ইনসাইড বাংলাদেশ

৫০ শতাংশ ছাড়েও পর্যটক নেই বান্দরবানে

প্রকাশ: ০৮:১৪ এএম, ৩০ জুন, ২০২৩


Thumbnail

ভ্রমণপিপাসুদের কাছে পর্যটন স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান হলো পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলা বান্দরবান। কিন্তু ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় ঘোষণার পরও পর্যটকের দেখা মিলছে না বান্দরবানের হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টগুলোতে।

ঈদের টানা পাঁচ দিনের ছুটিতে পর্যটক আকর্ষণের জন্য ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় চলছে জেলার সব হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসগুলোতে। কিন্তু এরপরও খালি জেলার সব হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস। নেই আগাম কোন বুকিংও। তাই হতাশ হোটেল মালিকসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

জানা গেছে, প্রতি বছর ঈদের টানা ছুটিতে পাহাড় প্রেমীদের ভিড়ে মুখর হয়ে উঠে পর্যটন নগরী বান্দরবান। হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টগুলোও থাকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ। আগাম বুকিং এর কারণে অনেক ক্ষেত্রে পর্যটকদের রুম দিতে হিমশিম খেতে হয় হোটেল মালিকদের। কিন্তু এ বছর সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র। ঈদের টানা পাঁচ দিনের ছুটিতেও পর্যটক শূন্য পাহাড় কন্যা বান্দরবান। হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টগুলোতে নেই কোন বুকিং। শুধু তাই নয় ৫০ শতাংশ ছাড় ঘোষণা করেও পর্যটক মিলছে না বলে জানায় হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টের মালিকরা।

হোটেল নীলাদ্রির সত্ত্বাধিকারী সুজন দাশ জানান, প্রতি বছর ঈদের ছুটিতে আমাদের হোটেলের সবগুলো রুম আগে থেকে বুকিং হয়ে যেত। কিন্তু এবার আগাম কোন বুকিং নেই। ছুটি শুরু হওয়ার পরও হোটেল খালি। ৫০ শতাংশ ছাড় দেয়ার পরও কোন টুরিস্ট আসছে না।

হোটেল গ্র্যান্ড ভ্যালির ব্যবস্থাপক ইসমাইল সুমন বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে পর্যটক না আসায় আমাদের হোটেল খালি যাচ্ছে। তাই ভেবেছিলাম ঈদের টানা ছুটিতে বুকিং পাবো, পর্যটক আসবে সে উপলক্ষে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ ছাড়ও ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও কোন বুকিং নেই পর্যটক না আসায় হোটেলও খালি। এ অবস্থা চলতে থাকলে স্টাফদের খরচ চালাতেও কষ্ট হয়ে যাবে।

পাহাড়ের চলমান অস্থিতিশীল পরিবেশ এবং তিন উপজেলায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকায় পর্যটক আসছে না বলে জানান, হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে পর্যটক বরণে বিভিন্ন প্রস্তুতি নিয়েছে বান্দরবানের পর্যটন সংশ্লিষ্টরা, পর্যটকদের আকর্ষণে দেয়া হয়েছে নানা রকম ছাড়ের অফার। তবে জেলার তিনটি উপজেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা বলবত থাকায় ঈদুল আজহার এই বন্ধে বান্দরবানে পর্যটকদের অগ্রিম বুকিং নেই বেশিরভাগ হোটেল মোটেল রিসোর্টে। এতে হতাশ জেলার পর্যটন ব্যবসায়ীরা। এর ফলে পর্যটন খাতে দৈনিক কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে।

তবে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ।

বান্দরবান পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, বান্দরবানের তিনটি উপজেলায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও চারটি উপজেলায় পর্যটকরা ভ্রমণ করতে পারবে। তারা যাতে নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারে সেজন্য সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি পর্যটন স্পটে থাকবে টুরিস্ট পুলিশ সাদা পোশাকধারী পুলিশসহ নিয়মিত টহল দল। পর্যটকরা এখানে নিরাপদে ঘুরে বেড়াতে পারবে।

উল্লেখ্য, পাহাড়ে জঙ্গি বিরোধী অভিযানের কারণে ২০২২ সালের অক্টোবর মাস থেকে জেলার রুমা রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে প্রশাসন। এরপর থেকে থমকে যায় জেলার পর্যটন শিল্প।

পর্যটক   বান্দরবান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মেয়েদের ছবি এডিট করে ব্ল্যাকমেইলিং, গ্রেপ্তার ৪

প্রকাশ: ০৪:৩৬ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail ফেসবুকের মাধ্যমে মেয়েদের ব্ল্যাকমেইলিং করার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৪ জন

সবার বয়স ১৭ থেকে ২২ বছর। তারা প্রথমে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের আইডি থেকে ছবি সংগ্রহ করতো। তারপর সেগুলো অশ্লীলভাবে এডিট করে ফেসবুক পেইজ গ্রুপে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখাতো ওইসব মেয়েদের। শুধু ভয় দেখানোই নয়, মোটা অংঙ্কের টাকা দাবিসহ নানাভাবে ব্ল্যাকমেইলিং করতো তারা। এমনই একটি চক্রের সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পাবনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। সময় তাদের কাজ থেকে এই কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটার বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে পাবনা পুলিশ সুপার কার্যালয় মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পাবনা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী।

এঘটনায় গ্রেপ্তার কৃতরা হলেন, পাবনা সদর উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের মহিউল ইসলামের ছেলে ইসতিয়াক আহম্মেদ রঙ্গন (১৮), বিল ভাদুড়িয়া গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে শাহরিয়ার কবির আকাশ (১৭), পাবনা পৌর এলাকার রাধানগর মহল্লার শাহিন মন্ডলের ছেলে ইমন আহাম্মেদ (২০) এবং শালগাড়িয়া মহল্লার বকুল হোসেনের ছেলে হাসিবুল হাসান তন্ময় (২২)

পুলিশ সুপার জানান, ফেসবুকে হয়রানির শিকার হয়ে একাধিক স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ভুক্তভোগীর পরিবার পাবনা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেন যে, তাদের মেয়েদের ছবি তাদের ফেসবুক আইডি থেকে সংগ্রহ করে ‘Exposure & Confession Center Pabna-ECCP’, ‘The Boss’, ‘The Roast House’, ‘সত্য কথন ইসলাম’, ‘পাবনার অজানা তথ্যসহ অন্যান্য ফেসুবক পেইজের মাধ্যমে ছবিগুলো এডিট করে বিভিন্ন আপত্তিকর ছবি পোষ্ট করে আসছিল।

পরবর্তীতে ফেসবুক পেইজ থেকে উক্ত ছবিগুলো ডিলিট করার জন্য পেইজ এডমিনরা ভুক্তভোগীর কাছ থেকে টাকা দাবি করে আসছিল। তাদের দাবি মতো টাকা না দিলে আরো আপত্তিকর ছবি পোষ্ট করার হুমকি দেয়া হতো। এমন অভিযোগের পরই পুলিশ অভিযানে নামে।

অভিযানের এক পর্যায়ে শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ‘Exposure & Confession Center Pabna-ECCP’ এর এডমিন ইসতিয়াক আহম্মেদ রঙ্গন, ইমন আহাম্মেদ শাহরিয়ার কবির আকাশ এবং সত্য কথন ইসলাম এবং ‘The Boss’ পেইজের এডমিন হাসিবুল হাসান তন্ময়কে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ সুপার আরও জানান, পাবনা জেলায় এসব সাইবার ক্রিমিনালদের সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়ে বহু ভুক্তভোগী সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে অনেকে, অনেকের সংসার ভেঙে যাচ্ছে। বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে বেশ কিছুদিন ধরেই পাবনা ডিবি পুলিশ কাজ করে যাচ্ছিল।

তিনি আরও জানান, এসব ক্রিমিনাল প্রযুক্তি বিদ্যায় অত্যধিক পারদর্শী এবং উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারে অভ্যস্ত। আসামিদের বাহিরে আরও বেশ কিছু গ্রুপের এডমিন রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত সাইবার বুলিং করে যাচ্ছে। তারা সকলেই আমাদের নজরদারিতে আছে। যে বা যারাই সাইবার ক্রাইম বা সাইবার বুলিংয়ের জড়িত থাকুক না কেন তাদের সকলের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ প্রশাসন) মাসুদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) জিয়াউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ডিএম হাসিবুল বেনজীর, সহকারী পুলিশ সুপার (এসএএফ) আরজুমা আকতার, পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী পাবনা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরান হোসেন তুহিন উপস্থিত ছিলেন।


ফেসবুক   ব্ল্যাকমেইলিং   গ্রেপ্তার   অশ্লীল ছবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অপ্রতিরোধ্য কিশোর গ্যাং, হুমকিতে প্রজন্ম

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

একটা সময় ছিল সমাজে শৃঙ্খলা রক্ষায় পরিবার ও স্থানীয় বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিদের ভূমিকা থাকতো। সেই সময় এসব সচেতন মানুষ কিশোরদের উচ্ছৃঙ্খল আচরণে প্রশ্রয় দিতেন না। বিংশ শতাব্দীর চল্লিশের দশক থেকেই তৎকালীন পূর্ববঙ্গে কিশোর অপরাধ সংঘটিত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেলেও নব্বইয়ের দশক থেকে শিল্পায়ন ও নগরায়নের গতি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে দেশে কিশোর অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে। দিন দিন ভয়াবহ মাত্রায় বৃদ্ধি পাচ্ছে কিশোর গ্যাং তৈরির প্রবণতা। বিভিন্ন নামে এলাকাভিত্তিক নতুন নতুন সন্ত্রাসী গ্রুপ গড়ে তুলছে কিশোর গ্যাং।

ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে কিশোর-কিশোরীদের সংখ্যা ৩ কোটি ৬০ লাখ, যা দেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ। আর বাংলাদেশ পুলিশের সাম্প্রতিক তথ্যা অনুযায়ী ঢাকা শহরে যারা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে তাদের ৪০ শতাংশই কিশোর।

জাতীয় দৈনিকের তথ্য মতে, বর্তমানে দেশের ৬৪ জেলা, উপজেলা ও মহানগর এলাকায় অন্তত ৫ শতাধিক কিশোর গ্যাং সক্রিয়। শুধু রাজধানী ঢাকাতেই সক্রিয় ৭০টিরও বেশি কিশোর গ্যাং। র‌্যাবের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ৭০টি কিশোর গ্যাং সক্রিয়। 

এই কিশোররাই বিভিন্ন জায়গায় গড়ে তুলছে গ্যাং। একটা সময় ছিল, কিশোররা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মারামারিতে লিপ্ত হতো, কিন্তু পর্যালোচনা করলে দেখা যাচ্ছে বর্তমানে তারা ধর্ষণ, খুন, ছিনতাই, মাদকবাণিজ্য, চাঁদাবাজির মতো ভয়াবহ অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এতে করে পরবর্তি প্রজন্ম পড়ছে মারাত্মক হুমকিতে। আজকের কিশোররাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আগামীতে নেতৃত্ব দিবে আজকের প্রজন্ম। তাহলে সেই প্রজন্ম অপরাধ জগতের গ্যাং, কিশোর গ্যাংয়ে যদি পরিণত হয়, তবে জাতির ভবিষ্যৎ ও সুশিল সমাজ গঠণ এবং উন্নত জাতি পরিণত করা হতে পারে দূর্বিসহ।

সমাজবিজ্ঞানীরা বলছে, আপনার সন্তান কী করছে? কার সঙ্গে মিশছে, তা জানা যেমন জরুরি, তেমনি সন্তানকে সময় দেওয়াও জরুরি। তার সঙ্গে গল্প করা, তার মনের অবস্থা বোঝা, তার কাছে বাবা-মার অবস্থান তুলে ধরা। সহজ করে বললে অভিভাবকদের সঙ্গে সন্তানদের বন্ধন খুবই জরুরি। এই বন্ধন যত শিথিল হয়, সন্তান তত বাইরের জগতে ছুটবে, তখন তাকে ফেরানোর কোনো রাস্তা থাকবে না।

যেকোনো সামাজিক সমস্যায় পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব আছে। এখন তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ প্রবাহের যুগ। এই সময়ে শিশু-কিশোরাও অনলাইনে অনেক কিছু দেখে, যার ভেতর নেতিবাচকতা বেশি এবং তারা সহজেই সংগঠিত হয়। শহরগুলোতে পর্যাপ্ত খেলার মাঠ নেই, সুস্থ বিনোদনের ব্যবস্থা নেই। শরীরচর্চা, খেলাধুলার সঙ্গে সংস্কৃতিচর্চা থাকলে কিশোর-তরুণরা অপরাধ ও মাদক থেকে দূরে থাকে। সেই ব্যবস্থা নেওয়াটা জরুরি। শিক্ষাব্যবস্থায় এ ধরনের বিষয়গুলোর প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন। পথশিশু ও অভিভাবকহীনদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় এনে সুশিক্ষিত করতে প্রয়োজনী পদক্ষেপ নিলে সুফল মিলবে। কারণ ভালো নাগরিক হতে তাদের শিক্ষা ও ভালো পরিবেশ দরকার।


কিশোর গ্যাং   প্রজন্ম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পাবনায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন

প্রকাশ: ০৩:৫৩ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপনে পাবনায় রোববার সকালে পাবনা জেলা আদালত চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়

'স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ' এই প্রতিপাদ্য নিয়ে পাবনায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন করা হয়েছে।

 

রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮ টায় একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি জেলা জজ আদালত চত্বর থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালি শেষে জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে উদ্বোধন করা হয় লিগ্যাল এইড মেলা।

 

এরপর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এবং জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওয়ালিউল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন, সিনিয়র জেলা জজ আহসান তারেক, জেলা জজ মিজানুর রহমান, জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামান, পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী, সিভিল সার্জন ডা. শহীদুল্লাহ দেওয়ান, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামাল হোসেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি দেওয়ান মজনুল হক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আহাদ বাবু, সরকারি কৌঁসুলি হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী এবং পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুস সামাদ খান রতন।

 

সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ওয়ালিউল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘অসচ্ছল, অসহায় ও সুবিধা বঞ্চিত জনগণের সমান আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, নির্বাহী ও পুলিশ প্রশাসন, সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সর্বোপরি আদালতের বিচারক ও আইনজীবীদের আন্তরিক সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। যার মাধ্যমে একটি ন্যায় ভিত্তিক ও কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। এ লক্ষ্যে পাবনা জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি এবং জেলা লিগ্যাল এইড অফিস নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’

 

অনুষ্ঠানে সরকারি খরচে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার সিনিয়র সহকারি জজ বেগম পারুল আকতার।

 

সভায় জানানো হয়, পাবনা জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির মাধ্যমে গত ২০২৩ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এক বছরে ৩৩০ জন নারী, ২৪৭ জন পুরুষ, ৩ জন শিশুর মামলা পরিচালনার ব্যয় সরকার কর্তৃক বহন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ৫৪৫টি বিরোধের মধ্যে ১১৪ বিরোধ বিকল্প বিরোধ পদ্ধতিতে নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

 

যুগ্ম জেলা দায়রা জজ মোঃ তাজউল ইসলাম এবং জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম সুমাইয়া সরকারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় জেলা অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ মোহাম্মদ আবু ওবাইদা সহ অন্যান্য বিচারকবৃন্দ, কর্মচারী, জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির প্যানেল আইনজীবীবৃন্দ, জেলা আইনজীবী সমিতির অন্যান্য আইনজীবীবৃন্দ এবং বিচার প্রার্থী জনগণ উপস্থিত ছিলেন।

শেষে ২০২৩ সালে সেরা প্যানেল আইনজীবি হিসেবে আবু বকর সিদ্দিক স্বপ্না রানী সরকারকে পুরস্কৃত করা হয়।


জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কোরবানির পশু আমদানির কোনো প্রয়োজন নাই: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৩:৪৬ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেছেন, ‘কোরবানির ঈদ উপলক্ষে গবাদি পশু আমদানির কোনো প্রয়োজন নাই। দেশি গবাদি পশু দিয়েই কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব। গবাদি পশুর বাজার কেউ যেন অস্থিতিশীল করতে না পারে সরকার এ বিষয়ে সতর্ক আছে।’

রবিবার (২৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে ফরিদপুরের মধুখালীর মন্দিরে অগ্নিসংযোগ বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদমন্ত্রী এসব কথা।

এক প্রশ্নের জবাবে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেন, ‘ফরিদপুরে মধুখালীর মন্দিরে অগ্নিসংযোগ এবং দুজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ইতিমধ্যে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৩১ জন আসামির বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করা হয়েছে। পলাতকদের খুঁজে বের করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান প্রতিনিয়ত চলছে। আশা করি, দ্রুত সময়ে অপরাধীদের আটক করা সম্ভব হবে।’

কোরবানি পশুর প্রস্তুতি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ বছর এক কোটি ২০ থেকে ৩০ লাখ কোরবানির পশুর প্রয়োজন হতে পারে। সে হিসেবে আরো প্রায় ৩০ লাখ পশু বেশি আছে। ঘাটে ঘাটে বাজারে যাতে কোথাও চাঁদাবাজি না হয় সে বিষয়ে বিশেষ সতর্ক থাকবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। গত বছরে প্রায় ১৯ লাখ গবাদি পশু অবিকৃত ছিল। এবারও অনেক পশু বেশি আছে তাই আমদানি করার প্রয়োজন নাই। সরকার দেশীয় খামারিদের ক্ষতিগ্রস্ত করতে চায় না।’


প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী   আব্দুর রহমান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও কমলো স্বর্ণের দাম

প্রকাশ: ০৩:৩৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দেশে আবারও কমেছে স্বর্ণের দাম। ভরিতে ৩১৫ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১২ হাজার ৬১৬ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। 

রোববার (২৮ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস এ তথ্য জানায়। আজ বিকেল ৪টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।


স্বর্ণ   বাজুস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন