ইনসাইড বাংলাদেশ

‘বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সমর্থন করা মোটেও উচিত হবে না ইইউ'র’

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ১২ জুলাই, ২০২৩


Thumbnail

চলতি সপ্তাহে দ্য ইউরোপিয়ান টাইমস ও ইইউ অবজার্ভারে ‘দ্য ইইউ মাস্ট নট সাপোর্ট আ কেয়ারটেকার গভর্নমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। নিবন্ধ লিখেছেন ইউরোপিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইনোভেশন অ্যান্ড টেকনোলজি’র (ইআইটি) সদস্য ইয়ান ফিজেল। এর আগে তিনি ইইউ'র সাবেক কমিশনার ও ধর্ম বিষয়ক বিশেষ দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিষয়টি বাংলাদেশের সাথে প্রাসঙ্গিক হওয়ায় অনুবাদের চম্বুক অংশ পাঠকদের কথা বিবেচনা করে তুলে ধরা হলো।

বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যাপারে কোনোভাবেই সমর্থন দেয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) উচিত হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইইউ’র সাবেক কমিশনার ও ধর্ম বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়ান ফিজেল।

তিনি বলেছেন, অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা দেয়া হলে তা আবারও সামরিক বাহিনীর হাতে চলে যেতে পারে। যেমনটা ঘটেছিল এখন থেকে ১৭ বছর আগে ২০০৬ সালে।
 
নিবন্ধে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর একনায়কতান্ত্রিক শাসনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এখন থেকে প্রায় ৯ বছর আগে থাইল্যান্ডে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত একটি সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল সামরিক জান্তা। সেই সময় ওই জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে দারুণ প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন তখনকার ইইউ’র পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান ফেদেরিকো মোঘেরিনি।
  
প্রশংসার পাশাপাশি তার জন্য একটি পূর্বাভাসমূলক সতর্কবার্তাও ছিল: ‘ক্ষমতা একবার সামরিক বাহিনীর দখলে চলে গেলে, সেটা তারা আর সহজে ছাড়তে চায় না। বিশেষ করে জান্তা সরকার নতুন করে এমনভাবে সংবিধান লেখে যাতে ক্ষমতার ওপর তাদের দখল চিরস্থায়ী হয়।’
 
নিবন্ধ অনুযায়ী, অনেকটা প্রত্যাশিতভাবেই থাইল্যান্ডে ২০১৭ সালে নতুন সংবিধান চালু করা হয়। যা সেনাবাহিনীর ক্ষমতাকে আরও পাকাপোক্ত করে। এরও দুই বছর পর অবশেষে ২০১৯ সালে সেখানে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যার মধ্যদিয়ে জান্তা সরকারের প্রধান তার সামরিক উর্দি ছেড়ে ‘বেসামরিক’ চেহারায় থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হন।
 
দুর্ভাগ্যজনকভাবে গত ৯ বছরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও পশ্চিমা বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই থাইল্যান্ডের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে এবং তার নীতির বিসর্জন দিয়েছে। এক কথায় গণতন্ত্রের পক্ষে দাঁড়ানোর পরিবর্তে দেশটির অগণতান্ত্রিক সরকারের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতার সম্পর্কে ফিরে আসে।
 
অবশেষে চলতি বছরের মে মাসে নতুন সংবিধানের অধীনে দ্বিতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এবার সামরিক অভ্যুত্থানের ৯ বছর পর সেনা সমর্থিত রাজনৈতিক দলগুলোকে একপাশে সরিয়ে মুভ ফরোয়ার্ড ও পিউ থাই পার্টির মতো গণতন্ত্রপন্থী দলগুলো বড় জয় পেয়েছে।
 
তবে নির্বাচনের তিন সপ্তাহ পরও সরকার গঠন সম্ভব হয়নি। গণতন্ত্রপন্থী জোটের মনোনীত প্রধানমন্ত্রী এখনও অনিশ্চতার মধ্যে রয়েছেন। তার ক্ষমতায় যাওয়া না যাওয়া এখনও অনেকটা ক্ষমতাসীন শক্তির ইচ্ছার ওপরই নির্ভর করছে।
  
থাইল্যান্ডের পাশের দেশ মিয়ানমারেও গত দুই বছর ধরে সামরিক শাসন চলছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত একটি সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতার দখল নেয় দেশটির কুখ্যাত সেনাবাহিনী।
 
ইয়ান ফিজেল বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করা মিয়ানমারের জান্তা নেতাদের বিরুদ্ধে চলতি বছরের শুরুতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে ইইউ। এখন আমাদের প্রত্যাশা, থাইল্যান্ডের মতো মিয়ানমারে নিজের নীতির বিসর্জন দেবে না ইইউ। বরং পূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে মিয়ানমারের জনগণের চলমান লড়াইয়ের পক্ষেই থাকবে।
 
এরপর নিবন্ধে বাংলাদেশ পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে ইয়ান ফিজেল বলেন, ‘বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। আমাদের সবাইকে দেশটির দিকে নজর দেয়া উচিত।’
 
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর দেশটির প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও ইসলামপন্থি জামায়াতে ইসলামী দাবি তোলে, আগামী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে। তা নাহলে নির্বাচন বয়কট করারও হুমকি দিয়েছে দল দুটি। তবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের সেই দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন। বলেছেন, অনির্বাচিত কোনো সরকারের হাতে আর কখনই ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে না।
 
বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তিক্ত ইতিহাস তুলে ধরে এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থানকে সমর্থন করেছেন ইইউ’র সাবেক এই কমিশনার।  নিবন্ধে তিনি বলেছেন, সবশেষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হলে ঘটনাক্রমে তা সেনাবাহিনীর হাতে চলে যায়। ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা থাকলেও তারা নির্বাচনই স্থগিত করে এবং ২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত কার্যত দেশ শাসন করে।
 
২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর সেই সময় প্রধান বিরোধী দল ও বর্তমানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নির্বাচন বয়কট করে। যার প্রেক্ষিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। শীর্ষ রাজনৈতিক দলগুলোর সব নেতাকে গ্রেফতার করা হয় এবং প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো একটা অনির্বাচিত সরকার পরবর্তী দুই বছর ধরে যেসব কর্মকাণ্ড চালিয়েছিল, তা সাধারণত কোনো জান্তা সরকারই করে থাকে।
 
বিএনপির বর্তমান দুই শীর্ষ নেতা খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমান ছাড়াও সেই সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও জেল-জরিমানা দেয়া হয়। সেদিনের সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের দাবি প্রত্যাখ্যানের ক্ষেত্রে অন্যতম বড় প্রভাবক হয়ে থাকতে পারে।
 
ইয়ান ফিজেল আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এমন একটি ব্যবস্থা যা বিশ্বের আর কোথাও নেই। ২০১১ সালে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট এই ব্যবস্থাকে অসাংবিধানিক বলে রায় দেন। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সরকার বলেছে, আগের নির্বাচনগুলোতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজনীয়তা ছিল। কারণ সে সময়গেুলোতে বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশনের কোনো আইনি ভিত্তি ছিল না। তবে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য একটি নতুন আইন পাস করা হয়।
  
সম্প্রতি বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে চাপ অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি অবাধ ‍ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সেই সঙ্গে নির্বাচন তদারকি করতে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।
 
নিবন্ধে বলা হয়, চলতি বছরের জুনে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর গাজীপুরে সাম্প্রতিক স্থানীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে ও বড় কোনো অঘটন ছাড়াই অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীকে কম ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছেন। যদিও বিএনপি এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি।
 
ইয়ান ফিজেলের মতে, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী উভয় পক্ষের মধ্যে একটি অচলাবস্থা বিরাজ করছে। বিরোধীদের নির্বাচন বয়কটের আশঙ্কা রয়েছে। সেক্ষেত্রে এই অঞ্চলে আরেকটি সামরিক হস্তক্ষেপের মঞ্চও প্রস্তুত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে যদি সামরিক বাহিনীকে থামাতে হয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সামরিক নেতাদের এটা অবশ্যই স্পষ্ট করে দিতে হবে যে এর পরিণতি হবে অত্যন্ত খারাপ।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার   ইইউ   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সারাদেশে হিট স্ট্রোকে আরও ৩ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ১০:৩২ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে নতুন করে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত হিট স্ট্রোকে ১০ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাতে সারা দেশে হিট স্ট্রোকে নতুন মৃত্যুর বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুম থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

অধিদপ্তর জানিয়েছে, হিট স্ট্রোকে নতুন মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে দুইজনেরই মৃত্যু হয়েছে মাদারীপুর জেলায়। আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম জেলায়। তবে গত একদিনে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে কাউকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি।

সবমিলিয়ে বর্তমানে সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ৫ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

হিট স্ট্রোক   তীব্র তাপদাহ   স্বাস্থ্য অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ নেতা হত্যার ঘটনায় অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ১


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা এম সজীব হত্যা মামলায় আনোয়ার হোসেন দুলালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে দুলালের দেয়া তথ্যমতে একটি দেশীয় তৈরি এলজি ও দুটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। সোমবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তার দুলাল সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের মান্দারের দিঘির পাড়া এলাকার আবদুল আজিজের ছেলে। 

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার পর থেকে দুলাল আত্মগোপনে চলে যায়। পরে তাকে গ্রেপ্তার করতে ঝিনাইদহ এবং খুলনার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। পরে তাঁকে খুলনার ডুমুরিয়ার শরাপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে লক্ষ্মীপুরে নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে দুলাল ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। দুলালের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে সোমবার ভোরে তার বসতবাড়ি থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি এলজি ও দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

এসপি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে দুলাল এঘটনার সাথে জড়িত অন্য আসামিদের নামও জানায়। মামলার প্রধান আসামি কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুসহ এঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন এই কর্মকর্তা।

এর আগে গত ১২ এপ্রিল রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানার পাঁচপাড়া গ্রামের যৈদের পুকুরপাড় এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী, মো. রাফি ও সাইফুল ইসলাম জয়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় অভিযুক্তরা। ১৬ এপ্রিল রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সজিব। এর আগে এ মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তাজু ভূঁইয়াসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান হলেন নতুন তিন মুখ


Thumbnail

প্রায় ১৩ বছর পর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে তিনটিতে চেয়ারম্যান পদে নতুন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। আর দক্ষিণ হামছাদী ও তেওয়ারীগঞ্জ এ দুইটি ইউনিয়নে এ পদে পুরাতনেই আস্থা রেখেছেন ভোটাররা। তবে পাঁচটি ইউনিয়নে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরকে পেয়ে উল্লাস প্রকাশ করছে পুরো নেট দুনিয়া। 

এর আগে রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, বাঙ্গাখাঁ, লাহারকান্দি ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। 

এতে চেয়ারম্যান হিসেবে দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ সভাপতি মীর শাহ আলম (ঘোড়া) প্রতীকে ছয় হাজার ২৪৪, দালাল বাজার ইউনিয়নে এডভোকেট নজরুল ইসলাম (চশমা) ছয় হাজার ৩৫৫ ভোট, বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নে জেলা কৃষকলীগের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান ভূঁইয়া (চশমা) প্রতীকে  ছয় হাজার ৪০১ ভোট, লাহারকান্দি ইউনিয়নে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আশরাফুল আলম (টেলিফোন) প্রতীকে পাঁচ হাজার ৫৮৩ ভোট ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক ইবনে হুছাইন ভুলু (আনারস) প্রতীকে সাত হাজার ৫৪২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। 

এসব ইউনিয়নে সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য হিসেবে নতুন মুখ রয়েছেন অনেকেই, আবার অনেকে আস্থা রেখেছেন পুরোনোদের প্রতিই। তবে শান্তিপূর্ণ পরিবেমে ভোট দিতে পারায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অধিকাংশ ভোটাররা। নতুন ও পুরোনোদের শুভেচ্ছা জানান ভোটাররা।

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এবার ঝিনাইদহ উপনির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন হিরো আলম

প্রকাশ: ০৮:৪৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আলোচিত-সমালোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম এবার ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, আমি সৎ এবং সাহসী। সবাই চায় আমি যেন সংসদ সদস্য হয়ে কথা বলি, সবার পাশে থাকি। তাই ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। সেভাবে প্রস্তুতি চলছে আমার।

হিরো আলাম আরও বলেন, আমার এক বন্ধু কুমিল্লার একটি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আমি সেখানে প্রচারণা চালাতে যাচ্ছি। ঝিনাইদহ-১ আসনের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি, তখন তারা বলেছেন সবাই আমাকে চেনেন। আমি তাদের কাছে প্রিয় এবং পরিচিত মুখ। তারাও চায় আমি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। সেখানকার জনসাধারণ আরও বলেন- নির্বাচনে তারা সাহায্য-সহযোগিতা করবেন। আমার প্রতি তাদের ভালোবাসা দেখে সেখানে উপনির্বাচনে অংশ নিতে রাজি হয়েছি। আমিও আশ্বাস দিয়েছি তাদের পাশে সবসময় থাকব।

আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন। ব্যালট পেপারে হবে এ নির্বাচন। গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশন এই আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে।

ঝিনাইদহ উপনির্বাচন   হিরো আলম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রীর ছোট ভাই

প্রকাশ: ০৮:৩৮ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের ছোট ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন। 

নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও মনোহরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য। তিনি শিল্পমন্ত্রীর মেজভাই।

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনের মাঠে মন্ত্রীর ভাইয়ের থেকে যাওয়ার বিষয়টি সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে বড় বাধা হিসেবে দেখছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। 

নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন ছাড়াও মনোহরদী উপজেলা পরিষদের এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন আরও চারজন। তারা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াশীষ কুমার রায়, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান রঙ্গু ও রাজধানী ঢাকায় আইন পেশায় যুক্ত মো. মাসুদুর রহমান।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মনোহরদী উপজেলায় টানা পাঁচবার উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন সাইফুল ইসলাম খান। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার নাম বাদ দিয়ে শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদের নাম একক প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রে পাঠিয়েছিল উপজেলা আওয়ামী লীগ। কিন্তু কেন্দ্র থেকে তাকে না দিয়ে সাইফুল ইসলাম খানকেই দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সাইফুল ইসলাম খান। সাত হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি। এবার আর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হননি তিনি।

চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা বলছেন, মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর দলীয় সিদ্ধান্ত হওয়ার পর আশায় বুক বেঁধেছিলেন অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। কিন্তু শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ এখনো সরে না দাঁড়ানোয় স্থানীয় আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। দলীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না করায় দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়ছেন সবাই। শিল্পমন্ত্রী নীরব থাকা সত্ত্বেও তার ভাই নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করছেন। মন্ত্রীর পরিবারেই যদি উপজেলা চেয়ারম্যানের পদও চলে যায়, তাহলে আর অন্যদের রাজনীতি করে লাভ কী? শেষ পর্যন্ত নজরুল মজিদ মাহমুদ যদি ভোটের মাঠে থেকেই যান, তবে জোর করেই ভোট নিয়ে নেবেন তিনি, এমন ভীতি কাজ করছে ভোটারদের মধ্যে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফজলুল হক জানান, শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি। শিল্পমন্ত্রীর ছোটভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে এখনো ভোটের মাঠে আছেন। আশা করছি, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনে তিনি দ্রুতই সরে দাঁড়াবেন।

এ বিষয়ে শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন করব বলেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিয়েছি। মন্ত্রীর ভাই হিসেবে নয়, নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হিসেবে রাজনীতি করে আসছি। আমি আমার অবস্থান থেকেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দাঁড়িয়েছি। তাছাড়া নির্বাচন না করার ব্যাপারে দলীয় কোনো লিখিত নির্দেশনা পাইনি। সে কারণে আমার নির্বাচন করতে কোনো সমস্যা নেই বলে দাবি করেন তিনি।


উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   শিল্পমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন