ইনসাইড বাংলাদেশ

পদত্যাগ করতে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি লাগবে কেন?

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৭ জুন, ২০২৩


Thumbnail

বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার সদস্য নির্বাচন করেন। মন্ত্রীদের নিয়োগ দেয়ার একক ক্ষমতা সংবিধান প্রধানমন্ত্রীকে দিয়েছে। আবার প্রধানমন্ত্রী চাইলে যেকোনো মন্ত্রীকে পদত্যাগ করার অনুরোধ করতে পারেন, এরকম অনুরোধ করলে সেই মন্ত্রীর পদত্যাগ করবেন। যদি তিনি পদত্যােগ অস্বীকৃতি জানান তাহলে প্রধানমন্ত্রী তাকে বরখাস্ত করতে পারেন। এর বাইরেও যেকোনো মন্ত্রী যদি মনে করেন যে, তিনি দায়িত্ব পালনে অক্ষম, অপারগ, অসুস্থ বা অন্য কোনো কারণ দেখিয়ে তিনি পদত্যাগ করতে পারেন এবং সেই পদত্যাগ প্রধানমন্ত্রী গ্রহণ করতে পারেন। কিন্তু বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য হলো বাংলাদেশে কোন অযোগ্য ব্যর্থ ও দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেননি। বরং তাকে পদত্যাগ করার কথা প্রধানমন্ত্রীকে বলতে হয়েছে। 

তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেননি। প্রধানমন্ত্রী তাকে পদত্যাগের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন তারপর তিনি পদত্যাগ করেছেন। এসব আলোচনার প্রধান উদ্দেশ্য গতকাল জাতীয় সংসদে দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি নিয়ে উত্তপ্ত বিতর্ক হয়েছে। সীমিত সংখ্যক বিরোধী দলের সদস্য অধ্যুষিত জাতীয় সংসদে তোপের মুখে পড়েছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এই সময় তিনি সিন্ডিকেটের হোতা কিনা এরকম প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু বাণিজ্যমন্ত্রী এসব আমলে নেননি। বরং তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী চাইলে তিনি পদত্যাগ করবেন। আর পদত্যাগ করে তিনি দায়িত্ব গণফোরামের নেতা মোকাব্বির খানকে দিতে চেয়েছেন। টিপু মুনশির এই বক্তব্যের পর অনেকগুলো প্রশ্ন উঠেছে। 

২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে এবং সেই সময় টিপু মুনশিকে বাণিজ্যমন্ত্রী দেয়া হয়। দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর এই মন্ত্রী বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং তার নেতৃত্বে বাজারে এক নজিরবিহীন নৈরাজ্য চলেছে পুরো সময় জুড়ে। কখনো পেঁয়াজের দাম, কখনো আলুর দাম, কখনো চিনির দাম, কখনো চালে কারসাজি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোনকিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। বরং গতকালকে সংসদে তিনি সিন্ডিকেটের কাছে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন। একজন মন্ত্রী যখন স্বীকার করেন যে সিন্ডিকেট রয়েছে এবং এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে তারা সবকিছু বন্ধ করে দেবে তখন কি তার ওই দায়িত্বে থাকার কোনো যোগ্যতা থাকে? তিনি যখন দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না তখন তিনি সরে দাঁড়ান না কেন? পৃথিবীতে এরকম বহু নজির আছে। 

বাংলাদেশ সবসময় বলে থাকে যে তারা ওয়েস্টমিনস্টার ডেমোক্রেসি বা সংসদীয় গণতন্ত্রের রীতি অনুসরণ করে। সেই রীতি অনুযায়ী নির্বাচন করছে। সংসদীয় গণতন্ত্রের একটি বড় ঐতিহ্য হলো একজন মন্ত্রী যখন দায়িত্ব পালনে অক্ষম অপারগ হন, তিনি যখন মনে করেন যে তাকে দিয়ে কাজ হচ্ছে না তখন তিনি প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতার কাছে গিয়ে বলেন যে তিনি পদত্যাগ করতে চান। বাকিটা প্রধানমন্ত্রীর ব্যাপার। টিপু মুনশি কি তেমনটি কিছু করেছেন? 

একজন মন্ত্রী যখন দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হন, ব্যর্থতার দায়ে অভিযুক্ত হন, তার অযোগ্যতার কারণে দেশবাসী বেশি কষ্ট পায় তখন তার সরে দাঁড়ানোটা মন্ত্রিসভার জন্য, দেশের জন্য মঙ্গল। মন্ত্রীরা যখন নানারকম অপকর্মের দায়ে দুষ্ট হন, তাদের বিরুদ্ধে যখন সমালোচনা ওঠে সেই সমালোচনা কাজগুলো কি তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে করেন? একজন মন্ত্রী সংসদ সদস্য বটে। তিনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত। জনগণের কাছে তার একটা জবাবদিহিতা থাকা উচিত। তার নিজেরই একটি বোধশক্তি থাকা উচিত যে তিনি দায়িত্ব পালন করতে পারছেন কি পারছেন না। একজন মন্ত্রী তার চেয়ার রাখার জন্য কেন দেশকে, সরকারকে এবং প্রধানমন্ত্রীকে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলেন। সব ব্যাপারে কেন প্রধানমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করতে হবে। মন্ত্রী কি নিজে জানেন না যে, তিনি আদৌ দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না? 

একজন মন্ত্রী যখন দুর্নীতি করেন, একজন মন্ত্রী যখন অন্য কাজ করেন তখন কি তা প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নেন? তাহলে পদত্যাগ করতে তার অনুমতি নিবেন কেন? যেকোন মন্ত্রী যেকোন সময় স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে পারেন। বাংলাদেশ যদি সত্যি সত্যি গণতান্ত্রিক ধারাকে বিকশিত করতে চায় তাহলে অযোগ্য মন্ত্রীদের পদত্যাগের সময় এসেছে। তারা যদি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন তাহলে দেশ বাঁচবে, আওয়ামী লীগের ইমেজ বাড়বে। সবচেয়ে বড় কথা হলো ওই মন্ত্রী সম্মানিত হবে। জনগণ অন্তত বুঝবে যে, মন্ত্রীর এতোটুকু বোধশক্তি হয়েছে যে তিনি পারছেন না।

বাণিজ্যমন্ত্রী   টিপু মুনশি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাবার কৌশল

প্রকাশ: ০৩:৪১ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

বজ্রপাতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ অবস্থায় বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার কৌশল জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন।

রোববার(৫ মে) আবহাওয়ার সব শেষ খবর জানাতে আগারগাঁওয়ে ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।

বজ্রপাতে প্রাণহানির বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মনোয়ার হোসেন জানান, সারা দেশে বজ্রপাত অনেক বেড়ে গেছে। বজ্রপাত এখন যে অবস্থায় গেছে। সে জন্য সরকার একে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই বজ্রপাতে শুধু মানুষ নয়, অনেক পশুপাখিও প্রাণ হারাচ্ছে। এ মৌসুমে বৃষ্টিপাত ও বজ্রঝড় হয়। সেই সঙ্গে বজ্রপাতের খুবই আশঙ্কা রযেছে। নানা কারণে বজ্রপাত বেড়ে গেছে। সেটা হচ্ছে ক্লাইমেট চেঞ্জ হওয়ার কারণে হতে পারে, ওজন স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণেও হতে পারে। আবার বৃক্ষ, পাহাড় ও পরিবেশ বিভিন্ন কারণে বিনষ্ট হওয়ার কারণেও হতে পারে।

বজ্রপাত থেকে বাঁচার কৌশল উল্লেখ করে তিনি বলেন, পৃথিবীব্যাপীই এই কৌশল অনুসরণ করা হয়। সেটা হলো বিদ্যুৎ চমকাতে দেখার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে যদি বজ্রপাতের শব্দ শুনতে পান তাহলে বুঝবেন সেটা আপনার দিকে আসছে বা সেটার দ্বারা আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। আর যদি দেখেন বিদ্যুৎ চমকানোর ৩০ সেকেন্ড পর শব্দটা পেয়েছেন তাহলে বুঝবেন সেটা আপনার থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। সে সময় যদি নিরাপদ আশ্রয়ে না থাকেন তাহলে এক আঙুলের ওপর ভর করে বসে পড়তে হবে। এবং সেটা দ্বারা অনেক ক্ষয়ক্ষতি কমতে পারে। মানুষকে এটা বেশি বেশি করে জানাতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বজ্রপাতের সময় যেন মানুষ ঘর থেকে বের না হয়। যদি বাইরে থাকে তবে গাছ বা বিদ্যুতের খুঁটির কাছে যেন না থাকে।

চলমান দাবদাহের বিষয়ে মনোয়ার হোসেন বলেন, সোমবার রাজশাহী ও খুলনায় দাবদাহ চলমান থাকার আশঙ্কা রয়েছে। তবে রাজধানীসহ অন্যান্য বিভাগীয় অঞ্চলে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। ঢাকার তাপপ্রবাহ মৃদু থেকে মৃদু হয়ে সোমবার থেকে দাবদাহ পুরোপুরি কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মে মাসের মাঝামাঝি সময়ের পর ফের বাড়তে পারে তাপমাত্রা, তবে তা দীর্ঘ সময়ের জন্য বা বিস্তর এলাকার জন্য হবে না।


বজ্রপাত   আবহাওয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তিন দিন ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে শাহজালালে ফ্লাইট ওঠানামা

প্রকাশ: ০৩:৩২ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এখন থেকে ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে ফ্লাইট ওঠানামা।

রোববার (৫ মে) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম।

তিনি জানান, পাঁচ থেকে সাত মে বিমানবন্দরে রানওয়ের রক্ষণাবেক্ষণসহ বেশ কয়েকটি কাজের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই তিন দিন মধ্যরাতে তিন ঘণ্টার জন্য ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ থাকবে। এই সময়টাতে রানওয়ের মার্কিং করা, বৈদ্যুতিক ও রক্ষণাবেক্ষণের কিছু কাজ করা হবে।

বিমানবন্দরের সূত্র জানায়, এই তিন ঘণ্টায় বিমানবন্দরে নিয়মিতভাবে সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইনস, মালয়েশিয়ান এয়ারওয়েজ, থাই এয়ারওয়েজ, কুয়েত এয়ারওয়েজ, কাতার এয়ারওয়েজ ও ক্যাথে প্যাসিফিকের ফ্লাইট থাকে। তাদের এই তিন দিন ফ্লাইটের সময় এগিয়ে বা পিছিয়ে নিতে বলা হয়েছে।

এর আগে, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফ্লাইট ব্যবস্থাপনায় সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং যাত্রীসেবা মানোন্নয়নে রানওয়ের সেন্ট্রাল লাইনে আরও লাইট স্থাপনের জন্য দুই মাস পাঁচ ঘণ্টার জন্য রানওয়ে বন্ধ করা হয়েছিল। এসব রুটিন কাজ বিমানবন্দরের।

শাহজালাল বিমানবন্দর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশ: ০৩:১৫ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

রোববার (৫ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মন্ত্রীর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ফেসবুকে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এরমধ্যে ২০ দিন নতুন কারিকুলামের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, তবে শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।

এর আগে, গত ৩০ এপ্রিলও মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শিক্ষামন্ত্রী একই ধরনের কথা বলেছিলেন। ওইদিন তিনি বলেছিলেন, যদি শিক্ষাদিবস কমে যায়, তাহলে শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও স্কুল খোলা রাখা হতে পারে। যদিও একদিন পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল শুক্রবার ক্লাস নেওয়ার চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে দেওয়া ছুটি শেষে আজ রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগেই ঘোষণা দিয়েছে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও ক্লাস চলবে।

শিক্ষামন্ত্রী   মহিবুল হাসান চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সেনাবাহিনীকে আরও আধুনিক ও যুগোপযোগী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি সেনাবাহিনীকে আরও আধুনিক, দক্ষ ও যুগোপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (৫ মে) সকালে ঢাকা সেনানিবাসে নবনির্মিত আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি (এএফআইপি) ভবন এবং আর্মি সেন্ট্রাল অডিটরিয়াম-সেনাপ্রাঙ্গণের উদ্বোধন করে তিনি এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুন: এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় বসবাসকারীদের উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজির জন্য এ নতুন ভবনের নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সভা, সেমিনার, অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে আর্মি সেন্ট্রাল অডিটরিয়াম-সেনাপ্রাঙ্গণ।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বর্তমান সরকার দেশের অন্যান্য সেক্টরের উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে গড়ে তুলেছে অত্যন্ত আধুনিক, দক্ষ ও সময়োপযোগী বাহিনী হিসেবে।’

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী, তিন বাহিনী প্রধান, ঢাকা সেনানিবাসের ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন পদবির অফিসারেরা উপস্থিত ছিলেন।


সেনানিবাস   প্রধানমন্ত্রী   সেনাবাহিনী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অননুমোদিত স্টিকারযুক্ত ৩৬৩ গাড়িতে মামলা

প্রকাশ: ০১:৩৭ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

অননুমোদিত স্টিকার সম্বলিত যানবাহন, ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর পুলিশের ৮টি ট্রাফিক বিভাগ গত ১২ এপ্রিল থেকে ৩ মে পর্যন্ত মোট তিন হাজার ১৭৪টি যানবাহনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে। এরমধ্যে ৩৬৩টি অননুমোদিত স্টিকার, ৪৬১টি ফিটনেসবিহীন ও দুই হাজার ৩৫০টি অবৈধ যানবাহন।

রোববার (৫ মে) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের যুগ্ম কমিশনার এস এম মেহেদী হাসান।

এস এম মেহেদী হাসান বলেন, পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার স্টিকারের অবৈধ ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে অভিযান পরিচালনা করছে ডিএমপির ট্রাফিক পুলিশ। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এ অভিযান চলমান থাকবে। ব্যক্তিগত গাড়িতে পুলিশসহ জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের অনুমোদিত স্টিকার ব্যবহার করলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রায় ২ হাজার গাড়ি ডাম্পিং করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘ঢাকা মহানগরীর নিরাপত্তা ও যানজট নিরসনের লক্ষ্যে জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক সচেতনতা বৃদ্ধি, ট্রাফিক প্রসিকিউশন ব্যবস্থাপনা, সময়োপযোগী ট্রাফিক আইন বাস্তবায়ন, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনয়ন এবং ট্রাফিক আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগকল্পে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের এ বিশেষ অভিযানের পাশাপাশি জনগণের মধ্যে ট্রাফিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

বিশেষ করে স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনদের সাথে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ ও ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্ব পালনে জনগণের সহযোগিতার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরছে’।

ডিএমপির ৮টি বিভাগের পরিসংখ্যান তুলে ধরে ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের যুগ্ম কমিশনার এস এম মেহেদী হাসান বলেন, গত ১২ এপ্রিল থেকে ৩ মে পর্যন্ত ট্রাফিক রমনা বিভাগ অননুমোদিত স্টিকারের বিরুদ্ধে ৪০টি মামলা করেছে। ৭৪টি ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

এছাড়াও ১৮৮টি অবৈধ যানবাহন ডাম্পিং করা হয়েছে। ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগ অননুমোদিত স্টিকারের বিরুদ্ধে ১৬৪টি মামলা করেছে। ৪৬টি ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

এছাড়াও ৩টি অবৈধ যানবাহন ডাম্পিং করা হয়েছে। ট্রাফিক লালবাগ বিভাগ অননুমোদিত স্টিকারের বিরুদ্ধে ৯টি মামলা করেছে। ২০টি ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এছাড়াও ২০৭টি অবৈধ যানবাহন ডাম্পিং করা হয়েছে। ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ অননুমোদিত স্টিকারের বিরুদ্ধে ৪৪টি মামলা করেছে। ৪২টি ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এছাড়াও ২১৫টি অবৈধ যানবাহন ডাম্পিং করা হয়েছে। ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগ অননুমোদিত স্টিকারের বিরুদ্ধে ৩৪টি মামলা করেছে। ৫৩টি ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এছাড়াও ২০৪টি অবৈধ যানবাহন ডাম্পিং করা হয়েছে।

ট্রাফিক গুলশান বিভাগ অননুমোদিত স্টিকারের বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা করেছে। ৬১টি ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এছাড়াও ১২৩টি অবৈধ যানবাহন ডাম্পিং করা হয়েছে। ট্রাফিক উত্তরা বিভাগ অননুমোদিত স্টিকারের বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা করেছে। ৯৪টি ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এছাড়াও ৭৬টি অবৈধ যানবাহন ডাম্পিং করা হয়েছে। ট্রাফিক মিরপুর বিভাগ অননুমোদিত স্টিকারের বিরুদ্ধে ৪২টি মামলা করেছে। ৭১টি ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এছাড়াও এক হাজার ৩৩৪টি অবৈধ যানবাহন ডাম্পিং করা হয়েছে।

মেহেদী হাসান বলেন, সম্প্রতি চলমান তাপপ্রবাহে কর্তব্যরত ট্রাফিক, সাধারণ মানুষ, পথচারী, রিকশাচালকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষদের একটু স্বস্তি দিতে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমানের উদ্যোগে সুপেয় পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হচ্ছে।

গেল মাসের রোববার (২৮ এপ্রিল) মার্চ মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, রাস্তায় পুলিশের স্টিকার লেখা কোনো গাড়ি দেখলে কর্তব্যরত পুলিশ অবশ্যই যাচাই করবেন। গাড়িতে পুলিশের স্টিকার লাগিয়ে বা ডিএমপির লোগো লাগিয়ে সন্ত্রাসীদের চলাফেরার তথ্য পাওয়া গেছে। যদি যাচাই করে দেখা যায় সেটা পুলিশের গাড়ি নয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ডিএমপির ক্রাইম ও ট্রাফিক বিভাগ এ বিষয়টি নজরে রাখবেন।


ডিএমপি   মামলা   ফিটনেসবিহীন যানবাহন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন