ইনসাইড বাংলাদেশ

কূটনীতিকদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে সরকার

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৮ জুলাই, ২০২৩


Thumbnail

বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিকদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে সরকার। ইতিমধ্যে হিরো আলমের হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতিদাতা দেশগুলোকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাদেরকে ডেকে সতর্ক করা হয়েছে। এর একদিন পর গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিকদের রীতিমতো তুলো ধুনো করেছেন। তিনি বলেছেন, তারা আহাম্মকের মত কথা বলছেন। আর এই সমস্তের জন্যই তিনি গণমাধ্যমকে দায়ী করেছেন। গণমাধ্যমের কারণে তারা বাংলাদেশের ব্যাপারে ‘মাতবরি মারছে’ বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মন্তব্য করেছেন। 

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সমস্ত বক্তব্যগুলো কূটনীতিক শালীনতা বিবর্জিত এবং শিষ্টাচার বহির্ভূত বলে কোন কোন কূটনীতিক মনে করছেন। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী কূটনীতিক ভাষায় কথা বললেও এর মধ্য দিয়ে সরকারের মনোভাব প্রকাশিত হয়েছে। উল্লেখ্য যে, ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং সেই উপনির্বাচনের শেষ প্রান্তে এসে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমকে মারধর করে। এই ঘটনা আন্তর্জাতিক খবরে পরিণত হয় এবং এ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউরোপের দেশ বিবৃতি প্রদান করে। তারা ঘটনার উদ্বেগ জানায় এবং নিন্দা জ্ঞাপন করে। যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের শাস্তির দাবি করে। এরপর থেকেই সরকার নড়েচড়ে বসেন। সরকারের দায়িত্বশীল মহল মনে করছেন যে, এটি বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে গেছে এবং একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে নিয়ে যেভাবে কূটনীতিকরা হৈ চৈ তুলছেন তাতে তারা উদ্বিগ্ন। সামনের দিনগুলোতে হয়তো ছোটখাট ব্যাপারে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ হবে। যা একটি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী। 

গত এক বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ প্রকাশ্য বিষয়ক। মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলছেন। এমনকি আওয়ামী লীগের নেতারাও বিভিন্ন সময় পিটার ডি হাসের বাসভবনে গিয়ে তাদের সাথে সাক্ষাৎ করছেন, আপ্যায়িত হচ্ছেন। আর এইসব বাস্তবতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব এবং বাংলাদেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ অনেক বেড়ে গেছে। যদিও মাঝখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর মার্কিন বিরোধী অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি আল-জাজিরার সাথে সাক্ষাৎকারে এবং একাধিক বক্তৃতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চায় না যে আমি ক্ষমতায় থাকি এ ধরনের মন্তব্য করেছিলেন। এমনকি তিনি এ রকম ঘোষণাও দিয়েছিলেন যে, যারা বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবে আমরাও তাদের পণ্য কিনবো না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এই অবস্থানকে নমনীয় করেন আওয়ামী লীগের কিছু কিছু মহল যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রক্ষা করতে চান। তাদের পরামর্শেই প্রধানমন্ত্রী কিছুদিন এ ব্যাপারে এক ধরনের নীরবতা অবলম্বন করেছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ইতালি সফরকালে প্রধানমন্ত্রী আবার এই বিষয় নিয়ে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো মনে করছে যে, সরকারের নীতিনির্ধারকরা মনে করছে অনেক হয়েছে। আর কূটনৈতিকদের বাড়াবাড়ি করতে দেওয়া যাবে না। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম যে ১২ দেশের কূটনীতিকদেরকে ডেকে হুঁশিয়ার করেছেন সেটি সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে করা হয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। নির্বাচনের আগে কূটনীতিকরা যেন এ ধরনের বাড়াবাড়ি করতে না পারে, যে কোন রাষ্ট্রদূত যেকোনো রাজনীতিবিদের সাথে বৈঠক যেন করতে না পারে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে যেন হস্তক্ষেপ করতে না পারে এই বিষয়গুলো এখন সরকার কঠোর নজরদারিতে আনবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর গতকালের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে। 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলছেন যে, আমরা ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী সবকিছু করব। কিছু কিছু কূটনৈতিক বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করছেন। কেউ কেউ বাংলাদেশের রাজনীতির মধ্যে জড়িয়ে পড়ছেন। কাউকে কাউকে মনে হচ্ছে রাজনৈতিক দলের নেতা। এরকম পরিস্থিতি চলতে পারে না। আর এ কারণেই কূটনীতিকদের ব্যাপারে সরকার কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। সামনে নির্বাচনের আগে কূটনীতিকরা যেন শিষ্টাচার বহির্ভূত কোনো কথা প্রচার না করে সে ব্যাপারে সরকার নজরদারি যেমন বাড়বে তেমনি যারা এধরনের ঘটনা ঘটাবে তাদেরকে সতর্ক করা বা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকার কার্পণ্য করবে না। এরকম পরিস্থিতিতে সামনের দিনগুলোতে সরকার দেশের কূটনীতিকদের লাগাম কীভাবে টেনে ধরেন সেটি দেখার বিষয়। 

কূটনীতিক   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   হিরো আলম   পরাষ্ট্রমন্ত্রী   পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়   সরকার   ঢাকা   পিটার ডি হাস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজধানীতে বজ্রসহ শিলা-বৃষ্টি

প্রকাশ: ১০:৪১ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীতে শুরু হয়েছে বজ্রসহ বৃষ্টি। সঙ্গে শিলা। আজ রোববার (৫ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হয় এ শিলা-বৃষ্টি। এর আগে রাত ৯টার দিকে শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়া।

শনিবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পরিস্থিতির পূর্বাভাস দেয়। পূর্বাভাসে বলা হয়, সোমবার থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছয় দিন ধরে হতে পারে ঝড়বৃষ্টি। কয়েক দিনের বৃষ্টির পর কমে যেতে পারে তাপপ্রবাহ।

আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বলেন, রোববার বিকেল ৪টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের ওপর দিয়ে বজ্রপাত ও বিচ্ছিন্নভাবে শিলাবৃষ্টিসহ কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে। সেজন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া কাল সোমবার থেকে সারা দেশে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। এতে করে যেসব জায়গায় তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল সেগুলো ধীরে ধীরে প্রশমিত হবে। 

রাজধানী   শিলা-বৃষ্টি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বন্ধ বিমানবন্দর চালুর পরিকল্পনা আপাতত নেই: বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯:৪৩ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান জানিয়েছেন, বন্ধ থাকা বিমানবন্দরগুলো চালুর পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই।

রোববার (৫ মে) বিকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য আলী আজমের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।
 
ফারুক খান বলেন, বর্তমানে দেশে তিনটি আন্তর্জাতিক, সাতটি অভ্যন্তরীণ ও পাঁচটি স্টল বিমানবন্দর রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং পাঁচটি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর চালু রয়েছে। এসব বিমানবন্দর দিয়ে আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, বন্ধ থাকা বিমানবন্দরগুলো চালু করার পরিকল্পনা সরকার তথা বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের আপাতত নেই। তবে বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন, যাত্রী চাহিদা এবং এয়ারলাইনসগুলোর আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে বন্ধ বিমানবন্দরগুলো চালুর উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।

বিমানবন্দর   বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী   জাতীয় সংসদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা লোডশেডিং, বিদ্যুৎ গেল কোথায়: সংসদে চুন্নু

প্রকাশ: ০৯:৩৪ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

লোডশেডিং নিয়ে সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, গ্রামে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। সরকার বলেছে ২৮ হাজার বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্যাপাসিটি রয়েছে। তাহলে এই বিদ্যুৎ গেল কোথায়?

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে তিনি এ প্রশ্ন করেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, এই মুহূর্তে সারাদেশের মানুষ অনেক সমস্যায় আছে। তার মধ্যে দুটি সমস্যায় মানুষ খুব আক্রান্ত। একটি হলো বিদ্যুৎ। এই মৌসুমে সারাদেশে গ্রামে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। আর সরকার বলেছে ২৮ হাজার বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্যাপাসিটির কথা, তাহলে এই বিদ্যুৎ গেল কোথায়? বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে আমার এলাকার মানুষ দাওয়াত দিয়েছে, লোডশেডিং হয় কিনা দেখার জন্য।

তিনি আরও বলেন, যে সব বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ভাড়ায়, তাদের সক্ষমতার ৪১ শতাংশ সক্ষমতা থাকার পরেও বসে আছে এবং ২২-২৩ আর্থিক বছরে বসে থেকে ভাড়া বাবদ ২৬ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। আগের পার্লামেন্টে আমি বলেছিলাম, আমার এলাকায় প্রায় বিদ্যুৎ চলে যায়। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আমাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, আমি আজকে চ্যালেঞ্জ চাই না। আমি চাই সশরীরে উনি আমার এলাকায় একটু যাবেন, যে কয় ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে।

চুন্নু বলেন, দায়মুক্তি দিয়ে যেসব চুক্তি আমরা করেছি, সেগুলো দয়া করে প্রত্যাহার করুন। বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে বসে বসে জরিমানা দেওয়া হবে, এ চুক্তি বাতিল করুন। সেসব কোম্পানি বিদ্যুৎ দিলে বিল পরিশোধ করবেন। বসিয়ে রেখে এভাবে এক বছরে ২৬ হাজার কোটি টাকা দেবেন, তারপর আবার লোডশেডিংও থাকবে! ঢাকায় থেকে অসহনীয় অবস্থা আপনারা বুঝবেন না।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ করুন। বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছেন। মন্ত্রী একটি সুন্দর কথা বলেন, সমন্বয়। সমন্বয়ের মানে মূল্যবৃদ্ধি। এ সমন্বয় আগামী তিন বছর বারবার করবেন। ভর্তুকি তুলে নিলে বিদ্যুতের দাম দ্বিগুণ হয়ে যাবে দুই-তিন বছর পর। মানুষ কিনতে পারবে কি না, আমি জানি না। আমি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে বলব, শুধুমাত্র দাম না বাড়িয়ে এমন কিছু পদক্ষেপ নিন, যাতে জনগণের ওপর চাপ না পড়ে, একটি সহনীয় অবস্থায় আপনারা সরকারেও থাকতে পারেন, আর বিদ্যুৎও যাতে পাওয়া যায়।

লোডশেডিং   মুজিবুল হক চুন্নু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে রাতের অন্ধকারে হামলা চালিয়ে সংখ্যালঘুর জমি দখল, ঘর নির্মাণ


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে রাতের অন্ধকারে হামলা চালিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে একটি টিনসেট ঘর স্থাপন করেছে তাজল ইসলাম নামে এক ভূমি পরিমাপক। 

রোববার (৫ মে) ভোর রাতে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের করুনানগর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলেও যথা সময়ে পুলিশ আসেনি বলে অভিযোগ ভূক্তভোগীদের। 

বিকেলে ভূক্তভোগী টিংকু রানী দাস, বিপন রানী দাস, শোভন দাস ও অনিক চন্দ্র দাসসহ কয়েকজন এ অভিযোগ করেন। তারা জানায়, লোক মারফত তারা জানতে পারেন তাজল ইসলাম বিরোধীয় জমিতে ঘর তুলবেন। এতে শনিবার (৪ মে) দিবাগত সারারাত তারা পাহারারত ছিলেন। কেউই ঘুমাননি। রোববার ফজরের আযান দিলে তারা ঘুমাতে যায়। ঠিক সেই মুহুর্তে তাজল ইসলাম প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষকে নিয়ে এসে বিরোধীয় জমিতে থাকা টিনের বেড়া ভেঙে ফেলে। ঘটনাটি আঁচ করতে পেরে সবাই এসে বাধা দিলে তাজল ইসলামসহ তার লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে তাদের (ভূক্তভোগী) ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে ভূক্তভোগীরা জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দেয়। সেখান থেকে বিষয়টি কমলনগর থানাকে জানানো হয়। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছতে ২ ঘণ্টা সময় লাগিয়েছে। এর মধ্যে অন্যত্র তৈরিকৃত একটি নতুন ঘর এনে তাজল ইসলামরা বিরোধীয় জমিতে স্থাপন করে। এসময় টিংকু, বিপন, শোভন ও অনিকসহ কয়েকজনকে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ আনা হয়। 

ভূক্তভোগীরা আরও জানায়, পুলিশ এসে ঘর দেখে তারা থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলে। যদি পুলিশ সময়মতো আসতো তাহলে তাজল ইসলামরা ঘর স্থাপন করার সুযোগ পেতো না। আদালতে মামলা চলমান থাকলেও হামলা চালিয়ে ঘর স্থাপনের ঘটনায় তাজল ইসলামের বিচার চেয়েছেন ভূক্তভোগীরা।

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মিলন মন্ডল বলেন, ডালিম কুমার দাস নামে এক ব্যক্তি তাজল ইসলামের কাছে জমি বিক্রি করে। ডালিম ও তাজলসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে প্রাক্তন স্কুল শিক্ষক রাম কৃষ্ণ দাসসহ ভূক্তভোগীরা অগ্রক্রয় অধিকার আইনে রামগতি সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন। মামলাটি এখনো চলমান। এরমধ্যে তাজল ইসলাম হামলা চালিয়ে ঘর স্থাপন করে আইন অমান্য করেছে। আমরা তার বিচার দাবি করছি। 

তবে অভিযুক্ত তাজল ইসলামের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। তিনি রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নের চরসীতা গ্রামের বাসিন্দা। 

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। পুলিশও পাঠানো হয়েছে। হামলার ঘটনায় কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। কেউ আটকও নেই। জায়গা জমি নিয়ে সমস্যা রয়েছে। ক্রেতা তার জমি দখল করতে এসেছে। এটি উভয়পক্ষ বসে মীমাংসা করতে পারতো।

লক্ষ্মীপুর   সংখ্যালঘু   জমি দখল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তাপপ্রবাহে কী করতে হবে, জানিয়ে জাতীয় নির্দেশিকা প্রকাশ

প্রকাশ: ০৮:২১ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

অতিরিক্ত গরমে মাথা ঘোরানো, দুশ্চিন্তা, স্ট্রোক, মুখের ভেতর শুকিয়ে যাওয়া, অ্যাজমা, মাংসপেশিতে খিঁচুনি, চামড়ায় ফুসকুড়ি, কিডনি অকার্যকর হওয়ার মতো অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের গরমে বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী, শ্রমজীবী মানুষেরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। তাই তাপপ্রবাহ থেকে সুরক্ষার জন্য কী কী করতে হবে, তা জানিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় গাইডলাইন বা নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে সরকার।

রোববার (৫ মে) দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত তাপমাত্রাজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি বিষয়ক জাতীয় গাইডলাইনের আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান করা হয়।

অনুষ্ঠানে জাতীয় গাইডলাইনের মোড়ক উন্মোচন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, তীব্র গরমে সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা। যারা একটু শারীরিকভাবে কম সামর্থ্যবান, যাদের ডায়াবেটিস, হার্ট-ডিজিস বা বিভিন্ন অসুখ রয়েছে, তারা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। এই বইয়ে নির্দেশিত গাইডলাইন লিফলেট আকারে স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে দিতে হবে। ইতোমধ্যে সব সরকারি হাসপাতালে এই গাইডলাইন প্রেরণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

নগর পরিকল্পনাবিদদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা দেখি গ্রামের চেয়ে ঢাকা শহরে তাপমাত্রা অনেক বেশি। এর কারণ আমরা ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে শহরের গাছপালা সব কেটে সাবাড় করেছি। জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর হয়তো আমরা খুব প্রভাব ফেলতে পারি না। কিন্তু নগর পরিকল্পনার সময় যদি এসব বিষয় আমরা মাথায় রাখি, তাহলে অনেকাংশেই পরিত্রাণ সম্ভব।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সাবরিনা ফ্লোরা, ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেজেনটেটিভ এমা ব্রিগহাম প্রমুখ।

তাপপ্রবাহ   জাতীয় নির্দেশিকা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন