ইনসাইড বাংলাদেশ

শেখ হাসিনা-ড. ইউনূস বিরোধ : কোথায় শুরু, কোথায় শেষ?

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২৮ অগাস্ট, ২০২৩


Thumbnail শেখ হাসিনা-ড. ইউনূস বিরোধ : কোথায় শুরু, কোথায় শেষ?

১৯৯৬ সালে দীর্ঘ ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসেছিল আওয়ামী লীগ। সেই সময় মোবাইল টেলিফোনের একচেটিয়া মার্কেট ছিল সিটিসেল মোবাইল কোম্পানির। সিটিসেল মোবাইল কোম্পানি ছিল বিএনপি নেতা মোরশেদ খানের। তারা অন্য কোন কোম্পানিকে লাইসেন্স দেননি। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর এই অবস্থা পাল্টে দেন। তিনি গ্রামীণফোনের লাইসেন্স দেন। গ্রামীণফোনকে লাইসেন্স দেয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সময়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার বক্তব্যে শেখ হাসিনার ভূয়শী প্রশংসা করেছিলেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, কোথাও আমাকে এক কাপ চা পর্যন্ত খাওয়াতে হয়নি এই লাইসেন্স পাওয়ার জন্য। 

ওই বছরই অর্থবছরের বাজেটে গ্রামীণ দারিদ্র্য মোচনের জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ ব্যাংকে ১০০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ দিয়েছিল সরকার। ড. মুহাম্দ ইউনূসের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ সখ্যতা এবং সম্পর্ক সে সময়ে ছিল সর্বজনবিদিত। ড. মুহাম্মদ ইউনূস সে সময় ‘একটি বাড়ি একটি খামার’- প্রকল্পের ভূয়শী প্রশংসা করেছিলেন এবং তিনি বলেছিলেন, এই ধরনের প্রকল্প গ্রামীণ দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়তা করবে। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসলে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভোল পাল্টে ফেলেন। তিনি তখন বিএনপির অনুগত এবং বিএনপির প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে যান, বিএনপির বিভিন্ন কর্মকান্ডের ব্যাপারে তার নিরবতা লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নিরবতা পুরো জাতিকে হতবাক করে দিয়েছিল। 

বাংলাদেশের কোন রাজনীতিক ইস্যুতেই ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পাওয়া যায় না। তিনি শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক ইস্যুতে সরব থাকেন। এই ড. মুহাম্মদ ইউনুস ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান। একজন অর্থনীতিবিদ হয়ে তিনি কীভাবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন?- এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। তবে এই নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পরপরই বাংলাদেশের রাজনীতিতে তিনি সক্রিয় হতে শুরু করেন। নিজে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন, যদিও অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এই রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়া থেকে তিনি নিজেকে গুটিয়ে নেন এবং সরাসরি স্বীকার করেন, এটি তার কাজ নয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এ সময় তার প্রকাশ্য বিরোধ শুরু হয়। ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইয়াজউদ্দিনের সরকারকে সমর্থন করেন, যে কোনো মূল্যে নির্বাচন হতে হবে বলে ২২শে জানুয়ারি এক তরফা নির্বাচনের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেন এবং তিনি সুস্পষ্টভাবেই আওয়ামী লীগ বিরোধী একটি অবস্থানে চলে যান।

২২ শে জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে যখন রাজনীতিতে টানটান উত্তেজনা, সেই মুহূর্তে ১/১১’র সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। তথ্য-প্রমাণে এখন নিশ্চিত হওয়া গেছে, ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি যে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেছিল, তার পিছনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাত ছিল। আর এখান থেকেই আওয়ামী লীগ সভাপতির সঙ্গে ড. মুহম্মদ ইউনূসের প্রকাশ্য দ্বৈরথ শুরু হয়। এই দ্বৈরথ গণতন্ত্রের সঙ্গে অনির্বাচিত সরকারের বিরোধ। এই বিরোধ হলো এই যে, বাংলাদেশ দেশের জনগণের কথায় চলবে, নাকি কিছু সুশীলের কথায় চলবে?- এই হলো তার বিরোধ।  

২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ড. মুহাম্মদ ইউনুসের বিভিন্ন অনিয়ম, যেগুলো সব সরকার মুখ বুঝে সহ্য করেছে, সে ব্যাপারে তদন্ত শুরু করে। আর এই সমস্ত তদন্তের প্রেক্ষাপটেই দেখা যায় যে, ড. মুহাম্মদ ইউনুস গ্রামীণ ব্যাংকের একজন বেতনভুক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং তিনি একজন যুগ্ম সচিব পদমর্যাদায় চাকরি করেন। অন্যান্য সরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের যেভাবে চাকরি থেকে অবসর নিতে হয়, ইউনূসের ক্ষেত্রেও সেটি প্রযোজ্য, কিন্তু ড. মুহাম্মদ ইউনূস দা করছেন না। তখন সরকার তা যথাযথভাবে আইন প্রয়োগ করে। এর বিরুদ্ধে ড. ইউনূস আদালতে যান, সেখানে পরাজিত হন। হিলারি ক্লিনটন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জন্য ফোন করেন। কিন্তু শেখ হাসিনা সেই ফোনে নতজানু হননি। এভাবেই ইউনূসের সঙ্গে প্রকাশ্য বিরোধ শুরু হয় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার। প্রশ্নটা হলো- একজন ব্যক্তি কি আইনের ঊর্ধ্বে থাকতে পারেন কিনা? আইন তার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হবে কিনা?

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, তিনি আন্তর্জাতিক প্রভাববলয় ব্যবহার করে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সুসম্পর্ক আছে- এই পরিচয়টি ব্যবহার করে তিনি যা ইচ্ছা তাই করেছেন। কোথাও তিনি আইনের তোয়াক্কা করেননি। বিভিন্ন দেশ থেকে সম্পদ এনেছেন, সেই সম্পদ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নয়ছয় করেছেন। তিনি তার আয়কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য সমস্ত উপার্জন নিজের নামের ট্রাস্টে দান করেছেন। সেই ট্রাস্টের প্রধান কাজ হিসেবে দেখানো হচ্ছে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার পরিবারের সদস্যদে কে ভরণপোষণ করা, তাদের আরাম-আয়েশ নিশ্চিত করা। এভাবেই ড. মুহাম্মদ ইউনূস নানারকম স্বেচ্ছাচারিতা করেছেন অবাধে। 

যে কোনো একজন সাধারণ নাগরিক যদি এটি করতো, তাহলে তার জন্য কঠিন শাস্তি অপেক্ষা করতো। কিন্তু ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জন্য সাত খুন মাফ। শেখ হাসিনা টি করেছেন, দা হচ্ছে- প্রত্যেকটি নাগরিকের জন্য যে আইন সমান, তা নিশ্চিত করতে চেয়েছেন। আর এই নিশ্চিত করতে গিয়েই অনেক সুশীল সমাজের কাছে তিনি সমালোচিত হচ্ছেন। কেউ কেউ মনে করছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আক্রোশপূর্ণ আচরণ করা হচ্ছে। এই নিয়ে এখন বারাক ওবামা পর্যন্ত বিবৃতি দিচ্ছেন। তবে শেখ হাসিনার লড়াইটা খুব স্বাভাবিক এবং সাদামাটা। তিনি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চান, আইনের দৃষ্টিতে ড. মুহাম্মদ ইউনুস কেন, কেউই যে আলাদা নয়, সকলেই যে সমান- সেটি প্রমাণ করার লড়াই-ই হলো ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে লড়াই। আর সেখানে আইনের শাসন বিজয়ী হলেই এই লড়াই শেষ হবে। 


শেখ হাসিনা   ড. ইউনূস   বিরোধ   শুরু   শেষ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মুন্সীগঞ্জে ওসিসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ: ০৮:২৮ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান থানার ওসি মো. মুজাহিদুল ইসলামসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রোববার (৫ মে) দুপুরে মুন্সীগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পুলিশের হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করেন নির্যাতনের শিকার আব্দুল বারেক।

মামলা দায়ের করা আব্দুল বারেক সিরাজদিখান উপজেলার বড়বর্তা গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় কেয়াইন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. হোসেন মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মুন্সীগঞ্জ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ কাজী আব্দুল হান্নান মামলার ঘটনার সত্যতা যাচাই-পূর্বক তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পিবিআই পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।

একইসঙ্গে বাদী তথা ভুক্তভোগীদের জখমের বিষয়ে সিভিল সার্জনকে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. জামাল হোসাইন জানান, গত ১৮ এপ্রিল জেলার সিরাজদিখান থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। ২৪ এপ্রিল ওই মামলায় এজাহার নামীয় আসামি দেখিয়ে উপজেলার কুচিয়ামোড়া গ্রামের আব্দুল বারেকসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এরপর ওই দিন রাতে গ্রেপ্তারকৃতদের থানা পুলিশের হেফাজতে নির্যাতন করা হয়। পরদিন গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

তিনি আরও বলেন, জেল হাজতে থেকে আব্দুল বারেক বাদী হয়ে সিরাজদীখান থানার ওসি ও অন্যান্য আরো ৮ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে পুলিশের হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছেন আদালতে।

এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান সার্কেল) মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, শুনেছি আদালতে একটি পিটিশন মামলা হয়েছে। তবে ওই ঘটনার সময় আমি ট্রেনিংয়ে ছিলাম।


পুলিশ   মামলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজধানীতে বজ্রসহ শিলা-বৃষ্টি

প্রকাশ: ১০:৪১ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীতে শুরু হয়েছে বজ্রসহ বৃষ্টি। সঙ্গে শিলা। আজ রোববার (৫ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হয় এ শিলা-বৃষ্টি। এর আগে রাত ৯টার দিকে শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়া।

শনিবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পরিস্থিতির পূর্বাভাস দেয়। পূর্বাভাসে বলা হয়, সোমবার থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছয় দিন ধরে হতে পারে ঝড়বৃষ্টি। কয়েক দিনের বৃষ্টির পর কমে যেতে পারে তাপপ্রবাহ।

আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বলেন, রোববার বিকেল ৪টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের ওপর দিয়ে বজ্রপাত ও বিচ্ছিন্নভাবে শিলাবৃষ্টিসহ কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে। সেজন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া কাল সোমবার থেকে সারা দেশে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। এতে করে যেসব জায়গায় তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল সেগুলো ধীরে ধীরে প্রশমিত হবে। 

রাজধানী   শিলা-বৃষ্টি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বন্ধ বিমানবন্দর চালুর পরিকল্পনা আপাতত নেই: বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯:৪৩ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান জানিয়েছেন, বন্ধ থাকা বিমানবন্দরগুলো চালুর পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই।

রোববার (৫ মে) বিকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য আলী আজমের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।
 
ফারুক খান বলেন, বর্তমানে দেশে তিনটি আন্তর্জাতিক, সাতটি অভ্যন্তরীণ ও পাঁচটি স্টল বিমানবন্দর রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং পাঁচটি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর চালু রয়েছে। এসব বিমানবন্দর দিয়ে আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, বন্ধ থাকা বিমানবন্দরগুলো চালু করার পরিকল্পনা সরকার তথা বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের আপাতত নেই। তবে বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন, যাত্রী চাহিদা এবং এয়ারলাইনসগুলোর আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে বন্ধ বিমানবন্দরগুলো চালুর উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।

বিমানবন্দর   বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী   জাতীয় সংসদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা লোডশেডিং, বিদ্যুৎ গেল কোথায়: সংসদে চুন্নু

প্রকাশ: ০৯:৩৪ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

লোডশেডিং নিয়ে সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, গ্রামে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। সরকার বলেছে ২৮ হাজার বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্যাপাসিটি রয়েছে। তাহলে এই বিদ্যুৎ গেল কোথায়?

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে তিনি এ প্রশ্ন করেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, এই মুহূর্তে সারাদেশের মানুষ অনেক সমস্যায় আছে। তার মধ্যে দুটি সমস্যায় মানুষ খুব আক্রান্ত। একটি হলো বিদ্যুৎ। এই মৌসুমে সারাদেশে গ্রামে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। আর সরকার বলেছে ২৮ হাজার বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্যাপাসিটির কথা, তাহলে এই বিদ্যুৎ গেল কোথায়? বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে আমার এলাকার মানুষ দাওয়াত দিয়েছে, লোডশেডিং হয় কিনা দেখার জন্য।

তিনি আরও বলেন, যে সব বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ভাড়ায়, তাদের সক্ষমতার ৪১ শতাংশ সক্ষমতা থাকার পরেও বসে আছে এবং ২২-২৩ আর্থিক বছরে বসে থেকে ভাড়া বাবদ ২৬ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। আগের পার্লামেন্টে আমি বলেছিলাম, আমার এলাকায় প্রায় বিদ্যুৎ চলে যায়। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আমাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, আমি আজকে চ্যালেঞ্জ চাই না। আমি চাই সশরীরে উনি আমার এলাকায় একটু যাবেন, যে কয় ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে।

চুন্নু বলেন, দায়মুক্তি দিয়ে যেসব চুক্তি আমরা করেছি, সেগুলো দয়া করে প্রত্যাহার করুন। বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে বসে বসে জরিমানা দেওয়া হবে, এ চুক্তি বাতিল করুন। সেসব কোম্পানি বিদ্যুৎ দিলে বিল পরিশোধ করবেন। বসিয়ে রেখে এভাবে এক বছরে ২৬ হাজার কোটি টাকা দেবেন, তারপর আবার লোডশেডিংও থাকবে! ঢাকায় থেকে অসহনীয় অবস্থা আপনারা বুঝবেন না।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ করুন। বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছেন। মন্ত্রী একটি সুন্দর কথা বলেন, সমন্বয়। সমন্বয়ের মানে মূল্যবৃদ্ধি। এ সমন্বয় আগামী তিন বছর বারবার করবেন। ভর্তুকি তুলে নিলে বিদ্যুতের দাম দ্বিগুণ হয়ে যাবে দুই-তিন বছর পর। মানুষ কিনতে পারবে কি না, আমি জানি না। আমি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে বলব, শুধুমাত্র দাম না বাড়িয়ে এমন কিছু পদক্ষেপ নিন, যাতে জনগণের ওপর চাপ না পড়ে, একটি সহনীয় অবস্থায় আপনারা সরকারেও থাকতে পারেন, আর বিদ্যুৎও যাতে পাওয়া যায়।

লোডশেডিং   মুজিবুল হক চুন্নু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে রাতের অন্ধকারে হামলা চালিয়ে সংখ্যালঘুর জমি দখল, ঘর নির্মাণ


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে রাতের অন্ধকারে হামলা চালিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে একটি টিনসেট ঘর স্থাপন করেছে তাজল ইসলাম নামে এক ভূমি পরিমাপক। 

রোববার (৫ মে) ভোর রাতে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের করুনানগর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলেও যথা সময়ে পুলিশ আসেনি বলে অভিযোগ ভূক্তভোগীদের। 

বিকেলে ভূক্তভোগী টিংকু রানী দাস, বিপন রানী দাস, শোভন দাস ও অনিক চন্দ্র দাসসহ কয়েকজন এ অভিযোগ করেন। তারা জানায়, লোক মারফত তারা জানতে পারেন তাজল ইসলাম বিরোধীয় জমিতে ঘর তুলবেন। এতে শনিবার (৪ মে) দিবাগত সারারাত তারা পাহারারত ছিলেন। কেউই ঘুমাননি। রোববার ফজরের আযান দিলে তারা ঘুমাতে যায়। ঠিক সেই মুহুর্তে তাজল ইসলাম প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষকে নিয়ে এসে বিরোধীয় জমিতে থাকা টিনের বেড়া ভেঙে ফেলে। ঘটনাটি আঁচ করতে পেরে সবাই এসে বাধা দিলে তাজল ইসলামসহ তার লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে তাদের (ভূক্তভোগী) ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে ভূক্তভোগীরা জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দেয়। সেখান থেকে বিষয়টি কমলনগর থানাকে জানানো হয়। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছতে ২ ঘণ্টা সময় লাগিয়েছে। এর মধ্যে অন্যত্র তৈরিকৃত একটি নতুন ঘর এনে তাজল ইসলামরা বিরোধীয় জমিতে স্থাপন করে। এসময় টিংকু, বিপন, শোভন ও অনিকসহ কয়েকজনকে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ আনা হয়। 

ভূক্তভোগীরা আরও জানায়, পুলিশ এসে ঘর দেখে তারা থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলে। যদি পুলিশ সময়মতো আসতো তাহলে তাজল ইসলামরা ঘর স্থাপন করার সুযোগ পেতো না। আদালতে মামলা চলমান থাকলেও হামলা চালিয়ে ঘর স্থাপনের ঘটনায় তাজল ইসলামের বিচার চেয়েছেন ভূক্তভোগীরা।

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মিলন মন্ডল বলেন, ডালিম কুমার দাস নামে এক ব্যক্তি তাজল ইসলামের কাছে জমি বিক্রি করে। ডালিম ও তাজলসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে প্রাক্তন স্কুল শিক্ষক রাম কৃষ্ণ দাসসহ ভূক্তভোগীরা অগ্রক্রয় অধিকার আইনে রামগতি সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন। মামলাটি এখনো চলমান। এরমধ্যে তাজল ইসলাম হামলা চালিয়ে ঘর স্থাপন করে আইন অমান্য করেছে। আমরা তার বিচার দাবি করছি। 

তবে অভিযুক্ত তাজল ইসলামের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। তিনি রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নের চরসীতা গ্রামের বাসিন্দা। 

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। পুলিশও পাঠানো হয়েছে। হামলার ঘটনায় কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। কেউ আটকও নেই। জায়গা জমি নিয়ে সমস্যা রয়েছে। ক্রেতা তার জমি দখল করতে এসেছে। এটি উভয়পক্ষ বসে মীমাংসা করতে পারতো।

লক্ষ্মীপুর   সংখ্যালঘু   জমি দখল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন