উত্তরের জেলা নীলফামারীতেও গরুর মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে লাম্পি স্কিন রোগ। চিকিৎসা দিতে না পেরে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন এই জনপদের খামারি ও গরু পালনকারীরা। কয়েক মাস ধরে লাম্পি স্কিন রোগে জেলায় বেশ কিছু গরুর মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসায় ভালো হচ্ছে না ল্যাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত অধিকাংশ গরু। এই রোগে আক্রান্ত গরু মরে যাওয়ায় ঘটনায় আতঙ্কে তারাহুরো করে গরু বিক্রি করে দিচ্ছেন খামারিরা। এতে করে তাদের গুণতে হচ্ছে লোকসান।
সরেজমিনে
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ‘খামার ও গৃহস্থের বাড়িতে পালিত গবাদি পশু এ রোগে আক্রান্তের
সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিনিয়ত জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে গরু।
সঠিক চিকিৎসার অভাবে এ রোগে আক্রান্ত গরুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে আর্থিক ক্ষতির
মুখে পড়েছেন খামারিরা।’
সদরের
লক্ষীচাপ ইউনিয়নের গরু খামারি রুবেল ইসলাম বলেন, ‘ল্যাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত গরু
প্রথম দিকে কিছুই খেতে চায় না। শরীরে জ্বর আসে, দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না, জ্বরের সাথে
নাক-মুখ দিয়ে লালা বের হয়,পা ফুলে যায়। এরপর পুরো শরীরে দেখা দেয় প্রচুর গুটি বা চাকা।
এতে গরুর শরীরের লোম উঠে যায় এবং ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এই ক্ষত শরীরের চতুর্দিকে ছড়িয়ে
পড়ে। চিকিৎসা দিয়ে ভালো হচ্ছে না। স্থানীয় পশু চিকিৎসকদের পরামর্শে কোন কাজ হচ্ছে না।’
সদরের
ইটাখোলা ইউনিয়নের গরু খামারি নাসির উদ্দিন শাহ মিলন বলেন, ‘এ রোগটি ব্যাপক আকার ধারণ
করেছে। আমার সবগুলো গরুকে ইনজেকশন দিয়েছি। আমার খামারের পাশে গৃহস্থ মাহবুল ইসলাম চুটকির
দুইটি গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।’
সংগলশী
ইউনিয়নের গরু পালনকারী বাসুদেব রায় বলেন,‘আমার দুইটি গরুর ভাইরাস হয়েছে, অনেক চিকিৎসা
করছি ভালো হচ্ছে না। অনেকের পরামর্শে কাঁচা হলুদের রস ও খাবার সোডা গরুকে খাওয়াচ্ছি
তবুও আশানুরুপ ফল পাচ্ছি না। আরেকটি গরু আক্রান্ত হওয়ার আগেই বিক্রি করে দিয়েছি।’
জেলা
প্রাণিসম্পদ কার্যালয় দেওয়া তথ্যমতে, ‘জেলায় লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত গরুর সংখ্যা
২হাজার ৯১৩টি। এর মধ্যে গরু মৃতের সংখ্যা ১০টি এবং সুস্থ্য হয়েছে ১হাজার ৯২১টি। এ পর্যন্ত
জেলায় ১৭ হাজার ৬০০ গরুকে এই ল্যাম্পি স্কিন রোগের ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছে।’
এ
বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো: সিরাজুল হক বলেন, ‘ল্যাম্পি স্কিন রোগ বর্তমানে
নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। মশা ও মাছির মাধ্যমে এ রোগ বেশি ছড়ায়। তাই আক্রান্ত গরুকে
মশারির মধ্যে রাখার জন্য আমরা গরু পালনকারী ও খামারিদের পরামর্শ দিচ্ছি। এ রোগের ভাইরাস
গোটা জেলায় ছড়িয়ে পড়ায় গৃহস্থ ও খামারিদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ’
নীলফামারী ল্যাম্পি স্কিন রোগ আক্রান্ত প্রায় তিন হাজার প্রাণীসম্পদ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নওগাঁর নিয়ামতপুরে ৪ চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন। প্রতীক বরাদ্দের পরও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে ফেসবুক লাইভে এসে উপজেলা চেয়ারম্যান ওই চার জন পদপ্রার্থী নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। সোমবার (০৬ মে) সকালে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে জাহিদ হাসান বিপ্লব ও আবেদ হাসান মিলন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা নিশ্চিত করেন।
নির্বাচন বর্জনকারী প্রার্থীরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র সহ- সভাপতি শ্রী ঈশ্বর চন্দ্র বর্মন, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান বিপ্লব এবং নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আবেদ হোসেন মিলন।
এদিকে গত ২ মে প্রতীক বরাদ্দের পর আবুল কালাম আজাদ (কাপ পিরিচ), শ্রী ঈশ্বর চন্দ্র বর্মন (ঘোড়া), জাহিদ হাসান বিপ্লব (হেলিকপ্টার) ও আবেদ হাসান মিলন (আনারস) প্রতীক পেয়েছিলিন। প্রতীক বরাদ্দের পর তারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগও চালিয়েছেন।
অভিযোগ কারীরা জানান, ‘উপজেলায় সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন করতে আমরা ইতিমধ্যে সব প্রস্ততি সম্পন্ন শেষ করেছি। সরকার ও আওয়ামী লীগ দলের নির্দেশে এবং খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপির ভাবমূর্তি ও সম্মান রক্ষা করার জন্য সবসময় তাকে নিরপেক্ষ রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তার কর্মী সমর্থকরা আইন ও নির্দেশ অমান্য করে খাদ্যমন্ত্রী ও তার পরিবারের নাম ব্যবহার করছে। আমাদের বিভিন্ন ভাবে ভয় ভীতি দেখিয়ে তারা নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় অধিকাংশ নেতাকর্মীরা ইচ্ছার বিরুদ্ধে ওই প্রতিদ্বন্দ্বির পক্ষে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। এমনকি ইউপি চেয়ারম্যানগণকে বাধ্য করা হচ্ছে ওই পক্ষের হয়ে কাজ করতে। এমত অবস্থায় নিয়ামতপুর উপজেলার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা এবং দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে হানাহানি ও দ্বন্দ্ব ইত্যাদি রক্ষায় আমরা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলাম।’
উল্লেখ্য, নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছিলেন। মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই শেষে ছয় জন প্রার্থীই প্রতীক পেয়েছিল। এখন নির্বাচনী মাঠে রইলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহরাব হোসেন।
উপজেলা নির্বাচন চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্জন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন (আনারস) ও রাশেদ ইউসুফ জুয়েলকে (দোয়াত কলম) শোকজ করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা।
সোমবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটানিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আনারস প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিনকে ১২ ঘণ্টা এবং দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী রাশেদ ইউসুফ জুয়েলকে ২৪ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে শোকজের লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।
শোকজ নোটিশে বলা হয়েছে, রাশেদ ইউসুফ জুয়েল (দোয়াত কলম) আচরণবিধি লঙ্ঘন করে কর্মী-সমর্থক দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন মর্মে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ৩ ও বিধি ৩১ এর পরিপন্থি।
এ অবস্থায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে রাশেদ ইউসুফ জুয়েলের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে গতকাল রোববার নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় উপজেলা পরিষদ বিধিমালা ২০১৩ ও উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
রিয়াজ উদ্দিনের নোটিশে বলা হয়েছে, রোববার (৫ মে) রাতে সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের কাদাই গার্ডেন প্যালেস রিসোর্টে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করে অর্থ লেনদেনের চেষ্টা করেছেন মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া প্রার্থী মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিনের সমর্থক রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফজলুর রহমান ফজলু আনারস প্রতিকের টি-শার্ট পরে শহরের মাহমুদপুর এলাকায় ভোটারদের মধ্যে টাকা বিতরণ করেছেন মর্মে লিখিত অভিযোগ করেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রাশেদ ইউসুফ জুয়েল। এমন কর্মকান্ড উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ১৭ এর পরিপন্থি।
এ অবস্থায় আচরণ বিধি লঙ্ঘনের কারণে মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত ও মৌখিকভাবে জবাব দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় উপজেলা পরিষদ বিধিমালা ২০১৩ ও উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে মোট পাঁচজন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
উপজেলা নির্বাচন চেয়ারম্যান প্রার্থী শোকজ
মন্তব্য করুন
দীর্ঘ তীব্র তাপপ্রবাহের শেষে অবশেষে পটুয়াখালীতে দেখা মিলেছে স্বস্তির বৃষ্টির। সোমবার (৬ মে) বিকেল ৪ টার দিকে আকাশে মেঘ করে শীতল হাওয়া বইতে শুরু করে তারপর সাড়ে ৪ টার দিকে হালকা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। মুষলধারে বৃষ্টি না হলেও তীব্র গরমে হাঁপিয়ে ওঠা জনজীবন একটু হলেও স্বস্তির নিশ্বাস নিচ্ছে।
মানুষ বৃষ্টি দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েছেন। অনেকে মৌসুমের প্রথম বৃষ্টিতে গা ভিজিয়ে নিচ্ছেন মনের আনন্দে। অনেকে আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে জানান দেন স্বস্তির বৃষ্টি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কেউ কেউ সৃষ্টিকর্তার নিকট কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছেন।
উল্লেখ্য, এবার এপ্রিলে দীর্ঘতম তাপদাহ বয়ে গেছে দেশজুড়ে। ১৯৮১ সালের পর এবারের এপ্রিল ছিল শুষ্কতম মাস। শুধু উষ্ণতম নয়, এই এপ্রিল ছিল গত ৪৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শুষ্কতম। দেশের গড় বৃষ্টিপাত ছিল এক মিলিমিটার।
মন্তব্য করুন
নওগাঁর নিয়ামতপুরে ৪ চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন। প্রতীক বরাদ্দের পরও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে ফেসবুক লাইভে এসে উপজেলা চেয়ারম্যান ওই চার জন পদপ্রার্থী নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। সোমবার (০৬ মে) সকালে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে জাহিদ হাসান বিপ্লব ও আবেদ হাসান মিলন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা নিশ্চিত করেন।