ একর জমি বন্দোবস্ত পাওয়া গেছে। সেখানে শিগগিরই উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করা হবে।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশে বর্তমান সরকারের বিগত তিন মেয়াদে ৮৩ হাজার ৫৭৭টি পদ বাড়ানো হয়েছে। স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এসব পদে জনবল নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে ও অভিযান পরিচালনার জন্য এবং বাংলাদেশ পুলিশকে ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তরের জন্য দুটি অত্যাধুনিক হ্যালিকপ্টার সংযোজনের কার্যক্রম চলমান আছে।

পুলিশ বাহিনীর আধুনিকায়নের বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশকে স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে বিভিন্ন ধরনের যুগোপযোগী আগ্নেয়াস্ত্র দেওয়া হচ্ছে। আগে ব্যবহৃত পয়েন্ট ৩০৩ রাইফেলের পরিবর্তে বর্তমানে ৭ পয়েন্ট ৬২ মিলিমিটার রাইফেল ব্যবহৃত হচ্ছে। সেই সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের ৭ পয়েন্ট ৬২ অথবা ৯ এমএম পিস্তল ছাড়াও ৯ এমএম এসএমজি, পয়েন্ট ৪৫ ইঞ্চি এসএমজি, ১২ বোর শটগান, ৩৮ মিলিমিটার টিয়ারগ্যাস, গ্যাস গান/লঞ্চারসহ প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ সরবরাহ করা হচ্ছে।

এ ছাড়া সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্তে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। ইতোমধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) অত্যাধুনিক অস্ত্র, যানবাহন, আকাশযান ও জলযান দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে।

উন্মুক্ত কারাগার   স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী   আসাদুজ্জামান খান কামাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বৃষ্টির আশায় ব্যাঙের বিয়ে

প্রকাশ: ০৮:০২ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

টানা খরতাপ থেকে স্বস্তি পেতে বৃষ্টির আশায় রাজশাহীতে ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১ মে) থেকে প্রতীকী এই বিয়ের আয়োজন করা হয় রাজশাহীর পবা উপজেলার ভুগরইল পশ্চিম আদিবাসীপাড়ায়। এ গ্রামের বাসিন্দারা সাঁওতাল। তবে খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারী। সাঁওতালি রীতিনীতি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্যাঙের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

গ্রামের একমাত্র চার্চের শিক্ষক অঞ্জলী বিশ্বাসসহ কয়েকজন ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করেন। এ জন্য বুধবার বিকেলে তারা গ্রামের এক শুকনো পুকুরপাড় থেকে একটি ছেলে ব্যাঙ ও একটি মেয়ে ব্যাঙ ধরে আনেন। তারপর সন্ধ্যায় গ্রামের চার্চে সাজানো ছাতনাতলায় বর ও কনের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠিত হয়।

এই বিয়েতে বরের নাম রাখা হয় শিমুল। আর কনের নাম মেঘলা বিশ্বাস। গায়ে হলুদের পর কনেকে রাখা হয়েছিল গ্রামের আলফন্স বিশ্বাসের বাড়িতে। বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রামের নারী ও শিশু-কিশোরীরা নেচে-গেয়ে নানা আনুষ্ঠানিকতা পালন করেন। এরপর সবাই লাইন ধরে গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠ নারীদের আশীর্বাদ নিয়ে বরযাত্রী হিসেবে বর নিয়ে রওনা দেয়। সঙ্গে যান বরের প্রতীকী বাবা সৈকত বিশ্বাস আর প্রতীকী মা ভাবনা বিশ্বাস নামের দুই শিশু।

আলফন্স বিশ্বাসের বাড়ি গেলে বরের বাবা-মায়ের পা ধুইয়ে দেওয়া হয় পানি দিয়ে। তারপর সবাই বাড়িতে কনের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। কনে সাজানো শেষ হলে অঞ্জলী বিশ্বাস পুরোহিত সেজে বর-কনের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। এরপর বর শিমুলের হাত দিয়ে কনে মেঘলার মাথায় সিঁদুর পরিয়ে দেওয়া হয়। খাওয়া-দাওয়ার পর শেষ হয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। পরে বর-কনেকে একটি পুকুরে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বিয়ের আয়োজক অঞ্জলী বিশ্বাস বলেন, ‘টানা খরায় পথঘাট পুড়ে যাচ্ছে। সব ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। পশুপাখি ও অন্যান্য প্রাণি কষ্ট পাচ্ছে পানির অভাবে। আমরা বিশ্বাস করি ব্যাঙের বিয়ে দিলে বৃষ্টি হবে। তাই আমাদের সামাজিক রীতিনীতি অনুযায়ী দুই কোলা ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া হলো।’

বৃষ্টি   ব্যাঙের বিয়ে  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন