কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের পরমালী সরকারি বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন রওশন আরা বেগম। তিনি অবস্থানও করেন ঠিক বিদ্যালয়ের পাশেই। এলাকাটির স্থানীয় হওয়ায় দাপট অন্যান্য শিক্ষকদের থেকে বেশি এমন কথাও বলতে শোনা গেছে সংশ্লিষ্টদের ।
জানা গেছে, রওশন আরা বেগমের স্বামী
জলিলুর রহমান বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি এবং জমিদাতা হওয়ায় বিদ্যালয়টিতে তার প্রভাব
বেশি। কখনো কখনো প্রধান শিক্ষকও যেন হয়ে যায় অসহায়। সেই ক্ষমতার ব্যবহার করে নিজ
বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের বৈদ্যুতিক সংযোগ থেকে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন এই
শিক্ষক। বিদ্যালয়টির বিদ্যুৎ ব্যবহার করলেও প্রতিষ্ঠানটির কারও অনুমোদন নেয়া দূরে
থাক বিদ্যুৎ বিলও প্রদান করেন না তিনি(রওশন আরা)। যার কারণে তার ব্যবহৃত বিদ্যুতের
বিলও আসে বিদ্যালয়টির নামে। সহকারি শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক এমনকি বিদ্যালয়টির
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির কথাও শোনেন না এই শিক্ষক। এমন অভিযোগ এখন সকলের জানা।
সকল কিছু জেনে বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে নিষেধ করলেও তা মানছেন না ওই শিক্ষক।
গত ১৪ মাসের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায়
রওশন আরা বেগমের বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। এরপর থেকেই বিদ্যালয় থেকে
সংযোগ নিয়ে চলছে তার পুরো বাড়ি। এতে কিছুই করতে পারছে না বিদ্যালয়টির প্রধান
শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ মোট ৫ জন শিক্ষক থাকলেও রওশন আরা বেগম ছাড়া বাকি
শিক্ষকরা বাস করেন জেলা শহরে। বাসার পাশেই বিদ্যালয় হওয়ায় স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে
রওশন আরা বেগম অবৈধভাবে বিদ্যালয় থেকে তার দিয়ে লাইন টেনে বাড়িতে বিদ্যুৎ ব্যবহার
করছেন। আর এই অভিযোগ তারই প্রতিবেশী স্থানীয়দের।
একই বিদ্যালয়ের আরেক সহকারি শিক্ষক
ছফুরা পারভিন জানান, আমাদের বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা রওশন আরা বেগম গত মে মাস
থেকে আমাদের না জানিয়ে বিদ্যালয়ে সংযোগ দেয়া বিদ্যুতের লাইন ব্যবহার করছে। আমরা
নিষেধ করলেও ক্ষমতা বলে সরকারী বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে।
পরমালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
প্রধান শিক্ষক মো: সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ লাইন এক সহকারি
শিক্ষক বাড়িতে নিয়ে ব্যবহার করছেন। আমি বহুবার লাইন কাটতে বলেছি কিন্তু তারা
শুনছেন না।
বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি
মো: আব্দুর রাকিব জানান, আমি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হলেও আমাকে এবং
প্রধান শিক্ষককে না জানিয়ে বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা তার নিজ বাড়িতে বিদ্যালয়ের
বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন। বিষয়টি জানান পর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে বললে তারা বাড়িতে অসুস্থ
মেয়ের অজুহাত দিয়ে লাইন চালাচ্ছে। সহকারি শিক্ষিকা রওশন আরা বেগমের স্বামী
বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি এবং জমিদাতা। এই কারণে তারা প্রভাব খাটিয়ে কাউকে না
জানিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে। আমরা নিষেধ করলেও তা মানে নি।
বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী শিক্ষক রওশন আরা
বেগম বলেন, বাড়ির বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন থাকায় সাময়িক ভাবে বিদ্যালয়ের লাইন
ব্যবহার করছি। পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে মিটারের জন্য আবেদন করেছি। মিটার পেলে লাইন
খুলে দেয়া হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ বাড়িতে ব্যবহার বিষয়টি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কুড়িগ্রাম স্কুলের বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েই বাড়ি চালান সহকারি শিক্ষক
মন্তব্য করুন
সুন্দরবন আগুন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
জয়পুরহাটে পরকীয়ার জেরে নুরুন্নবী হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ ৫জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রবিবার (৫ মে) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বড়াইল শেখপাড়া গ্রামের মৃত ইনারী সর্দারের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক, রাজ্জাকের ছেলে শাহাদুল ও শাহাদুলের স্ত্রী মরিয়ম বেগম রেখা, মৃত রইচ উদ্দিনের ছেলে মোজাহার আলী ও সামছুদ্দিনের ছেলে রেজাউল।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ক্ষেতলাল উপজেলা বড়াইল শেখপাড়া গ্রামের আলতাফের ছেলে নুরুন্নবীর সাথে মরিয়ম বেগমের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় নুরুন্নবী বাড়ি থেকে বের হয়ে সে রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুজি করেও কোন সন্ধ্যান পাননি। সেই পরকীয়ার জেরে আসামীরা তাকে হত্যা করে। পরে ২০ নভেম্বর উপজেলা দক্ষিণ হাটশহর এলাকার একটি পুরাতন কবরে নুরুরন্নবীর লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা পরের দিন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে স্বাক্ষী প্রমাণ শেষে বিজ্ঞ আদালত আজ এ রায় দেন।
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কালো টাকা ব্যবহার ও ভোটারদের নির্ভয়ে ভোট প্রদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছে দোয়াত কলম মার্কার প্রার্থী আমিনুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেন, মোটরসাইকেল প্রতীকের বদিউজ্জামান ফকিরের সন্ত্রাসী বাহিনীর দ্বারা ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের প্রতীকের বাইরে ভোট দিলে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। এছাড়াও বদিউজ্জামান ফকির নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘণ করে নির্বাচনে কালো টাকায় ছয়লাভ করছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
রবিবার (৫ মে) দুপুরে বেলকুচি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন এসকল অভিযোগ করেন দোয়াত কলম মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুল ইসলাম সরকার।
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণায় বদি ফকিরের সন্ত্রাসীরা আমাদের কর্মীদেরকে ভয় ভীতি দেখাচ্ছে। গতকাল রাতে প্রায় এক ট্রাক ভর্তি টাকা তারা বেলকুচিতে নিয়ে এসেছে। ভোট কিনতে ও নানা প্রলভোন দিয়ে তারা ভোটাদের বিভ্রান্ত করছেন। এছাড়াও বিভিন্ন নির্বাচনী প্রচরানা অনুষ্ঠানে তারা নির্বাচন কমিশনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে এক ভোট পেলেও নির্বাচিত হবে এমন বক্তব্য দিয়ে গুজব ছড়াচ্ছেন। এছাড়াও দোয়াত কলম প্রতীকের প্রচারনায় আমাদের কর্মীদের সরে যাবার জন্য হুমকি দিয়ে আসছেন তারা। এ সকল বিষয়ে এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশন কে লিখিত ও মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।'
উপজেলা নির্বাচন কালো টাকা প্রভাব বিস্তার
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান
মন্তব্য করুন
মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী অনুপ্রবেশ
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কালো টাকা ব্যবহার ও ভোটারদের নির্ভয়ে ভোট প্রদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছে দোয়াত কলম মার্কার প্রার্থী আমিনুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেন, মোটরসাইকেল প্রতীকের বদিউজ্জামান ফকিরের সন্ত্রাসী বাহিনীর দ্বারা ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের প্রতীকের বাইরে ভোট দিলে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। এছাড়াও বদিউজ্জামান ফকির নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘণ করে নির্বাচনে কালো টাকায় ছয়লাভ করছে বলেও অভিযোগ করা হয়।